Better life with steem || The Diary Game || 7th August, 2024 ||
|
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি প্রত্যেকে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের আজকের দিনটাও ভালো কেটেছে।
আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিনের দিনযাপনের একটি নির্দিষ্ট রুটিন রয়েছে। সকলেই নিজের নিজের মতন করে সেই ভাবে প্রতিটি দিন পার করে থাকি। তবে কখনো কখনো কাজের পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো তার মধ্যে ভিন্নতা লক্ষিত হয়। অন্য সকলের মতন আমারও প্রতিদিনের একটা নির্দিষ্ট রুটিন থাকে এবং কমবেশি সেই রুটিন অনুযায়ীই আমারও সপ্তাহের প্রতিটি দিন অতিবাহিত হয়।
তবে গত ৩-৪ দিন যাবৎ শশুর মশাইকে নিয়ে অনেকটা বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কাটাচ্ছি। কারণ ইদানিং ওনার প্রতিদিনই সুগার ফল করছে। সত্যি কথা বলতে, ওনার সুগারের লেভেল এত বেশি উঠোনামা করছে যে, বিষয়টা নিয়ে সকলেই বেশ চিন্তিত।
তার ওপর সারা দিন রাত কখনোই ওনার ঘুম হচ্ছে না, এটা আবার একটা অতিরিক্ত চিন্তা যোগ হয়েছে। যাইহোক আজকের দিনটি কিভাবে কাটিয়েছি, সে কথাই পোস্টের মাধ্যমে আজ শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -
"সকালবেলা"
|
---|
আজকাল প্রতিদিনই মাঝরাতে হোক বা ভোররাতে, ঘুম থেকে উঠতেই হয়। শ্বশুর মশাইয়ের একদমই ঘুম হয় না, তাই ওনার শরীর খারাপ লাগলেই আমাকে ফোন করে এবং সেই মুহূর্তে আমাকেও নিচে নেমে আসতে হয়, ওনার সুগার চেক করার জন্য।
গতকাল রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার চেক করে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম হয়তো আবার ভোর রাত্রে উঠতে হবে। কিন্তু সকালে ফোনের অ্যালার্মে ঘুম ভাঙা মাত্রই ফোনটা হাতে নিয়ে চেক করলাম, কোনো ভাবে ওনার কল মিস করে গেছি কিনা। কিন্তু দেখলাম কোনো কল আসেনি, তাই একটু তাড়াহুড়ো করেই নিচে নেমে এলাম।
|
---|
দেখলাম তিনি ব্রাশ করছেন। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম ভোর রাত্রের দিকে কখন ঘুমিয়েছে উনি বুঝতে পারেননি। সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠেছেন শুনে একটু শান্তি পেলাম। তিন চার দিন বাদে হয়তো সকালের দিকে একটু ঘুমিয়েছেন। যাই হোক এরপর ওনাকে চা করে দিলাম, সাথে শুভর চা ও উপরে দিয়ে এসে, সকালের রান্নার কাজ শেষ করলাম।
ব্রেকফাস্ট সেরে শুভ সময় মত অফিসে বেরিয়ে গেলে, গতকালের ধুয়ে রাখা বেশ কিছু জামা কাপড় ঘরে মেলা ছিলো, বৃষ্টির কারণে যেগুলো ভালোভাবে শুকায়নি, সেগুলোই ছাদে মেলে দিয়ে এলাম। তারপরশশুর মশাইকে ইনসুলিন দেওয়ার আগে, আরও একবার সুগার চেক করলাম। তারপর ইনসুলিন দিয়ে দিলাম।
|
---|
শাশুড়ি মা আজকে সাপ্তাহিক বাজার করতে গিয়েছিলেন, তাই উনি ফেরার পর ওনাকে চা করে দিলাম। উনি রুটি দিয়ে চা খেলেন। ফ্রিজে পাউরুটি রাখা ছিলো, আমিও ওনার সাথে চা এবং পাউরুটি দিয়ে নিজের ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম।
এরপর আমি কমিউনিটির কিছু কাজ নিয়ে বসলাম। আজ সকালে প্রয়োজনীয় কাজে ডিসকর্ডে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে হয়েছিলো, সেগুলো শেষ করে আমি ঘরের বাকি কাজে হাত দিলাম।
"দুপুরবেলা"
|
---|
বাজার থেকে ফিরে শাশুড়ি মা সমস্ত মাছ কাটতে বসলেন এবং সবজিগুলো গোছানোর দায়িত্ব বরাবর আমার থাকে। তাই আমিও আমার কাজ নিয়ে বসলাম। এই কাজগুলো করার ফাঁকে ফাঁকে কমিউনিটিরও বেশ কিছু কাজ আমাকে করতে হয়েছিলো। তাই সকাল থেকে বেশ কিছুটা ব্যস্ততা ছিলো বলা চলে।
|
---|
কিছুক্ষণ বাদে আকাশে বেশ ভালো মেঘ দেখে, ছাদে মেলে রাখা সমস্ত জামাকাপড় তুলে রেখে এলাম। কারণ সকাল থেকে যেগুলো শুকিয়েছে সামান্য বৃষ্টির কারণে সেগুলো আবার ভিজে যেতে পারতো।
|
---|
এরপর সবজিগুলো গুছিয়ে ফ্রিজে তুলে রাখার পর পিকলুকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে, আমি ঘরের আরও কিছু কাজ সেরে, সোজা স্নান করতে চলে গেলাম। অন্যদিকে শাশুড়ি মা রান্না ঘরের কাজগুলো গুছিয়ে নিলেন। তারপর শ্বশুর মশাইকে স্নান করিয়ে, উনি নিজেও স্নান করে এলেন। ততক্ষণে আমারও পুজো দেয়া শেষ হয়ে এসেছিলো।
|
---|
আজ আমাদের সমস্ত কাজ সারতে সারতে বিকেল হয়ে গিয়েছিলো। পিকলুকেও দুপুরের খাবার দিতে অনেকটাই লেট হয়ে গিয়েছিলো। যাইহোক শ্বশুরমশাইয়ের খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আমি ও শাশুড়ি মা খেতে বসেছিলাম এবং খাওয়া শেষ করতে আমাদের প্রায় সাড়ে চারটের বেশি বেজে গিয়েছিলো। শরীরটা বেশ ক্লান্ত লাগছিলো, তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুয়েছিলাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
কিছুক্ষণ বাদে সন্ধ্যা হয়ে এলো, চোখটা লেগে এসেছিল ঠিকই কিন্তু সকলের সন্ধ্যা পুজো দেওয়ার আওয়াজে উঠে পড়লাম এবং পুজো শেষ করলাম। এরপর প্রতিদিনের মতন বুমিং সংক্রান্ত কাজ নিয়ে বসে পড়লাম। এই সকল কাজগুলো সম্পূর্ণ হতে হতে শুভও অফিস থেকে ফিরে এলো।
|
---|
আসার সময় ও কেক নিয়ে এসেছিলো। তাই ওকে কিছুটা কেক দিলাম আর আমিও একটু খেয়ে নিলাম। পিকলুকে একটা বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম ঠিকই, কিন্তু তার ইচ্ছে ছিল কেক খাওয়ার, তাই বিস্কুটটা তিনি কিছুতেই খেলেন না।
"রাত্রিবেলা"
এরপর আমি কমিউনিটির কাজ নিয়েই বসেছিলাম। তখনই শশুর মশাই ডাকলেন। ওনার শরীরটা খারাপ লাগছে তাই আবার ওনাকে এসি চালিয়ে দিলাম, সাথে সাথে সুগারটাও মেপে নিলাম। সুগারটা ঠিকই ছিল কিন্তু শরীরের মধ্যে একটা অস্বস্তি লাগছিল ওনার। বোধহয় লিভারের যে টিউমারটা রয়েছে, সেটার জন্য ওনার শরীরের কম বেশি প্রবলেম হচ্ছে। তবে সমস্যাটা এমনই যে, ওটাকে অপারেশন করারও কোনো অপশন নেই।
পোস্ট লেখার কাজটা আগে থেকেই কিছুটা সেরে রেখেছিলাম। তাই বাকিটা এখন শেষ করে রাখবো। কারণ একটু বাদে আবার শ্বশুর মশাইকে ইনসুলিন দিতে হবে এবং রাতের খাবার তৈরি করতে হবে। এর মাঝে পোস্টও করে দেবো।
শারীরিক অসুস্থতা যখন অনেকটা বেড়ে যায়, তখন শরীরের পাশাপাশি মানুষ মানসিক দিক থেকেও অনেকখানি ভেঙ্গে পরে। আর সেই অসুস্থ ব্যক্তির পাশে থাকা মানুষগুলোও। আমার এবং শাশুড়ি মায়ের বর্তমানে ঠিক এমনই একটি অবস্থা। দিন দিন শ্বশুর মশাইয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি, আমাদের ভিতর দিক থেকে অনেক বেশি চিন্তিত করে তুলছে।
যাইহোক এইভাবে কাটিয়েছি আজকের দিনটি। আগামী দিনগুলো কিভাবে কাটবে সত্যিই জানিনা। তবে যে যেখানেই থাকুন না কেন, সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, এটুকু প্রার্থনা করে আজকের লেখা এখানে শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে।