Better life with steem || The Diary Game || 3 rd November
![]() |
---|
"Edited by canva" |
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে খুব ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আমি আপনাদেরকে গতকালে জানিয়েছিলাম যে, আমার গতকালের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। কিন্তু দিনটি আমি কিভাবে কাটিয়েছি, সে কথা কালকে আপনাদের সাথে শেয়ার করা সম্ভব হয়নি। তাই আজ সে কথা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।
আপনারা যারা আমাদের অ্যাডমিন ম্যামের পোস্ট পড়েছেন, তারা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, আমি আজ আপনাদের সাথে গতকাল ম্যামের সাথে কাটানো একটি দিনের গল্পই শেয়ার করব।
![]() |
---|
প্রথমেই আপনাদের জানিয়ে রাখি, কাজের জায়গার বাইরেও আমাদের ব্যক্তিগত একটি সম্পর্ক রয়েছে। যেখানে আমরা দুজন দুজনের সাথে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক অনুভূতি শেয়ার করে থাকি। তবে সেই সময় কর্মজীবনের কোনো কথাই আমাদের মধ্যে আলোচিত হয় না। বিশ্বাস করা বা করা আপনাদের ব্যাপার, তবে তাতে সত্যি কখনো বদলায় না।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, গতমাসে আমার জন্মদিন ছিল এবং প্রত্যেকবারের মতো এইবার ম্যাম আমাকে ওনার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই সময় শ্বশুর মশাইয়ের শরীর বেশি খারাপ থাকার কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি।
পাশাপাশি সেই সময় আমাদের কমিউনিটিতে এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ চলছিল। তাই সেই সংক্রান্ত কাজে ম্যামও বেশ অনেকটাই ব্যস্ত ছিলেন। তাই অনেকদিন ধরে আমাদের দেখা করার প্ল্যানটা হয়ে সফল হয়ে উঠছিল না। অবশেষে গতকাল প্ল্যান করেছিলাম আমরা দেখা করব এবং নিজেরা কিছুটা সময় কাটাবো।
"আমার সকালবেলা" |
---|
রোজকার মতন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে আমি আমার প্রতিদিনের কাজগুলো সেরে নিলাম। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা পড়ে এবং এই কারণেই গত দু-তিন দিন যাবৎ আমার শরীরটা বেশ খারাপ।
![]() |
---|
সাধারণত সকালের দিকে আমি সাধারণত চা খাই না। তবে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। গতকালও আমার গলাটা বেশ ব্যথা করছিল বলে শুভর সাথে আমিও এক কাপ চা খেলাম।তারপর শুভর জন্য অফিসের রান্না করে, তাড়াতাড়ি স্নান করে নিলাম। কারণ আমি ১১ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোবো প্ল্যান করেছিলাম। তার আগে স্নান করে পুজো সেরে নিতে চেয়েছিলাম।
![]() |
---|
এই কারণে শাশুড়ি মা ঘুম থেকে উঠে পূজোর ফুলগুলো তুলে দিয়েছিলেন এবং ঘরের কিছু কাজ করে দিয়েছিলেন। আর আমি শুভ বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই স্নান করে পুজো দিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর রেডি হয়ে বেরিয়েছিলাম।
যদিও ট্রেন বেশ কিছুটা লেট করে এসেছিল, তবে আমি সময়ের মধ্যে স্টেশনে পৌঁছেছিলাম। তারপর ম্যাম আমাকে ফোন করলেন এবং রেডি হয়ে নিলেন। তারপর ওনার ঘরে গিয়ে একটু কাজ সেরে, তারপর দুজনে মিলে একসাথে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের প্রথম প্ল্যান ছিল ম্যামের কিছু প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা।
![]() |
---|
সেগুলো করার পর, তিনি আমাকে আমার একটা প্রিয় দোকানে নিয়ে যান। যদিও আমি অনেকবার বারণ করেছি কিন্তু তিনি শোনার মানুষ নন। যেহেতু জন্মদিনের গিফটটা উনি আমাকে দিতে পারেননি, তাই সেটা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলেন না। তাই তার কথা মতন প্রথমেই চলে গেলাম নিজের জন্য গিফট নিতে।
"আমার দুপুর বেলা" |
---|
গিফ্ট কেনা সম্পন্ন করে আমরা স্টারমলে গেলাম। কারণ সেখানে আমার নিজের বাড়ির জন্য বেশ কিছু জিনিস কেনার ছিল।
![]() |
---|
সেখানে দুজন ঘুরে ঘুরে বেশ কিছুক্ষণ সব জিনিসপত্র দেখে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে নিলাম। নিজেদের কেনাকাটার শেষে যখন আমরা মল থেকে হচ্ছিলাম, তখন মলের বেশ কিছু ছবিও তুলেছিলাম। সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
মল থেকে বের হতে হতে আমাদের প্রায় 3.30 মতন বেজে গেলো। ততক্ষণে আমার প্রচন্ড খিদে পেয়ে গিয়েছিল। যেহেতু সকাল থেকে প্রচুর হাঁটাহাটি করেছিলাম। প্রথমে আমরা প্ল্যান করেছিলাম ম্যামের ফ্ল্যাটে গিয়ে আমরা অনলাইনে খাবার অর্ডার করবো। কিন্তু পরে ভাবলাম তাতে আরো বেশ কিছুটা সময় চলে যাবে, তার থেকে ভালো আমরা রেস্টুরেন্টে বসেই খেয়ে যাই।
![]() |
---|
![]() |
---|
তবে তার আগে আমরা ঢুকলাম মিও আমরে কেকশপে। কারণ ওই যে বললাম, জন্মদিনে তিনি আমাকে কেক খাওয়াতে পারেননি, সুতরাং গিফট যখন দিয়েছেন কেক তো তিনি খাওয়াবেনই খাওয়াবেন। তাই দুজনে মিলে ঢুকে নিজেদের পছন্দের মতনই কেক নিয়ে নিলাম। তার সাথে এক্সট্রা একটা ম্যাংগো মুস নেয়া হয়েছিল। ওটাও বেশ ভালো লেগেছে। যদিও কেকগুলো আমরা ফ্ল্যাটে এসে খেয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
কেক কিনে নিয়েই আমরা প্রথমে রেস্টুরেন্টে ঢুকেছিলাম। এই বিষয়ে জানিয়ে রাখি যে রেস্টুরেন্টে আমরা গতকাল খেয়েছিলাম, সেই রেস্টুরেন্ট থেকেই প্রায়শই খাবার ডেলিভারি নিয়ে থাকেন ম্যাম। অথচ রেস্টুরেন্টের ভিতরে বসে গতকাল আমরা প্রথমবার খেলাম। ভিতরের পরিবেশটা বেশ ভালো ছিল। পাশাপাশি খাবার গুলোও বেশ ভালো ছিল।
প্রচুর খিদে পেয়েছিল তাই বেশি কিছু এক্সপেরিমেন্ট না করে আমরা প্রথমেই মেনকোর্স অর্ডার করেছিলাম। আমি এবং ম্যাম দুজনেই চাইনিজ খেতে ভীষণ ভালোবাসি। তাই কোন কিছু না ভেবেই প্রথমেই অর্ডার করলাম আমার প্রিয় ফ্রাইড রাইস এবং চিলি চিকেন। পাশাপাশি গতকাল আমি একটা নতুন রেসিপি ট্রাই করেছিলাম, সেটাও খুব একটা খারাপ লাগেনি, বেশ ভালোই লেগেছে।
"আমার সন্ধ্যা ও রাত্রি বেলা" |
---|
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সেখান থেকে ম্যামের ফ্ল্যাটে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় ৫.২০ বেজে গেলো। আমাকে আবার বাড়িতে ফিরতে হবে বলে একটু তাড়াহুড়ো করছিলাম। কিন্তু পরে ভাবলাম সারাদিন ঘুরতে ঘুরতেই কেটে গেলো, কিন্তু দুজনের কোনো কথা বলা হলো না।
![]() |
---|
এরপর হঠাৎ করেই ব্যক্তিগত জীবনের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হলো এবং সেটি কখন ২ ঘন্টা অতিক্রম করে গেলো আমরা বুঝতেই পারিনি। তারপর দুজনে মিলে কেক খেয়ে, আমি প্রায় ৬.৪৫ নাগাদ ম্যামের ফ্ল্যাট থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।
গতকাল হয়তো সকাল থেকেই ট্রেন লেট চলছিল। আমি স্টেশনে প্রায় ২০ মিনিট মতন অপেক্ষা করার পর ট্রেন এলো। কিন্তু গতকাল ট্রেনে এত অসম্ভব ভিড় ছিল যে কল্পনা করার মত নয়। আমি বুঝতে পারিনি ট্রেনটা অত ভিড় হবে তাহলে হয়তো আমি ওই ট্রেনটা ছেড়ে দিতাম। প্রচুর কষ্ট করে তবে আমি আমাদের স্টেশনে নামলাম।
তারপর সেখান থেকে রিকশা করে বাড়ি আসার জন্য যখন রিক্সা স্ট্যান্ডে গেলাম, তখন দেখলাম রিক্সা ছাড়তে আরো প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবেস। কিন্তু বাড়িতে ফিরে আমাকে কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ সারতে হবে, তাই খুব বেশি দেরি না করে আমি হেঁটেই বাড়ি ফিরলাম।
সারাদিন পরে বাড়িতে এসো বিশ্রাম নেই, কারণ সংসারের বেশ কিছু কাজ থাকে যেগুলো আমাকে সম্পন্ন করতেই হয়। তাই একটু ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ কমিউনিটির কাজ করে, তারপর চলে গেলাম রাতে ডিনারের জন্য রুটি করতে।
শ্বশুর মশাইকে, পিকলুকে খেতে দিয়ে আমিও অল্প একটু খেলাম। বেশি খিদে ছিল না তাই। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, সকল কাজ সম্পন্ন করে, আমি পোস্ট লিখতে বসেছিলাম। যেহেতু গতকাল আমার এনগেজমেন্ট পোস্ট পাবলিশ করার ছিল এবং সেটি লিখতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কাল রাতে শুতে শুতে অনেকটাই লেট হয়েছিল। তার ওপরে শরীরটাও খুব বেশি ভালো ছিল না।
![]() |
---|
![]() |
---|
তবে সারাদিন অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। শুধুমাত্র সেই কারণেই বোধ হয় শরীর খারাপ সত্ত্বেও রাত জেগে এনগেজমেন্ট রিপোর্ট লিখতে ততটাও কষ্ট হয়নি। লেখা শেষ করার আগে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই সুনীতাদিকে আমার গতকালের দিনটি এতো সুন্দর করার জন্য। এইভাবেই যেন মাঝে মধ্যে আমরা ভালো সময় একসাথে কাটাতে পারি সেই প্রার্থনা রইলো।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
আপনার দিন টি খুব সুন্দর কেটেছে।তা বুঝতে কোনরকম সমস্যা হচ্ছে না। কেনাকাটা খাওয়া দাওয়া।বেশ মজা করেছেন।ঐ দিন।আর ম্যাম এর সাথে কাটানো দিন টি নিঃসন্দেহে একটি বিশেষ দিন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
আমরা সব সময় প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় কাটাতে অনেক পছন্দ করি, দুজনকে একসাথে দেখে বেশ ভালো লাগছে, দিদির সাথে দেখা করেছেন, তার বাসায় গিয়েছেন স্টার মল থেকে কেনাকাটা শেষ করে দুপুরে খাবার খেয়েছেন, দিদি আপনাকে খুব সুন্দর একটি গিফট করেছে জন্মদিন উপলক্ষে, আপনাদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা, অবশ্যই দোয়া করি আপনারা যেন মাঝে মধ্যে এরকম ভালো সময় কাটাতে পারেন।
This post has been supported through the account Steemcurator06 for containing good quality content.
Curated by : @pelon53
কালকের দিনটা আপনার জন্য অনেক বেশি স্পেশাল ছিল। কেননা আমাদের ম্যামের সাথে আপনি সময় কাটাতে পেরেছেন। উনি আপনাকে জন্মদিনের গিফট কিনে দিয়েছে। বাসায় এসে আপনারা কেক খেয়েছেন। আসলে আপনাদের এই দৃশ্যগুলো দেখে না অনেক বেশি ভালো লাগছে।
এটা এখন থেকে নয়, আমি তো আগে থেকেই শুনে এসেছি আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক ভালো একটা সম্পর্ক আছে। অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ আপনার, একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য।
সারাদিন এতো ঘোরাঘুরির পরও বাড়ি ফিরে রাত জেগে এনগেজমেন্ট রিপোর্ট লিখলেন। আপনার energy লেভেল তো সাংঘাতিক। আপনাদের দুজনের মতো যদি আমার energy থাকতো! নাহ, এবার একটা ডায়েট চার্ট বানাতে হবে দেখছি।