|| Travel Story || Mayapur Iskcon Mandir (part-2) ||

in Incredible India2 months ago (edited)
IMG_20240902_163939.jpg
"মায়াপুর ইসকন মন্দিরে কাটানো কিছু সুন্দর মুহুর্ত"

Hello,

Everyone,

মায়াপুর ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই। আগের পর্বে আমাদের জার্নির গল্প যেখানে শেষ করেছিলাম, ঠিক তার পর থেকেই আজকের লেখা শুরু করছি। আশাকরি এই পর্ব পড়তে আপনাদের আরও বেশি ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি,

বনগাঁ থেকে রানাঘাট পৌঁছাতে প্রায় ৪৫ মিনিট মতন সময় লাগে। যেহেতু ওদিকে খুব বেশি যাওয়া হয় না, তাই ট্রেনে বসে আশেপাশের প্রকৃতি দেখতে দেখতে ও নিজেরা গল্প করতে করতে রাস্তাটা কখন পেরিয়ে গেছে কেউ বুঝতে পারিনি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই রানাঘাটে নেমে পড়লাম, সাথে সাথে দেখতে পেলাম অন্য প্ল্যাটফর্মে কৃষ্ণনগর যাওয়ার ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। তাই ঐ ট্রেনকে লক্ষ্য করে আমরা ছুটে চললাম। কারণ এই ওই ট্রেনটা না পেলে পরবর্তী ট্রেনের জন্য, এখানে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো।

IMG_20240902_124036.jpg
কৃষ্ণনগর সিটি জংশন স্টেশন

যাইহোক শেষমেশ ট্রেনে উঠে পড়লাম। বসায় জায়গাও পেয়ে গেলাম। গল্প করতে করতে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেলাম কৃষ্ণনগর সিটি জংশন স্টেশনে।

IMG-20240901-WA0005.jpg
প্রথমবার কৃষ্ণনগর স্টেশনে আমরা সকলে একসাথে

প্রথমবার আমরা প্রত্যেকে ওই স্টেশনে মেনেছিলাম। আমাদের মধ্যে কারোরই ওইদিকে খুব বেশি যাওয়া হয় না। এর পূর্বে যতবার আমি মায়াপুরে গিয়েছি মূলত গাড়িতেই যাওয়া হয়েছে, ট্রেনে নয়। তাই প্রথমবার এই স্টেশনে নামার স্মৃতিটিকে স্মরণীয় করতে, সকলে মিলে ছবি তুলে নিলাম।

এরপর আমরা সেখানেই ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম। ওখানে প্লাটফর্মেই প্রচুর খাবারের স্টল রয়েছে। আপনারা আপনাদের পছন্দ মতন যেকোনো দোকান থেকে খেতে পারেন। সব জায়গাতেই বেশিরভাগ নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। তবে খুঁজলে আমিষ দোকানও পাওয়া যাবে।

IMG_20240831_074339_122636.jpg
কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে ব্রেকফাস্ট সেরেছিলাম এই নিরামিষ কচুরি ও তরকারি দিয়ে

আমরা যেহেতু মন্দিরে যাবো, তাই সকলে মিলে নিরামিষ কচুরি খেয়ে নিয়েছিলাম। আর সেই কচুরির দোকানের কাকুর থেকে জেনে নিয়েছিলাম,কৃষ্ণনগর থেকে কিভাবে মায়াপুরে সহজেই পৌঁছানো যায়।

IMG_20240902_123820.jpg
"স্বরূপনগর হুলোর ঘাট"

যদিও ইউটিউব দেখে আমরা মোটামুটি সবটাই জেনে এসেছিলাম। তবুও স্থানীয় কারোর কাছ থেকে জেনে নেওয়াটা বেশি ভালো, তাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, তার কথা অনুসারে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম অটোস্ট্যান্ডে। এখান থেকে শুধু অটো নয় টোটোও যায়। তবে অটো অপেক্ষা টোটোতে সময় ও ভাড়া একটু বেশি লাগবে। তাই আমরা অটো ধরে রওনা হলাম ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে, যে ঘাটের নাম ছিল স্বরূপ নগর হুলোর ঘাট।

IMG_20240831_084726_122843.jpg
"নৌকায় উঠার পর তোলা ছবি"
IMG_20240831_084810_122803.jpg
"আকাশের এমন দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায় পুজো একেবারে সামনে"
IMG_20240831_084703_122719.jpg
"নৌকা থেকে চার পাশটা দেখতে অসাধারণ লাগছিল"

হুলোর ঘাট থেকে নৌকা পার হয়ে আমাদের পৌঁছাতে হবে মায়াপুর ঘাট। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে অথবা টোটো তে করে পৌঁছাতে হবে মায়াপুর মন্দির। নৌকা পার হওয়ার জন্য ভাড়া নিয়েছিল জন প্রতি তিন টাকা। ঘাট পার হওয়ার সময় আকাশটা দেখে এতো সুন্দর লাগছিল যে, সেই সৌন্দর্য্য ক্যামেরা বন্দী করতেই হতো।

IMG_20240831_090340_122901.jpg
"শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরের প্রধান গেট"

যাইহোক,ঘাট পার হয়ে মায়াপুর ঘাট পৌঁছে, একটু এগিয়ে টোটো ঠিক করলাম। যেহেতু আমাদের কাছে ব্যাগ ছিল ও বেশ রৌদ্রও ছিলো, তাই গরম লাগছিল বেশ ভালোই। সেই কারণে আমরা টোটো ধরে পৌছে গেলাম মন্দিরের মেন গেটের সামনে, যার নাম-"শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির"

IMG_20240831_172114_123415.jpg
"অপূর্ব দেখতে এই ভজন কুঠিরটি, যেখানে আপনি দিন রাত হরিনাম সংকীর্তন শুনতে পাবেন"

মন্দিরের ঢোকার প্রধান গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই বাঁদিকে প্রথমে যেটা চোখে পড়বে, সেটি হল শ্রীল প্রভুপাদের ভজন কুঠির। যেখানে।ঋঅখন্ড হরিনাম সংকীর্তন হয়। আশেপাশের সমস্ত মন্দির আধুনিকতায় ভরে উঠলেও, এই কুঠিরের সৌন্দর্য্য ছিল সকলের থেকে ভিন্ন।আজও এখানে চোখে পড়ে ঘরের ছাউনি, বাঁশের বেড়া। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সামনে বেশ কয়েক ধরনের ফুল গাছ রোপন করা আছে।

IMG_20240831_090304_122939.jpg
"মন্দিরের অনুষ্ঠানের সময়সূচি"

ভিতরে হরিনাম সংকীর্তন চলছে দিন রাত ২৪ ঘন্টা। আর দু একজন ভক্ত সেই নাম শোনে বারান্দায়। এই ভজন কুঠিরের ঠিক উল্টোদিকেই, প্রসাদ গ্রহণের জন্য টিকিট পাওয়া যায়।তার পাশেই একটি সাইনবোর্ডের মধ্যে মন্দিরের অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময়সূচী লেখা আছে। যেগুলো দেখতে চাইলে সেই নির্দিষ্ট সময় অনুসারে সকলেই পৌঁছে যেতে পারেন মূল মন্দিরে।

IMG_20240901_090138_123528.jpg
" মায়াপুরে আমাদের একদিনের জন্য থাকার ঠিকানা ছিল এই রুমটি"

প্রথমে চেষ্টা করেছিলাম মন্দিরের ভিতরে বিভিন্ন ভবন যেমন গদা, পদ্ম, শ,ঙ্খ চক্র এইসব জায়গাতে থাকার। তবে যেহেতু শনি রবিবার ছুটির দিন, তাই এই দিনগুলোতে সেখানে মানুষের ভীর প্রচুর এবং সকলেই আগের থেকে অনলাইনে ঘর বুক করে ফেলেন। তাই কিছুক্ষণ এদিক ওদিক খোঁজ নেওয়ার পর, আর সময় নষ্ট না করে মন্দিরের একদম উল্টোদিকে সদ্য তৈরি হওয়া একটি হোটেলে, আমরা একটা বড় ঘর ভাড়া করলাম। যেখানে পাঁচজন খুব সহজেই থাকতে পারি।

রুমে ঢুকে, ফ্রেশ হওয়ার আগে আমরা দুপুরবেলায় মন্দিরে খাওয়ার টিকিট কেটে নিলাম। এখানে বিভিন্ন মূল্যের টিকিট পাওয়া যায়। আপনারা পছন্দ মত নিতে পারেন। আমরা সকলেই যেহেতু খিচুড়ি প্রসাদ খাবো ঠিক করেছিলাম, তাই আমরা ৪০ টাকার টিকিট কেটেছিলাম। খাওয়া-দাওয়ার টাইম দুপুর ১২ থেকে শুরু করে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। আপনাকে এর মধ্যেই খাবার খাওয়ার জায়গায় পৌঁছাতে হবে।

IMG_20240831_131315_123040.jpg
"সকলেই তৈরি হয়ে নিয়েছি মায়াপুর দর্শনের জন্য"
IMG_20240831_132524_123141.jpg
"প্রসাদ কক্ষের সামনে থাকা গাছটিতে লাল রঙে ফুলটি দেখতে বেশ ভালো লাগছিল যদিও তা সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়নি"

ইতিমধ্যে অনেকটা সময় অতিক্রান্ত হয়েছিলো। তাই বেশি দেরি না করে আমরা সোজা পৌছে গেলাম আমাদের হোটেলের রুমে। সেখানে সমস্ত লাগেজ বের করে, সকলেই এক এক করে ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নিলাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য। তারপর সকলে মিলে পৌঁছে গেলাম মন্দিরের প্রসাদ দান কক্ষের সামনে।

IMG-20240901-WA0003.jpg
" প্রসাদ গ্রহণ কক্ষে তোলা ছবি"

একসাথে সেখানে কয়েকশত লোক প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন। আমরাও লাইন ধরে ধীরে ধীরে পৌঁছে গেলাম সেই বিশাল রুমে, যেখানে সকলকে একই সাথে প্রসাদ দেওয়া হয়। প্রসাদ দেওয়ার ছবিগুলো তোলা হয়নি ঠিকই, তবে সকলে একসাথে বসে একটা ছবি তুলেছিলাম।

IMG_20240831_135923_123223.jpg
"এটি মন্দিরের পিছনের দিকের অংশ"
IMG_20240831_140134_123324.jpg
"প্রভুপাদ মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি"
IMG_20240831_140719_123253.jpg
"সকলের খুব পছন্দের ছবি এটি, অপরিচিত একটি দিদিকে অনুরোধ করে তোলানো হয়েছিল"

প্রসাদ গ্রহণ শেষে আমরা সকলেই শ্রীপ্রভুপাদ মন্দিরের বাইরে দাড়িয়ে কিছু ছবি তুলেছিলাম।

IMG_20240901_055653_123500.jpg
"বাইরে থেকে তোলা শ্রী প্রভুপাদ মন্দিরের দৃশ্য"
IMG_20240901_055622_123434.jpg
"সন্ধ্যাবেলায় এই দৃশ্য গুলো আরো বেশি সুন্দর হয়"

মন্দিরের ভিতরে দৃশ্যগুলো এতটাই অপূর্ব যা আসলে ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। তবে দুঃখের বিষয় সেই সকল ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা সম্ভব নয়, কারণ মন্দিরের ভিতরে কোনো মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাইরে থেকেও মন্দিরের সৌন্দর্য্য কম নয়, তাই বাইরের থেকে বিভিন্ন মন্দিরের ছবিগুলি তোলাই সম্ভব হয়েছে আমাদের পক্ষে।

IMG_20240831_141022_123342.jpg
"নতুন মন্দির ও প্রভুপাদ মন্দির কে একত্রে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা, সামনে দাঁড়িয়ে আমি ও রাখি"

বেশ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করার পর, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মায়াপুরের আশেপাশের বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখবো। যে সকল জায়গার ছোট ছোট গল্প আপনাদের সাথে আমি পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবো। কারণ এত সমস্ত জায়গা সম্পর্কে লিখতে গেলে, লেখাটা অনেকখানি বড় হয়ে যাবে।

সবশেষে আমি আপনাদের সাথে খরচের একটি তালিকা শেয়ার করছি, যেটা দেখে আপনারা একটু আন্দাজ করতে পারবেন, ঠিক কত টাকা খরচ করলে সহজেই একটা দিন মায়াপুরে কাটিয়ে আসতে পারবেন।

তবে রুম ভাড়া সম্পর্কে বলে রাখি,আমরা পাঁচজন একটা রুমেই ছিলাম। এই কারণে একটা বড় রুম নিতে হয়েছিলো। তবে এর থেকেও অনেক কম মূল্যের ছোট রুম রয়েছে, চাইলে আপনারা সেগুলোও বুক করতে পারেন। আর দুপুরে প্রসাদের কুপনের ক্ষেত্রেও অপশন রয়েছে। আমরা যেটি সিলেক্ট করেছিলাম সেটাই আমি নিচের তালিকায় লিখেছি। আপনারা চাইলে অন্যগুলোও নিতে পারেন।

আমি শুধুমাত্র মায়াপুরে যাওয়ার খরচটা তুলে ধরেছি। এরপর ওখানে ব্যক্তিগতভাবে আপনি যা যা খরচ করতে চাইবেন, সেটা করতে পারেন। আমরা যেহেতু আশেপাশের জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছিলাম, তাই আলাদা বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছিলো। সেটা আমি আর এই তালিকায় যুক্ত করছি না। তবে অবশ্যই লেখার মাধ্যমে জানিয়ে দেবো।

1672344690977_010726.jpg

"আমাদের বাড়ি থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দির পর্যন্ত যাওয়া ও একরাত থাকার খরচের তালিকা"

খরচভারতীয় মূল্যস্টিম প্রাইজ
দত্তপুকুর থেকে কৃষ্ণনগর সিটি জংশন পর্যন্ত জনপ্রতি ট্রেন ভাড়া২৫ টাকা২৪.২৮
ব্রেকফাস্ট (নিরামিষ ৪ পিস কচুরি ও তরকারি)২০ টাকা২২.১
কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে স্বরূপ গঞ্জ হুলোর ঘাট পর্যন্ত জনপ্রতি অটো ভাড়া৩০ টাকা৩৩.৩০
স্বরূপ গঞ্জ হুলোর ঘাট থেকে মায়াপুর ঘাট পর্যন্ত জনপ্রতি নৌকা ভাড়া৩ টাকা৩.৩৩
মায়াপুর ঘাট থেকে মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির গেট পর্যন্ত জনপ্রতি টোটো ভাড়া১০ টাকা১১.৯
দুপুরের ভোগের প্রসাদের কুপন(জনপ্রতি)৪০ টাকা৪৪.৪০
হোটেল রুম ভাড়া (আমরা ৫ জন ছিলাম)১০৫০ টাকা১১৭৫.৩২

1672344690977_010726.jpg

তাই আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী পর্বে বাকি গল্পটা শেয়ার করবো। আজকের পর্ব পড়ে কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের দিনটি আপনাদের খুব ভালো কাটুক এই কামনা রইলো।

পোস্টে ব্যবহৃত কিছু কিছু ছবি বান্ধবীদের ফোন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ক্রপ করার কারণে ছবির তারিখ গুলিও পরিবর্তিত দেখাচ্ছে।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

কোন ঐতিহাসিক জায়গা দেখতে গেলে অনেক ভালো লাগে, আপনার মায়াপুর ইসকন মন্দির ভ্রমণের প্রথম পোস্টটা পড়েছিলাম, সেটা পরেই বুঝতে পেরেছিলাম আপনার এই ভ্রমণটা খুব আনন্দদায়ক হতে যাচ্ছে, বর্তমান সময় আমরা যখন কোথাও ঘুরতে যাই youtube বা গুগলের মাধ্যমে সেই জায়গার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি, এর দ্বারা আমাদের ঘোরাঘুরি করতে অনেকটা সহজ হয়, আপনার ভ্রমণ এবং ভ্রমরের খরচ দেখে খুব ভালো লাগলো, আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার।

 2 months ago 

মায়াপুর ভ্রমণের প্রথম পর্ব যতটা আকর্ষণীয় ছিল দ্বিতীয় পর্ব তার চেয়ে দ্বিগুণ আকর্ষণীয়। ট্রেনে উঠে কৃষ্ণনগর থামলেন সেখানে সবাই একত্রিত হয়ে কৃষ্ণনগর রেল স্টেশন এর স্মৃতি রাখার জন্য সবাই মিলে একটি সেলফি তুলছেন।

যতগুলো সেলফি উঠেছেন সবাইকে কিউটের ডিব্বার মত লাগছে। যাইহোক দিদি একটু মজা করলাম অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সবাই মিলে।

ইনশাল্লাহ যাদি কোন সময় আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তৌফিক দান করে তাহলে ইন্ডিয়া ভ্রমণের ইচ্ছা আছে। দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দ্বিতীয় পর্ব আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।

 2 months ago 

আহ কি সুন্দর দিন,,, আপনার বান্ধবীদের সাথে ঘুরাতে তো আমারও মনে শখ জাগতেছে ঘুরতে যাওয়ার জন্য তবে তা কি করে সম্ভব!! সোয়ামি সংসার রেখে কি আর যাওয়ার উপায় আছে।

খুবই ভালো লাগলো আপনাদের ছবিগুলো দেখে, আপনাদের ছবির সাথে সাথে পরিবেশটাও বেশ সুন্দর ছিল নীল আকাশ পছন্দের মানুষগুলোর সাথে ছবি তোলা এটা অন্যরকম একটা আনন্দ।।।
ধন্যবাদ যাওয়ার অভিজ্ঞতা এবং প্রাইস সম্পর্কে জানতে পেরে।।

 2 months ago 

এত ব্যস্ততার মাঝখান থেকেও বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে যাওয়া সত্যি আনন্দের বিষয়।।

একা একা ঘোরাঘুরি চাইতে সবাই মিলে একত্রিত ঘোরাঘুরির মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ থাকে।। ট্রেনে যাতায়াত করতে বেশ ভালই লাগে এছাড়াও দেখতে পেলাম নৌকাতে ঘোরাঘুরি করেছেন পানির উপর ভাসমান থাকতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।।

 2 months ago 

অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ট্রেনে ঘুরতে আমি সত্যিই অনেক বেশি পছন্দ করি,তবে নৌকা আবার আমার পছন্দের নয়। কারণ আমি সাঁতার জানি না, তাই জলে আমার ভীষণ ভয় করে। তবে যেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে নৌকাতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তাই অগত্যা নৌকাতে উঠতে হয়েছিলো। একথা একদমই ঠিক বন্ধুদের সাথে ঘোরার আনন্দই আলাদা, একটা দিনের জন্য গেলেও সত্যিই অনেক আনন্দ করেছিলাম।

 2 months ago 

যারা সাঁতার জানে না তাদের জন্য বিপদজনক নৌকা ভ্রমণ।। আর আমি ও দেখেছি যারা সাঁতার জানে না তারা পানি দেখলে অনেক বেশি ভয় পায় সব সময় পানি থেকে দূরে থাকা চেষ্টা করে।। মানুষ যেটা পারেনা সেটার প্রতি ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক।।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 68462.20
ETH 2502.02
USDT 1.00
SBD 2.52