আমার হাতের আঁকা গ্ৰামের দৃশ্য।
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।কাল আঁকাতে কিছু ভুল ছিল তার জন্য সবার প্রথমে ক্ষমা চাইছি।আজও আমি আঁকতে বসলাম।আজ আমাদের এখানে খুব ঠান্ডা পড়েছে।আজ সব কাজকর্ম সেরে আঁকতে বসলাম।আজ আঁকলাম গ্ৰাম্য দৃশ্য।
আমি কি করে গ্ৰামের দৃশ্য আঁকলাম তা আপনাদের কে বলবো।
আঁকার সরঞ্জাম:-
১)এ ফোর সাইজের আঁকার খাতা।
২)ফোর বি পেনসিল।
৩)রবার।
৪)কাটার।
৫)মোম রং।
৬)ব্লেক বর্ডার পেনসিল।
অঙ্কন প্রণালী:-
১)প্রথমে খাতার চারিদিকে একটা বক্স করলাম।
২)তারপরে খাতার ধারে দুটো দাগ একটু বেঁকিয়ে ওপরে তুলে তার মধ্যে ছোটো করে দুটো ভি করে তার ওপর দিয়ে ছোটো ছোটো ইউ করে গাছের পাতা আর গাছের গুড়ি করলাম।
৩)তারপরে গাছের পাতার ঠিক নীচে একটা বড়ো করে ভি করে তার নীচে একটু বেঁকিয়ে একটা দাগ দিলাম।
৪)তারপরে ভি এর মুখ থেকে একটা সোজা দাগ টেনে তার নীচ দিয়ে একটু বেঁকিয়ে একটা দাগ টেনে তার নীচে লম্বা একটা দাগ টেনে প্রথমের দাগের সাথে জুড়িয়ে দিলাম।
৫)তারপরে ঘরের চালের মাথায় সোজা দাগের নীচে আরেকটা সোজা দাগ টানলাম।
৬)তারপরে ঘরের চালের নীচে সোজা তিনটে দাগ টেনে একটা লম্বা দাগ নীচে টেনে জুড়িয়ে দিলাম।
৭)তারপরে ঘরের ভিতরে প্রথম খোপটায় দুটো দাগ দিয়ে,পরের খোপে একটা বক্স করে তার মাঝে দুটো দুটো করে ছোটো দাগ দিলাম।
৮)প্রথম ঘরের পাশে আরেকটা ঘরের চাল করলাম।
৯)তারপরে ঘরের চালের নীচে একটা লম্বা দাগ টেনে তার নীচে একটা সোজা দাগ দিলাম।
১০)তারপরে মাঝখানে দুটো দাগ টেনে দরজা করলাম।
১১)তারপরে প্রথম ঘরের সামনে তিনটে দাগ টেনে তার ওপর সোজা সোজা করে কতোগুলো দাগ দিলাম।
১২)তারপরে প্রথম ঘরের পাশ একটা সোজা দাগ টেনে তার ওপর গাছের পাশে সোজা দাগ দিলাম।
১৩)তারপরে দুটো ঘরের পিছনে ছোটো ছোটো ইউ করে জঙ্গল করে,জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে দুটো সোজা দাগ টেনে তার ওপরে দুটো কাটা চিহ্ন দিলাম।
১৪)তারপরে জঙ্গলের মাথার ওপর একটা অর্ধেক গোল করে তার ওপর লম্বা লম্বা করে কতোগুলো দাগ দিলাম।
১৫)তারপরে সারা আকাশে হলুদ রং করলাম।
১৬)তারপরে হলুদের ওপর এক ধার দিয়ে কমলা রং করলাম।
১৭)তারপরে সূর্যটা হলুদ রং করে তার ওপর লাল রং হালকা করে দিয়ে লম্বা দাগ গুলো লাল রং করলাম।
১৮)তারপরে গাছের পাতায় একদম ওপরে হলুদ রং টা লম্বা লম্বা করে করলাম।
১৯)তারপরে হলুদের নীচে হালকা সবুজ রং করে তার নীচে ডীপ সবুজ রং করলাম।
২০)তারপরে ডীপ সবুজ রং এর ওপরে নীল রং করলাম।
২১)তারপরে ডীপ সবুজ রং টা দিয়ে আউট লাইনটা করলাম।
২২)তারপরে গাছের গুড়িটা খয়েরি রং করলাম।
২৩)তারপরে খয়েরি রং এর ওপরে কালো রং টা একধার দিয়ে করলাম।
২৪)তারপরে জঙ্গলটা হালকা সবুজ রং করলাম।
২৫)তারপরে হালকা সবুজ রং এর ঠিক নীচে ডীপ সবুজ রং করে,আউটলাইনটা ডীপ সবুজ রং দিয়ে।
২৬)তারপরে ঘরের চালে হলুদ রং দিয়ে তার ওপর কমলা রং করে,ওপরে লাল রং করলাম।
২৭)তারপরে অ্যাস রং টা করলাম।
২৮)তারপরে ঘরের দরজা,জানলা খয়েরি রং করে তার ওপর কালো রং ধার দিয়ে করলাম।
২৯)তারপরে পরের ঘরের চালে হলুদ রং করে তার ওপর কমলা রং করে ওপরে লাল রং করলাম।
৩০)তারপরে অ্যাস রং করে,দরজাটা খয়েরি রং করে তার ওপর কালো রং করলাম।
৩১)তারপরে ঘাসের জায়গাটা হালকা সবুজ রং করে তার ওপর সবুজ রং করলাম।
৩২)তারপরে বেড়াগুলো খয়েরি রং করে তার ওপর কালো রং করলাম।
৩৩)তারপরে ঘরের সামনে ডীপ সবুজ রং করলাম।
৩৪)তারপরে গাছের গুড়ির দু দিকে ডীপ সবুজ রং দিয়ে ঘাস করলাম।
৩৫)তারপরে ঘরগুলো,গাছ গুলো ব্লেক দিয়ে বর্ডার করলাম।
আমার আঁকাটা কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন কিন্তু আপনারা।আজ এখানেই শেষ করলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
শুভ রাএি।
চমৎকার হয়েছে আপনার আঁকা ছবিটি, অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার এতো সুন্দর একটি গ্রামের দৃশ্য আঁকার মাধ্যমে ভাগ করে নেবার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।
@sanchita96সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে আপনার আঁকা গ্রামের দৃশ্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ছোটোবেলায় দেখা মাটির ঘর মনে পরে গেলো, ভারী সুন্দর হয়েছে আজকের আঁকা আপনার ছবিটি।
হ্যাঁ দিদি।এখন আর কোথাও এই গুলো দেখা যায় না।ধন্যবাদ দিদি।
আপনার হাত মনে হচ্ছে অনেক নিখুঁতভাবে আঁকা আঁকি করতে পারে। যাইহোক অনেক সুন্দর ভাবে গ্রামের দৃশ্য উপস্থাপন করেছেন ছবি অংকন এর মাধ্যমে।
অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।
গ্রামের দৃশ্যটি বেশ ভালো এঁকেছেন। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি
@sanchita96 আপনার আঁকা ছবি খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ দিদি