Better Life With Steem | The Diary game | 4th December |
সকাল |
---|
জানালার পর্দার ফাঁকা দিয়ে লাল লাল মেঘের ছোপ ছোপ ধরা আকাশ নজরে পরেছিলো।একবার মনে হয়েছিলো বিছানা থেকে উঠে দেখে আসি রুম থেকে বারান্দায় বের হয়ে। কিন্তু আলসেমি লাগার কারনে। কিছুক্ষন পরে উঠে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় যেয়ে দেখি আকাশের সেই সৌন্দর্য আর নেই।
তারপরও মুহুর্মুহু রঙ পাল্টাচ্ছিলো আকাশ। সাথে পাখিদের উড়াউড়ি আর লেকের দিক থেকে ভেসে আসা শব্দ বিশেষ করে হাসির শব্দ, সবকিছু মিলিয়ে অন্য রকম একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।
লেকের পাড় থেকে প্রতিদিনই হাসির শব্দ পাওয়া যায়। ভালো লাগে শুনতে। হাসি আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। শরীর সচেতন মানুগুলো তাই প্রতিদিনই নিয়মিত হাসে এখানে এসে।
সাথে অবশ্য একসাথে যারা এক্সারসাইজ করে তাদের শব্দও পাওয়া যায়। কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে এসব দেখে ও শুনে ভেতরে চলে আসি।কারন আমার পায়ের সমস্যার কারনে খুব একটা বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না।বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি বসে বসে পা তুলে রাখতে রাখতে।এতদিন অবশ্য পা একদম নিচেই নামাতে পারতাম না বলতে গেলে কিন্তু সেটা আগের থেকে ঠিক হয়েছে। এখন দাড়াতেও পারি।
পরে রুমে চলে আসি। নাস্তা বানানোর চিন্তা ছিলো না কারন গতকাল রাতেই ব্রেড এনে রেখেছিলো। আসলে আমাকে রিলিফ দেবার সব রকম চেষ্টাই করচে আমার পরিবার।এজন্য কৃতজ্ঞ আমি ওদের কাছে।
ছেলেরা কেউ ঘুম থেকে না উঠায় ওদের বাবা আমাদের দুজনের জন্য ডিম ভাজি আর চা বানিয়ে নিয়ে আসে। সে এখন ম্যান্ডেটরি লিভে রয়েছে তাই ব্যাংকে যেতে হয় না।যার কারনে আমার সুবিধা হয়েছে। নাস্তা করার সময়ই বুয়া আসে আর সবকিছু ক্লিন করে দিয়ে যায়। আমি এর মাঝে স্টিমিটে ঢুকে লেখা পড়ি অনেকের আর মন্তব্য করি। পরে আমি শুধু লাল শাক ভাজি আর মাছ রান্না করি।গতকাল কেউ-ই বাসায় খায় নাই। যার কারনে গতকালের খাবারও রয়ে গেছে। এর পর দুই ছেলেই নাস্তা করে নেয়।
দুপুর |
---|
দুপুর বেলা আমরা সবাই একসাথে খেয়ে নেই। বড়ছেলের আজকে ডিউটি ছিলো কোচিং সেন্টারে। ও খেয়ে সেখানে চলে যায়। ও ও'লেভেল কমপ্লিট করার পর থেকেই কোচিং সেন্টারে ম্যাথ এক্সাম চললে ওর যদি সময় থাকে তাহলে ইনভিজিলেটর হিসেবে কাজ করে। টিচার ওকে এসিস্ট্যান্ট হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমিই মানা করেছিলাম।খুব ছোট থেকেই ওদের দুই ভাইকেই আমি সাবলম্বী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। যার কারনে অনেক কিছুতেই খুব একটা বাধা দেই নাই কখনোই।
ওর ডিউটি চলবে চার ঘন্টা। ছোট ছেলেরও সামনে এক্সাম যার কারনে সেও পড়া নিয়েই ব্যাস্ত।শুধু আমারই সীমাহীন বিরক্তিকর সময় কাটাতে হচ্ছে বসে বসে।একগাদা দাওয়াত পাচ্ছি।আজকেও ছোট ননদের বাসায় দাওয়াত ছিলো। সব মানা করে দিচ্ছে আমার আর ছোট ছেলের জন্য।
আমার একটা বদভ্যাস হয়ে গেছে সপ্তাহে অন্তত একবার ঢাকার বাইরে না গেলে অস্থির লাগে । বড় ছেলে অবশ্য বলেছে যেদিন অবরোধ না থাকে সেদিন পূর্বাচলের দিকে নিয়ে যাবে । আমার পা নিয়ে আসলে ভয় পাচ্ছে ওরা। অবস্থা আরও খারাপ এর দিকে না যায় এটা ভেবে।
রাত |
---|
সন্ধার পর থেকেই রান্নাঘরে খুটখুট শব্দ পাচ্ছিলাম।ছোটছেলে কিছু একটা করতেছিলো বুঝতে পারছিলাম।পরে দেখি একগাদা নুডুলস রান্না করে নিয়ে আসছে সবার জন্য। এত রান্না করেছে কেন জিজ্ঞেস করায় জানালো যে, তোমাকে আর রাতে কিছু করতে হবে না।
পরে ও আর ওর বাবা মিলে খেয়ে নিলো আর আমাকেও দিয়ে গেল।বাকিটা বড় ছেলের রেখে দিয়েছে। ও কাজ শেষ করে বাসায় আসলে খাবে। খাওয়া শেষ করে আমি আজকের জন্য লেখাটা শেষ করতে বসলাম।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
আপনার প্রতি আপনার ছেলেদের এত ভালোবাসা জেনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক তো এমনই হওয়া উচিত।ওরা আপনাকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। পরিবার যদি এরকম সাপোর্টিভ হয় তাহলে যে কোন অসুখ, বিপদ বা বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আপনার দিনলিপিতে পড়ে আজ খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক প্রার্থনা রইল যাতে আপনি অতিসত্বর সুস্থ হয়ে যান।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনি প্রথম দুটি ছবি মারাত্মক সুন্দর তুলেছেন। আমার জেনে ভালো লাগলো যে আপনি আপনার দুই ছেলেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আপনার পোস্ট করে বুঝতে পারলাম যে আপনার পরিবার আপনার যথেষ্ট খেয়াল রাখছে এই সময়। আপনার পা খুব দ্রুতই ভালো হয়ে যাবে, একদম চিন্তা করবেন না এই নিয়ে। ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা ভবিষ্যতের আপনার জন্য।
আজকে আপনি আপনার পরিবারের কিছু কার্যক্রম আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন যেটা পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ৷ আপনি আপনার ছেলেদের বেশ দেখাশুনা করে থাকেন যেট বুঝতে পারলাম ৷ তারপর রাতের বেলা আপনার ছেলে নুডুলস রান্না করেছে সবার জন্য আপনার সবাই খেয়ে নেন বাকিটা বড় ছেলের জন্য রেখে দিয়েছেন ৷
যাই হোক আপনার সামনের দিন গুলোও বেশ সুন্দর ভাবে কাটুক এই কামনাই করি ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপানার জন্য।
আপনার পোস্ট এর ভিতরের মেঘের ফটো গুলো অসাধারন ভাবে আপনি তুলেছেন আর তা আমাদের সাথে শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।আর আপনার মতো প্রতিটি মায়ের উচিত তার সন্তান কে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সন্তানদের প্রতি বাবা-মাদের এরকমই সাপোর্টিভ হওয়া উচিত। সন্তানদের মতামতকেও প্রাধান্য দেওয়া উচিত বাবা-মাদের। আপনার বিষয়টি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি আপনার সন্তানদের ছোট থেকেই স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলছেন। প্রত্যেকটা পিতা-মাতারই এরকম করা উচিত। তাইলে হয়তো আমাদের দেশের বেকারত্ব একটু হলেও ঘুচবে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপ্নাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমাদের এখানে সকাল থেকে আকাশ মেঘুলা। তাই আপনাদের ওখানের মত সৌন্দর্য দেখা হয় নাই। সারাদিন অনেক ব্যস্তার মধ্যে কাটিয়েছেন। আপনার কষ্ট বুঝতে পেরে আপনার ছোট ছেলে একসাথে বেশি করে নুডলস রান্না করে নেয় যাতে রাতে আপনার কষ্ট করতে না হয়। এ জায়গা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
এত সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার সকালটা অনেক সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছে। বাইরের সুন্দর আকাশ, তার সাথে মানুষের হাসির শব্দ। হাসি যেন মানুষকে প্রফুল্ল রাখতে উজ্জীবিত করে। আপনি সকলের নাস্তা করেছেন এবং দুই ছেলেকে দিয়েছেন। রাতে আপনার ছোট ছেলে সবার জন্য নুডুলস রান্না করেছে।
পুরো দিনটি আপনার অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনার কাটানো দিনের সকল কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
সকালের আকশের দৃশ্যটি অনেক সুন্দর ছিলো। পোস্টটি পড়ে জানতে পেরেছি আপনি এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেননি। আপনার ছেলে দুটি মাশাল্লাহ অনেক ভালো। আপনার প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল। ওদের জন্য দোয়া রইল।
আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হোন এটাই প্রাথর্ণা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সন্তানরা যদি বাবা আমাকে কিছু রান্না করে খাওয়া এর থেকে আনন্দের মনে হয় কিছু হয় না সেটা যাই হোক না কেন আপনার ছেলে আপনাকে নুডুলস রান্না করে খাইয়েছে, এবং আপনি অনেক খুশি হয়েছেন।
প্রতি সপ্তাহে একবার ঢাকার বাহিরে যাওয়ার কারণে আপনার মন চাইছে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য আর আপনার বড় ছেলে আপনাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছে আপনাকে নিয়ে যাবে, প্রতিটা সন্তানের উচিত এমন ভাবে বাবা মায়ের উপরে খেয়াল রাখা।
যাইহোক ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।