Better life with steem || The Diary Game || 8th January, 2024 ||

in Incredible India10 months ago
IMG_20240109_005225.jpg

আমার সারাদিনের কার্যক্রমের মুহুর্ত

Hello,

Everyone,

দেখতে দেখতে নতুন বছরের একটা সপ্তাহ ইতিমধ্যেই পার করে ফেলেছি। আজ সপ্তাহ শুরুর দিন অর্থাৎ সোমবার। কর্মব্যস্তময় সপ্তাহের শুরু হল আজ থেকে।

আপনাদের কারোর মনে হয় কিনা জানি না, তবে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায়, ছুটির দিনটা অনেক দ্রুত শেষ হয়ে যায়। যাইহোক সপ্তাহ শুরুর দিনটা ঠিক কতটা কর্ম ব্যস্ততায় কাটালাম, সেই গল্পই শেয়ার করতে আজকের পোস্ট লেখা শুরু করছি, -

1672344690977_010726.jpg

সকালবেলা

আজ ঠান্ডা একটু বেশি পড়েছে কিনা জানিনা, তবে গত দু-তিন দিনের তুলনায় আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার একটু বেশি শীত করছিল। তবুও ফোনের অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর, ফ্রেশ হয়ে একটু গরম জল খেলাম।

গতকাল রাতে পিকলু তেমন একটা ডিস্টার্ব করেনি। শরীরটা আগে থেকে অনেকটাই ভালো আছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন আবার পুনরায় শরীরটা খারাপ না হয়। যাইহোক শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়ি না থাকায় এখন আমরা নিচেই ঘুমাচ্ছি।

IMG_20240109_004500.jpg

সকালের চা

তাই সকালবেলা উঠে দরজা খুলে, গেটের তালা খোলাটাও আমার ডিউটি। সেই সমস্ত কিছু সেরে এসে আমি চা বসালাম। আজকে বেশ ঠান্ডা লাগছিলো, তাই নিজের জন্যেও এক কাপ চা বানিয়েছিলাম।

এরপর শুভর অফিসের জন্য ভাত বসিয়ে দিয়ে, দুজনে মিলে চা খেলাম। পিকলুকে বিস্কুট দিতে চাইলাম কিন্তু ও খেলো না। তারপর শুভ ফ্রেশ হতে গেলো এবং আমিও রান্না ঘরে গিয়ে রান্না শেষ করে নিলাম।

গতকালকের মটন ফ্রিজে রয়ে গেছে। তাই শুধুমাত্র শুভর জন্য এক পিস কাতলা মাছ রান্না করেছি, যেহেতু আমি কাতলা মাছ খাই না। তার সাথে আলু উচ্ছে ভাজা করে, ওকে টিফিন দিয়ে দিলাম। তার সাথে ব্রেকফাস্টের জন্য রুটি করলাম। ব্রেকফাস্ট সেরে শুভ অফিসে চলে গেল।

IMG_20240109_004236.jpg

ব্রেকফাস্ট

এরপর আমি দুটো পাউরুটি সেঁকে নিয়ে, অল্প একটু জ্যাম দিয়ে খেয়ে নিলাম। কারণ রুটি খেতে আমি পছন্দ করি না। ব্রেকফাস্ট শেষ করে, ঘরের কাজ শুরু করলাম। কাজগুলো মোটামুটি গুছিয়ে নিয়ে, আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ কমিউনিটির কাজ করলাম।

1672344690977_010726.jpg

দুপুরবেলা

দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে গেলো। রান্না ঘরের কাজ সেরে পিকলুর সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে, তারপর আমি ঠাকুরের বাসন গুলো মেজে নিয়ে স্নান করতে গেলাম। স্নান করে, পুজো দিয়ে, পিকলুকে লাঞ্চ করিয়ে, আগে ওষুধ দিয়ে দিলাম।

IMG_20240109_004349.jpg

আজকের লাঞ্চ

তারপর নিজের জন্য একটা ডিম ভেজে নিলাম। গতকালকে ফুলকপির তরকারিও ফ্রিজে রাখা ছিলো, তাই আজ আর নিজের জন্য অন্য কিছু রান্না করিনি। ডিম ভাজা আর ফুলকপির তরকারি দিয়েই লাঞ্চ সেরে নিয়েছিলাম।

IMG_20240109_004412.jpg

পিকলু বিশ্রাম নিচ্ছে

লাঞ্চ শেষ করে উঠে আমি আবার পুনরায় কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম এবং কাজগুলো শেষ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। পিকলু তখন খাটের পাশের চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছি।হঠাৎ মনে পড়লো ছাদের ফুল গাছে জল দিতে হবে, তাই সন্ধ্যার আগে ছাদে গিয়ে গাছগুলিতে জল দিয়ে এলাম।

1672344690977_010726.jpg

সন্ধ্যা ও রাত্রি

এরপর সন্ধ্যা পুজো দিয়ে, আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ বাদে পিকলুকে আবার একটা বিস্কুট খেতে দিলাম। শুভ অফিস থেকে আসার সময় রসগোল্লা এবং রসমালাই নিয়ে এসেছিল।

IMG_20240109_004804.jpg

আজকের ডিনার

বাড়িতে এসে ও আমাকে রুটি তৈরি করতে বলল। গতকাল ননদ অল্প পরিমাণে চিলি চিকেন দিয়ে দিয়েছিল, সেটা দিয়েই ও রুটি খেয়ে নিলো। আমিও খেলাম অল্প। ফ্রিজে অল্প ভাত আছে আর ঘরে ম্যাগিও আছে, ওগুলো দিয়েই ডিনার করে নেবো। এটা ভেবেই রাতে আর অন্য কিছু রান্না করি নি।

পিকলুকে একটা গোটা রসগোল্লা খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই রাতে পিকলুকে খাওয়ানো নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই। শুধুমাত্র ওষুধ খাইয়ে দিলেই হবে। দুজনের খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর শুভ ওর মতন সময় কাটাতে লাগল এবং আমি টিভি চালিয়ে দিয়ে কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম।

কাজগুলো করতে করতে আমার খুব প্রিয় একটি বাংলা সিনেমা হচ্ছিলো, যার নাম আলো। এই ছবিটির বিষয়ে আমি আগেও আপনাদের সাথে একবার রিভিউ শেয়ার করেছিলাম। সেই সিনেমাটা হচ্ছিলো, তাই বেশ ভালো লাগছিল সিনেমাটা দেখতে।

IMG_20240109_005441.jpg

গুড়ের রসগোল্লা

এরপর আমি উঠে পিকলুকে ওষুধ খাইয়ে দিলাম এবং শুভ বলল রাতে আর কিছু খাবে না। তাই দুজনে শুধু গুড়ের রসগোল্লা খেয়ে নিলাম।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, সবকিছু গুছিয়ে রেখে, কয়েকটি পোস্ট ভেরিফাই করে, এখন আমি পোস্ট লিখতে বসেছি। পোস্ট করা হয়ে গেলে তারপর শুয়ে পড়বো। আজ সারাদিন বেশ ঠান্ডা লেগেছে আমার এবং এখনো ভালোই ঠান্ডা লাগছে, বোধহয় আগামীকালও বেশ ঠান্ডা পড়বে।

1672344690977_010726.jpg

যাইহোক আমার দিনটা তো এই ভাবেই কাটলো। আপনাদের দিনটা কিভাবে কাটল অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। প্রার্থনা করি আপনারা প্রত্যেকে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সকলের আগামী প্রত্যেকটা দিন অনেক ভালো কাটুক। শুভ রাত্রি।

Sort:  
Loading...

TEAM 1

Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.
Curated by : @shiftitamanna



 10 months ago 

Thank you for your support 🙏

 10 months ago 

সকালে থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে গরম জল খেলেন।তারপর পাউরুটি দিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করলেন এবং কমিউনিটির কিছু কাজ করলেন। দুপুরে ডিম ভেজে নিলেন এবং ফুলকপির তরকারি দিয়ে দুপুরের লাঞ্চ শেষ করলেন।। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন নিজের পরিবারের সাথে।

 10 months ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং নিজের মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আপনিও ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

ঠিকই বলেছেন দিদি, কিছুদিন হলো বেশ ঠান্ডা পেরেছে,সকালে তেমন রোদও উঠে না দুপুর ছাড়া।
আপনার সকালে রুটি খেতে ভালো লাগে না,তাই জ্যাম পাউরুটি খেয়েছেন।
আপনার পোস্ট পড়ে একটা জিনিস অনেক ভালো লাগলো তা হলো, আপনি আগের দিনের থাকা খাবার গুলো নষ্ট না করে সেগুলো দিয়েই লান্ঞ্চ এবং ডিনার করেছেন।
আর জেনে অনেক অনেক ভালো লাগলো যে, পিকলু আগের থেকে অনেক সুস্থ হয়েছে।

 10 months ago 

আমি খাবার নষ্ট করার ঘোর বিরোধী। কারণ অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা এই খাবারের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করেন। তবে আমরা সহজে পেয়ে যাই বলে,অতিরিক্ত খাবার নষ্ট করার পক্ষপাতী আমি নই। রুটি আমার বড্ড অপছন্দের। তার থেকে অনেক ভালো জ্যাম পাউরুটি। এই কারণে মাঝেমধ্যে সেটা দিয়েই ব্রেকফাস্ট করি। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি গরম পানি খেয়ে নেন এটি আপনার খুব ভালো একটি অভ্যাস। যেহেতু শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে ছিল না আর অনেক খাবার ফ্রিজে রয়ে গিয়েছিল তাই আজকে সারা দিনে আপনি রান্নার কোন ঝামেলাতে গেলেন না। এদিকে আপনার পিকলুর শরীরও এখন বেশ ভালো। তবে একটা গোটা মিষ্টি খেয়ে ফেললো জেনে খুব মজা
পেলাম। শীত আমাদের এখানে এখন একটু বেড়েছে। খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।

 10 months ago 

সত্যি কথা বলতে সকাল বেলায় জল এত ঠান্ডা থাকে যে আমি কিছুতেই খেতে পারি না। এই কারণে অল্প একটু গরম জল মিলিয়ে খেলে জলটা খেতে পারি। হ্যাঁ প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে জল খাওয়াটা আমার অভ্যাস, তবে গরম জল খাই শুধুমাত্র ঠাণ্ডার কারণে। পিকলু রসগোল্লা খেতে খুব পছন্দ করে এবং ওর ডাক্তার ওকে মাসে দুটো রসগোল্লা দিতে বলেছেন। এই কারণে প্রথম গুড়ের রসগোল্লা আনার পর, ওকে একটা গোটা রসগোল্লা দিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

আমি এদিকে গরম গরম রুটি খেতে পারছি না আর আপনি রুটি খাওয়া পছন্দ করেন না। আমি বাধ্য হয়ে প্রায় রোজই পাউরুটি খাই আর আপনি নিজের ইচ্ছায় রোজ পাউরুটি খান, কখনো জ্যাম দিয়ে আবার কখনো চায়ে ভিজিয়ে। শুভদার মুড বেশ ভালো ছিল মনে হচ্ছে তাই অফিস থেকে ফেরার সময় রসগোল্লা এবং রসমালাই নিয়ে এসেছে।

 10 months ago 

সবাই বলে বটে আমি রুটি অনেক ভালো তৈরি করি কিন্তু রুটি খাওয়ার আমি একদমই ভক্ত নই, ওর থেকে পাউরুটি ঢের ভালো। এটা মনে হয় সব ক্ষেত্রেই হয়,যে যেটা পছন্দ করে সে সেটা পায় না। হাহাহা....বেশ ভালো বলেছেন, মাঝে মধ্যে শুভদার মুড ভালো থাকলে এটা ওটা নিয়ে আসে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

কাতল মাছের মত এত সুস্বাদু একটা মাছ কিভাবে যে না খেয়ে থাকতে পারেন আমার জানা নেই। সকালের রুটি জেলি/সস শটকাট নাস্তা আমার কাছে মনে হয়। আমাকেও মাঝে মাঝে খেতে হয়।

আপনার পিকলু কিন্তু খুব কিউট। দেখলেই কোলে নিতে মন চাইবে যে কারোর।

গুড়ের রসগোল্লা খাওয়া তো দূরে নাম ই শুনলাম প্রথম। তবে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হবে।

আপনার আগামীর দিন গুলিও ভালো কাটুক এই কামনা করি।

 10 months ago 

অন্য কোনো কারণে কলকাতায় আসুন বা না আসুন, কলকাতার রসগোল্লা খেতে অবশ্যই আসবেন। রুই,কাতলা কোনো মাছ আমি পছন্দ করি না। মাছের মধ্যে আমি শুধু ইলিশ আর চিংড়ি মাছ খাই। পিকলু আসলেই অনেক কিউট, আর আপনি যদি ওকে কোলে নেন, তাহলে তো ও আপনার গায়ের সাথে এলিয়ে শুয়ে থাকবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

মাঝে মাঝে এটা আমারও হয়। ঘুম থেকে উঠেই মনটা কেমন যেন হয়ে যায়। কোন লোকজনকেও খুব একটা ভালো লাগে না।কিন্তু মন যেমনই হোক না দায়িত্ব থেকে ছাড়া পাওয়া যায় না।হাসিমুখে পালন করতেই হয়।
আজকে সকালে ঘুম থেকে কিছুটা লেট করে উঠার পরও দাদাকে এতগুলো আইটেম দ্রুত রান্না করে টিফিনে দিয়ে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
আগে আমি যখন খাবার দিতাম তখন হাফ করে রাখতাম আগেরদিনই যাতে দ্রুত হয়ে যায়। হয়তোবা মাছটা ভেজে রাখতাম কিংবা সবজি কেটে রাখতাম আবার কখনো কখনো হালকা ভাপ দিয়ে রাখতাম দ্রুত করার জন্য।
কারন তখন আমাকে ৮টার আগেই সকালের নাস্তা, বাচচাদের টিফিন,ওদের বাবার খাবার, স্কুল সব করতে হতো। এখন মাঝে মাঝে কিভাবে করছি।
আপনার দিনলিপি পড়তে পড়তে আমার নিজের পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেল।
সুস্থ থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আমার মনে হয় এমন অনুভূতি আমাদের সকলেরই কখনো না কখনো হয়। আজ থেকে কয়েক বছর বাদে আপনার মতো আমিও ভাববো কি করে করেছি এই সব কাজ। তবে রাতে কিছুটা কাজ এগিয়ে রাখলে মন্দ হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

আপনার মত আমিও রুটি খেতে তেমন একটা পছন্দ করি না। যদি কখনো রুটির সাথে আলু ভাজা তৈরি করি। তখন খেতে একটু ভালো লাগে। তবে অন্যান্য খাবার অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি।

নিজের সংসারের সাথে কমিউনিটির দায়িত্বগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে পালন করে যাচ্ছেন। পিকলু বাবু বসে বসে ঘুমাচ্ছে। তার সাথে দেখতে পেলাম গুড় দিয়ে তৈরি করা মিষ্টি। আসলে আমাদের এখানে এই ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ চিনি দিয়ে তৈরি করা মিষ্টি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 75924.44
ETH 2901.21
USDT 1.00
SBD 2.67