Better life with steem || The Diary Game || 23rd June, 2024 ||
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
দিনটি রবিবার হলেও অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কাটালাম।অনেকদিন বাদে আজ ঘরের অনেক কাজ করতে হয়েছে, কারণ আজকে বাড়িতে এসি বসানো হলো। আর বাড়িতে কোনো কাজ হলে ঘরবাড়ি ঠিক কতটা নোংরা হয়, সেটা বোধহয় কমবেশি আমরা সকলেই আন্দাজ করতে পারি।
যাইহোক এখন যদিও অনেকটাই রাত, কিন্তু পোস্ট তো করতেই হবে, এই কারণে সমস্ত কাজ সেরে পোস্ট লিখতে বসলাম। চলুন দিনটি কিভাবে কাটালাম, সেটাই শেয়ার করবো এই পোস্টের মাধ্যমে, -
"সকালবেলা"
![]()
|
---|
গতকালের পোস্টে আপনারা সকলেই পড়েছেন আমি দুদিন দিদির বাড়িতেই ছিলাম। গতকাল রাতে শুভর সাথে কথা বলে জানলাম আজ সকালের দিকে এসি লাগাতে লোক আসবে বাড়িতে। যদিও কথা ছিলো সন্ধ্যা বেলা আসবে।
যাইহোক যে ঘরে এসি বসানো হবে, সেই ঘরের জিনিসপত্র চেঞ্জ করতে হবে। আমার অনেক জিনিসে ছিলো সেই ঘরে, সেগুলো সব উলটপালট হয়ে যাবে ভেবে, আমি একটু তাড়াতাড়িই দিদি বাড়ি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করবো ঠিক করলাম।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
দিদি আজ ইভিনিং ডিউটি ছিলো। সকালে উঠে সবার জন্য পাস্তা বানিয়েছিলো। আমিও পাস্তা খেয়েই রেডি হয়ে নিলাম।ওখানকার প্ল্যাটফর্মের ওভারব্রিজে কাজ হচ্ছে বলে দু'নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেতে হলে, আমাকে টিকিট কেটে অনেকটা ঘুরে যেতে হতো।
![]()
|
---|
তাই বাবা আমার টিকিটটা কেটে এনে দিল এবং আমি সহজেই ২ নম্বর প্লাটফর্মে পৌঁছে গেলাম। রবিবার তাই তুলনামূলক ট্রেনটা ফাঁকাই ছিলো। ওখান থেকে ট্রেনে উঠে সিট পেয়ে গেলাম। আর কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছেছিলাম দত্তপুকুর স্টেশন।
![]()
|
---|
বাইরে তখন অনেক রৌদ্র। স্টেশনে নামার পর সোজা ভ্যানে করে বাড়ি পৌঁছে গেলাম। বাড়িতে গিয়ে দেখি কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে , মোটামুটি ঘন্টা দুই অপেক্ষা করার পরে বাকি কাজ শেষ হলো। তারপর শুরু হল আমাদের কাজ। সারা ঘরে ধুলোবালি,জিনিসপত্র ছিটিয়ে, ছিলো।
"দুপুরবেলা"
![]()
|
---|
ওই কাজ করতে কখন সময় দুপুর হয়ে গেলে বুঝতে পারিনি। উপরের ঘরটা শুধু মুছে রেখেছিলাম। বাকি জামা কাপড় সব এদিক ওদিক করা হয়েছিলো, সেগুলো কোনটাই গোছানোর টাইম পাই নি। কারণ নিচের ঘরের খাট পরিবর্তন করে, সমস্ত ঘর ছেড়ে মুছে, ঠিক করতে আমার প্রায় পাঁচটা বেজে গিয়েছিলো।
![]()
|
---|
তখনও পর্যন্ত লাঞ্চ করা হয়নি। তাই জামা কাপড় গোছানোর কাজটা সন্ধ্যাবেলার জন্য ফেলে রাখলাম। সিঁড়ি দিয়ে জিনিসপত্র উঠানো নামানো করতে গিয়ে গা হাত পা ভালোই ব্যথা হয়েছে, সেটা বুঝলাম লাঞ্চ করার পর যখন শুতে গেলাম।
ভেবেছিলাম একটু বিশ্রাম নেবো, ঠিক তখনই একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে একজন ইউজারের সাথে ডিসকর্ডে কিছুক্ষণ কথা বললাম। তারপর বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। গতকাল রাতেও ভালো ঘুম হয়নি, গতকাল বেশ অনেকটা রাতে শুয়েছিলাম, আবার সকালে উঠে পড়েছিলাম,তারপর ঘরের কাজ, সবকিছু মিলিয়ে শোয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
ঘুম থেকে উঠে দেখলাম কখন সন্ধ্যা হয়েছে বুঝতে পারিনি। শাশুড়ি মা ইতিমধ্যে সন্ধ্যা পূজো দিয়ে নিয়েছিলেন। আমার তখনও বুমিং এর কাজ বাকি ছিলো, তাই এদিক ওদিক না তাকিয়ে বুমিং এর কাজ নিয়ে বসলাম।
![]()
|
---|
তারপর আর সাড়ে আটটায় আবার টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিলো। অন্যদিকে খাট ভর্তি জামা কাপড় ছিলো। বুমিংয়ের কাজ শেষ করে, হাতে আর জামা কাপড় গোছানোর সময় ছিল না বলে, আমি টিউটোরিয়াল ক্লাসে যোগ দিলাম।
"রাত্রিবেলা"
সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা শেষ করার পর, শশুর মশাইয়ের জন্য মাত্র তিনটে গোলা রুটি করে দিলাম। ভাত ছিলো আজ অনেকটাই, যেটা আমাদের তিনজনের হয়ে যাবে। পিকলুকেও একটু ভাতই দিয়ে দেবো সিদ্ধান্ত নিলাম।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
এরপর আমি বেশ কিছু জামা কাপড় গুছিয়ে নিলাম। মাঝে ডিনার সেরে এলাম, তারপর বাকি সমস্ত জামা কাপড় গুলো গুছিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে রাখলাম।
ঘড়িতে তখন প্রায় পৌনে একটা বাজে। এরপর ভালো করে বিছানাপত্র ঝেড়ে, একেবারে ঘর মুছে নিলাম। কারণ একটু ধুলো ধুলো মনে হচ্ছিলো। আর এই অবস্থায় ঘুমাতে গেলে আমার ঘুম হবে না। যত কাজই করি না কেন, ঘুমানোর সময় বিছানা পরিপাটি না থাকলে আমার শুতে ভালো লাগে না।
![]()
|
---|
এরপর ভালো করে স্নান করে এসে তারপর বসলাম পোস্ট লিখতে। পোস্ট লেখা শেষ করার পর পোস্ট করে, তবে আমি শুতে যাবো। তবে হাত পা প্রচন্ড ব্যাথা। সেই সাথে পা এবং সারা শরীরও। কারণ বেশ কিছু ভারী জিনিস সিঁড়ি দিয়ে উপরে তুলেছি। এছাড়াও ঘরের অনেক জিনিস এদিক ওদিক নাড়াচড়া করা হয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে ব্যথাটা হয়েছে।
যাইহোক বাকি শরীর কেমন থাকে, সেটা আরও ভালো বুঝতে পারবো আগামীকাল সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর। এভাবেই কাটলো আমার আজকের ছুটির দিনটি। আগামীকাল থেকে আবার রুটিন মাফিক জীবন শুরু হবে, কারন আগামী কাল থেকে নতুন সপ্তাহ শুরু।
ভালো থাকবেন সকলে। শুভ রাত্রি।
বিগত পোস্টেই অবগত হয়েছি, আপনি দুইদিন থেকে আপনার দিদির বাড়িতে ছিলেন। আপনাদের বাড়িতে এসি লাগানোর কথা ছিল। হঠাৎ করে দাদা ফোন দিয়ে এসি লাগানোর কথা বলেছে। এজন্য আপনি দিদির বাড়িতে দেরি না করে তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, বাড়িতে শুধু এসি নয়। যেকোন রকমের কাজ করলেই ধুলবালি এবং সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।
সত্যিই সারাদিন এত ব্যস্ত থাকার পরেও আপনি সঠিক সময়ে টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন হয়েছেন। এটাই তো আমাদের কাছে অনেক পাওয়া।
ব্যস্তময় একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যিই বাড়িতে কাজ করালে যতোই পরিস্কার করা হোক না কেন, ধুলোবালি যেন যেতেই চায় না। ব্যক্তিগত জীবনে কর্মব্যস্ততা তো থাকবেই, তারপরেও আমাদের কর্মক্ষেত্রের কাজগুলোও সম্পন্ন করতে হয়। এই কারনেই হয়তো সারাদিন অনেক পরিশ্রম করার পরেও, টিউটোরিয়াল ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পেরেছিলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
TEAM 7
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.Thank you so much for your support @sahmie.
বাসায় নতুন এসি লাগানো হয়েছে,,,, বেশ ভালো হলো এত বেশি গরম পড়ে যে এসি ছাড়া উপায় নেই।
দিদির বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে এসেছেন সারাদিন বেশ ব্যস্তময় একটি দিন কেটেছে আপনার।
রুমে কোন কাজ করানো হলে সারা রুম অগোছালো থাকে আর যেমনটা আপনার করতে হয়েছে সম্পূর্ণ রুম পরিষ্কার করা গুছানো এটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তবে নিশ্চয়ই পিক শান্তির ঘুম দেখে আপনারা বেশ ভালো লেগেছে।।। সারাদিন কাজ করা শেষে যখন রাতের বেলা নিজের ঘরটা গোছানো থাকে তখন ঘুমটা ও বেশ আরামে হয়।
হুম আর এসি না লাগিয়ে পারা গেলোনা। বিশেষত শশুর মশাইয়ের কারনে বেশি তাড়াহুড়ো করা হলো। ওনার শারীরিক অবস্থা এমন যে কখনো কখনো গরমে অস্থির হয়ে ওঠেন, আবার কখনো কখনো তিনি গরমের মধ্যেও কাঁথা গায়ে দেন, প্রায় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। এসি আসায় আর কেউ না হোক পিকলু ভীষন খুশি। এই গরমে খুব কষ্ট পেয়েছে বেচারা, শুধু বলতে পারে নি এই যা! আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।