"শক সিনড্রোম "এর ভয়াবহতা থেকে বাচতে সচেতন হন।
কিন্তু গতকাল বারোটার দিকে হঠাৎ করেই ভাইয়ের ফোন আসে যে, ভাবিকে স্কয়ারের এমারজেন্সিতে নিয়ে গেছে কিন্তু বেড নেই।পরে অনেক কস্টে শ্যামলি স্পেশালাইজড হসপিটাল এ একটা বেড ম্যানেজ করে সেখানে নিয়ে গেছে। কিন্তু শ্বাসকস্ট আর ইউরিনের সাথে ব্লাড যাচ্ছিল সেই সাথে মারাত্মক অস্থিরতা। আজকে সকালে ভাই কল দিয়ে বলতেছে যে ভাবি কিছুটা এবনরমাল আচরণ করছে। ডাক্তার বলেছেন যে এটা শক সিনড্রোম কারনে হচ্ছে।এই শক সিনড্রোম শব্দটা আমর কাছে অনেকটাই নতুন। ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে, ডেঙ্গুর সবচেয়ে জটিল অবস্থা হলো এই শক সিনড্রোম।এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস অথচ আমি নামই শুনি নাই ভেবে খারাপ লাগতেছিল কিছুটা। এই শক সিনড্রোমের জন্য প্ল্যাটিলেট কমে যাওয়া তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না।মূল কারন হলো প্লাজমা লিকেজ।জরে ভাইরাস এর এন্টিজেনের কারনে রুগীর শরীরের ইমিউন সিস্টেমের বিশেষ প্রতিক্রিয়ায় রক্তনালীর ছিদ্র বড় যায়, তখন রক্তনালী থেকে প্লাজমা বের হয়ে আসে।আর একেই প্লাজমা লিকেজ বলা হয়।
pixabay.
এই প্লাজমা লিকেজ এর কারনে রোগীর প্রেশার কমে যায়,নাড়ির গতি কমে যায় ও নাড়ি দূর্বল হয়ে পরে, রোগী অচেতন ও বা অস্থির হয়ে উঠে। তখনকার এই অবস্থাকে বলা হয় শক সিনড্রোম। এরকম হলে রোগীকে আাইসিইউতে নিতে হয় প্রায় সময়ই।এর কারণে অনেক সময় ব্রেইন ইনফেকশন,জটিল স্নায়ুরোগ ও লিভার ফেইলিয়ার হতে পারে।তবে এই সমস্যাগুকে বিরল। এর প্রধান লক্ষনগুলো হলো-
রক্রচাপ হঠাৎ করেই কমে যাওয়া। আবার অনেক সময় নাড়ির স্পন্দন ক্ষীন ও দ্রুত হয়ে যেতে পারে সাথে হাত পা সহ শরীরের অন্যান্য অংশ ঠান্ডা যায়।রোগী সেন্সলেসও হতে পারে আমার ভাবির মতো।প্রস্রাব হওয়ার পরিমান কমে কয়েক ঘন্টার মাঝে নাও হতে পারে। এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
এই শক সিনড্রোম থেকে বাচতে এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে হবে সবার আগে। এই মশা যাতে জন্মাতে ও কামড়াতে না পারে এর জন্য কোথাও পানি জমে আছে কিনা এবিষয়ে সচেতন হতে হবে।বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে।এই মশা সাধারণত সকালে ও সন্ধায় কামড়ায়। তাই যাতে কামড়াতে না পারে এটা খেয়াল রাখতে হবে।মূল কথা সচেতনতার কোন বিকল্প নেই এ থেকে বাঁচতে হলে।আর ডেংঙ্গু যদি হয়েই যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসক এর কাছে নিয়ে যেতে হবে।
/pixabay.
বর্তমান সময়ে চারপাশে শোনা যাচ্ছে,,, ডেঙ্গু জ্বরের পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আত্মীয়-স্বজনরা কল করে বলছে। তাদের ছেলেমেয়েদের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। আমরা যেন সাবধানে থাকি আসলে সাবধানতা অবলম্বন করি। কিন্তু বর্তমান সময়ে মশার উপদ্রব অনেকটাই বেশি।
আপনি আজকে খুব সুন্দর ভাবেই,, আমাদেরকে সতর্ক করেছেন কিভাবে আমরা এই ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি। এবং মশা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এই তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
@rubina203(64)আপু,
আপনি মনোযোগ সহকারে আমার লেখাটা পড়েছেন এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।
রাজধানীর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন এবং অসুস্থদের শেফা দান করুন। আপনার পরিবারে ডেঙ্গু পরিস্থিতি জেনে খারাপ লাগলো খুবই। আমাদের সবাইকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে বড়ো ছোট সবাইকে মশা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।আমি এতোদিন পযন্ত বাচ্চাদের বিষয়ে জানতাম আজ আপনার মাধ্যমে জানলাম বড়োদেরও এতো জটিল পরিস্থিতি হতে পারে
farhanaaysha (59)
আসলেই রাজধানীর ডেংগু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।সাবধানে থাকবেন।সুস্থ থাকুন আর ভালো থাকুন এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বর্তমানে এখন ডেঙ্গু জ্বর চারিদিকে হচ্ছে। এর জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশেপাশে কোথাও বৃষ্টি পানি জমা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। আর অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে তাহলে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ডেঙ্গু জ্বর বিষয়ে আমাদেরকে সচেতন করার জন্য আর খুব সুন্দর ভাবে এই তথ্যগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
famillycooking1 (59)
আপনার আমার লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন এই শুভকামনা রইলো