Better Life With Steem | The Diary game 19,june|
![]() |
---|
সকাল |
---|
ঘুম ভাঙার পর থেকেই মনে হচ্ছিলো যে ,এই বুঝি বৃষ্টি নামলো। ঘুম ভাঙার পরে আবারো ঘুমিয়ে পরেছিলাম। উঠেছি একেবারে সাড়ে ৮ টার দিকে । উঠে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। হাজবেন্ডকে বললাম যে ,ডাক নাই কেন ?সে উত্তর দিলো ,ঘুমাচ্ছিলে তাই। এরই মাঝে কলিং বেলের শব্দ।
বুয়া ৫ দিনের ছুটি নিয়েছে সে আসবে না জানি। তাই এতো সকালে কে ভাবতে ভাবতে দরজা খুলে দেখি আমাদের সিএন জি পাম্পের কর্মচারী এসেছে। তখন মনে পড়লো যে উনার তো আসার কথা। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। এর মাঝেই মনে পড়লো যে ভাই -ভাবীদের তো এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাওয়ার কথা ৮ টাতেই। কিন্তু তখন আর তাদের কল দেয়ার মতো টাইম নাই আমার।
![]() |
---|
কারণ হাসবেন্ড বের হয়ে যাবে। তার আজকে ব্যাংক খোলা।তাকে নাস্তাও দিতে হবে আবার দুপুরের খাবার দিতে দিতে হবে। ঈদের কারণে দোকানপাটসহ সবকিছু বন্ধ শুধু ব্যাংক ছাড়া। হয়তো কোনোবার শুনবো যে ঈদের দিন ডিউটি করতে হবে।
একবার ভাবলাম যে দ্রুত রুটি করে দেই। মাংস আছে ,এটা দিয়েই খেয়ে নিতে পারবে।
পরমুহূর্তে মনে হলো সবার জন্য বানাতে লেট হবে। তাই দ্রুত নুডুলস শুধু ডিম দিয়ে রান্না করে নিলাম। এরপর ছেলেদেরকেও ডেকে তুললাম। সবাইকে খাবার দিয়ে ভাইকে কল দিলাম। বললো যে রাস্তায় আছে ,তখন এয়ারপোর্টে পৌঁছায় নাই।
এরপর দ্রুত ঘরের কাজ শেষ করতে শুরু করলাম। কারণ আমার দুই ভাইয়ের এক ভাইয়ের ফ্যামিলিও বাসায় নাই। ঐদিকে আজকে সিএনজি পাম্পের গ্যাস বিল দেয়ার শেষ দিন। এই'কদিন ঈদের কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকায় দেয়া হয় নাই।
আজকে টাকা নিয়ে যেতে হবে। ভাইয়ের গাড়ির ড্রাইভার এয়ারপোর্ট থেকে আসলে তার সাথে সিএনজি পাম্পের যে কর্মচারী এসেছে তার সাথে টাকা দিয়ে ছেলেকে পাঠাবো বলে কথা হয়েছিলো। কিন্তু পরে প্ল্যান চেঞ্জ করলাম কারণ এতগুলি টাকা দিয়ে শুধু ছেলেকে পাঠানোটা নিরাপদ ভাবলাম না। ঐদিকে দেশে ভাইরাও কেউ নাই। কার মনে কি আছে বলা যায় না। এরই মাঝে ভাইয়ের ড্রাইভারও চলে আসলো।
![]() |
---|
দুপুর |
---|
তাই ছেলেকে বললাম আমিও তোমার সাথে যাচ্ছি।
এরই মাঝে ভাইয়ের ড্রাইভারও চলে আসলো। আমার কাজগুলো দ্রুত শেষ করে আমিও বের হলাম ওদের সাথে যাওয়ার জন্য। এরমাঝে শুরু হলো প্রচন্ড রকমের মাথাব্যাথা। যাই হোক ,একটা ওষুধ খেয়ে বাসা থেকে বের হলাম। টাকাটা ব্যাংকে জমা দিয়ে খুব একটা লেট করি না। এরপর ঢাকার দিকে রওনা দিলাম।
![]() |
---|
রাত |
---|
বিকেলে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে গিয়েছিলাম।সেখান থেকে বনানীতে আরো একটা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে আসি। ৯ টার পরে ভাবি কল দিয়ে জানায় যে ওরা ঠিক মতোই মালয়েশিয়াতে পৌঁছেছে।
মনটা সামান্য খারাপ হয়ে যায় এটা ভেবে যে ,আমরা তিনভাই-বোন তিন দেশে। যদিও সবাই ক'দিন পরেই ফেরত আসবে তারপরও এক অজানা কারণে মন খানিকটা খারাপ হয়।
আর এভাবেই দিনটা শেষ হয়ে যায়।
![]() |
---|
আপনাকে সবার প্রথমে জানাই ধন্যবাদ। কারন আমাদেরকে এতো সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য। আর আছকে আমাদের এখানে সকাল থেকে আকাস মেঘলা, মেঘলা। এভাবে একটু পর অনেক সময় বৃষ্টি থামার নাম নেই রাস্তা ঘাট সব পানিতে ভরে গেছে।আমি আসা করবো আপনি আমাদের মাঝে আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট করবেন।ধন্যবাদ।
ঢাকার আকাশ বেশ কিছুদিন থেকেই মেঘলা থাকে কিন্তু বৃষ্টির নাম-গন্ধ নেই।ঢাকার আশেপাশে বৃষ্টি হয় কিছু কিছু। আজকে মনে হচ্ছিলো যে এই বুঝি এখনই নামবে। গুড়ি গুড়ি হয়েওছিলো কয়েক মিনিটের জন্য, ও-ই পর্যন্তই।
কিন্তু সিলেট, চিটাগং ইত্যাদি জায়গাতে দিয়ে
আপানার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফিগুলো আমার মন কেড়েছে। আপনার পোস্টের প্রতিটা ফটোগ্রাফিই আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে রাতের ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। গরমের কারনে আমারও মাথা ব্যথা হয়ে থাকে আর একবার শুরু হলে সারতেই চায় না। ভালো থাকবেন।
এই জায়গা আসলেই খুব সুন্দর যার কারনে এত সুন্দর লাগতেছে। এখানে আমার ফটোগ্রাফির আসলে তেমন কোন ভূমিকা নেই।
মাইগ্রেন আছে কিনা চেক করে দেখবেন। মাইগ্রেন থাকলে ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হয় আর সহজে সারতে চায় না।
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনার ফটোগ্রাফিতে উপস্থিত জায়গাটা যে কতটা সুন্দর সেটা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। জায়গাটা যতই সুন্দর হোক না কেন সেটাকে সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবাই তুলে ধরতে পারে না যেটা আপনি খুব ভালো ভাবেই করেছে। হ্যা আমি অবশ্যই চেক করে দেখবো।ধন্যবাদ আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
সকালের নাস্তা নিয়ে আপনাকে অনেক বেশি ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে আপনার হাসবেন্ড কে নাস্তা দিতে পেরেছেন এটাই হচ্ছে সবচাইতে ভালো কথা। আসলে ব্যাংকে যারা কাজ করে তাদের ছুটি একেবারেই কম। আপনারা তিন ভাই বোন তিন দেশে আসলে এটা খুবই খারাপ লাগার একটা বিষয়। আশা করি খুব দ্রুত আপনারা একসাথে হবেন এবং অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করতে পারবেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন উনারা যেন সুস্থ শরীরে আবার দেশে ফিরে আসতে পারে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এটা ঠিক যে যারা ব্যাংকের কাজ করেন তাদের ছুটি একদমই কম। আর যারা আইটি সেক্টরে কাজ করে, তাদের অবস্থা তো আরো খারাপ। যদি কোন কারনে সমস্যা দেখা যায় তাহলে দিনরাত এক করে ব্যাংকে পড়ে থাকতে হয়।
আমার মা আমাকে ব্যাংকারের কাছে বিয়ে দিয়েছিলো যাতে আমাকে সময় দিতে পারে। 😀
কিন্তু মায়ের সেই ইচ্ছেটা আর পূরণ হয়নি।
আপনার মন্তব্য করে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সব সময়।
ব্যাংকে কর্মরত প্রত্যেকটা সদস্যকে অনেক বেশি পরিমাণে কাজ করতে হয়। এটা আমিও জানি, কেননা কখন কার টাকার প্রয়োজন হয় এটা আমরা কেউই জানিনা। তাই ব্যাংকের কর্মরত যারা রয়েছে, তারা সর্বদা অ্যালার্ট থাকতে হয়। আপনার মায়ের ইচ্ছাটা পূরণ হয়নি খুবই দুঃখজনক একটা বিষয়। যাইহোক তারপরেও আপনি আপনার পরিবারের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করে থাকেন মাঝে মাঝে। এর চাইতে বড় পাওয়া হয়তোবা আর কিছুই হতে পারে না।
আপনি সারাদিন খুব ব্যাস্ততম একটি দিন অতিবাহিত করেন।সকালে ঘুম থেকে উঠে যদিও বা মনে হয়েছিলো বৃষ্টি আসবে কিন্তু পরে বৃষ্টি আসেনি।আপনার হাসব্যান্ড নাস্তা করে ডিউটিতে যায়।আসলে ব্যাংকের চাকুরির ছুটি নেই বললেই চলে।আপনার তোলা সবগুলো ছবি চোখ ধাধানো সুন্দর ছিলো।আপনার ভাবিরা ঠিকভাবেই মালেশিয়াতে পৌঁছেছে।তিন ভাইবোন তিন দেশে থাকেন।এতে দু:খ লাগার ই কথা।যাই হোক সুস্থ থাকবেন।ভালো থাকবেন
একদম ঠিক বলেছেন ব্যাংকের চাকরিতে ছুটি খুব কম। আমার হাজবেন্ডকে বললে হাসে আর বলে চাকরি করা মানেই হো সে একজন চাকর। এটা শুনে আর কিছু বলার থাকে না। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পরে। এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।