বাজি নাটকের রিভিউ উপস্থাপনা,,

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি বাজি জিনিসটা খুবই খারাপ একটা জিনিস যেটা মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।

Src
তো ঠিক তেমনি একটি নাটকের রিভিউ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

নাটকের নাম:-বাজি (২০২৩)

নাটকের তথ্য	কিছু কথা
পরিচালক:-	আজাদ কালাম
অভিনয়:-	মোশারফ করিম
নাটকে অভিনয় করেছে	ফারজানা আহসান মাহি, মুকুল সিরাজ, সাদিয়া জান্নাত,
চিত্রগ্রহণ	কাউসার, রাজিব খান, জয় আকাশ,
সময়	৪০মিনিট
নাটকের ধরন	fanny, love story, emotional,

নাটকের কাহিনী,

আমি নাটকটা যখন দেখতে শুরু করলাম তখন সর্বপ্রথমে যেটা দেখতে পেলাম সেটা হল আমাদের নাটকের যিনি অভিনয় করেছেন তার নাম মোশারফ করিম, তিনি প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই বাজি ধরে থাকেন এবং তিনি বেশিরভাগ সময়ই খেলাধুলা এবং মানুষের সাথে তর্ক বিতর্ক নিয়ে বাজি ধরে থাকেন, তারপরে নাটকটি দেখতে দেখতে দেখলাম তার বন্ধুর সাথে একটি বাজি ধরে বসলো তার বন্ধু এসে,একটি যা চাইল এবং সে বন্ধু বলল।

যে তুই এটা আমাকে কি দিছিস এটা কি চা না ঠান্ডা পান আমি চেয়েছি তোর কাছে একটু গরম চা কিন্তু তুই আমাকে দিসোস একেবারে ঠান্ডা চা এই বলে মোশারফ করিম বলল যদি আমি ঠান্ডা চা দিয়ে থাকি তাহলে তুই এক চুমুকে যদি পুরো চা শেষ করতে পারিস তাহলে এই চায়ের দোকানটা তোর আমি দিয়ে দেব।

আসলে চা, টা অনেক গরম ছিল তারপরেও, তার বন্ধু বাজি ধরেছে বলে, সে এক চুমুকে সেগুলো খেয়ে নেয় এবং সে দোকানটা পেয়ে যায় এবং মোশারফ করিম তাকে সেই চায়ের দোকান দিয়ে দেয় তারপরে নাটকে অভিনয় করা মোশারফ করিম বাড়িতে চলে যায়।

মোশারফ করিমের একটি প্রেমিকা ছিল ,তার সাথে সে যে ভীষণভাবে গন্ডগোল করে যে তুমি এই বাজির মাধ্যমে তুমি সবকিছু হারিয়ে ফেলেছ তুমি শেষ পর্যন্ত তোমার দোকানটাও বাজিতে হেরে গেছো তুমি আর কি করতে চাও। তখন মোশারফ করিম বলল আমি বাজিতে চায়ের দোকানটি হেরে গেছি আমি আবারও বাজি ধরেই ওই চায়ের দোকান ফিরিয়ে আনব।

তারপরের দিন মোশারফ করিম ,তার সেই চায়ের দোকানে গিয়ে বসে বসে ঘুমাচ্ছে আর স্বপ্ন দেখছে আপনারা অবশ্যই নাটকের ভিতরে সেটা দেখতে পাবেন যে কি স্বপ্ন দেখছে সেটা আমি তুলে ধরলাম না তারপরে মোশারফ করিম তার সেই বন্ধুর সাথে আবারো বাজি ধরি তার বন্ধু আবারো বরাবরের মত এবারও বাজি ধরল।

এবার মোশারফ করিম বাজি ধরল তার প্রেমিকাকে নিয়ে সে একটি লোকের কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে যাচ্ছে, এবং এখানে মোশারফ করিম ও তার বন্ধু বলছে যে ওই লোকটার কি গান শুনতে শুনতে যাচ্ছে সেটি হিন্দি গান শুনছে নাকি বাংলা গান শুনছে এ নিয়ে বাজি ধরল। মোশারফ করিম বলল ও বাংলা গান শুনছে এবং ওর বন্ধু বলল যে না ও হিন্দি গান শুনছে এই নিয়ে তারা দুই বন্ধু বাজি ধরল তার প্রেমিকাকে যে জিতবে সেই বিয়ে করবে।

পরে সেই লোকটির প্রান থেকে হেডফোনটি খুলে নিয়ে দেখে, যে সে লোকটি বাংলা গান শুনছে এখানে মোশারফ করিম জিতে যায়, পরে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য তার বাড়িতে যাই ,এবং সেখানে তারা বাবা মেনে নেয় না।

এবং মোশারফ করিমকে ,ভীষণভাবে ধাওয়া করে ও দৌড়ানি দেয় এবং সেখানে মোশারফ করিম তার প্রেমিকার হাত ধরে ,পরে মেয়ের বাবা এবং তার চাচাতো ভাই পুলিশ ডেকে নিয়ে আসে, এর মধ্যে মোশারফ করিম কে হাতে দড়ি বেঁধে ধরে রাখে এবং পুলিশের সাথে তার চাচতো ভাই বলে,যে এ বিশাল বড় একজন বাজিখর তিনি কয়েক লাখ কোটি কোটি টাকার বাজি খেলে থাকে ।

পরে এর কারণে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে চাই তখন প্রেমিকাটা বলল, যে না সে এত বেশি টাকা দিয়ে বাজি খেলে না সেও অল্প কিছু কিছু পরিমাণে বাজি খেলা করে থাকে আপনি ওনাকে ছেড়ে দেন ওর জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ও আর কোনদিন বাজি খেলবে না, পরে মেয়েটি বলল যে বাবা আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি পরে মোশারফ করিমের সাথে সেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়।

বিয়ের পরের দিন আবারো সেই বন্ধু চায়ের দোকানে গিয়ে মোশারফ করিম বয়সে যেখানে সে ওই চায়ের দোকানটি হেরেছিল এবং যে বন্ধুর কাছে হেরেছিল পরে সেখানে গিয়ে দেখে সেখানে তার বন্ধু বাজি খেলা করছে এবং একজন লোকের সাথে পাঞ্জা যদি কেউ জিততে পারে তাহলে তাকে সে তার দোকান দিয়ে দেবে।

ঘরে মোশারফ করিম মনে করলো যে আমি যদি পাঞ্জা খেলে জিতি তাহলে আমার দোকান আমি আবারও ফিরে পাবো এই বলে আবারও সে বাজি খেলতে শুরু করে দিল এবং সেখানে সে পানজায় হেরে যায় এবং তার বন্ধুর সাথে বাজিতে কথা হচ্ছিল যদি সে হেরে যায় তাহলে তার বউকে তাকে দিয়ে দিতে হবে এখানে মোশারফ করিম রাজি হয়ে যায় পরে হেরে গেলে তার বউকে তার হাতে উঠে যায়।

আসলে এখানে মোশারফ করিম স্বপ্ন দেখছিল যে সে তার বউকে বাজি খেলে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছে করে ঘুম থেকে উঠে দেখে আসলে এটা সবকিছু তার স্বপ্ন ছিল।

কিছুক্ষণ পরে ঠিক তার বন্ধু তার বাড়িতে এসে হাজির হয় এবং তার সাথে সবকিছু খুলে বলল যে বন্ধু সেদিন যে তুমি চাটা বানিয়েছিলে আসলে সে চাকরি প্রচুর পরিমাণে গরম ছিল আমি তোমার সাথে বাজি ধরে আমি এক চুমুকে চা টা খেয়ে ফেলেছিলাম আসলে আমি ভুল করেছিলাম তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও,

আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি আমার গলা থেকে রক্ত বাইর হতে শুরু করে দিয়েছে এই নাও তুমি তোমার দোকানের চাবি আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দাও এ বলে তার বন্ধু চলে গেল।

পরে মোশারফ করিম বুঝতে পারলা আসলে বাজি খেলাটা ভীষণ ধরনের খারাপ একটি খেলা সে তওবা করলো আর কোনদিন সে বাজি খেলা করবে।

এই নিয়ে নাটকটি শেষ হয়ে যায় তো বন্ধুরা আপনারা অবশ্যই নাটকটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন এর ভিতর শিক্ষনীয় কিছু আছে তো আজকের আমার এই নাটকের রিভিউ আপনার কাছে কেমন লেগেছিল তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে যেতে পারেন।