Better life with steem || The Diary Game || 24th August, 2024 ||
|
---|
Hello,
Everyone,
টিভিতে খবরের চ্যানেল হোক, কিংবা ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই বাংলাদেশের বেশ কিছু অংশের বন্যার ভয়াবহ অবস্থা দেখলে, মনটা বড্ড খারাপ হয়ে যায়। জল আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য, সেই জলেই কিভাবে জনজীবন বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে, বর্তমানে তার সাক্ষী বোধ হয় বাংলাদেশের সেই সব বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন।
|
---|
দূর থেকে প্রার্থনা করা ছাড়া এই মুহূর্তে সত্যিই ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু করণীয় নেই, তাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন এই পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি ঠিক করে দেন। প্রতিটি মানুষ যেন আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।
যাইহোক কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশা করছি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন, আর আপনাদের আজকের দিনটি মোটামুটি ভালোই কেটেছে। আমার দিনটিও খুব একটা খারাপ কাটেনি। সারাদিন কি কি করেছি, সেটাই এই পোস্টের মাধ্যমে আজ শেয়ার করবো আপনাদের সকলের সাথে।
|
---|
|
---|
গতকাল রাত প্রায় সাড়ে তিনটের পরে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। তবে শোয়ার সাথে সাথে ঘুম আসেনি, তাই বেশ কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ করে, কখন ঘুমিয়েছি বুঝতে পারিনি। যথারীতি সকালে নির্দিষ্ট সময় ফোনে এলার্ম বেজে উঠলো। দুচোখ ভরা তখনও ঘুম ছিলো, কিন্তু যেহেতু শুভর অফিস ছিলো, তাই জোর করে হলেও উঠতে হলো।
|
---|
রাতে যদিও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল অনেক বেশি, তবে সকালে উঠে আকাশে তেমন মেঘ চোখে পড়েনি। তাই ভেবেছিলাম আজ হয়তো আর বৃষ্টি হবে না। যাইহোক ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে যথারীতি রোজকার মতন ভাত বসিয়ে, চা বসালাম। শশুর মশাই উঠে ছাতু খেয়ে নিয়েছিলেন। এরপর চা করে ওনাকে চা দিয়ে, আমি শুভর চা উপরে দিয়ে এলাম।
|
---|
|
---|
এরপর শুধুমাত্র ওর জন্য সর্ষে দিয়ে বাটামাছ এবং বেগুন ভাজা করেছিলাম। রান্নাটা কোনোরকমে সেরে গতকালকের জামাকাপড় গুলো আমি একটু ছাদে মেলে দিলাম। অন্তত যাতে হাওয়ায় একটু শুকিয়ে যায়। দুদিন ধরে অনবরত বৃষ্টির কারণে,জামা কাপড় শুকানোটা এখন সব থেকে বড় কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
|
---|
ব্রেকফাস্ট সেরে নির্দিষ্ট সময় শুভ অফিসে চলে যাওয়ার পরে, আমার প্রতিদিনের কিছু কাজ সেরে নিলাম। যেমন শ্বশুর মশাইয়ের সুগার চেক করা, তাকে ইনসুলিন দেওয়া, পিকলুকে ওষুধ খাওয়ানো। এরপর বসলাম কমিউনিটির কাজ নিয়ে।
|
---|
|
---|
একটু বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভালোই রৌদ্র উঠলো, দেখে মনে হলো বোধহয় আর বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই কারণে কিছু জামাকাপড় ধুয়ে দিলাম। তবে সেগুলো ছাদে মেলতে গিয়ে দেখলাম, আকাশে কালো করে মেঘ করে এসেছে।
|
---|
কিছুক্ষণের মধ্যে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে এলো। আমি গতকালের সমস্ত জামাকাপড় গুলো ঘরে রেখে এলাম। আর ভিজে জামাকাপড় গুলো ঘরে মেলে দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হলো।
গতকালও এই সময়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো। পাশের বাড়ির জ্যেঠিমা ডেকে বললেন, আমাদের রাস্তার উপর দিয়ে নাকি জল বইছে স্রোতের মত। একটু বাদে ননদ ফোন করে জানালো ওনার ঘরের মধ্যে জল ভরে গেছে, সেগুলোই পরিষ্কার করছে বড় ছেলেকে সাথে নিয়ে। চারিদিকের এইসব খবরগুলো হঠাৎ করে মনটা খারাপ করে দিল।
|
---|
যাইহোক এরপর দুপুরের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে, স্নান করে, পুজো দিয়ে নিলাম। শাশুড়ি মা ততক্ষণে বাকি রান্না সেরে নিলেন এবং শ্বশুরমশাইও স্নান করে চলে এলেন। আজ দুপুরে তিনজন একসাথে লাঞ্চ করেছি।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাইরে দেখলাম তখনো টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে। আজ শনিবার তাই শুভ একটু আগেই অফিস থেকে ফিরে আসবে। কিন্তু যে পরিমাণে রাস্তায় জল জমছে, কিভাবে আসবে সেটা জানতেই ওকে ফোন করলাম। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম, যাওয়ার সময় ও এইরকম জল পেরিয়েই অফিসে গিয়েছে। কারণ অফিসে যাওয়ার রাস্তায়ও জল জমে ছিল গতকালের বৃষ্টির কারণে।
|
---|
এরপর কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির খবরই দেখছিলাম। সত্যিই কিছু কিছু সংবাদ বড্ড বেশি কষ্টদায়ক। আর এই সমস্ত খবর দেখতে দেখতে আমারও ২০০০ সালের বন্যার কথা মনে পড়লো। বন্যার ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখার কারণেই বোধহয়, মানুষের কষ্টটা আরও বেশি করে অনুভব করতে পারছি।
|
---|
|
---|
যাইহোক ভেবেছিলাম একটু ঘুমাবো, কিন্তু সেটাও হয়নি। এরই মাঝে শুভ অফিস থেকে চলে এসেছিলো। ওকে আমি একটা পেয়ারা কেটে দিলাম। কিছুক্ষণ বাদে সন্ধ্যা পূজো দিয়ে বুমিং এর কাজ নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু যেহেতু আজকে টিউটোরিয়াল ক্লাস বেশ কিছুক্ষণ আগে হওয়ার কথা ছিলো, তাই বুমিং এর কাজ শেষ হতে না হতেই, আবার টিউটোরিয়াল ক্লাসে যুক্ত হয়েছিলাম।
|
---|
টিউটোরিয়াল ক্লাস শেষ হতে প্রায় ৯ টার বেশি বেজে যায়। তারপর কমিউনিটির কিছু কাজ করতে করতেই, শ্বশুরমশাইয়ের সুগার চেক করার সময় হয়ে গেলো। আজ টিউটোরিয়াল ক্লাস থাকার কারণে, সন্ধ্যা বেলায় কিছুই খাওয়া হয় নি।
শাশুড়ি মা অবশ্য শুভকে চা করে দিয়েছিলেন এবং তার সাথে কেক খেতে দিয়েছিলেন। আমাকেও তিনি কেক খেতে বললেন, কিন্তু তখন অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল বলে আমি আর খাইনি। শ্বশুরমশাইকে ইনসুলিন দিয়ে আমি রুটি করতে চলে গেলাম।
|
---|
আজ রাতে শুভ ও রুটি খেয়েছে। তাই কিছু রুটি বেশি করতে হয়েছিলো। এরপর পিকলুকে খাইয়ে উঠে, ওষুধ দিয়ে দিলাম। শশুর মশাইকেও খাবার দিয়ে দিলাম, তারপর আমি, শুভ ও শাশুড়ি মা একসাথে ডিনার করতে বসলাম। সেই সময়ও বাংলাদেশের বন্যা সংক্রান্ত কিছু খবরই দেখছিলাম ও ২০০০ সালে আমাদের এখানকার বন্যা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললাম সকলের।
এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, সমস্ত কাজ গুছিয়ে বসলাম নিজের পোস্ট লেখার জন্য। লেখা শেষ করে পোস্ট করার পর, কমিউনিটির কিছু কাজ দেখে তারপর শুতে যাবো। কাল যেহেতু রবিবার তাই সকালে ওঠার খুব বেশি তাড়াহুড়ো নেই।
যাইহোক এভাবেই কাটলো আমার আজকের দিনটা। সবকিছু মিলিয়ে মোটামুটি একটি ভালো দিন কাটালাম বলা যেতে পারে। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই প্রার্থনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। শুভরাত্রি।
- প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর ভাবে আপনার সারাদিনের কর্মসূচী গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। পেয়ারাগুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে ,ইচ্ছে করছে এখনই নিয়ে খেয়ে ফেলে ।সত্যি বলতে পেয়ার আমার খুবই পছন্দের একটি ফল। ভালো থাকবেন সেই প্রত্যাশাই করি।