কখনো কখনো আনন্দ পাওয়াও কি মানসিক সমস্যার বহির্প্রকাশ হতে পারে?
দিন দুয়েক আগে আমরা এক নদীর ধারে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে প্রচন্ড রকমের জ্যাম ছিলো। হঠাৎ করেই পাশ থেকে একটা ট্রাক এসে দাঁড়ালো এবং কতগুলি বাইকও ঢুকে পরলো।ট্রাকটা আগে গেলো পাশ থেকে বাইকও গেলো। যাওয়ার সময় কানে আসলো পাশের বাইকারদের একজন হাসতে হাসতে কাউকে বলতেছে যে , একটা ঘষা দিয়ে গেলাম।
অবাক হয়ে দেখলাম যে আসলেই আমাদের গাড়িকে ঘষা বললেও ভুল হবে রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে গেলো দিয়ে গেলো। রাস্তা দিয়ে চলার সময় অহরহই ধাক্কা লাগে কিংবা ঘষা লাগে কিন্তু সেগুলি কোনোটাই এররকম ঠান্ডা মাথায় না। বেপরোয়া ভাবে বাইক ও সিএনজিগুলো সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দেয় কিন্তু এগুলি এরকম ভাবে না।
ওই সময় এই বিষয়টা নিয়ে ভাবি নাই কিন্তু বাসায় এসে মনে হলো এমন করার কারণ কি ?
তখন আরো একটা জিনিস মনে হলো যে ,আমাদের গ্রামের বাড়িটা অনেক পুরোনো দিনের বাড়ি। আমাদের বাড়ির গেটে ও জানালার উপর পুরোনো সময়ের রঙিন ও বিভিন্য ধরণের নকশা করা কাঁচ ছিলো।
প্রায়ই দেখতাম ঢিল ছুড়ে কেউ ভেঙে দিয়ে যেত। এভাবে ভাঙতে ভাঙতে এখন বাইরের সেসব কাঁচ বলতে গেলে সবই শেষ। গতকালকের এই বাইকারের সাথে সেই কাঁচ ভাঙা এক বা একাধিক ব্যাক্তির সাথে মিল খুঁজে পেলাম।
পরে আরেকটু গভীরভাবে চিন্তা করে মনে হলো যে , মানুষ বিভিন্যভাবে আনন্দ পায়। সেটা স্বাভাবিকও হতে পারে কিংবা অস্বাভাবিকও হতে পারে। কেউ জিনিসপত্র ভাঙচুর করে আনন্দ পায় ,আবার কেউ বা শিশু নির্যাতন করে , কেউ কেউ ব্যাথা দিয়ে আনন্দ পায় আবার কেউ ব্যাথা পেয়ে আনন্দ পায় কেউ বা অকারণে পশু কিংবা মানুষ হত্যা করেও আনন্দ পায়।
তখন হঠাৎ করেই একটা শব্দ মাথায় আসলো ,আর সেটা হলো 'সোশিওপ্যাথ' । আসলে বেশ কয়েকবছর আগে এই রোগে ভুগছে এমন একজনকে নিয়ে লেখা পড়েছিলাম।বইয়ের নামটা ভুলে গেছি। যে অকারণে মানুষকে কষ্ট দিয়ে বা ক্ষতি করে আনন্দ পায়। সত্যি বলতে আমরা শুধু শারীরিক না মানসিকভাবেও কেউ -ই শতভাগ সুস্থ না। কিছু না কিছু সমস্যা আছেই। তবে সেটা সহনীয় মাত্রায় হওয়ার কারণেই চোখে পরে না।
সাইকোপ্যাথ ও সোশিওপ্যাথ এ আক্রান্ত মানুষগুলি মোটামোটি একই রকম। দুজনই আনন্দ পাওয়ার জন্য যেকোনো অপরাধমূলক কাজ করতে পারে। তবে সাইকোপ্যাথ ও সোশিওপ্যাথের মাঝে পার্থক্য হলো ,সাইকোরা পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে ধরা পরার সব রাস্তা বন্ধ করে অপরাধ করে আর সোশিওপ্যাথরা কোনো কিছু চিন্তা না করে হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আনন্দ পাওয়ার পথ বেছে নেয়।
আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ,অপরাধ করার পরে কোনোদিনই এদের মাঝে কোনো রকমের অনুশোচনা কাজ করে না। মানুষগুলি আমাদের আশেপাশেই রয়েছে। বাহ্যিক ভাবে আলাদা করে চেনার কোনো উপায়ই নেই।
আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজ আমি অনেক গুলো অজানা কথা জানতে পারলাম। আসলে মানুষ যে এভাবে আনন্দিত অনুভব করতে পারে এটি আমার ধারণা ছিলো না। আমি মাঝে মধ্যে দেখেছি বিনা কারণে অনেক মানুষ গাড়িতে ধাক্কা মারে। বা আপনাদের বাড়ির গেট বা জানালার উপরে কেউ ঢিল মেরে ভেঙেছে এমন ঘটনা আমি দেখেছি কিন্তু তারা যে আনন্দ অনুভব করে এটা আমার জানা ছিলো না। আমি এগুলো দেখে মনে করতাম তারা হয়তো বা যে কোন একটা শত্রু তার কারণে এই কাজ করছে।
আমি মনে করি, যারা অন্য মানুষের ক্ষতি করে আনন্দ পায় তাদের মস্তিষ্ক সুস্থ না, কারণ কারো ক্ষতি করে আনন্দ করা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ না, আপনার পোস্ট পড়ে ঐ সমস্ত মানুষের প্রতি আফসোস হচ্ছে যারা অন্যের ক্ষতি করে আনন্দ পায়, আপনি খুব সুন্দর একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন, ধন্যবাদ
আপনার কথার সাথে আমিও একমত যে ,যারা অন্য মানুষের ক্ষতি করে আনন্দ পায় তাদের মস্তিষ্ক সুস্থ না, কারণ কারো ক্ষতি করে আনন্দ করা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ না ।
কিন্তু তারা হয়তো বুঝতেই পারে না যে তারা কাজটা অন্যায় করছে।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আপনি যে বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেগুলো আসলেই সত্যি এবং আপনার পোস্টটি সত্যিই অসাধারণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন আপনার কথার সঙ্গে আমি একমত। আমাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা অন্য মানুষের ক্ষতি করে আনন্দ পায়। কোন দরকার ছাড়াই মানুষের ক্ষতি করে। জানালা দিয়ে মানুষের গ্লাস ভাঙ্গে। আরো অনেক কিছু করে কোন কারণ ছাড়াই।এই মানুষগুলো আসলে সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ না। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর লেখাটি পরে মন্তব্য করার জন্য। ঠিকই বলেছেন যে ,আমাদের চারপাশে কিছু মানুষ আছে যারা অকারনে মানুষের ক্ষতি করে আনন্দ পেয়ে থাকে। এরা আসলে অনেক সময় মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে থাকে।
আমরা মাঝে মাঝে রাস্তাঘাটে এইরকম উশৃঙ্খল কিছু বাইকার দেখতে পাই । যারা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায় এবং মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিখার হয়। এই বেপরোয়া তাদের আনন্দ উল্লাসকে প্রকাশ করে ।এই আনন্দ উল্লাস তাদের মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে থাকে।
দারুন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টগুলো যত পড়ি ততই ভালো লাগে ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।