Better life with steem || The Diary Game || 5th January, 2024 ||
"আমার আজকের সারাদিনের কিছু মুহুর্ত" |
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি প্রত্যেকে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আমার দিনটি আমি আজ কিভাবে কাটালাম সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের পড়তে ভালো লাগবে, চলুন তাহলে শুরু করি, -
গত দুদিন যাবৎ পিকলুর শরীরটা বেশ খারাপ, ও যা খাচ্ছে সেটাই কিছুক্ষণ বাদে বমি করে ফেলছে। এমন কি ওষুধ খাওয়ানো হলেও, কিছুক্ষণ বাদে সেটাও বমি করে ফেলছে।
এরকম সমস্যা ওর মাঝেমধ্যে হয়। আসলে জন্ম থেকেই ওর লিভারের একটু সমস্যা রয়েছে এই কারণে। এটাই আবার দু-তিন দিন বাদে ঠিক হয়ে যাবে। তবে এই সময়টাতে ও একদমই চুপচাপ হয়ে যায়।
আর ওকে চুপচাপ দেখলে সত্যি কথা বলতে আমার একদম ভালো লাগে না। ও সব সময় পিছন পিছন ঘুরে বেড়ায়, যখন সেটা বন্ধ হয়ে যায় আমার নিজেরও বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
"আমাদের ছাদ বাগানের নতুন সদস্য- শাশুড়ি মায়ের হাতে লাগানো ফুলগাছে ফোঁটা শীতকালীন ফুল" |
---|
যাইহোক গতরাতে আমি এনগেজমেন্ট রিপোর্ট পাবলিশ করার পর, আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকাল বেলায় সময়ের একটু আগে উঠেছিলাম, কারণ পোস্ট ভেরিফিকেশন বাকি ছিলো।
এরপর ফ্রেশ হয়ে ভেরিফিকেশন গুলো কমপ্লিট করে, তারপর নিচে গেলাম। সকালবেলায় উঠে হাত-মুখ ধোয়ার পর, হাত মুখে আর সাড় থাকে না, ট্যাংকির জলের এই একটা সমস্যা। আর গত কয়েকদিন যে পরিমাণে ঠান্ডা পড়ছে, সেটা আলাদা করে আর বলার প্রয়োজন নেই।
নিচে এসে প্রতিদিনের মতন একটু জল গরম করে নিজে প্রথমে জল খেলাম। তারপর চা বসলাম। আজ সকালে রুটি করার দরকার ছিলো না। কারণ ফ্রিজের মধ্যে গতকালের পাউরুটি রাখা ছিল এবং গতকাল রাতেরও তিনটে রুটি রয়ে গিয়েছিল। আজ সকালে সেগুলোই গরম করে খাওয়া হয়ে যাবে ভেবে আর রুটি করিনি। সরাসরি অফিসের জন্য রান্না করে নিলাম।
প্রতিদিন শুভকে চা নিয়ে যাওয়ার সময় পিকলু আমার পিছনে পিছনে যায়, কিন্তু আজ ডাকলেও ও ওর বিছানা ছেড়ে উঠতে চায় না। যাইহোক শুভকে চা দিয়ে এসে পিকলুর সঙ্গে দু মিনিট সময় কাটালাম। ওকে বেশ কিছুক্ষণ আদর করে, তারপর রান্না শেষ করে নিলাম।
"শুভর ব্রেকফাস্ট" |
---|
ব্রেকফাস্টে শুভকে আজ হরলিক্স এর সাথে কনফ্লেক্স দিয়েছিলাম। পিকলু কনফ্লেক্স খুব ভালো খায় কিন্তু আজ সকালে আর কিছুতেই খেতে চাইল না। তাই আর জোর করিনি।
"নিজের প্রিয় জায়গায় পিকলু বাবু" |
---|
ব্রেকফাস্ট করে শুভ বেরিয়ে গেলে, আমি ছাদে গেলাম। গতকালের বেশ কিছু জামাকাপড় হালকা ভেজা ছিলো সেগুলো মেলে দিয়ে, আমি পিকলুকে আমার রুমের জানালায় বসিয়ে দিলাম, যেখানে খুব সুন্দর রোদ্দুর আসে।
পিকলু এখানে বসতে খুব ভালোবাসে। তাই প্রতিদিন ওকে জানালায় বসিয়ে রাখি। ও খুব সুন্দর ভাবে শুয়ে থাকে ওখানে।
"আমার ব্রেকফাস্ট" |
---|
এরপর নীচে এসে আমি ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। ব্রেকফাস্ট সেরে ঘরের টুকটাক কাজ কিছুটা গুছিয়ে নিয়ে, আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসে পড়লাম। ইতিমধ্যে আমার মামা শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন এলো। আসলে আগামীকাল আমার শ্বশুরমশাই ও শাশুড়ি মায়ের ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা। আমার শাশুড়ি মায়ের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর কাজ রয়েছে আগামী রবিবার, সেই কারণে আমরা আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ওনার কল্যাণীতে যাচ্ছেন। মামা শ্বশুরবাড়ি থেকে গাড়ি পাঠানো হবে, সেই বিষয়ে কথা বলার জন্য ফোন করেছিল।
"বাড়ির নিত্য পুজো" |
---|
কথাবার্তা শেষ করে কমিউনিটির কাজ গুছিয়ে নিয়ে আমি স্নান করতে গিয়েছিলাম। কারণ ততক্ষণে দুপুর হয়ে গিয়েছিল, স্নান সেরে প্রথমে ঠাকুর পূজো দিয়ে নিয়েছিলাম।এর মাঝখানে আমি পিকলুকে ওষুধও খাইয়ে দিয়েছিলাম।
এরপর পুজো দেয়া হয়ে গেলে, আমি অল্প একটু ভাত চটকে পিকলুকে খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। ও কিছুটা খেলেও আর বাকিটা খেলো না। এরপর আমার একজন ননদ এলেন আমাদের বাড়িতে, যিনি আগামীকাল শশুর মশাই ও শাশুড়ি মায়ের সাথে কল্যাণী যাবেন। তিনি আসার পর আমরা সকলে একসাথে লাঞ্চ শেষ করলাম।
লাঞ্চের পরে শাশুড়ি মা ও আমার ননদ গল্প করছিলেন কিন্তু আমার যেহেতু কমিউনিটির কাজ ছিল তাই আমি আমার রুমে গিয়ে কাজ করতে বসলাম। খাওয়ার পরে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগে, ইচ্ছে করে কম্বলের ভিতরে ঢুকে শুয়ে পড়ি। কিন্তু এই সময় আমার একটু কাজ থাকে যেটা আমাকে করতেই হয়। সেই কাজগুলো করে ভাবলাম একটু পোস্ট লিখব, কিন্তু কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ। তারপরে ঘুম ভাঙলো তাড়াতাড়ি উঠে সন্ধ্যা পূজো দিয়ে আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। সন্ধ্যা বেলার চা শাশুড়ি মা তৈরি করলেন। এরপর শুভ বাড়িতে ফিরলে আমরা দুজনে মিলে বেশ কিছুক্ষণ পিকলুর সাথে সময় কাটালাম।
শরীর খারাপের সময় আদর পেতে তার খুব ভালো লাগে। সে আমার পাশেই শুয়ে রইলো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি বসে কাজ করছিলাম। এরপর আমি রুটি করতে গেলে সেও আমার পিছু পিছু রান্না ঘরে চলে গেলো। এরপর আমি রুটি করা হয়ে গেলে ওকে ডিনার করানোর চেষ্টা করলাম। ও অর্ধেকটা রুটি কোনো রকমে খেলো। তারপর আমরা সকলে ডিনার সেরে পিকলুকে ওষুধ দিয়ে দিলাম।
"রাতের বেলায় আমাদের ছাদের দৃশ্য,হঠাৎ করেই ক্যামেরা বন্দী করলাম" |
---|
ভেবেছিলাম বোধহয় আর বমি করবে না, কিন্তু দুঃখের বিষয় আবার উপরে গিয়ে সে বমি করে এলো। সুতরাং সেটা আবার পরিষ্কার করে তারপর আমি নিজে ফ্রেশ হয়ে, এখন পোস্ট লিখতে বসেছি। পিকলুর শরীর খারাপ হলে সারাদিন কাজের মধ্যে বেশ মন খারাপ লাগে আমার।
আশা করছি দ্রুত ও ঠিক হয়ে যাবে। আপনারা যারা পিকলুকে ভালোবাসেন, তারা একটু প্রার্থনা করবেন ও যাতে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। এই ছিল আমার সারাটা দিনের গল্প, যেখানে কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি বেশ কিছুটা মন খারাপ নিয়ে দিনটা অতিবাহিত করেছি।
সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের পোস্ট এখানে শেষ করছি, আপনাদের কেমন লাগলো আমার পোস্ট পড়তে, অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে। শুভ রাত্রি।
প্রথমত সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি পিকলু যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। কেননা ও সুস্থ থাকলে আপনার কাছে অনেক বেশি আনন্দ লাগে। আর ওকে আপনি অনেক বেশি ভালবাসেন। তাই হয়তো বা ওর অসুস্থতায় আপনার কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগছে।
বাড়িতে মেহমান আসলে একটু ঝামেলার মধ্যেই দিন পার করতে হয়। আপনাদের জন্য ননদের এসেছে ও আপনার শাশুড়ির সাথে কল্যাণী যাবে। আসলে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার নিজের সংসারের কাজগুলো গুছিয়ে নিয়েছেন। আপনার দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। অবশ্যই পিকলুর দিকে একটু ভালোভাবে খেয়াল রাখবেন। ভালো থাকবেন।
আসলেই তাই,পিকলুর শরীর খারাপ হলে আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। আসলে আমরা তো নিজেরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি আমাদের কি সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু ও প্রকাশ করতে পারে না। শুধু চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকে যার জন্য আমার আরও বেশি খারাপ লাগে। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও এখন অনেকটা ভালো আছে। হ্যাঁ বাড়িতে লোক থাকলে কাজ বেশি থাকে ঠিকই, তবে গত কয়েকদিন যাবৎ শুভ অফিসে গেলে বাড়িতে আমি আর পিকলুই থাকি। তাই বেশ চুপচাপ কাটছে গত কয়েক দিন। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
পিকলুবাবু চুপচাপ থাকলে সত্যিই ভালো লাগার কথা নয়। ওরা শরীর খারাপ থাকলে কিছু খায় না আর খেলেও বেশিরভাগটাই বমি করে ফেলে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি পিকলু যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আবার আগের মত ছোটাছুটি লাফাঝাপি করে। যান এই দুদিন কল্যাণী থেকে ঘুরে আসুন।
আপনাদের সকলের শুভকামনায় ও ঈশ্বরের আর্শীবাদের কারনে পিকলু অনেকটাই সুস্থ আছে এখন। কল্যাণীতে আমি নয়,আমার শ্বশুর-শাশুড়ি বেড়াতে গেছেন। বাড়িতে আমি আর পিকলু আছি সারাদিন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সকালবেলা ট্যাংকির জল সত্যি প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে। মনে হচ্ছে যেন বরফের টুকরা লাগছে ।তারপরেও কি করা উঠতেই হবে, হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হতে হবে ।
সকালের নাস্তা খাবার পরে আপনার মামা শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন আসছিল কারণ আপনার দিদা শাশুড়ির মৃত্যুবার্ষিকী তাই আপনারা শনিবার সবাই সেখানে যেতে হবে। ফোনে কথা বলে আপনি আপনার সংসারে টুকিটাকি কাজ করে নিলেন এবং নিত্য পূজা দিলেন ।
আপনারা এখনো এই শীতের সময় এত সুন্দর সাদা ফুল পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আমাদের এখানে সাদা ফুল পাওয়া যায় না ।আমার শুধু গাঁদা ফুল ফুল দিয়েই পূজা দিতে হয় ।আপনি সংসারের কাজ এবং কমেউনিটির কাজ সুন্দরভাবে একই সাথে করছেন তার সাথে সাথে আপনার হাজব্যান্ড এবং পিকলুর দিকে লক্ষ্য রাখছেন ।সত্যিই আপনি একজন আদর্শ গৃহিণী ্আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা ।
আর বলবেন না, শীতকালে রোজ সকালে ট্যাংকির জলে কাজ করার থেকে বড় শাস্তি বোধহয় আর কিছু নেই। আমাদের এখানে সব সাদা ফুল গাছে ফুল পাওয়া যায় না, তবে পাশের বাড়িতে একটা গাছ আছে, অদ্ভুতভাবে সারা বছর ওই গাছটিতে অনেক সাদা ফুল ফোঁটে। মাঝে মধ্যে ওখান থেকে নিয়ে আসি। এখানেও শীতকালে গাঁদা ফুলই বেশি পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
TEAM 5
Congratulations! Your comment has been upvoted through steemcurator08.