Better life with steem || The Diary Game || 22th January, 2024 ||

in Incredible India7 months ago (edited)
IMG_20240123_013037.jpg
আমার আজকের সারাদিনের গল্প

Hello,

Everyone,

আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং সকলেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।

বছর শুরুর দিন থেকে যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়ছে, তাতে এই শীতকালকে সত্যি কারের অর্থেই শীতকাল বলা চলে। আগের বছরগুলোতে শীতকালে, মাঝে মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন ঠান্ডা থাকতো, বাকি সারা মাস ততটাও শীত অনুভূত হতো না।

তবে এই বছর যত দিন যাচ্ছে শীতের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সারাদিন আমার প্রচুর শীত করছে, যদিও গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ছিলো।শীতের মধ্যেও দিনটি কিভাবে কাটালাম, সেই গল্প শেয়ার করবো এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন শুরু করি, -

সকালবেলা

IMG_20240123_012836.jpg

সকালবেলার আবহাওয়া

শুভর অফিস থাকার কারণে যথারীতি সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠলাম। দরজা খুলে ছাদের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম তখনও মোটামুটি হালকা কুয়াশা রয়েছে, তার সাথে বইছে মৃদুমন্দ শীতল বাতাস।

প্রতিদিনের মতো নিজে ফ্রেশ হয়ে, নিচে এলাম। রান্না ঘরে গিয়ে যখন জলের কাজ শুরু করলাম, তখন হাতে আর কোনো জোর পাচ্ছিলাম না। অগত্যা গ্যাস জ্বালিয়ে আগে আগুনে একটু ভালো করে সেঁকে নিলাম। তারপর পুনরায় আবার কাজ শুরু করলাম।

IMG_20240123_012145.jpg

সকালের চা

আজ নিজেও এক কাপ গরম চা খেলাম। আসলে এতো পরিমাণে শীত লাগছিল যে, এক কাপ চা খেয়ে শরীরটাকে একটু গরম করার প্রয়োজন ছিল। তাই ভাত বসিয়ে দিয়ে দু কাপ চা নিয়ে উপরে চলে গেলাম এবং অনেকদিন বাদে আজ কিছুটা সময় বসে চা টা উপভোগ করলাম।

আমি নিচে আসার সময় শুভকে ডেকে দিয়ে এলাম,কারণ তখন না উঠলে অফিসে যেতে আরো অনেকটা লেট হয়ে যেতো। একটু বাদে পিকলু কলিং বেলের আওয়াজ শুনে ছুটে গেটের কাছে গিয়ে উচ্চস্বরে ডাকতে থাকলো। গিয়ে দেখি শ্বশুর-শাশুড়ির ব্লাড নেওয়ার জন্য কাকু এসেছেন। যাকে গতকালই ফোন করে আসতে বলা হয়েছিল।

আগামীকাল শ্বশুর-শাশুড়ি মাকে ডাক্তার দেখানোর কথা। এই কারণেই তাকে ব্লাড টেস্টের জন্য ব্লাড নিতে আসতে বলা হয়েছিলো। যথারীতি শ্বশুর-শাশুড়ি দুজনের উঠলেন এবং নিজেদের ফাস্টিং এর ব্লাড দিয়ে দিলেন। বেলা দশটা নাগাদ তাদেরকে খাওয়ার কথা বলেছিলেন, যাতে পি পি টেস্ট করার জন্য খাওয়ার ২ ঘন্টা বাদে ব্লাড নিতে পারেন।

শাশুড়ি মায়ের এদিকে সমস্ত কাজ গোছাতে থাকেন এবং আমি ততক্ষণে ব্রেকফাস্ট তৈরি করে ফেললাম। আজকে ব্রেকফাস্ট শুধু আমি আর শুভ করেছিলাম। কারণ শ্বশুর-শাশুড়ির আজ ভাত খেতে হতো ব্লাড দেওয়ার জন্য। ব্রেকফাস্ট শেষ করে শুভ অফিসে বেরিয়ে গেলো, আমি আমার কাজ নিয়ে বসে পড়লাম। বাকি ঘরের বেশ কিছু কাজ শাশুড়ি মা আজ সম্পন্ন করলেন।

দুপুরবেলা

আজ যেহেতু বুমিং রিপোর্ট পাবলিশ করার দিন, তাই ম্যামের কাছে ডিটেইলস গুলো পাঠানোটা আমার সবার আগে প্রয়োজন ছিলো। তাই সেটি শেষ করে আমি পোস্ট ভেরিফাই করলাম।

তারপর ডিসকর্ডে কথা বললাম বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। কারণ বেশ কিছু কাজের দায়িত্ব অ্যাডমিন ম্যাম আমার উপরে দিয়েছেন, সেই বিষয়েও কিছু কাজ সম্পন্ন করে, তারপর আমি স্নান করতে গেলাম। কারণ ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিলো।

স্নান শেষ করে, পুজো দিয়ে সবার আগে পিকলুকে ওষুধ দিলাম। তারপর চেষ্টা করলাম ওকে দুপুরে লাঞ্চ খাওয়ানোর, কিন্তু আজ ও কিছু খেতে চাইলো না। তাই আর খুব বেশি জোর করিনি।

শ্বশুর মশাই ও শাশুড়ি মায়ের স্নান ও বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আমি সমস্ত খাবার টেবিলে নিয়ে এলাম। আজ অনেকদিন বাদে টিভি দেখতে দেখতে লাঞ্চ করেছিলাম। আজ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন ছিলো, সেই সংক্রান্ত খবরগুলোই লাঞ্চ করার সময় দেখছিলাম।

IMG_20240123_011622.jpg

হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ননদ ছবিটি পাঠিয়েছে

যথারীতি লাঞ্চ সম্পূর্ণ করে, কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসে গেলাম। মাঝে আমার ননদ ফোন করে জানাল ওনাদের ওখানে এই মন্দির উদ্বোধনের কারনে বেশ আনন্দ হচ্ছে, পুজো হচ্ছে এবং হোয়াটসঅ্যাপে সে আমাকে তুতুনের অর্থাৎ ওনার ছোটো ছেলের একটা ছবিও পাঠিয়েছেন। যেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

সন্ধ্যাবেলা

দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে এলো। সত্যি কথা বলতে আজ আর ড্রেস চেঞ্জ করে একটুও সন্ধা দিতে ইচ্ছে করছিল না। এত পরিমাণে ঠান্ডা লাগছিল, যেটা আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু না দিয়েও কোন উপায় ছিল না। তাই অনেক কষ্টে সন্ধ্যা পূজো দিয়ে আবার আমি কম্বলের নীচে ঢুকে পড়লাম। শুভ আজ অনেকবার বাইরে যাওয়ার কথা বলছিলো, কিন্তু শীতের কারণে আমার আর সাহস হলো না।

IMG_20240123_011738.jpg

বাড়িতে তৈরি সন্ধ্যাবেলার টিফিন পাস্তা

আজ সন্ধ্যার পর বাড়িতে পাস্তা বানিয়েছিলাম। অনেকদিন খাওয়া হয়নি, তাই ভাবলাম আজ একটু পাস্তা খাই। এরপর আমি, শুভ ও শ্বশুরমশাই মিলে পাস্তা খেলাম। শাশুড়ি মা শুধু চা খেলেন। উনি ডিম ও মাংসের তৈরি কোনো কিছু খান না। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আবার ডিসকর্ডে যুক্ত হলাম এবং প্রায় দুঘন্টা সময় আমি ডিসকর্ডে কাটালাম বিশেষ কিছু কাজের কারণে।

রাত্রিবেলা

IMG_20240123_012529.jpg

পিকলু চুপচাপ শুয়ে আছে

আজ রুটি তৈরি করতে যেতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো। একবার চেষ্টা করলাম পিকলুকে একটা রুটি খাওয়ানোর। কিন্তু দুপুরের মতন রাতেরও সে কিছুই খেলো না। তাই ওকে একটু সেলাইন জল করে খাওয়ালাম।

এরপর আমরা সকলে ডিনার সেরে নিলাম এবং যথারীতি আমি ডিনারের পরে সমস্ত কাজ গুছিয়ে নিজের পোস্ট লিখতে বসলাম। এইভাবে আজকের দিনটি কাটিয়েছি। পোস্ট লিখতে লিখতে রীতিমতো শীতে কাঁপছি। এতো পরিমাণে ঠান্ডা পড়েছে।

আগামীকাল আমার জীবনের একটি বিশেষ দিন। তাই সেই দিনটিকে কিভাবে পালন করবো, অবশ্যই পরবর্তী কোনো পোস্টে আপনাদের সাথে সেই গল্প শেয়ার করবো। সকলে ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।শুভরাত্রি।

Sort:  
Loading...
 7 months ago 
  • শীতের কথা কি আর বলব দিদি বেসামাল হয়ে গিয়েছি। যত দিন যাচ্ছে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে কি না বুঝতে পারছি না। ঋতু বৈচিত্রের মধ্যে কোন মিলই পাচ্ছি না। তবে ছোটবেলা শুনেছি মাঘের
    শীত বাঘের গায়ে। এর মানে মাঘ মাসে শীতের তীব্রতা সাধারণত একটু বেশি হয়।

  • পিকলুর শরীর খারাপ তা তো শুনছিলাম সে তো দুপুরে খেলোনা রাতেও খেলো না। শুধু স্যালাইন জল খেলো এভাবে কতদিন চলবে। তবে পিকলুর জন্য দোয়া করি যাতে তাড়াতাড়ি
    সুস্থ হয়ে যায়।

  • মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে তাই খুব মজা করছে আপনার ননদের ছেলের একটি ছবিও দেখতে পেলাম। এটাই স্বাভাবিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আমাদের একটা আবেগ কাজ করে। তাই ওরা দেখতে গিয়েছিল ছবিও তুলেছে।

  • সন্ধ্যায় পাস্তা খেলেন। আমার কাছে পাস্তা খেতে ভালোই লাগে। পোষ্টের শেষ প্রান্তে এসে একটি মেসেজ দিলেন, আগামীকাল আপনার
    বিশেষ একটি দিন। আমার মনে হচ্ছে বিবাহ বার্ষিকী নাও হতে পারে আইডিয়া থেকে বললাম। তো ওই দিনটির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, বিশেষ দিনটি যেন বিশেষভাবে পালন করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনের কার্যক্রমের সিংহভাগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

ঋতুর পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য এখন নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। কারন ওয়েদার দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা শীতকাল না বর্ষাকাল। তাই সবরকম কালের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 
  • একদমই ঠিক বলেছেন দিদি। কখন কি ঋতু তা বুঝা ই মুশকিল। আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।
 7 months ago 

শীতের অবস্থা দিন দিন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকালবেলা কাজ করতে গেলে তো হাতের অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। আমিও আপনার মত করেই এখন জ্বালিয়ে আগে, হাতের মধ্যে ছ্যাকা দিয়ে নেই।

আপনার দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে। আসলে বমিং রিপোর্ট যেদিন পাবলিস্ট হয়, সেদিন অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। আপনাকে ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 

আমাদের কাজ তো সকালেই বেশি থাকে। আর জল ছাড়া কোনো কাজই করা সম্ভব নয়, তাই ঐ বিভিন্ন উপায় বের করতে হয় আর কি। বুমিং সংক্রান্ত কাজগুলো কঠিন কিছু নয়, তবে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় এই যা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

আর নজর দেবেন না, শীত আর বেশিদিন নেই। আমি আবার গরম চায়ের কাপ ধরে দু হাতের পাতা গরম করি। টিভিতে সারাদিন ধরে রাম মন্দিরের খবরই দেখিয়ে গেছে ওই দিন। আমাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠায়নি তাই আমি যাইনি।🤣

 7 months ago 

এটা ভালো বলেছেন, আমন্ত্রণপত্র না পাওয়ায় আর যান নি। আমার নজর লাগবে না। কারন যদি লাগত তাহলে বছরের অন্যান্য কাল থাকলেও শীতকাল বলে কিছু থাকতো না। ☺

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59304.77
ETH 2534.68
USDT 1.00
SBD 2.41