শিশুরা মিথ্যা বলছে কিনা সতর্ক থাকুন।
প্রায় প্রতিটা শিশুরই মিথ্যা বলা একটা অতি সাধারণ সমস্যা। তারা কল্পনাপ্রবণ হয়ে থাকে এবং চার বা পাঁচ বছর বয়সের আগে শিশুরা সত্য-মিথ্যার পার্থক্যও তেমন একটা বুঝতে পারে না। তাই কল্পনার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা বলতে পারে কিংবা যেকোনো ঘটনাকে একটু বাড়িয়ে বা অতিরঞ্জিত করে বলতে পারে। প্রথম দিকে তারা হয়তো খুব হালকাভাবেই মিথ্যা কথা বলা শুরু করে। কিন্তু বাঁধা না পেলে আস্তে আস্তে এই প্রবণতা বাড়তে থাকে এবং এক সময় এটা অভ্যাসে পরিণত হয়।অনেক গবেষকদের মতানুসারে ,গড়ে চার বছরের শিশুরা প্রতি দুই ঘণ্টায় মিথ্যা বলে এবং ছয় বছরের শিশুরা গড়ে প্রতি ঘণ্টায় মিথ্যা বলে থাকে ।
সাধারণত দেখা যায় যে ,বকুনি খাওয়ার ভয়ে মিথ্যা বলা দিয়েই এই অভ্যাস বাসা বাঁধে তাদের স্বভাবে। কোনও কোনও সময় ছোট বলে মা-বাবা এই স্বভাবকে অবহেলা করে গেলেও পরে তা একটা সময়ে বড়সড় আকার ধারণ করে। অনেক সময় কথায় কথায় মিথ্যা বলার এই স্বভাব শিশুর জীবনেও নানা ক্ষতি করে, ছোট থেকেই এই স্বভাব না থামালে এই অভ্যাস খুব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। অনেক সময় তারা বিভিন্ন রূপকথা বা টিভি দেখে কল্পনাপ্রবণ হয়েও মিথ্যের আশ্রয় নিতে পারে। আবার কখনো তারা বিশেষ উদ্দেশে মিথ্যা কথা বলে থাকে । যেমন, হয়তো সে তার হোমওয়ার্ক করে নাই তাই সেদিন স্কুল না যাওয়ার জন্য পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা বলতেই পারে। মা-বাবা খুব রাগী হলেও তারা মিথ্যা বলে। বাড়ির বড়দের মিথ্যা বলতে দেখলেও শিশুরাও মিথ্যা বলা শিখব। অনেক সময় তারা নিজের দিকে নজর কাড়ার উদ্দেশ্যেও এই কাজটা করে থাকে।
এই স্বভাবের জন্য অনেক বাবা-মা-ই তাদেরকে অনেক বকাবকি করে থাকেন । তবে শাসন বা মারধরে না গিয়েও এই স্বভাব পাল্টে দেয়া সম্ভব।
মিথ্যা কথা বলা যে খারাপ এটা শিশুদেরকে বোঝাতে হবে। সত্যটা যে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ,আর মিথ্যা বললে তাকে কেউ পছন্দ করে না, তার সাথে খেলে না, তাকে কেউ ভালোবাসে না এমন একটা ধারণা শিশুদের মনে গেঁথে দিতে হবে। অর্থাৎ তার সাথে শিশুসুলভ আচরণ করেই তাকে সত্যের সাথে পরিচয় করাতে হবে।
তাদেরকে গল্পের ছলে বিভিন্ন মনীষীদের জীবনী, ঈশপের গল্প, নীতিকথা শেখাতে হবে । বড় মানুষরা কেউ মিথ্যা পছন্দ করে না অথবা মিথ্যা বিষয়টা কারু কাছে খুব একটা গ্রহণীয় না এই ধারণা ছোট থেকেই তাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে ।
তারা কেমন বন্ধুর সঙ্গে মিশছে, সে দিকে সতর্ক থাকুন । তাদের কারও মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তা যেন আপনার শিশুকে প্রভাবিত করতে না পারে, সে বিষয়টির দিকেও নজরে রাখুন।
আর মিথ্যা বললেই শিশুকে কোনো শাস্তি দেবেন না। বরং তাকে সাবধান করে সংশোধন করার চেষ্টা করেন । সেই সাথে এটাও বুঝিয়ে দিন যে , আপনার কথা না শুনলে সে কী কী শাস্তি পেতে পারে।
তবে সবচেয়ে যে জিনিসটা জরুরি সেটা হলো কোনটা মিথ্যা আর কোনটা কল্পনা, তা আগে নিজেদেরকে বুঝতে হবে ।কারণ কোনও কোনও কল্পনা শিশু বয়সের জন্যই নির্ধারিত। সাধারণত বয়সের তা কেটে যাবে । কাজেই ছোটখাটো কল্পনাকে মিথ্যা ভেবে অযথা দুশ্চিন্তা করারও প্রয়োজন নাই । শাসনের বাড়াবাড়ি না করে কথা বলতে হবে শিশুর সঙ্গে। আর কোনও ভাবেই মিথ্যা বন্ধ না হয় তাহলে মনোবিদের পরামর্শ নেয়াটাই সবচেয়ে ভাল।
Today's topic is about why children lie. Over here, I tried to explain how we can help avoid children from lying. I'm writing the whole thing in Bangla as my native language is Bengali, so I would be able to express my opinion better in Bengali than in English.
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
Posted using SteemPro Mobile
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
প্রথমে আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালোই লেগেছে।শিশুরা কোন সময় নিজে নিজে থেকে মিথ্যা কথা শেখে না। আর তাদের বাবা মারাও শেখায় না।তারা শিখে খেলার ছলের ভিতরে ওই সময় আমরা যদি তাদের সঠিকটা না শেখায়, তাহলে তারা মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি শিক্ষানীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
@amekhan(60)
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল আর সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
থ্যাংক ইউ আপু
শিশুরা খেলার ছলে মিথ্যে বলে,প্রিয়জনদের সাথে,বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
এটিকে প্রাথমিক অবস্থায় খেয়াল না দিলে পড়ে
পরিবর্তন করা বেশ কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@sairazerin(56)
আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল আর সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপু আপনিও ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই একদম সত্য কথা। আমার বড় ছেলে মাঝে মাঝে কিছু দুষ্টামি করে। যার জন্য তার খেলার কিছু জিনিস এবং তার পড়াশোনার বই খাতা সে হারিয়ে ফেলে। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করি,, তখন সে মাঝে মাঝেই মিথ্যের আশ্রয় নেয়। যখন আমি সেটা বুঝতে পারি। তখন সে ভয় পেয়ে,, তার দাদুর রুমে লুকিয়ে পড়ে।
আসলে আমরা যদি শিশুদেরকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন না করি। তাহলে কিন্তু তারা ধীরে ধীরে মিথ্যার দিকে নিজেদের জীবন দাবিত করবে। এবং একটা সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জীবনে পথ চলা শুরু করবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। যেটা আমাদের শিশুদের সচেতন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।