Better life with steem || The Diary Game || 31st May, 2024 ||
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
গতকাল রাত থেকে হঠাৎ করেই বেশ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মাঝের দুদিন প্রচন্ড গরম ছিলো। তবে গতকাল রাতে বৃষ্টি হবার পর থেকে আবহাওয়া বেশ সুন্দর ছিল সারাদিন। এমনকি এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া অনেকটাই সুন্দর, তবে যে আবহাওয়া আমাদের জন্য সুন্দর সেটাই অন্য কারোর জন্য অনেকটা ক্ষতিকর, এ কথাও অস্বীকার করার জায়গা নেই।
আমাদের কমিউনিটিতেই অনেকের পোস্ট পড়ে জানতে পারি, তাদের ধান শুকানোর কাজ এখনো বাকি। বৃষ্টির কারণে তারা সেটা করতে পারছে না, সেগুলো পড়লে সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক চলুন আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করি আজকের দিনটা আমার কিভাবে কাটলো।
"সকালবেলা"
![]()
|
---|
গতকাল রাতে ঘুমাতে আমার প্রায় রাত সাড়ে তিনটে বেজে গিয়েছিলো। কমিউনিটির কাজ বেশ আগেই শেষ হয়েছিলো গতকাল। তবে আমার পোস্ট লেখার কাজ বাকি ছিলো। এই কারণে আমি প্রায় ২.৩০ নাগাদ পোস্ট লিখতে বসেছিলাম।পোস্ট লেখা শেষ করে, পোস্ট করতে করতে আমার ৩ টের বেশি বেজে গিয়েছিলো। যখন শুতে গিয়েছি তখনও বাইরে টুপটাপ বৃষ্টির আওয়াজ পেয়েছি।
রাত করে শোয়ার কারনে ঘুমটা যে গভীর হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে আজকের ঘুমটা যে এতটা গভীর হবে সত্যিই ভাবিনি। নিয়ম মাফিক আমার কিন্তু এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙেছিল, কিন্তু বাইরে তখন বৃষ্টি হচ্ছে, ওয়েদার বেশ সুন্দর ভাবলাম আরো পাঁচ মিনিট শুয়ে থাকি তারপর উঠবো। কিন্তু এই ৫ মিনিট কখন গড়িয়ে ৩৫ মিনিট হয়ে গেছে বুঝতেও পারিনি।
শুভকে জিজ্ঞেস করলাম বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, ও অফিসে যাবে কিনা। ও বললো আজ মাস শেষ সুতরাং অফিসে যেতেই হবে। তৎক্ষণাৎ অলসতা কাটিয়ে আমিও উঠে ফ্রেশ হয়ে সোজা রান্নাঘরে চলে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখি এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় শ্বশুরমশাই ও শাশুড়ি মা তখনও পর্যন্ত ঘুমাচ্ছেন।
![]()
|
---|
প্রথমে শুভকে চা দিলাম। তারপর ওনাদের জন্য চা বসালাম। শুভ আজ টিফিনে ভাত নিতে চাইল না, সেই কারণে রুটি বানালাম। তার সাথে করেছিলাম সুজি, আলু ভাজা ও ডিম ভাজা। ওর টিফিন তৈরি করা হয়ে গেলে, আমি ওকে হরলিক্স এবং কনফ্লেক্স দিয়ে দিলাম অফিসে যাওয়ার আগে ব্রেকফাস্ট এর জন্য।
![]()
|
---|
শ্বশুর মশাইয়ের ততক্ষণে ইনসুলিন নেওয়া হয়ে গেছে। তাই ওনাকে আমি গোলা রুটি করে দিয়েছিলাম। শাশুড়ি মা বললেন উনি মুড়ি খেয়ে নেবেন। আমার আজকাল সকালের খাবারের কোনো ঠিকানা থাকে না। কারন মাথায় অনেক কাজের প্রেসার থাকে।
আজকে সাড়ে দশটার পরেই বসলাম, অ্যাডমিন ম্যামের দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে। যার কারনে ডিসকর্ডে বেশ কিছু সময় কাটানোর পর, আমি কমিউনিটির কিছু পোস্ট পড়ে দেখলাম।
"দুপুরবেলা"
![]()
|
---|
ঘড়ির কাটায় কখন দুপুর হয়ে গেছে, সেটা বুঝতেও পারিনি। তবে শাশুড়ি মা ডাক দিলেন, কারণ আমি বেশ কিছু জামা কাপড় ধোয়ার জন্য ভিজিয়ে রেখেছিলাম অনেক আগেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ততক্ষণে ১.১০ বাজে। তাড়াহুড়ো করে ওঠে আগে সেগুলো ধুয়ে দিলাম। এরপর আমি স্নান করে পুজো দিয়ে নিলাম, ততক্ষণে শাশুড়ি মা রান্না শেষ করে নিয়েছিলেন।
![]()
|
---|
পুজো দেওয়ার শেষে আমি পিকলুকে লাঞ্চ করতে দিলাম এবং শ্বশুর মশাইয়ের স্নান করা হয়ে গেলে ওনাকেও খেতে দিয়ে দিয়েছিলাম। শাশুড়ি মায়ের সমস্ত কিছু গুছিয়ে আসতে একটু লেট হচ্ছিলো বলে আমি ততক্ষণে বেশ কিছু পোস্ট পরিদর্শন করলাম।
তারপর আমি ও শাশুড়ি মা একসাথে লাঞ্চ শেষ করলাম। আজকাল লাঞ্চ করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুলেই চোখ ভেঙ্গে ঘুম আসে। কারণ অনেক রাত পর্যন্ত জাগা হয়। এরপরেও কিছুক্ষণ ফোনটা হাতে নিয়ে নিজের পোস্ট লেখার শুরু করেছিলাম, বেশ কিছুটা লেখার পর কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি।
"সন্ধ্যাবেলা"
নিয়ম মতন সন্ধ্যাবেলায় উঠে সন্ধ্যা পূজো দিয়ে আমি আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। সন্ধ্যাবেলায় আমার প্রধান কাজ থাকে বুমিং এর জন্য পোস্ট সিলেক্ট করা। তার পাশাপাশি আজ অন্য আরও একটা দায়িত্ব পালন করেছি। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত আমার কমিউনিটির কাজেই সময় অতিবাহিত হয়।
"রাত্রিবেলা"
![]()
|
---|
রাত প্রায় ১০.৩০ পর্যন্ত কমিউনিটির কাজ শেষ করে, আমি রুটি করতে যাই। কারণ শ্বশুর মশাই এবং পিকলু প্রতিদিন রাতেই রুটি খায়। ওদের খাবার তৈরি করার পর পিকলুকে খাইয়ে দিয়ে, আমরা সকলেই একসাথে ডিনার সেরে নিলাম।
অন্যান্য দিনের মতন আজও সকল কাজ করলেও ততটাও কষ্ট হয়নি, কারণ আজকের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা ছিলো। সমস্ত কাজ শেষ করে আমি কমিউনিটির কাজ শুরু করলাম। বেশ কিছু পোস্ট ভেরিফাই করার পর আমার বাকি লেখা শেষ করে এখন পোস্ট করবো। তারপর ঘুমাতে যাবো।
আগামীকাল ভোরে উঠতে হবে কারন, আগামীকাল আমাকে বাপের বাড়ি যেতে হবে। কারন আগামীকাল আমাদের ওখানে নির্বাচন, তাই ভোট দিতে যেতে হবে। এইভাবে আমার শুক্রবারের দিনটা কাটলো। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
নিজের সংসারের কাজ ছাড়াও কমিউনিটির কাজ করতে অনেক রাত হয়ে গেছিল। কাজ শেষ করে আবার অনেক রাতেই পোস্ট করে ঘুমিয়েছেন। অনেক রাতে ঘুমালে ঘুমটা একটু ভালো হয়। আরো যদি ঠান্ডা আবহাওয়া হয়। সকালবেলার আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ার কারণে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। পরে তাড়াতাড়ি উঠে দাদার জন্য চা বানিয়েছেন। সকাল থেকে কাজ শেষ করতে কোন দিক দিয়ে দুপুর হয়ে গেছে বুঝতেই পান নি। আসলেই কাজের মাঝে থাকলে কোন দিক দিয়ে সময় চলে যায় বুঝতে পারা যায় না। দুপুরে তাড়াতাড়ি গোসল করে পুজো দিয়েছেন।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আবহাওয়া ঠান্ডা হলে সকালের দিকে ঘুম থেকে যেন উঠতেই ইচ্ছা করে না। তবে সংসারের কাজের ও একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে, আর তা অনুসরণ করতে গিয়ে সেই ইচ্ছা পূরন হয় না কিছুতেই। সত্যিই কাজের মধ্যে থাকলে সময়ের আন্দাজ পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এত রাত করে ঘুমালে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও কিছু করার নেই। তাড়াতাড়ি করে ঘুম থেকে উঠে ঘরের কাজ এবং সকালের নাস্তা, সবকিছুই সুন্দরভাবে সেরে নিয়েছেন। আমাদের এখানে এটাকে ডিম চিতই বলা হয়ে থাকে। প্রথমত চালের গুড়া দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে নেয়া হয়। এরপর এর সাথে একটা ডিম ভেঙে দেয়া হয়। এরপর এভাবেই পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে, খেতে বেশ ভালোই লাগে।
দুপুরের লাঞ্চের মেনুতে আপনারা অনেক কিছু রান্না করেছেন। যেটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম। আসলে যাদের এখনো পর্যন্ত ধান রয়ে গেছে, তাদের জন্য কষ্ট হয় এটা স্বাভাবিক। কেননা বৃষ্টি হলে ধান শুকাতে অনেক বেশি কষ্ট হয়। আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের এখানে প্রচন্ড গরম। ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
কমিউনিটির দায়িত্ব গুলো পালন করতে গিয়ে অনেকটা রাত হয়ে যায় প্রতি দিন। এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ শেষ হলে ভেবেছিলাম রাত জাগার প্রয়োজন হবে না। যাইহোক, তবুও সময় অনুসারে কাজ করার দায়িত্ব তো পালন করতেই হবে। আমরা চালের গুঁড়া ব্যবহার করি না। ময়দা/আটা তার সাথে অল্প পরিমাণ সুজি ও লবন ব্যবহার করি। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।