Better Life With Steem | The Diary game 4,june|
সকাল |
---|
ফোনে পরিচিত একজন এর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘুম ভেঙেছে আজকে। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। হাসবেন্ডর সাথে সকালবেলাতেই নয়াপল্টনে গেলাম সেই বাসায়। যেয়ে সামান্য কিছু সময় কাটিয়ে বাসায় আসলাম সাড়ে সাতটার পরে। দ্রুতই চলে আসলাম কারন হাসবেন্ড এর অফিস আছে। গতকাল বিকেলে দেখি ভাই কয়েকটা কাঠাল পাঠিয়ে দিয়েছিলো, সেগুলো পেকে গেছে । হাসবেন্ডকে বললাম এগুলো কি করবো? আগেরটাতো বুয়া আর কেয়ারটেকার সবাইকে নিয়ে খেয়েছি।
এদের দিলে বীজ পাওয়া যায় না এটাই সমস্যা। আমি কাঠাল ভাঙতে পারি না। আসলে কখনো চেষ্টাই করি নাই কারন একবার ভাঙা শুরু করলেই আমাকে এই কাজ করতে হবে। এজন্য পারিনা মানে পারিই না।যদিও আমার হাসবেন্ড ভালো করেই আমার এই ফাঁকিবাজীর কথা জানে।সে দেখি দ্রুত কাঠাল ভাঙলো আর আমাকে বললো যে, দুটো বক্স দাও। সে কাঁঠাল নিয়ে ব্যাংকে চলে গেল তার কলিগদের খাওয়ানোর জন্য।
আর নিজে আম দিয়ে মুড়ি খেয়ে দ্রুত বাসা থেকে বের হয়ে গেল। ছোট ছেলে আগের দিনই বলে রেখেছিলো সকালে খিচুড়ি খাবে। যার কারনে ওর জন্য প্রেশার কুকারে খিচুড়ি বসিয়ে দিলাম।
সাথে দুপুরের জন্যেও রান্না করার জন্য ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলাম।এরপর ছেলেদের উঠানোর মিশনে নামলাম।ছোট ছেলের পরীক্ষার কারনে ও অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে লাইট জ্বালিয়ে যার কারনে বড় ছেলের ঘুমাতে সমস্যা হয়। সেটার প্রভাব পরে সকাল বেলা। ক্লাস থাকলে এলার্ম দিয়ে উঠে যায় নাহলে ঘুমাতেই থাকে।
দুই ছেলের সাথে আমিও নাস্তা করে নিলাম। এরই মাঝে মাংসও নরম হয়ে গেছে গরম পানির কারনে। সেটাকে কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে নিলাম।এরপর দুপুরের রান্নাও শেষ করে নিলাম।
দুপুর |
---|
বারান্দার গাছগুলোকে গতকাল পানি দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। আজকে দেখি শু্কিয়ে আছে একদম।তাই দ্রুত পানি দিলাম সাথে পাখির পানিও দিলাম। এর মাঝে বুয়াও এসে কাজ করে দিয়ে গেল।
দুপুরে ছেলেদের সাথে একসাথেই খেয়ে নিলাম। বিকেলের দিকে ভাইয়ের ছেলে এসেছিলো বাসায়। ওর সাথে সবাই মিলে কিছু সময় আড্ডা দিলাম। ও চলে যাওয়ার পরে নিচে গিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনলাম দোকান থেকে।
সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো আকাশে যার কারনে আমরা ধারণা করলাম যে, বৃষ্টি নামবে।
রাত |
---|
রাতের বেলা ভাত রান্না করার জন্য চাল ধুয়ে দেয়ার একটু পরে ছোট ছেলে এসে বলতেছে যে, বৃষ্টি হবে খিচুড়ি রান্না করো৷ বড়ো ছেলেও এসে যোগ দিলো। মায়েদের অনেক দুই নম্বরী কাজকর্ম করতে হয় বাচচাদের জন্য। তাই সেই ভাত থেকে পানি ঝরিয়ে সেটাকে খিচুড়িতে পরিনত করলাম।
আগামীকাল ভাই-ভাবির এর হজ্জ ফ্লাইট। ছেলে-মেয়েদের রেখে যাচ্ছে মেয়েটার বয়স মাএ ৩ বছর ওর জন্যই খারাপ লাগে।আগে কখনো বাবা-মাকে ছাড়া থাকেনি। যদিও দ্রুতই দেশে চলে আসবে ওর জন্য। মনটা কিছুটা খারাপ ছিল এজন্য যদিও জানি চলে আসবে তারপরও কেমন জানি একটা শূন্যতা অনুভূত হয়।
ভাই এর সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ও আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কারনে আর যাই নাই। ওকে কল দিয়ে বললাম যে আমি আসতেছি কিন্তু ও জানালো যে ও-ই আসতেছে।রাতে ও ভাবিকে নিয়ে বাসায় আসলো।
আর ওদের যেতে যেতে বারোটার বেশি বেজে গেল। ও চলে যাওয়ার পরে ডায়েরি গেমের বাকি অংশ লেখতে বসলাম।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মৃত্যুর সংবাদ পেলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আপনাদের বাসায় আপনার ভাই অনেকগুলো কাঁঠাল পাঠিয়েছিল। সেগুলো পেকে গেছে। আপনার মত আমিও ফাঁকিবাজি করি। যদিও আমি কাঁঠাল ভাঙাতে পারি কিন্তু ইচ্ছে করে বলি যে আমি পারিনা। যাইহোক, পরে আপনার হাজবেন্ড কাঁঠাল গুলো ভেঙ্গে বক্সে করে অফিসে নিয়ে গেছে সবাইকে খাওয়ানোর জন্য। আপনার ভাই এবং ভাবি হজ্জে যাবে। দোয়া করি তাদের হজ্জ যেন সৃষ্টিকর্তা কবুল করেন।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
একদমই ঠিক বলেছেন মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ঘুম ভাঙলে খুবই খাবার লাগে। কিন্তু আমাদের কিছু করারও নেই।
কাঠাল ভাঙা যতটা না কস্টের তার অনেক বেশি বিরক্তিকর। আর একারনেই মনে হয় কাঠাল ভাঙতে আপনিও আমার মতোই ফাঁকিবাজি করেন।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়ই
আপনি সকালে উঠেই দুঃসংবাদ পেয়েছেন।একজন মারা গেছে।আপনারা সেখানে গেছিলেন এবং হাসবেন্ড এর অফিস থাকায় তাড়াতাড়ি চলে আসছেন।আর দুপুরে গাছে পানি দিতে না পারায় গাছগুলো শুকিয়ে গেছে।আর সত্যি বলতে আপনার রান্নাটা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।
ঘুম থেকে দুঃসংবাদ পেয়ে উঠতে কারোরই ভালো লাগার কথা না। তারপরও পেতে হয় কারন এটাই জীবন।.
এত গরম পরেছে যে, গাছগুলোতে একটা দিন পানি দিতে ভুলে গেলেই গাছ শুকিয়ে যায়। তাই নিয়মিত পানি দিতেই হয়।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ছেলেমেয়েদের বায়না একমাত্র মায়ের কাছে হয়ে থাকে। তাই হয়তোবা আপনার ছেলেরা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখে খিচুড়ি খাওয়া আর বায়না ধরেছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন মায়েদের কে অনেক লুকোচুরি করতে হয়। ভাতের পানি কমিয়ে খিচুড়ি রান্না করে ফেলেছেন। বেশ ভালো কাজ করেছেন। আসলে এত ছোট বাচ্চা রেখে হজ্বে যাওয়াটা কতটুকু ঠিক, সেটা আমি জানিনা। তবে উনি যখন নিয়ত করেছে সেটা অবশ্যই পালন করতে হবে। ধন্যবাদ একটা দিনের কাজের উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।