Better Life With Steem | The Diary game 12,june|

in Incredible Indialast year
Black and Orange Aesthetic Halloween Photo Collage.png

Edited by Canva

সকাল

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিচ থেকে একটা চক্কর লাগিয়ে এসে বারান্দায় গেলাম গাছগুলোকে দেখার জন্য। গতকাল গাছে পানি দেয়ার কথা মনে ছিলো না যার কারনে দেখলাম টবের মাটি শুঁকিয়ে রয়েছে । কিছুদিন আগে মিষ্টি কুমড়োর বীজ লাগিয়েছিলাম।সেটা থেকে গাছ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো এতো রোদে গাছগুলো ভালো হয় না।
যা-ই হোক, গাছগুলোকে পানি দিলাম সাথে পাখির খাবার এর পানিও দিলাম।ইদানীং নাস্তা বানানো নিয়ে মাথা কম ঘামাচ্ছি। হাসবেন্ড প্রতিদিন আম খেয়ে ব্যাংকে চলে যায়। আর ছেলেদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ঘুৃম থেকে উঠার কোন ঠিক ঠিকানা নেই যার কারনে নাস্তা নিয়ে চিন্তা ওরা ঘুম থেকে উঠার পরে করি।

Beige Minimalist Mood Photo Collage.png

Edited by Canva

এরপর দুপুরে রান্নার জন্য ফ্রিজ থেকে গরুর মাংস বের করে ভিজিয়ে রাখি।কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। ফ্রিজ পরিস্কার করতে হবে তাই ক'দিন থেকেই পুরোনো সব কিছু খেয়ে ফ্রিজ খালি করতেছি। সাথে সাথে পেয়াজ সবজি, সব কিছু কেটে নিলাম।পেয়াজ বুয়াকে দিয়েই কাটাই কিন্তু সে কিছুদিন থেকে অসুস্থ। দুদিন থেকে আসতেছে কিন্তু তেমন কিছুই করে না।যা নিজে থেকে করে সেটুকুই। আমিও আর বাড়তি কিছু বলি না।
ফ্রিজ খুলে দেখি আদা- রসুন পেস্টও নেই। সেগুলোকেও পরিস্কার করে ছোট ছোট করে কেটে ব্লেন্ড করে ফেলি।এরপর দুপুরের রান্না শেষ করে ফেলি। কিছু কাপড় জমে ছিলো সেগুলো ছেলেকে বলি মেশিনে দিয়ে দিতে।

দুপুর

এরপর দুপুরের খাবার আমরা তিনজন একসাথেই খাই।এরপর স্টিমিটে ঢুকে কিছু কমেন্ট করি। বিকেলের দিকে ছেলেকে বলি ভাইয়ের বাসা থেকে ভাগ্নিকে নিয়ে আসতে। ছেলে পিচ্চিটাকে নিয়ে আসার সময় ওর মামাও আসে সাথে। তাদেরকে নাস্তা বানিয়ে দেই।

ভাগ্নির মামা যাওয়ার সময় ভাগ্নিকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু ওকে নিতে পারে না। পরে আমি তাকে বলি যে, ওকে আমি বাসায় পৌঁছে দিবো।এর কিছুক্ষন পরে আমার দুই ভাগ্নেও নিচ থেকে খেলা শেষ করে আসে। তাদেরকেও নাস্তা বানিয়ে দেই।

Beige Minimalist Mood Photo Collage (1).png

Edited by Canva

রাত

এরপর সবার খাবারের জন্য চাল ধুয়ে দেই। এরই মাঝে ভাই মক্কা থেকে কল দেয়। ভালো সময়ইকল দিয়েছে। ওর ছেলেমেয়েদের সাথেও কথা বলে এ'সময়।ভাগ্নি এখনো নিজের হাতে খেতে পারে না , তাই ওকে খাইয়ে দিতে হয়। কিন্তু ওকে খাওয়ানোটা কঠিন একটা কাজ। তারপরও যতটা পারি খাওয়াই।

IMG_5344.JPG

খাওয়া শেষ করার পরে শুরু হয় যথারীতি যুদ্ধ।ভাগ্নি যাবে না আর ওর ভাইয়েরা ওকে ছাড়া যাবে না। এর পর সে রাজী হয়। রাজী হওয়ার সাথে সাথে সবাই দৌড়। যাতে ওর মন চেন্জ হওয়ার আাগেই বাসা থেকে বের হতে পারে। ওদের যেতে যেতে সাড়ে দশটার বেশি বেজে যায়। ওইদিকে ফাঁকে ফাঁকে আমি ডায়েরি গেম লিখতেছিলাম।সেটাকে শেষ করি।

Post Details

CameraiPhone 14
Photographer@sayeedasultana
LocationDhaka,Bangladesh


Thank You So Much For Reading My Blog

3KyYabPY3g77mhATvBAAUF5zNR1CtqkeWauN9MRyWDCSJJeN9WZVXxTFs1osy6uhZisoaiFyWVDNasfkuL6TCt1ktBsbpzwrjDQjD5Whfk...ZaM9uuYHaeW4UUPGGgs2cmDJiTjepqhtQSaepYYFHTcDDjyKwJFNySU1pqwEMpSESQC3Gn7hqBvLRjSYsY6BdDKRgFVbQR2Yp7VjXiG9Wvs5d8nxs9LuoDTwMx.png

Sort:  
Loading...
 last year 

দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম দেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।

যাই হোক আপনার লেখা পড়তে বরাবরই অনেক ভালো লাগে দুপুরে খাবার খেয়েছেন তিনজন একসাথে বসে এরপর কিছু সময় এস্টিমেট প্ল্যাটফর্মে ঢুকে কমেন্ট করছেন। দিদি আপনি খেতে খেতে কমেন্ট করছেন না খাওয়ার পরে হ 😁। যাইহোক একটু মজা করলাম।

পাকা আম গুলো কেটে রাখার পর অনেক লোভনীয় রাখছে পাশে থাকলে দুই এক পিস খেয়ে আসতাম।

 last year 

আরে নাহ, খাওয়ার পরে কমেন্ট করেছি। খাওয়ার সময় কিভাবে করবো! 😀
আপনি থাকলে আপনাকেও আম খাওয়াতাম।দেশে আসেন তারপর যে ফল থাকে, খাওয়াবো আপনাকে।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। এতো চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।

 last year 

আহ কথাটা শুনেই তো প্রাণ জুড়িয়ে গিয়েছে, ইনশাল্লাহ যদি আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হায়াতে রাখে তাহলে বেড়াতে আসবো ‌। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে রিপ্লে দেওয়ার জন্য।

 last year 

বাসায় কোন পশু পাখি পাললে বা টবে গাছ লাগালে দায়িত্ব বেড়ে যায়। সেগুলো দেখা শোনা করতে হয়। তাদের পেছনে সময় দিতে হয়। তা না হলে টিকিয়ে রাখা যায় না। সকালে উঠে গাছে পানি দিয়েছেন এবং পাখিদের খাবার দিয়েছেন। বাসার বাচ্চাদের উঠতে দেরী হয় বলে সকালে একটু ব্রেকফাস্ট নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হয় না।বিকেলে ভাগ্নিকে এসেছিলো আর যেতে চায় না।অবশেষে রাজী হয় রাতের বেলা যাওয়ার জন্য। আসলে বাচ্চারা যেখানে মজা পায় সেখান থেকে সহজে যেতে চায় না। ধন্যবাদ সুন্দর দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

একদম ঠিক কথা বলেছেন, কোন কিছু থাকলে দায়িত্ব বেড়ে যায় অনেকগুন।ঢাকার বাইরে কয়েকদিনের জন্য কোথাও গেলে টেনশনে থাকতে হয় গাছ নিয়ে যে পানি না পেলেতো গাছগুলো মারা যাবে।
ভাগ্নির বাবা-মা হজ্জে গেছে কারনে ভাগ্নিকে নিয়ে সবাই টেনশনে থাকি যে কোনসময় না জানি কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। বাচচারা কোথাও আনন্দ পেলে যেতে চায় না এটা সত্যি। কিন্তু কাছে রাখতে সাহস পাই না কারম রাতে ঘুম ভেঙে যদি ওর ভাইদের না দেখে কান্না করে।
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।

 last year 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বারান্দায় গিয়ে পানি দিয়েছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আপনার ছেলেদেরকে সকালবেলা নাস্তা বানিয়ে দেওয়ার কোন ঝামেলা নেই।
সামনে কোরবানির ঈদ এজন্য ফ্রিজের অনেক কিছুই ফাঁকা করে পরিষ্কার করতে হবে। আপনার মত আমার মাও গতদিনে ফ্রিজ পরিষ্কার করেছে। আপনার রাতের ব্যস্ত ঢাকা শহরের ছবিটা দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

 last year 

পরীক্ষার আপার নাস্তা বানাতে হয় না এমন না।তবে ঘুম থেকে উঠতে লেট করার কারণে প্রায় দিনই নাস্তা করতে পারেনা। একবার উঠে কিছুক্ষন ঘুরে টুরে ভাতই খায় দুপুর বেলায় একটু আগে ভাগেই।
কোরবানি ঈদের আগে সবাই শহর গ্রামের সব জায়গাতেই মানুষ ফ্রিজ পরিষ্কার করে।
রাতের ঢাকা দেখতে আমার নিজের কাছেও ভালই লাগে।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সব সময়।

 last year 

শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত হাটা প্রয়োজন যা আপনি করে থাকেন। আমরা সাধারণত ডায়াবেটিস বা অন্য কোন সমস্যা না হলে সকালবেলা হাটে না ।কিন্তু প্রতিটা সুস্থ মানুষেরও হাটা উচিত কিছু সময় মুক্ত বাতাসে । সকালবেলার পরিবেশটা থাকে দূষণমুক্ত ।

আপনার ছোট বেলকনিতে সুন্দর কিছু গাছ লাগিয়েছেন এবং সেগুলো প্রতিদিন যত্ন করছেন ।আসলে বাচ্চারা যাকে ভালবাসে তার কাছে বেশি সময় থাকতে পছন্দ করে তাইতো আপনার ভাইয়ের মেয়েটি তার মামার সাথে যেতে চাইনি ।আপনার বাসা থেকে গেছে।

সামনে আপনাদের ঈদ তাই প্রচুর কাজ । এখন থেকে সে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ‌ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

 last year 

আমি মনে করি প্রতিদিন সকালে উঠে উত্তম একটা করেন কারন গাছের পরিচর্যা করা ও পাখির খাবার জল দেওয়া ভালো কাজ। এই গরমে গাছের সঠিক যত্ন নিয়েও অনেক সময় ঠিক থাকে না।

বাড়ির কাজের বুয়ার প্রতি আপনার এই ভালোবাসা দেখে সত্যি ভালো লাগলো। বর্তমানে অনেকেই রয়েছে যারা এই মানুষগুলোকে মানুষ মনে করে না। তার শরীর যেহেতু অসুস্থ তাই তার কাজে সাহায্য করে ভালো করেছেন। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম জানতে পেরে। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.035
BTC 111003.43
ETH 4315.85
SBD 0.84