Better Life With Steem | The Diary game 7,june|
![]() |
---|
সকাল |
---|
ভোরের দিকে চোখ খুলেই চোখ গেল পর্দার ফাঁকা দিয়ে। বাইরে তাকিয়ে মনে হলো আমি শীতের দিনে আছি। বাইরেটা একদম কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে।
কিছুক্ষন পরে আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম কারন ছুটির দিন হওয়ার কারনে উঠার কোন তাড়া ছিলো না।দ্বিতীয় বার উঠেছি বেশ লেট করে। তখনও বাইরে তাকালে মনে হচ্ছিলো কুয়াশা কিন্তু ভোরের থেকে কমেছে কিন্তু আকাশ মেঘলা।
বারান্দায় গিয়ে দেখলাম চন্দ্রমল্লিকা ফুলের কলিতে হালকা রঙ এসেছে। শীত শেষ হবার পর থেকে সারাবছরই এই গাছে ফুলের কুড়ি ধরে কিন্তু রোদের কারনেই নাকি সিজনের কারনে জানি না ফুল ফুটার আগেই মরে যায়। কিন্তু কয়েকদিন থেকে দেখতেছি হালকা রঙ আসতেছে ফুলের কলি আর সাথে সাথে সাইজও আগের চেয়ে বড় হচ্ছে।
হাসবেন্ড দেখি কাঠাল নিয়ে বসেছে ভাঙতে। বাসায় বলতে গেলে সে-ই যা কাঠাল খায়। সে আম আর কাঠাল খেয়ে জানালো আর নাস্তা করবে না কিছু । যার কারনে আর রুটির দিকে গেলাম না। ভাবলাম ওরা উঠলে নুডুলস রান্না করে দিবো।
গতকালও বুয়া আসে নাই তাই আজকে সকাল বেলাতেই কল দিলাম এই ভেবে যে যদি দয়া করে রিসিভ করে। দেখলাম সে রিসিভ না করলেও তার ছেলে বা অন্য কেউ একজন রিসিভ করে জানালো যে আজকেও তিনি আসবেন আসবেন না।
যেহেতু আসবে না তাই একবারে রুমগুলো পরিস্কার করে মুছেও ফেললাম।
তারপর রান্না করতে ঢুকলাম। আজকে মুরগীর মাংস, ঝিঙ্গে আলু ও বেগুন দিয়ে পুটি মাছের পাতলা ঝোল এর তরকারি ও ঢেরশ ভাজি করলাম।
দুপুর |
---|
![]() |
---|
বেশ অনেকদিন থেকেই ছোট ছেলে একটা পারফিউমের জন্য ঘ্যানঘ্যান করতেছিলো।পরে ওকে না জানিয়েই অঅর্ডার দিয়েছিলাম ।সেটাও আজকে দুপুরে দিয়ে গেল।প্রায়ই ভাবি নিজেদের কত কিছু ইচ্ছে বাদ দিয়ে এদের ইচ্ছে পূরণ করি সেটা কি ওরা কখনো বুঝতে পারবে।
দুপুরে সবাই নামাজ পরে আসার পরে একসাথেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার কিছুক্ষন পরে আকাশ কালো করে মেঘ করলো। দেখে খুব খুশি হলাম এই ভেবে যে , হয়তো বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলে গরমটা কমবে।
কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়ে আর হলো না। তবে ভ্যাপসা গরমটা সামান্য হলেও কমেছে মনে হলো।
রাত |
---|
আমার ভাই -ভাবি হজ্জে গিয়েছে কদিন আগে। যার কারনে ওর ছেলেমেয়েগুলোকে বাসায় নিয়ে আসতে বললাম ছেলেকে।ওরা আরেক ভাই এর বাসায় গিয়ে খেলা শেষ করে সন্ধ্যার পরে নিয়ে আসলো ৩ ভাগ্নে -ভাগ্নিকে। ওদেরকে নুডুলস আর আইসক্রিম দিলাম।
এরই মাঝে কনটেষ্ট পোস্টও লিখতেছি ফাঁকে ফাঁকে। দুই মিনিট পর পর নালিশ আসে ভাগ্নি। কেউ না কেউ ওকে বিরক্ত করতেই থাকে।আমার পরে আমাদের পরিবারে ও-ই একমাত্র মেয়ে। আমাদের পরিবারে মেয়ে নাই বললেই চলে। আমার বাবার এক বোন জন্মেছিলো সেও ছোট বেলাতেই মারা গিয়েছে। ৬ ভাইয়ের ১বোন যার কারনে ওর আদরই অন্য রকম। সাথে বিরক্তও করে সবাই মিলে।
![]() |
---|
রাতে ওদের জন্য ডিম ভুনা করলাম এরই মাঝে এক ফাঁকে। এর মাঝে ওয়াইফাই ঝামেলা করা শুরু করলো। একদমই স্লো হয়ে গেল। এরপর সবাইকে খেতে দিলাম। ভাগ্নিকে খাওয়াতে গিয়েতো আমার অবস্থা খারাপ।খাবার মুখে নেয় না, আবার মুখে নিলে মুখে নিয়েই বসে থাকে। বাচচা লালন পালন করার সবচেয়ে ঝামেলার কাজটাই হলো বাচচদেরকে খাওয়ানো।
তাকে খাওয়াতে খাওয়াতে ঘন্টাখানেকের বেশি লেগে গেল।এরপর শুরু হলো আরেক যুদ্ধ। ভাগ্নেরা বাসায় যাবে আর ভাগ্নি যাবে না। ওইদিকে আমিও রাখতে সাহস পাচ্ছিলাম না কারন ও দিনে আমার কাছে থাকলেও কখনো রাতে থাকে নাই।এখন ওর নানুর কাছে আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ঘোষণা দিলো যে, আমাকে চকলেট দিলে আমি যাবো। তার এই কথায় সবাই খুশি।
ওদের যেতে যেতে সাড়ে এগারোটার বেশি বেজে গেল। এক ফাঁকে আমার কনটেস্ট পোস্টও শেষ করে ফেললাম।এরপর সব গুছিয়ে ঘুমাতে গেলাম। ঘুমানোর আগে ভাবলাম যে কয়েকটা কমেন্ট করে ঘুমাবো।
কিন্তু রুম অন্ধকার থাকার কারনেই কিনা কমেন্ট করতে গিয়ে হাফ কমেন্ট লিখে সেটা আধোঘুমে পোস্ট করে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানি না। যদিও মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে উঠে সেটাকে ডিলিট দিয়ে আবার নতুন করে লিখে পোস্ট করেছি।
আর এভাবেই দিনটা শেষ করেছি আজকের।
https://x.com/SayeedaSul40871/status/1799458317162721362
Anda memasak masakan sop ikan, ayam dan udang yang sangat enak hari ini, Mantap.
thank you so much, bro
বুয়ারা এমনই করে, যেদিন তারা আসবে না সেদিন ফোন রিসিভ করে না। আমার বাসায়ও বুয়া রাখা ছিলো তবে ঠিকমতো আসতো না আর ফোন দিলে শুধু বলতো এই সমস্যা, সে সমস্যা এজন্য এখন আর বুয়া রাখিনি। আপনার হাসবেন্ড হয়ত খুব কাঁঠাল প্রেমি মানুষ। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
TEAM 7
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.@sahmie,
Thank you so much, sir.
ছুটা কাজের বুয়া নিয়ে এই একটা সমস্যা। ছুটির দিন হলে তাদেরও ছুটির দরকার পড়ে যায়। আবার অনেক সময় বলে আগামী দিন তো ছুটির দিন না আসলেও চলবে। তাদের সাথে এরকম করেই আমাদের আসলে দিন পার করতে হয়। যেহেতু আপনার ভাগ্নি একমাত্র আদরের মেয়ে তাই তাকে নিয়ে আপনাকে বেশ বেগ পোহাতে হলো। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ভালোভাবে সামলে নিয়েছেন।
আর ইন্টারনেট স্লো এটাতো ছুটির দিনের আরেকটি নিয়মিত ঘটনা। ফোন করলে ওরা বলবে আমাদের কাজ চলছে তাই স্লো। কি আর করা এভাবেই দিন পার করতে হবে। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভাগ্নিকে নিয়ে বেগ পোহালেও ভালো লাগে। মেয়েটা আসলেই খুব লক্ষি আর তার ভাইগুলো সবকটা শয়তান এর হাড্ডি। যতভাবে বিরক্ত করা যায় সেটা করে।
নেট এর কথা আর কি বলবো। আজকে সকাল থেকেই স্লো। এখন কল দিব।
আপানার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আসলে গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া খারাপ। যার কারণে ভোরবেলা অনেক শীত পড়ে। ছুটির দিন ছিল এজন্য একটু দেরিতেই ঘুম থেকে উঠেছেন। এদিকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার হাজবেন্ড এবং কাঁঠাল ও আম খেয়েছে।
বাহ! আপনি ছেলের জন্য দেখি বেশ ভালো পারফিউম অর্ডার দিয়েছেন।
দুপুরে সবাই নামাজ পড়ে আসার পরে একসাথেই দুপুরের খাবার খেয়েছেন।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
এখানে ভোরবেলা কোন শীত পড়ে না তবে কুয়াশার মতো ঘোলা হয়ে থাকে। এটা হয়তো কুয়াশা না ধোয়াশা। যা শহর অঞ্চলে দেখা যায় বায়ু দূষণের কারনে।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার করা ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে গেলো।চন্দ্রমল্লিকা ফুলের কলিতে হলকা রঙ এসেছে।আপনি আপনার সন্তানের আবদার পুরোন করতে চুপ করে অনলাইন থেকে পারফিউম অর্ডার করেছিলেন।এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।রাতে ডিম ভুনা করেছিলেন।