"Incredible India monthly contest of March #2| Value of friendship."
"Edited by Canva"
Hello,
Everyone,
আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটিতে চলমান প্রতিযোগিতায়, যার বিষয়বস্তু হিসেবে এই সপ্তাহে অ্যাডমিন ম্যাম বেছে নিয়েছেন "বন্ধুত্ব"কে।
বন্ধুত্ব সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে একটা জায়গাতে বোধহয় আমরা সকলেই একমত যে, জীবনে সব সময় ভালো মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা উচিত। যার কাছ থেকে আমরা জীবন সম্পর্কে অনেক সুন্দর কিছু জানতে পারি। জীবনকে উপভোগ করা শিখতে পারি।
তবে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে যে সব সময় ভালো মানুষের সাথে পরিচয় হবে, এমনটা নয়। অনেক সময় আমরা অনেক খারাপ মানুষের সাথে পরিচিত হই। তবে কোন মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করলে, জীবনে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না, বরং জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবো। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই আমাদের ব্যক্তিগত। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই খুব সচেতন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
"1. According to you, what is the value of friendship?"
আমার কাছে বন্ধুত্ব মানে একটি নিরাপদ আশ্রয়। বন্ধুত্ব আসলে এমন একটা মানুষের সাথে, এমন একটা সম্পর্ক যা হয়তো শব্দ চয়নের মাধ্যমে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে জীবনে চলার পথে, একদম ছোট থেকে শুরু করে, জীবনের প্রতিটি ধাপে আমরা বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হই ঠিকই, তবে প্রতিটা মানুষের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব কখনোই গড়ে ওঠে না।
মুষ্টিমেয় কয়েকজনের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তবে তারা সকলে কখনোই আমাদের প্রাণের বন্ধু হয়ে উঠতে পারে না। কারণ তেমন বন্ধুর সংখ্যা সংখ্যা কিন্তু দু একটাই হয়। আর যার সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাকে আমি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবেই মনে করি।
যেখানে সম্পূর্ণ নিজেকে উজাড় করে দেওয়া যায়। জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই, কোনো বিষয়ে, কোনো লুকোচিরের প্রয়োজন পড়ে না। অনেক আনন্দে তার কাছে যেমন প্রাণ খুলে যেমন হাসা যায়, তেমনি কষ্টে তাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদে নিজেকে হালকা করা যায়। এরকম একটি সম্পর্কই আমার কাছে প্রকৃত বন্ধুত্ব।
" 2. Do you believe we can share various things with friends that we can't share with our blood relation? Justify your answer."
অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি, রক্তের সম্পর্কের মানুষের কাছেও এমন অনেক কিছু শেয়ার করা যায় না, যেগুলো আমরা চাইলেই আমাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে পারি। ব্যক্তিগত জীবনে প্রত্যেকটি রক্তের সম্পর্কের মানুষের সাথে যে আমাদের সম্পূর্ণ মনের মিল হবে এরকমটা কখনোই হয় না।
আর সেই অমিল গুলো নিয়ে যদি কথোপকথন শুরু হয়, তাহলে সেই সম্পর্কে রাগ, অভিমান, বাসা বাঁধে। আর এই অভিমানের কথাগুলো শেয়ার করার মত একমাত্র জায়গা হল বন্ধু। কারণ বন্ধুরা একমাত্র নিরপেক্ষ ভাবে আমাদের কোনটা করা ঠিক হয়েছে, বা কোনটা করা ঠিক হয়নি, সেটা আমাদের সামনে বলবে এবং তার সঠিক কারণটাও আমাদেরকে বোঝাবে।
কিন্তু রক্তের সম্পর্কের মানুষগুলোর কাছে যদি একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাই, অনেকে হয়তো আমার পক্ষে কথা বলবে, আবার অনেকেই অন্য পক্ষের হয়ে। কিন্তু সম্পর্কের মধ্যেকার অভিমান, রাগ গুলো দূর করার চেষ্টা খুব কম মানুষই করবে।
অন্তত ব্যক্তিগত জীবনে আমি বহুবার এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি, যেখানে দুটি ব্যক্তির মধ্যে অশান্তি হলে তৃতীয় পক্ষ বিষয়টিকে বেশ উপভোগ করে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কখনোই সেটা করে না। তারা সব সময় আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোকে সঠিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করে।
" 3. Share about your first close friend and mention whether you are still in touch or not!"
স্কুল কলেজে পড়াকালীন আমার অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। তাদের অনেকের সাথে আজও যোগাযোগ আছে। কিন্তু আমার প্রথম বন্ধুত্ব কিন্তু স্কুল বা কলেজ থেকে শুরু হয়নি। সেটা শুরু হয়েছিল তারও অনেক আগে থেকে, যখন আমি হয়তো বন্ধুত্ব কথার মানে বুঝতাম না।
আমার পোস্টে বহুবার আমি আমার বান্ধবীর কথা উল্লেখ করেছি। আজ আরও একবার তাদের সাথে আপনার পরিচয় করাবো, সে হলো আমার একদম ছোটবেলার বান্ধবী "রাখি"। ওর ডাকনাম ঝুনু। আমার থেকে বয়সে একটু বড়, সেই কারণে আমি ওকে ছোটবেলা থেকেই ঝুনুদি বলে ডাকি এবং আজও কিন্তু সেই ডাকটি অব্যাহত রয়েছে।
আমাদের স্কুল এক হলেও আমাদের কলেজ আলাদা ছিলো। কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বে কোনোদিনও তার প্রভাব পড়েনি। কারণ কলেজে সারাদিন কি করে কাটিয়েছি, কলেজ থেকে ফিরে সেটা নিয়ে আড্ডা দেওয়ার একমাত্র ঠিকানা ছিল আমার এই বান্ধবী।
সুতরাং আমি যে ওর সাথে কলেজে পড়িনি, এই বিষয়টিও কখনো আমি তেমনভাবে অনুভব করিনি। কারন আমার সবেতেই ও ছিলো, এখনো আছে। তবে জানিনা ভবিষ্যতে কি হবে। কারণ ওর বিয়ে কোথায় হবে, ও কোথায় থাকবে, সেটা সম্পূর্ণ অজানা। তাই ভবিষ্যতের কথা আজ নাইবা বললাম।
আমি এটুকুতেই খুশি, এখনও পর্যন্ত আমার বাপের বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র কারণ ও। মা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার বিয়ের আগে পর্যন্ত, প্রতিটা রাত আমি ওর সাথেই শুয়েছি। প্রতিদিন দুপুরের খাবার আমরা এক জায়গায় বসে খেয়েছি, এখনও খাই।
তাই ওর সাথে আমার সম্পর্কটা কিয়দাংশে আমার দিদিদের থেকেও গভীর, এ কথা বললেও ভুল হবে না। কারণ আমার বাপের বাড়ির কিছুটা দূরেই আমার বড়দির শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু আমি আজও পর্যন্ত কখনো বড় দিদিদের বাড়িতে গিয়ে থাকিনি, কারণ ঝুনুর বাড়িটা আমার নিজের বাড়িই মনে হয়। এমন হলো আমাদের বন্ধুত্ব।
" 4. Do you have any memorable incidents with your friend? Share."
আমার বান্ধবীর সাথে আমার এতো স্মৃতি যে, তার মধ্যে থেকে একটি বেছে নেওয়া সত্যিই কষ্টকর। তবুও আমি একটা ছোট্ট গল্প শেয়ার করি, -
আমার থেকে বয়সে ও একটু বড়, তবে ও ক্লাস ফাইবে ঝুনুদি একবার ফেল করেছিলো। তাই সে বছর আমার ভীষণ আনন্দ হয়েছিলো, কারণ আমি সেই বছর প্রাইমারি ছেড়ে ক্লাস ফাইভে উঠেছিলাম। আমার আর ওর একই সেকশন পরেছিলো, সেই বছরের মতন আনন্দিত বোধহয় আমি কোনো বছরই হয়নি।
আমি পাশ করেছি তার থেকে দ্বিগুণ আনন্দ হয়েছিলো, ঝুনুদি ফেল করেছিলো তার জন্য। সত্যি বলতে তখন পাশ ফেল এর গুরুত্ব ততটাও বুঝতাম না, যতটা ওর পাশে বসে সারা বছর ক্লাস করবো এটা ভেবে আনন্দ পেয়েছিলাম।
এইভাবে আমরা দু বছর পড়লাম। কিন্তু ক্লাস সেভেনে ঝুনুদি আবার ফেল করে গেলো, আর আমি পাশ। ওর দাদা রেজাল্ট আনতে গিয়েছিল এবং আমি তখন গেটের সামনে বসে প্রচন্ড কান্না করছিলাম। ঝুনুদির দাদা আমাকে গিয়ে বোঝাচ্ছিল এক বছর ফেল করলে কি হয়েছে, পরের বছর আমি ঠিক পাস করে যাবো। পড়ে ঝুনুদি ওর দাদাকে বলল আমি নয়, ঝুনুদি ফেল করেছে। আমি ওর সাথে আর ক্লাস করতে পারবো না, এই জন্য কান্না করছি।
বিষয়টা নিয়ে ভাবলে আজও আমার হাসি পায়। কিন্তু সেই সময়ে ওই কান্নাটা কিন্তু আসলেই সত্যিকারের খারাপ লাগার কান্না ছিলো। কারণ একসাথে স্কুলে যেতে পারতাম, আসতে পারতাম, এমনকি টিফিনও এক জায়গায় বসে খেতাম, ঠিকই কিন্তু একসাথে আর কখনো ক্লাস করা হয়নি।এই ছিল ছোটবেলার একটি কাহিনী যেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
"Conclusions"
বন্ধুত্ব নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নগুলির সম্পর্কে নিজের মতামত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার জীবনে রাখির সাথে বন্ধুত্বটা, ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলে আমি মনে করি এবং আজীবন তিনি যেন আমার সাথে ওর বন্ধুত্ব অটুট রাখার মতন পরিস্থিতি রাখেন, এই প্রার্থনা করি।
মানুষ হিসেবে রাখি আমার থেকেও অনেক বেশি ভালো। তাই ঈশ্বর যেন ওর ভাগ্যে অনেক ভালো কিছু লেখেন এই কামনা আমি সর্বদাই করে থাকি।
যাইহোক লেখা শেষ করার পূর্বে কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @tahispadron,@mile16 ও @pandora2010 কে আমন্ত্রণ জানাই। আশাকরছি তারা এগিয়ে এসে নিজেদের বন্ধুত্বের গল্প শেয়ার করবেন।ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
Tengo muchas amistades, compañeros de estudio y trabajo, con los cuales mantengo contacto, aún después de tantos años.
Cuando damos valor a una amistad, dura para siempre, como la tuya con tu novia.
Gracias por la invitación.
আপনার লেখাটা পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনিও বন্ধুর সাথে ঘোরাফেরা করতে বেস পছন্দ করেন। বন্ধুদের মাঝে একটা আলাদাই আনন্দ পাওয়া যায়। বন্ধুত্ব নিয়ে আমি কথা শুরু করলে শিল্পী হবে না কারণ বন্ধুত্ব নিয়ে যত বলবো। ইচ্ছা করবে শেষ হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
বন্ধুত্বের মাঝে কোন কিছুর লুকোচুরি করতে হয় না। সবকিছুই বাঁধাহীন একটা সম্পর্ক, যেখানে আমরা নিজেদের মনের মত করে, নিজেদের মনের কথাগুলো শেয়ার করতে পারি। আজকে আপনি আপনার বান্ধবীদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো শেয়ার করেছেন। এগুলো সত্যিই অনেক বেশি স্মৃতি মধুর হয়ে থাকে। ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য, ভালো থাকবেন।
নিজের মনের মতো বন্ধু যদি একজন থাকে তাহলে জীবন অনেক সুন্দর থাকে এবং বন্ধুত্বের মাঝে কখনো রাগ অভিমান থাকে না বন্ধু মানে সুখ দুঃখের পাশে এসে দাঁড়ানো। নিজের মনের আবেগের কথা সবকিছু শেয়ার করা যায় বন্ধুর সাথে। একজন বন্ধু বাবার মতো হতে পারে একজন বন্ধু মায়ের মতো হতে পারে একজন বন্ধু ভাইয়ের মতো হতে পারে। বাবা-মায়ের সাথে আমরা সব কথা শেয়ার না করতে পারলেও বন্ধুদের সাথে আমরা সব কথা শেয়ার করতে পারি। যাই হোক আপনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ দেখে এবং সব প্রশ্নের উত্তর দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।