Better life with steem || The Diary Game || 9th March, 2024 ||
"আজ সারাদিনের বেশকিছু মুহুর্ত"
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আজ অনেকদিন বাদে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার সারাদিনের গল্প।
আজকের দিনটি কিভাবে কাটিয়েছি, এই পোস্টের মাধ্যমে সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, চলুন তাহলে শুরু করি, -
"সকালবেলা"
আজ শনিবার, সপ্তাহ শেষের দিনে রোজকার মতনই ফোনের অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলো। উঠি উঠি করেও আরো দশ মিনিট পার করলাম। জানালার নিচের ফাঁকা অংশ দিয়ে রোদ্দুর উঁকি মারছে দেখেই বুঝলাম, আজ বাইরের আবহাওয়া রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে।
"রৌদ্রজ্জ্বল সকাল"
দরজা খুলতেই দেখলাম সত্যিই ঝলমলে রোদ্দুর উঠেছে বাইরে। আমিও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলাম। দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম থাকলেও, সকালে ঘুম থেকে উঠলে একটু ঠান্ডাই লাগে।
নিচে এসে যথারীতি রান্না ঘরে ঢুকবো,এমন সময় দেখলাম শাশুড়ি মা রান্নাঘরে। আমাকে অবাক করে দিয়ে আজ আমার শাশুড়ি মা ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন আমারো আগে।আমি রান্না ঘরে গিয়ে দেখলাম ইতিমধ্যে তিনি চা বসিয়ে দিয়েছেন।
"সকালের চা"
ওনার চায়ের জল ততক্ষণে ফুটে গিয়েছিলো বলে আমি আর ওর মধ্যে জল মেশালাম না। ওনার চা টা নামিয়ে রেখে, আমার আর শুভর জন্য চা বসিয়ে দিলাম। শাশুড়ি মা চা খেতে বসলেন, আমি ততক্ষণে ভাতের চাল ভালো করে ধুয়ে, ভাত বসিয়ে দিয়ে, শুভর আর আমার জন্য চা নিয়ে উপরে গেলাম।
"পিকলু জানালায় বসে প্রকৃতি দেখছে"
শাশুড়ি মা সকাল সকাল উঠে পড়েছেন, তার মানে আজকে রান্নাটা উনি করবেন, এটা আলাদা করে আর বলার প্রয়োজন পড়েনি। তাই আজকে চা টা একটু সময় নিয়ে আরাম করে খেলাম। আমার পিছন পিছনে পিকলুও উপরে গিয়েছিল। ওকে জানালায় তুলে দিলাম। বিস্কুট খেতে সাধলাম কিন্তু আজ ও খেতে চাইলো না।
যাইহোক এরপর চা খাওয়া শেষ করে, আমি নিচে এসে ঘরের কাজগুলো শুরু করলাম। কারণ শাশুড়ি মা ততক্ষণে রান্না করতে শুরু করেছিলেন। রান্নাবান্না শেষ হয়ে যাওয়ার পর শুভকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিলাম। আর অন্যদিকে শ্বশুরমশাই ফ্রেশ হলে শাশুড়ি মা ওনাকে চা দিয়ে দিলেন।
আজকে সকালের রুটিও তিনিও তৈরি করেছিলেন। আমার আজকে সকালে আর রুটি খেতে ইচ্ছে করছিল না। তাই ভেবেছিলাম একটু চাউমিন করে খাবো। কিন্তু শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ডিসকর্ডে কথা বলতে গিয়ে চাউমিন তো দূরের কথা, আজকে সকালের ব্রেকফাস্টই করা হলো না। কথাবার্তা শেষ করে কমিউনিটির কিছু কাজ শেষ করে,আমি পিকলুকে স্নান করাতে নিয়ে গেলাম।
"দুপুরবেলা"
নিজের ঠান্ডা লেগেছে বলে মাঝের কয়েক দিন পিকলুকে স্নান করাই নি। এমনকি ওর নিজের শরীরটা ও খুব বেশি ভালো ছিল না। আর আজকে যেহেতু বাইরে বেশ ভালো রোদ উঠেছিল, তাই আজ ওকে ভালো করে স্নান করিয়ে দিয়েছি। তারপর ওর পশমগুলো ভালো করে মুছে, হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে, তারপর আমি স্নান করতে গিয়েছিলাম।
"আজকের লাঞ্চের মেনু"
ইতিমধ্যে বেশ খিদে পেয়েছিলো, তাই দুটো বিস্কুট আর একটা কলা খেয়ে নিয়েছিলাম। স্নান করে উঠে পূজো দিতে দিতেই আমার খিদে পেয়ে গিয়েছিলো, যেহেতু সকালে ভারী কিছু খাওয়া হয়নি। এরপর শ্বশুর শাশুড়ি স্নান করে এলো এবং আমি ততক্ষণে পিকলুকে খাইয়ে ওষুধ দিয়ে দিলাম। তারপর আমরা তিনজনে মিলে লাঞ্চ করে নিলাম।
"বিকালবেলা"
"বিশ্রাম নিচ্ছেন পিকলুবাবু"
অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে লাঞ্চ একটু আগে শেষ হয়েছিলো। তারপর যথারীতি আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। পিকলু আজ আমার সাথে আমার খাটে শুয়েছে। আসলে গত দুদিন ওকে আমি খাটে তুলে নি। কারণ ওর পশম গুলো একটু নোংরা হয়েছিলো। তবে আজকে সে স্নান করেছে, তাই ও বুঝতে পেরেছে আজকে ওকে আমি নিশ্চয়ই খাটে তুলবো। তাই দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, সে আমার খাটেই শুয়ে পড়লেন।
"সন্ধ্যাবেলা"
সন্ধ্যাবেলায় যথারীতি সন্ধ্যা পুজো দিতে উঠলাম। তখন আমার ননদের বড় ছেলে এলো। আসলে আগামী সোমবার আমার ননদের হাজবেন্ডের অপারেশন হওয়ার কথা আছে। ওনার বুকের ঠিক মাঝ বরাবর একটা সিস্ট হয়েছে, যেটাকে অপারেশন করতে হবে। সেই বিষয়ে কিছুক্ষণ কথা বললাম আমরা।
"সন্ধ্যার টিফিন-পাস্তা"
অন্যদিকে যেহেতু শনিবার তাই শুভ একটু আগেই বাড়িতে এসেছিলো। তবে টিফিনে আজ অন্য কিছু খেতে চাইছিল না, তাই অল্প পরিমাণে জল মুড়ি খেলো। আর আমি ননদের ছেলেকে একটু পাস্তা করে দিলাম।
তারপর কমিউনিটির কাজ শেষ করলাম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে অবগত করার জন্য, কমিউনিটির সকল ইউজারদেরকে আজ সন্ধ্যাবেলায় ডিসকর্ডে ডেকেছিলাম। সকলের সাথে কথা বলা শেষ করে, কমিউনিটির বাকি কাজ গুলো করতে শুরু করলাম।
"রাত্রিবেলা"
এরপর আমি আমার কাজ করার জন্য বসলাম এবং কমিউনিটিতে বেশ কিছু দায়িত্ব আমাকে এই মুহূর্তে পালন করতে হয়, সেগুলোই করছিলাম। দেখতে দেখতে ডিনার করার সময় হয়ে এলো, তাই আবার আমি রুটি করতে গেলাম। রাতে অল্প পরিমাণ ভাত ছিলো। সেই কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি ভাত খেয়ে নেবো।
বাকি শ্বশুর, শাশুড়ি, শুভ ও পিকলুর জন্য রুটি করলাম। গরম গরম রুটি পিকলুকে খাইয়ে দিয়ে, ওকে ওষুধ দিয়ে দিলাম। গত কয়েক মাস যাবত ওষুধ খাওয়াতে খাওয়াতেই আমি ক্লান্ত বলতে পরেছি। তবে আগের থেকে ও যে একটু সুস্থ আছে, এটাই আমার জন্য অনেক।
যাইহোক এরপর যথারীতি নিজেরা ডিনার শেষ করলাম এবং পুনরায় আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। এই ভাবেই আজকের দিনটি পার করলাম। খুব বেশি ব্যস্ততা না থাকলেও মোটামুটি কাজের মধ্যে দিয়েই দিনটি পার করেছি বলা যেতে পারে।
যাইহোক আপনাদের কেমন লাগলো আমার পোস্ট পড়ে, মন্তব্য করে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আপনাদের সকলের আগামী দিনগুলো আরো অনেক ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা রইলো। ভালো থাকবেন।
বাসায় শাশুড়ি থাকলে যে কিছুট উপকার হয় এটা আমি অনেকবারই টের পেয়েছি। আমার শাশুড়িকে দেখতাম রাগারাগি করতো অনেক কিন্তু আমি যদি কোন সমস্যায় পরতাম সবার আগে এগিয়ে যেত সেই।
পিকলু বোধকরি জানালার উপরে বসে থাকতে খুব পছন্দ করে।
কাজের চাপে আপানার সময়মতো খাওয়া হয়নি জেনে খারাপ লাগলো।আসলে মেয়েদের কাজ দেখা যায় না, সারাদিনই কাজ করতো হয় টুকটাক।আপানরতো এর ওপর আবার কমিউনিটির দায়িত্বও পালন করতে হয়।
অবশ্য সবগুলো দায়িত্বই আপনি সঠিকভাবেই পালন করেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।
যাইহোক আজকের সকালবেলা আপনার খুব সুন্দর ভাবেই কেটে গেছে। অনেকদিন পর মনে হয় আরাম করে একটু চা খেতে পেরেছেন। কিন্তু তারপরেও এসে ডিসকর্ড কথা বলতে গিয়ে, আপনার সকাল বেলার নাস্তা করা হয়নি এটা খুবই দুঃখজনক।
অনেকদিন নিজে অসুস্থ এবং পিকলু বাবু অসুস্থ থাকার কারণে, ওকে আর গোসল করানো হয়নি। আজকে গোসল করাতে গিয়ে অবশ্যই আপনি অনেক বেশি হয়রানির শিকার হয়েছেন। সেই সাথে পাস্তা দিয়ে সন্ধ্যের নাস্তা করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিনলিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য। আজ অনেকদিন বাদে সকালে উঠে একটু আরাম করে চা খেতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আমাদের প্রতিদিনকার জীবন এখন রোবটের মতো হয়ে গেছে। শুধু কাজ আর কাজ। যেদিন একটু কম কাজ থাকে সেদিন আবার নানা চিন্তা মাথায় আসে। এইতো জীবন। ভালো থাকবেন দিদি।
সত্যি আপনি যে একজন পরিশ্রমী নারী তা আপনার কাজেই প্রকাশ পায়,
সকালে চা খেয়েছেন ঠিক তবে সকালে নাস্তা করার সুযোগ হয়নি কারণ ডিসকোটে সময় দিতে সকালের নাস্তা করা হলো না,,
আজ দুপুরে খাবার গুলো দেখতে বেশ লবণীয় লাগছিল।। আর হ্যাঁ দেখে মনে হল আপনি পাস্তা টা খুব সুন্দর রান্না করতে পারেন। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটিদিনে কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।।