Better Life With Steem | The Diary game 20, June|
![]() |
---|
সকাল |
---|
Edited by Canva |
---|
কয়েকদিন আগে থেকেই কথা হয়েছিলো যে আজকে ভোর বেলা আমরা বের হয়ে যাবো। যমুনা পাড় হয়ে গাইবান্ধা কিংবা সিরাজগঞ্জ যেয়ে একরাত থেকেও আসতে পারি আাবার রাতে চলেও আসতে পারি। যদিও আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল শ্রীমঙ্গল কিন্তু ওই রাস্তায় কাজ চলতেছে তাই ওই রোড বাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের দিকে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম।
এজন্য হাসবেন্ড ব্যাংক থেকেও ছুটি নিয়েছিলো আর ব্যাগও গুছিয়ে রেখেছিলাম।কিন্তু আমরা যতোই পরিকল্পনা করি না কেন ঈশ্বরের পরিকল্পনার বাইরে যাওয়া যায় না। তাই আমাদের যমুনার ওইপাড়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করা হলো কাজিনের হাসবেন্ড এর হার্ট অ্যাটাক এর খবর পেয়ে। কথা হলো অন্য কখনো সুযোগ হলে যাবো।
ঈদের সময় কেউ অসুস্থ হলেও সমস্যা কোথাও কোন ভালো ডাক্তার থাকেন না।সবাই ছুটিতে থাকে।তবে বড় ধরনের কোন সমস্যা হয় নাই তাই বাঁচা গেছে।
তবে আমাদের যাওয়াটা ক্যানসেল হয়ে গেল।বাসায় এসে দেখি ছোট ছেলে পাস্তা বানিয়েছিলো।দুই ভাই মিলে সেটাই খেয়েছে। আমার ছোট ছেলের রান্নার প্রতি আগ্রহ ছোট থেকেই। তাই ও বাসায় থাকলে আমি মোটামুটি নিশ্চিন্তে থাকতে পারি যে ও কিছু একটা করবেই।
বাসায় এসে সামান্য রেস্ট নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকলাম। একটা ভাজি, ডাল ভর্তা আর ডিম রান্না করলাম। এছাড়া ফ্রিজে মাংসও আছে।
![]() |
---|
দুপুর |
---|
বুয়া নেই তাই বাসা পরিস্কার, কাপড় ধোয়া সবকিছুই করতে হচ্ছে ছেলেকে বললাম সব নোংরা কাপড় মেশিনে দিতে।
এরই মাঝে আকাশ কালো করে মেঘ আসলো। আকাশ আমার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস। এত সুন্দর লাগতেছিলো ! সাথে চমৎকার বাতাস।ছেলেদেরকে বললাম যে, আজকে যদি বিদ্যুৎ না চমকায় তাহলে বৃষ্টিতে ভিজবো। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। মেঘ চলে গেল কিন্তু বৃষ্টি আর হলো না।
এরই মাঝে হাসবেন্ড আমার মামীকে কল দিয়ে বলেছিলো যে, বাসায় থাকলে কাঠাল পাঠিয়ে দিবে। মামী খুবই কাঠাল পছন্দ করে।
আমাদের আজকে দুপুরের খাবার খেতে অনেক লেট হয়ে গেল। খেতে বসবো এমন সময় কলিং বেল শুনে দরজা খুলে দেখি মামা এসেছে। এসে বললো যে, তোর মামী আমাকে কাঠাল নিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। মামাকে খেতে বলায় সে-ও আমাদের সাথেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিলো।যতটা বুঝতে পারলাম মামা না খেয়েই এসেছিলো।
মামার সাথে কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।মামাকে নাস্তা আর চা বানিয়ে দিলাম।
রাত |
---|
মামা গেল ৮ টার দিকে। এই মামা আমাকে খুব আদর করে। রাতে খেয়ে যেতে বলেছিলাম কিন্তু বললো যে, তোর মামাী মনে হয়,কান্না করতেছে, আমি এখনো কাঠাল নিয়ে যাই নাই এজন্য।
ছোট ছেলে দুপুরেই মেঘলা আকাশ দেখে বলেছিলো রাতে খিচুড়ি খাবে মাংস দিয়ে। তাই ওকে খিচুড়ি রান্না করে দিলাম।
এর মাঝে ভাই কল দিলো।তার সাথেও কথা বললাম খানিকটা সময়।
সবার খাওয়া শেষ হলে সব কিছু গুছিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলাম। আর এভাবেই দিন শেষ হয়ে গেল।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
আপনি কে এতদিন ধরে মনে মনে এতোটুকু কল্পনা করে রেখেছিলেন সেটাকে নষ্ট হয়ে গেল অনেক কষ্ট পেলাম যাই হোক ঈশ্বর যেটা করে ভালোর জন্যই করে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যাক শুনে ভালো লাগলো আপনার বোনের হাজব্যান্ডের হার্ট অ্যাটাক হলেও তেমন কোনো বড়ো ক্ষতি হয়নি। মাঝখান থেকে আপনাদের ঘোরার প্ল্যানটা বাতিল হলো। তবে আপনি ঠিক বলছেন, আমাদের জীবনের সবকিছু ঈশ্বর প্ল্যান করেই রাখেন, আমরা শুধু সেগুলো মেনে নিতে বাধ্য হই। আপনার মামা বেশ মজার মানুষ বলেই মনে হলো। যাক অনেক দিন বাদে মামার সাথে ভালো কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
ব্লক আছে কিন্তু ওরা ঘাম আর বুকে ব্যাথা দেখে ভেবে নিয়েছিলো যে, হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে। এন্জিওগ্রাম করলে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারা যাবে।
আসলেই ঈশ্বরের প্ল্যান এর বাইরে যাওয়া যায় না। ওইদিনের বেড়ানো আজকে বেড়িয়েছি।যদিও এটাকে বেড়ানো বলা যায় না।বৃষ্টি আর জ্যাম এর সাথে যুদ্ধ করেছি সারাটাদিন।
মামা আসলেই খুব মজার মানুষ।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।ভালো থাকবেন সব সময়।
সর্বোত্তম আপনাদের শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হ্যাঁ আমিও বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম সেই মঙ্গলের রাস্তার ওই দিকে বর্তমান কাজ চলতেছে। এজন্য আপনারা সিরাজগঞ্জের দিকে আসতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আপনার এক কাজিনের হাসবেন্ড হার্ট অ্যাটাক করেছিল। যার কারণে আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা ক্যান্সেল হয়েছে।
আসলে আমাদের সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার হাতে।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাজিন এর হাসবেন্ড আসলে হার্ট অ্যাটাক করে নাই।বুকে ব্যাথা ও সাথে ঘাম হওয়ার কারনে ওরা ভয় পেয়ে গেছে যে , হয়তোবা হার্ট অ্যাটাকই হয়েছে। আর সেই নিউজই আমাদের কাছেও এসে পৌঁছেছে৷ ব্লক আছে হার্টে,রিং পরাতে হবে।
অনেক দিন ধরেই শুনতেছি যে,ঢাকা -সিলেট হাইওয়েতে কাজ চলতেছে।তাই ওইদিকে যাওয়া হচ্ছে না বার বার প্ল্যান করার পরেও।
এতো চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।