Better Life With Steem | The Diary game 16 ,june|
Edited by Canva |
---|
সকাল |
---|
গতরাতে ঘুমাতে লেট হওয়ার কারনে আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও লেট হয়ে গেছে। সকাল বেলা ফ্রিজে রুটি বানানো ছিলো সেগুলোই সবাইকে ভেজে দিয়েছি সাথে সবজি আর ডিম ভাজি।
এতো মারাত্মক রকমের গরম পরেছে যে, রান্নাঘরে ঢুকার কথা মনে পরলেই অস্থির লাগে। আকাশ মেঘলা হয়ে আছে ক'দিন থেকেই দেখলে মনে হয় এই বুঝি বৃষ্টি হবে। কিন্তু ও-ই পর্যন্তই। বৃষ্টির কোন দেখা নেই।
রান্না শেষে গাছগুলোতে পানি দিলাম। টবের মাঝে আগাছা জন্মেছে, বুঝতেছি তোলে ফেলা প্রয়োজন কিন্তু তুলতে মায়া লাগে। এই এক সমস্যায় ভুগি আমি ,কোন গাছকেই তুলতে পারি না।
পুই শাকের গাছ হয়ে আছে কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা পাতাও খাই নাই। আবার মিষ্টি কুমড়ো গাছ হয়েছে। আমার হাসবেন্ডকে দেখিয়েছি, সে হাসতেছে আর বলতেছে যে এই গাছ হলে তোমার লাভ কি?
তাকে অবশ্য আপাতত এটা বলে থামিয়েছি যে, আমি না খেলেও একটা গাছ এর ওপর গড়ে প্রায় ৩০০ জীব নির্ভরশীল। এরপর ফার্নিচারগুলো মুছে পরিস্কার করলাম। আর দুপুরে কি রান্না করবো এট নিয়ে খানিকটা টেনশনে পরে গেলাম কারন আগামীকাল ঈদ।খাবার বেশি হলে ঝামেলা।
তাই শুধু ডিম ভুনা করলাম আর ভাবলাম যে আর কিছু করতে হলে পরে করবো। এরই মাঝে বুয়া আসলো। ইদানীং বুয়া আসা আর না আসায় তেমন কোন পার্থক্য নেই। কাজ সব আমরাই করি।কিন্তু কতোদিন এভাবে চলবে সেটাও ভাবি।
বড় ছেলে এসে জিজ্ঞেস করলো কিন্তু ধুতে হবে কিনা্।ওকে বিছানার চাদর ও আরো কিছু কাপড় দিলাম। সেগুলোকে ও মেশিনে দিলো।
আমাদের কোরবানি গ্রামে হয় বলে আমার উপর তেমন একটা চাপ নেই আমি ঢাকায় থাকি আর ছেলেরা আর ওদের বাবা গ্রামে চলে যায়। বিকেলের দিকে বাসায় আসে।আসার সময় রান্না করা মাংস নিয়ে আসে। আর কোরবানি ঈদ বলে ঈদের দিন তেমন কেউ আসে না, আসলে পরের দিন।
গতকাল আমি আমার হাসবেন্ডকে বলেছিলাম যে, চলো ঢাকা দেখে আসি। এটা বলার কারন ছিলো ঈদের সময় লোকজন সব গ্রামে চলে যায় আর ঢাকা ফাকা হয়ে যায়।
কিন্তু গতকাল যাওয়া হয় নাই। আজেকে সে এসে বলতেছে ,যাবে নাকি কোথাও।এটা যখন বলছে তখন ১২টার ওপরে বাজে। ছেলেরাও দেখলাম রাজী তাই কথা হলো যে বিকেলের মাঝে ফেরত আসবো যেখানেই যাই।
দুপুর |
---|
বের হতে হতে পৌনে একটা বেজে গেল। কই যাবো সেটাও জানি না।তাই ৩০০ ফিট এর গেলাম আমরা এরপর বাসায় আসার কথা হলেও আমরা গাজীপুর চলে যাই। যেয়ে এমন জ্যামের মাঝে পরি। অথচ পুরো রাস্তায় কোন জ্যাম ছিলো না কিন্তু গাজীপুর এর মোড়ে কই থেকে এতো জ্যাম আসলো কে জানে।
গুগল ম্যাপ একদম লাল হয়ে আছে। এরপর গুগল ম্যাপ ফলো করে এক গলির ভেতর দিয়ে ঢুকে পরি আমরা। সামান্য রাস্তা বাজে থাকলেও পরের রাস্তা ভালো ছিলো। এরপর দ্রুত মেইন রোডে উঠে পরি। এদিকে অবশ্য কোন জ্যাম ছিলো না।
এরই মাঝে এক গার্মেন্টস এর দিকে চোখ পরে। মানুষ ভিড় করে আছে। এখনো বেতন পায় নাই তাই তারা বেতনের জন্য অপেক্ষা করছে।দেখে খারাপই লাগলো। আগামীকাল ঈদ আর এদের অনেকেই দেশে যাবে।
এরপর শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির মাঝেই আমরা ঢাকার দিকে এগুতে থাকি।ঢাকায় এসে দেখি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয় নাই। এরপর দ্রুত বাসায় চলে আসি।বাসায় এসে খিচুড়ি রান্না করি প্রেশার কুকারে ।
রাত |
---|
সকালে ডিম ভুনা করে গিয়েছিলাম আর ফ্রিজে ভর্তা রাখা ছিলো। সেগুলো দিয়েই খিচুড়ি খেয়ে নেই। সন্ধ্যায় খেয়েছে তাই রাতে আর কেউ খাবে না।কারন এমনতেও আমরা ৮/৯ টার মাঝেই রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি।এরপর সবাইকে চা বানিয়ে দেই।
ওইদিকে ফ্রিজ থেকে দুধ বের করে ভিজিয়ে রাখি। এরপর ডায়েরি গেম লিখতে বসি
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
Your post has been successfully curated by our team via @steemdoctor1 at 35%.
Thank you for your committed efforts, we urge you to do more and keep posting high-quality content for a chance to earn valuable upvotes from our team of curators and why not be selected for an additional upvote later this week in our top selection.
Thank you so much
আপনি হয়ত গাছপালা অনেক ভালোবাসেন এজন্য কোনো গাছই তুলতে ইচ্ছে করে না। তবু টবে আগাছা জন্মালে সেটা সময় মত পরিষ্কার করে ফেলা উচিত। আপনি টবে সবজি চাষ করেন এটা দেখে সত্যি ভালো লাগে। পুইশাক আমার মায়ের খুব প্রিয়। সন্ধ্যার দিকে খেলে এমনিতেই রাতে আর খেতে ইচ্ছা করে না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
গাছের প্রতি আপনার অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে। এজন্য যেকোনো গাছ তুলতে আপনার খারাপ লাগে। বৃষ্টি তো দূরে থাক একটু ঠান্ডা বাতাসও যেন পাচ্ছি না। গরমে প্রায় সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতন অবস্থা। ঈদের সময় আসলে পরিচিত ঢাকা যেন অপরিচিত হয়ে যায়। শিকড়ের টানে মানুষ যার যার গ্রামের বাড়ি চলে যায়। ঢাকা হয়ে যায় ফাঁকা। কিন্তু তবু আপনাদের জ্যামে পড়তে হয়েছিল। যাহোক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঈদের আগের দিনের দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।যা পড়ে আমি আপনার কর্ম ব্যস্ত একটি দিনের কথা জানতে পারলাম।
আপনি সত্যি বলেছেন, ঈদের সময় সবাই শহর থেকে নারীর টানে গ্রামে যায়। আমরা ঢাকা থাকলেও আমাদের রক্তের সম্পর্ক হল গ্রামের বাড়িতে ।সেখানে আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার আনন্দে অন্যরকম থাকে।
ঢাকার শহর ঈদের সময় অনেকটা যানজট মুক্ত থাকে তাই তো এই সময় ঘুরে বেড়াতে অনেক ভালো লাগে । বৃষ্টির দিনে খিচুড়িরতো কোন তুলনাই হয় না।
বর্তমানে ভুয়াদের সবসময় খুশি রাখতে হয় ।তারা কখন কাজে আসবে কি আসবে না সবকিছু নির্ভর করে তাদের উপর। আপনার জন্য রইল শুভকামনা। আপনার ঈদের আনন্দ সুন্দরভাবে কাটুক ।”ঈদ মোবারক”।
ঈদের সময়টাতেই আসলে ঢাকা ভালো করে দেখা যায়। সারা বছর মানুষ, রিকশা, সিএনজি আর জ্যাম এর কারনে ঢাকা যে আসলে কেমন এটা বোঝার তেমন কোন উপায়ই থাকে না।
বৃষ্টিরইতো দেখা নাই তাই বৃষ্টি ছাড়াই খিচুড়ি খেতে হচ্ছে।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
উদ্ভিদের প্রতি এই ভালোবাসা আপনার কোমলমতি মনের বহিঃপ্রকাশ। আসলে যদিও আমিও আমার হাতে কখনো ফুল ছিড়িনাই।কেন জানি কষ্ট লাগে।আসলে গরীব আর অসহায় মানুষেরাই পেটের দায়ে এসব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে থাকে।কিন্তু ঈদের মতো বড় উৎসবেও তারা বেতনের জন্য এভাবে লড়াই করে যায়।এটা আসলেই অনেক কষ্টকর একটা বিষয়। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপিটি পড়ে।ধন্যবাদ।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনি নিজের হাতে ফুল ছিড়েঁন না । এটা আপনার কোমল মনের পরিচয় বহন করে। ঠিকই বলছেন ,ঈদের আগের দিনও যদি বেতনের দাবিতে আন্দোলন করতে হয় তাহলে আর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।