Better life with steem// The Diary Game// 24th February,2025
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছে। আমার আজকের দিনটি বেশ সুন্দরভাবে শুরু হলো। কিছুক্ষণ আগে আমি পারণ সম্পন্ন করে, বাড়ির নিত্য পূজো শেষ করলাম।
আসলে খুব সকাল সকাল পুজো দেওয়া হলে মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, গতকালকে আমার সারাদিনের কার্যক্রম। চলুন তাহলে খুব বেশি দেরি না করে শুরু করি, -
|
---|
আপনারা হয়তো অনেকেই বুঝতে পেরেছেন যেহেতু আমি পারণ শেষ করেছি, তাই গতকাল ছিলো আমার একাদশী। গতকালকের একাদশীটি ছিল বিজয়া একাদশী।
প্রত্যেকটা একাদশীর বিশেষ নাম এবং তার পিছনের কিছু গল্প আছে। বিজয় একাদশীটি এমন একটি একাদশী যেটা পালন করলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজয় লাভ করা সম্ভব।
এমনকি স্বয়ং শ্রী রামচন্দ্র এই একাদশীর ব্রত পালন করেছিলেন। যখন বনবাসকালে রাবণ সীতাকে হরণ করেছিলেন, সেই সময় সীতাকে উদ্ধার করার জন্য রামচন্দ্র এই ব্রত করেছিলেন। এর পেছনে আরো বড় গল্প আছে আপনারা চাইলে সেগুলো কিন্তু অনলাইন থেকে জেনে নিতেই পারেন। আমিও প্রতিবার একাদশীর দিন সেই একাদশী সম্পর্কে অনলাইন থেকেই পড়ি।
যাইহোক যেহেতু একাদশী ছিলো, তাই সকাল থেকে উপোস করে পুজো দিয়ে, তারপর আমি ফলাহার করেছিলাম। তবে তার পূর্বে প্রতিদিনের কার্যক্রম শেষ করেছি। সময়মতো ঘুম থেকে উঠে শশুর মশাই ও হাসবেন্ডকে চা দেওয়া থেকে শুরু করে, টিফিন তৈরি করে, ব্রেকফাস্ট তৈরি করেছি এবং সময়মতো শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর, শশুর শাশুড়ি ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়েছেন। ততক্ষণে আমি ফুল তুলে, স্নান সেরে পুজো দিয়েছি।
তারপর আমার গতকালকের সাপ্তাহিক এনগেজমেন্ট রিপোর্ট উপস্থাপনের কাজটা শেষ করে, বাকি সংসারের কাজ সম্পন্ন করেছিলাম। পিকলুর শারীরিক অবস্থার কারণে ওর জন্য আলাদা করে খাবার তৈরি করা থেকে শুরু করে, দিন চার রকমের ওষুধ দেওয়া এই সব কাজ বেশ সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে ওর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমি যথেষ্ট চিন্তিত, তাই ওর প্রতি একটু বেশি যত্নবান থাকতে হচ্ছে গত বেশ কয়েকদিন। আর এই সবকিছুর মাঝখানে আমার শরীরটাও যে একদম ঠিক আছে এরকমটা নয়। যাইহোক দেখতে দেখতে বেলা গড়িয়ে দুপুর হলো।
|
---|
একাদশীর দিন মূলত শাশুড়িমাই শশুর মশাইকে খেতে দেন। তবে গতকাল শাশুড়ি মা একটু বাইরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তাই শ্বশুর মশাই স্নান সেরে এলে ওনাকে আমি লাঞ্চটা দিয়ে দিলাম। তারপর আমি পিকলুকে লাঞ্চ করালাম। পুজোর পর আমি কিছু ফল খেয়েছিলাম, বাকি দুপুরে খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুলাম।
তবে ঘুম না আসায় কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ দেখছিলাম। তারপর যথারীতি বিকেল হতেই আমি পিকলুকে নিয়ে ছাদে গিয়েছিলাম। এখন যেহেতু ততটাও শীত নেই, আবার ভীষণ গরম পড়ে গেছে এমনটাও নয়, এই সময়টা বিকেল বেলায় ছাদে গেলে প্রকৃতিটা দেখতে বেশ ভালই লাগে। তাই জামা কাপড় তোলার পাশাপাশি, বেশ কিছুক্ষণ সময় ছাদে কাটিয়ে তারপর নিচে নেমে এলাম।
|
---|
যথারীতি সন্ধ্যা বেলায় সন্ধ্যা পুজো দিয়ে, আমি বুমিং সংক্রান্ত কাজে বসলাম। কিছুক্ষণ বাদে শুভ অফিস থেকে ফিরলে ওকেও কিছুটা শাক আলু কেটে দিলাম। আসলে একাদশী উপলক্ষে বড় বড় দুটো শাক আলু এনেছিলাম। তবে সেটা আমার একার পক্ষে খাওয়া কোনো মতে সম্ভব ছিল না। আর যেহেতু ফলের মধ্যে এটা খেতে একটু পছন্দ করে, সেই কারণেই ওর জন্য একটু টুকরো করে কেটে রেখেছিলাম।
যাইহোক এরপর আমি ডিসকর্ডের ভয়েতে জয়েন করি, বেশ কয়েকজন ইউজারকে গতকাল ভয়েসে থাকতে বলেছিলাম কাজ সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে কথা বলার জন্য। সকলে উপস্থিত না হলেও যে কয়জন উপস্থিত ছিলো, তাদের সাথে অনেকক্ষণ কথা হল এবং একজন নতুন ভাইয়ের সাথেও গতকাল আমরা পরিচিত হয়েছি। তার যে সকল বিষয়ে জিজ্ঞাসা ছিলো, সেই সকল বিষয়ে তাকে সবটা জানানোর চেষ্টা করেছি।
|
---|
কথা সম্পন্ন করতেই প্রায় রাত সাড়ে নটা বেজে গিয়েছিলো। এরপর কমিউনিটির কাজ বাকি ছিলো, অন্যদিকে আবার রাতের ডিনারে তৈরি করতে হতো। বিশেষ করে পিকলুর জন্য। তাই মিনিট দশেক ফোনে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে আমি চলে গিয়েছিলাম রুটি তৈরীর কাজে। তারপর সকলে খাওয়া-দাওয়া করতে বসলে আমি পিকলুকে খাইয়ে ওষুধ দিয়ে দিলাম।
তারপর যথারীতি বসে পড়লাম কমিউনিটির কাজ নিয়ে। আজকাল কমিউনিটিতে অ্যাক্টিভ ইউজার প্রায় নেই বললেই চলে। যাইহোক সেটা অন্য কথা। তাই যতগুলো পোস্ট ছিল সেগুলো ভেরিফাই করে আমি প্রায় দুটো নাগাদ শুতে গেলাম। এইভাবে আমি আমার গতকালের একাদশীর দিনটি কাটিয়েছিলাম।
|
---|
আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম, বিশেষ করে পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং যত্ন দেখানো সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পিকলুর প্রতি আপনার যত্নশীল মনোভাবও খুবই সুন্দর!
আপনার মত এত ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে, আপনি শুধু নিজের পরিবারই নয়, কমিউনিটিরও উন্নতি ঘটাচ্ছেন। একাদশী পালন এবং তার সাথে প্রতিদিনের কাজের ভারসাম্য বজায় রাখা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার পোস্টে পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আপনাদের একাদশীর দিন সবাই উপোস থাকে এরপরে আবার ফল দিয়ে আপনারা উপবাস শেষ করেন। যেহেতু আজকে আপনার শাশুড়ি বাহিরের কাছে ব্যস্ত ছিলেন তাই দুপুরের খাবারটা আপনি নিজে আপনার শ্বশুর মশাইকে দিয়েছেন। পিকলুবাবু এক কথায় বলা যায় আপনার সন্তানের মত সে আপনাকে যতটা ভালোবাসে একটা সন্তানও কিন্তু তার মাকে ঠিক ততটাই ভালোবাসে ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।