Better Life With Steem | The Diary game 28, December , 2024 |
Edited by Canva |
---|
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে একদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু একটা জিনিস আমি সবসময়ই খেয়াল করেছি যে ,আমরা যতই নিখুঁত পরিকল্পনা করি না কেন ,বেশিরভাগ সময়ই সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য আগেই পরিকল্পনা করে রাখেন। আর তার করা পরিকল্পনাই চূড়ান্ত। যার কারণে আমাদের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও একদিনের জায়গায় দুইদিন গ্রামে থাকতে হয়েছিল।
তাই গত রাতেই ঠিক করে রেখেছি যে আজকে যতটা সম্ভব সকাল সকাল আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হবো।
কিন্তু ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই নয়টার বেশি বেজে গেলো। এরপর ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে অপার বাসা থেকে নিজেদের বাড়ি গিয়ে নাস্তা করে বের হতে হতে এগারোটার মতো বেজে গেলো।
শীতের দিন হওয়ার কারণে তখন বেলা অনেকটা বেড়ে গেলেও কুয়াশার কারণে বাইরের দিকে তাকালে মাত্র সকাল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছিলো। তবে যে পরিমান কুয়াশা দেখবো বলে আশা করেছিলাম সেটা দেখতে না পেয়ে কিছুটা আশাহতই হলাম। এবার গ্রামে এসে রস খাবো বলে ভেবেছিলাম সেটাও হয় নাই। শীতের দিন এখন আর আগের মতো নেই। শহরে তো নাই-ই গ্রামেও নেই।
গ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পথে সবচেয়ে ভালো লাগে আমার কাছে আড়িয়াল বিল এর উপর দিয়ে যখন আসি এই জায়গাটা। কিছুদিন আগেও পানি ছিল পুরো বিলের মাঝে এখন কোথাও দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সর্ষে ক্ষেত আবার কোথাও কচুরি পানা একদিকে টেনে তুলে রাখা হয়েছে আবার কোথাও বা হাটু পানিতে নেমে কৃষকরা কিছু একটা কাজ করছে। এককথায় একেক জায়গা একেক রকম। আড়িয়াল বিলের দিকে তাকালে বোঝার কোনো উপায়ই নেই যে এর নিচে কয়লা খনি রয়েছে।
দ্রুত বাসায় আস্তে চাইলেও আসতে আসতে দেড়টার মতো বেজে গেলো। এদিকে আমাদের দুপুরে কাজিনের ছেলের বিয়ের দাওয়াত রয়েছে তাই বাসায় এসে দ্রুত রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। বিয়ের অনুষ্ঠান সীমান্ত স্কয়ারে তাই পৌঁছাতে খুব একটা সময় লাগে নাই।
সেখানে গিয়ে দেখি আত্মীয় -স্বজনের মেলা বসেছে। অনেক দিন পরে অনেকের সাথেই দেখা হলো। এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলো ভালো লাগে আমার কারণ সবার সাথে দেখা হয়। যার কারণে চেষ্টা করি একটু কষ্ট হলেও উপস্থিত থাকার।
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার পরে মনে পড়লো আমাদের কমিউনিটির করবি আমিনের কথা। তার বাসা পিলখানার ভেতরেই।
বাসার নিচেই দেখি আমার হাসবেন্ডের দুই কাজিন দাঁড়িয়ে । দেখে খানিকটা অবাক হলাম। পরে শুনলাম আমাদের বিলডিং - এ তাদের এক কলিগ থাকে। তাদের বাসায় যেতে বললাম কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে তারা আর উপরে উঠলো না ,নিচ থেকেই চলে গেলো।
আমরা বাসায় ঢুকার সাথে সাথেই কলিং বেলের শব্দ পেয়ে দরজা খুলেই দেখি আমার হাসবেন্ডের ভাগ্নে এসেছে তার বৌ আর মেয়ে নিয়ে।তাদের নাস্তা খেতে দিলাম।
এরই মাঝে কল আসলো হাবির ফোন এ যে আরেক ভাগ্নে আসতেছে বাসায়। একটু পরেই তারাও চলে আসলো। তারা এসেছে বিয়ের দাওয়াত দিতে। ওরা অবশ্য কার্ড দিয়ে খুব একটা লেট করে নাই। এরপর ভাগ্নেরা বাসা থেকে ৯টার পরে বের হলো।
ওরা চলে যাবার পরে খুব একটা কিছু করি নাই। ক্লান্ত লাগতেছিলো খুব। এভাবেই কালের গর্ভে হারিয়ে গেলো আরো একটা দিন।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকান্ড আমাদের মাঝে এতো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার পোস্টটি থেকে আমি জানতে পারলাম আপনি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শীতের সময় গ্রামের এক অপরূপ দৃশ্য ফুটে ওঠে। আপনার তোলা ফুলের ছবিটা বেশ ভালো ছিল।
ভালো থাকবেন আপু।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আপনি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানের জন্য। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয় নাই গ্রামের বাড়িতে দুইদিন থাকতে হয়েছে। সত্য কথা বলতে কিছু কিছু কাজ আমাদের হাতে নেই আমরা যতই পরিকল্পনা করি না কেন সবকিছুই আল্লাহর কাছে সে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছে কি হবে।আড়িয়াল বিলের কথা আমি এর আগের পোস্টেও পড়েছি এটা আপনার শ্বশুর বাড়ির যাওয়ার একটি রাস্তা পাশে এই আড়িয়াল বিলটি দেখতে অনেক বড় আর সরিষা ফুল দিয়ে পুরোটা যেন হলুদ হয়ে রয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আপু আপনার পোস্টটা পড়ে গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে ফেরার পুরো যাত্রার অনুভূতি যেন নিজের চোখে দেখে ফেললাম। আড়িয়াল বিলের বর্ণনা ছিল মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির এমন পরিবর্তন সত্যিই অনন্য। বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়া, আর দিন শেষে ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার মুহূর্তগুলো জীবনের অমূল্য স্মৃতি। আপনার দিনযাপনের বর্ণনা এতটাই জীবন্ত যে পড়তে গিয়ে আমিও সেই অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে গেছি। আশা করি, এরকম আরও সুন্দর দিন আপনার জীবনে আসুক। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
বলা যায় আপনার দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গেছে আসলে গ্রামের বাড়িতে সময় কাটাতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে তবে যেহেতু আপনার কাজিন এর ছেলের বিয়ে তাই আবার দ্রুত গ্রাম থেকে শহরে ফিরে আসলেন আবার করবি আমিন আপুর সাথে দেখা হয়েছে জানতে পেরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
না আপু ,করবি আমিন আপুর সাথে আমার দেখা হয় নাই। তিনি পিলখানার ভেতরে থাকেন। আমি পিলখানার সামনে দিয়ে আসার সময় তার কথা ভেবেছিলাম কিন্তু তিনি আমার জানামতে তখন গ্রামে ছিলেন । তাই দেখা করার কথা মাথায় আনি নাই।
এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।