আমার হাতের তৈরি বেগুন দিয়ে আমুদি মাছের ঝাল।
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।এখন এমন একটা আবহাওয়া হয়ে থাকছে যার ফলে প্রত্যেকটা মানুষের ঠান্ডা লেগে শরীর খারাপ করছে।
আজ আমার সকাল থেকেই শরীরটা খুব খারাপ।একটু পর পর বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ছি।কারণ পায়ের চোট খাওয়ার ব্যাথাটা ও খুব হচ্ছে।
আবার ঠান্ডা লেগে জ্বর জ্বর আসছে।আজ আর আঁকতে বসতে পারছিলাম না।তাই আজ আপনাদের সাথে আমার আঁকা ভাগ করতে পারলাম।
তাই ভাবলাম আজ যা করবো তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।আজ রান্না করতে একটুও ভালো লাগছিলো না।কিন্তু তবুও রান্না করতে হবে।
তাই ভাবলাম আজ কোনো মাছ রান্না করেনি।কারণ বাঙালিদের পাতে মাছ থাকলে তারা আর কিছু চায় না।আজ শরীর খারাপের কারণে বাজারে যাওয়া হয়নি।তাই পাড়াতে একটা কাকু মাছ নিয়ে এসেছিলো,সেখান থেকেই আমি আমুদি মাছ নিলাম।
আজ আমি আমুদি মাছ কীভাবে রান্না করেছি তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
উপকরণ:-
১)আমুদি মাছ-২৫০ গ্রাম।
২)বেগুন-২টো।(লম্বা লম্বা করে কাটলাম)
৩)পেঁয়াজ -১টা ছোটো সাইজের। (ঝিড়ি করে কুঁচানো)
৪)আদা বাটা-১চা চামচ।
৫)পেঁয়াজ বাটা-১চা চামচ।
৬)কাঁচালঙ্কা বাটা-১চা চামচ।
৭)হলুদ-১চা চামচ।
৮)নুন-স্বাদ মতো।
৯)চিনি-সামান্য পরিমাণ।
১০)ধনেপাতা-২০ গ্ৰাম।
১১)সরষের তেল-২ চামচ।
পদ্ধতি:-
১)প্রথমে মাছগুলো একটা পাত্রে নিয়ে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
২)তারপর মাছগুলো ভালো করে নুন আর হলুদ মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিলাম।
৩)গ্যাস জ্বালিয়ে কড়াইটা মাঝারি আঁচে বসিয়ে দিলাম।
৪)কড়াই গরম হলে তার মধ্যে সরষের তেল দিয়ে দিয়ে দিলাম।
৫)তেল গরম হলে মাছগুলো এক এক করে হালকা ভাবে ভেজে নিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিলাম।
৬)তারপরে অবশিষ্ট তেলটির মধ্যে আরেকটু তেল দিয়ে বেগুন গুলোর মধ্যে নুন,হলুদ দিয়ে হালকা করে ভেজে একটা পাএে তুলে নিলাম।
৭)ওই তেলের মধ্যে পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ভাজা করলাম।
৮)একটু ভাজা ভাজা হলে ওর মধ্যে বাটা মশলা(পিঁয়াজ, আদা,লঙ্কা)দিয়ে মশলাটা একটু ভাজতে দিলাম।
৯)তারপরে মশলাটা ভাজা ভাজা হলে ওর মধ্যে ভেজে রাখা বেগুন গুলো দিয়ে দিলাম।
১০)এরপর তারমধ্যে নুন, হলুদ ও একটু চিনি দিয়ে সেটা ভালো করে ৫মিনিট কষালাম।
১১)যখন মশলা থেকে তেল বেড়িয়ে আসলো তখন ভাববেন মশলাটা ভালো করে কষে গেছে তারপর তার মধ্যে ২কাপ গরম জল দিয়ে দিলাম।
১২)তারপরে একটা ঢাকণা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলাম।
১৩)কিছুক্ষণ পরে ঢাকণা খুলে মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।
১৪)তারপর ধনে পাতা গুলো ওপর দিয়ে ছড়িয়ে দিলাম।
১৫)কিছুক্ষণ বাদে দেখলাম ঝোল শুকিয়ে গেছে তখন সেটা একটা পাত্রে নামিয়ে নিলাম।
গরম গরম ভাত দিয়ে আমুদি মাছের ঝাল খেতে দারুন লাগে।আপনাদের আমার রান্না কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।আজ এখানেই শেষ করলাম।
শুভ রাত্রি।
কড়া করে ভাজা হোক, পাতায় হোক বা আপনার মত ঝোল, আমোদি মাছ সবরকম ভাবেই খেতে দুর্দান্ত লাগে আমার।
হ্যাঁ দিদি খেতে খুব ভালো লাগে।
পিউ ম্যাডাম পেঁয়াজ কলি, আলু ভাজা, আপনার আমদি মাছ এইবার অপেক্ষায় আছি একটু ডালের।
ব্যাস, খালি ভাত বানিয়ে নিলেই মিটে যাবে! 😆 মজা করলাম বলে কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম, বাঙালি তো তাই এইসব রান্না দেখেলে লোভ সামলাতে পারি না। ভারি সুন্দর হয়েছে আজকের রান্নাটি দেখতে।
বাহ্ বেশ লোভনীয় লাগছে। আমুদীমাছ আমারও খুব ভালো লাগে।