"আজকে রান্না করা শীতকালীন একটি সবজির রেসিপি"
|
---|
Hello,
Everyone,
এতদিন যারা আমার পোস্ট পড়েছেন তারা কমবেশি নিশ্চয়ই জানেন যে, আমি মাছ খেতে খুব একটা পছন্দ করি না (ইলিশ এবং চিংড়ি ছাড়া)। তবে সবজিতে আমার খুব বেশি বাছাবাছি নেই, মোটামুটি সব ধরনের সবজিই আমি খেয়ে থাকি।
তবে পছন্দ এবং অপছন্দ তো নিশ্চয়ই আছে। কোনো কোনো সবজি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে, আর কোনো কোনো সবজি খুব বেশি ভালো লাগে না, তবে তার মানে এই নয় যে সেগুলো আমি খাই না।
পছন্দের সবজি বলতেই আমার শীতকালের কথা মনে পড়ে, কারণ তখন বাজারে গেলেই চোখ দুটো জুড়িয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের সবজি দেখে। তবে গরমকালে সবজির বিশেষ অপশন থাকে না। ধরতে গেলে সেই পটল, উচ্ছে, আর ঢেঁড়স। এই সবকিছুর মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে হয়।
যদিও বা বর্তমানে বাজারে গেলে শীতকালীন সবজিও চোখে পড়ে। তবে তার দাম যতটা বেশি, স্বাদ কিন্তু ততটাও নয়।একই সবজি শীতকালে কম দামে পাওয়া যায়, অথচ কত সুস্বাদুই না লাগে খেতে।
অনেকে হয়তো ভাবছেন হঠাৎ করে এই সকল কথা কেন বলছি। কারন আজ আমি শীতকালীন একটি সবজির রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। প্রতিদিন এই পটল উচ্ছে, ঢেঁড়স খেতে খেতে বড্ড বেশি বিরক্ত লাগছিলো। তাই আমি শাশুড়ি মাকে বলেছিলাম বাজারে যদি বাঁধাকপি বা ফুলকপি পাওয়া যায়, যেন তিনি নিয়ে আসেন।
কারণ মাঝেমধ্যে মুখের রুচিও পরিবর্তন করা উচিত। আর ফুলকপিটা মোটামুটি বাজারে আমিও কম বেশি দেখেছি। যদিও শীতকালের মতন ততটা সুন্দর নয়, কিন্তু পাওয়া যায়।
আমি বলাতে সেদিন শাশুড়ি মা দুটো ছোট ছোট ফুলকপি নিয়ে এসেছিলেন, যার দাম শুনে খাওয়ার ইচ্ছে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু যেহেতু তিনি আনা হয়েছে তাই খেতেই হলো। তবে হ্যাঁ খাওয়ার পরে ততখানি সুস্বাদু লাগেনি বলে, এতো দাম দিয়ে আর খাবো না ঠিক করেছি।
যাইহোক সেদিন ফুলকপিটা নিরামিষ ভাবেই রান্না করেছিলাম। সেই সময় কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম, তাই ভাবলাম আজ সেই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। চলুন প্রথমে আপনাদের বলি আমি কি কি উপকরণ নিয়েছিলাম -
|
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
১. ফুলকপি | ২ টি ছোটো সাইজের |
২. আলু | ২ মাঝারি সাইজের |
৩. গোটাজিরা | ২ চা চামচ |
৪. কাঁচা লঙ্কা | ৫-৬ টি |
৫. হলুদ | ১½ চা চামচ |
৬. লবন | স্বাদ অনুযায়ী |
৭. ধনেপাতা কুচি | ৩ চা চামচ |
৮. সরষের তেল | হাফ কাপ |
|
---|
নিরামিষ ফুলকপির তরকারি রান্না করা খুবই সহজ এবং আমি একদমই সামান্য উপকরণ দিয়ে রান্না করেছিলাম। তবে খেতে খুব বেশি খারাপ লাগেনি।
|
---|
প্রথমে আমি ফুলকপি এবং আলুগুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে রেখেছিলাম।
|
---|
এরপর কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে, পরিমাণ মতো লবণ এবং হলুদ দিয়ে ফুলকপি গুলোকে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। আপনারা চাইলে সিদ্ধ করে নিতে পারেন, তবে আমি সেদ্ধ না করেই ভেজে নিয়েছিলাম।
|
---|
অন্যদিকে ফুলকপি ভাজা হতে হতে আমি কাঁচা লঙ্কা এবং গোটা জিরে শিল নোড়ায় বেটে নিয়ে, তার মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে রেখেছিলাম।
|
---|
এরপর কড়াইতে বাকি তেল দিয়ে, তার মধ্যে সামান্য গোটা জিড়ে ফোড়ন দিয়ে, তার মধ্যে টুকরো করে কেটে রাখা আলুগুলো দিয়ে প্রথমে খুব ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আগে থেকে বেটে রাখা গোটা জিরে, কাঁচা লঙ্কা ও হলুদ দিয়ে তৈরি করা মিশ্রণটি আলুর মধ্যে দিয়ে, খুব ভালো করে বেশ কিছুক্ষণ কষে নিয়েছিলাম। যাতে মসলার কাঁচা গন্ধ না থাকে।
|
---|
মশলা আর আলু গুলো ভালোভাবে কষে এলে তার মধ্যে ভেজে রাখা ফুলকপির টুকরোগুলো দিয়ে একসাথে আরো কিছুক্ষণ কষে নিতে হবে।
|
---|
এরপর পরিমাণ মতন জল ব্যবহার করতে হবে। আমি সামান্য উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করেছিলাম। আপনারা চাইলে নরমাল জল ব্যবহার করতে পারেন।
|
---|
এরপর বেশ কিছুক্ষণ পর জল ভালোভাবে ফুটে এলে, তার মধ্যে আগে থেকে কুচিয়ে রাখা ধনেপাতা গুলো দিয়ে দিতে হবে এবং গ্যাসটা একদম কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ।
|
---|
এরপর নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করতে পারেন নিরামিষ ফুলকপি আলুর তরকারি। আপনারা চাইলে এর মধ্যে পছন্দের মাছ ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু আমি পছন্দ করি না তাই আমি আমার মত করে রান্না করেছি।
খেতে খুব বেশি মন্দ লাগে নি ঠিকই, তবে শীতকালের মতন স্বাদ খুঁজতে গেলেই মন খারাপ হয়ে যাবে। তাই প্রতিদিন পটল ঢেঁড়সের ভিড়ে যদি একটু ভিন্নতা খুঁজে পেতে চান, তাহলে আপনারাও একদিন এই রেসিপিটি তৈরি করতে পারেন।
সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ দিদি আমি এই লেখা অনেকবার পড়েছি যে আপনি খুব একটা মাছ পছন্দ করেন না। এই তুলনায় আপনি প্রায় প্রত্যেকটা সবজি খেতে পছন্দ করেন।
আজকে আপনি নিরামিষ ফুলকপির রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন খুব সহজেই নিরামিষ ফুলকপি রান্না করা যায় যেটা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ফুলকপির রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
নিরামিষ তরকারি খেতে খুব ভালো লাগে। ফুলকপির কথা শুনে শীতকালের কথা মনে পড়ে গেল। ফুলকপি খেতে খুব ভালোবাসি। আমি ও বাড়িতে এইভাবে ফুল কপির তরকারি রান্না করি। সমস্ত উপকরণ ও ছবি সহ রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গরমের সময় শীতকালীন সবজি রান্না করে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আপনার রান্না কি তো সবজি দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে তবে খেতে কেমন হবে সেটা তো আর আমরা বলতে পারব না। আশা করি খেতে অনেক ভালো হবে। আপনার রান্নার প্রত্যেকটি ধাপ ছিল খুব সুন্দর। রান্নাটি ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন সকলকে। সুন্দর লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি অন্যতম, শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি টা আমার ভীষণ ভালো লাগে। ছোটবেলা বাজার থেকে ফুলকপি কিনে আনলে ধুয়ে কাঁচায় খেতাম মায়ের কাছে শুনেছি।
তরকারি, ভীষণ মজা হয় খেতে তবে নিরামিষ ফুলকপির তরকারি আমি কখনো খাইনি। তবে আপনার এই সহজ রেসিপি টা দেখে অবশ্যই চেষ্টা করব খুবই সুন্দর হয়েছে।।।