Better life with steem || The Diary Game || 22nd April, 2024 ||
"সারাদিনের কিছু মুহুর্ত"
Hello,
Everyone,
খবরে শুনলাম আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আরও বেশি গরম পড়বে। আজকাল যে পরিমাণে গরম পড়ছে, সেটা সহ্য করাই এতটা কষ্টকর, না জানি সামনে আরো কি দিন আসতে চলেছে।
যাইহোক কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি প্রত্যেকে ভালো আছেন এবং এই আবহাওয়ায় সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করছেন।
গত কয়েকদিন ধরে আমাদের বাড়িতে প্রায় প্রত্যেকেরই কমবেশি ঠান্ডা লেগেছে। তবে গতকাল রাত থেকে আমার ও শাশুড়ি মায়ের দুজনের অবস্থায় বেশ শোচনীয়। শাশুড়ি মায়ের প্রচন্ড কাশি হয়েছে এবং আমার নিজের প্রচন্ড গলা ব্যথা।
মানে সামনে আমারও কাশির দিন আসতে চলেছে। যাইহোক এই অবস্থায় আজকের দিনটি কিভাবে কাটালাম, সেই গল্পই আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। চলুন তাহলে শুরু করি, -
"সকালবেলা"
যেহেতু আজ সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিন, এই কারণে ফোনের অ্যালার্মে সকাল ৭.৩০ নাগাদ ঘুম ভেঙেছে। তখনও দেখছি বাইরে রোদ্দুর ভালোই উঠে গেছে। ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে, নিচে এসে প্রথমে ঠাকুরের পুজোর ফুল তুললাম।
তারপর রান্নাঘরে গিয়ে শুভর জন্য চা বসালাম। ততক্ষণে শশুর মশাই উঠে গেছেন বলে, ওনার জন্যেও আরেকটু জল বেশি দিলাম, যাতে ওনাকেও একেবারে চা দিয়ে দিতে পারি।
শুভর জন্য চা নিয়ে উপরে গেলাম। তখন শুভ বলল ও আজ অফিসে যাবে না। অবশ্য ওর শরীরটা বেশ খারাপ। সেই কারণে আমিও আর কিছু বলিনি। নীচে এসে আমি মাছটা ফ্রিজে রেখে দিলাম। যেহেতু অফিসে যাবে না, তাই দুপুরের দিকে রান্না করলেও হয়ে যাবে। তবে যেহেতু ভাতটা অর্ধেক হয়ে এসেছিল, তাই সেটা একেবারেই করে রেখেছিলাম।
এরপর সকলের জন্য ব্রেকফাস্ট এর রুটি তৈরি করলাম, তার সাথে অল্প করে ছোলার ডাল রান্না করে রাখলাম। এরপর ঘরের টুকটাক কাজ করতে থাকলাম। তখনই শাশুড়ি মা ও ঘুম থেকে উঠলেন।
কিছুক্ষণ বাদে শুভ ও শাশুড়ি মা ফ্রেশ হয়ে নিলেন এবং আমরা একসাথে আজকে সকালের ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। আজকাল যা রোদ্র ওঠে তাতে আমাদের দোতলার ঘরে থাকা অনেক বেশি কষ্টকর। এই কারণে বেলা বাড়ার সাথে সাথে শুভ নিজের রুমে চলে আসে। যেহেতু অফিসে যাইনি তাই শুয়ে শুয়ে আজ সিনেমা দেখছিল। আর আমি নিজে কমিউনিটির কাজ করছিলাম।
"দুপুরবেলা"
শুভ বাড়ি থাকার কারণে আজ পিকলুকে ওই স্নান করিয়ে দিয়েছিল, তাই আমাকে আর ওদিকে যেতে হয়নি। শাশুড়ি মা রান্না করতে গিয়েছিলেন। আর আমার বেশ কিছু জামা কাপড় কাঁচা বাকি ছিলো, আমি সেগুলো কেঁচে নিয়ে ঠাকুরের পূজোর বাসন গুলো মেজে, একেবারে স্নান করে নিলাম। তারপর ঠাকুর পুজো দিয়ে সমস্ত খাবারগুলো টেবিলে এনে গুছিয়ে রাখলাম।
এরপর এক এক করে বাড়ির প্রত্যেককে স্নান করে নিলো। ততক্ষণে পিকলুকে ওর লাঞ্চ দিয়ে, আমি আমাদের লাঞ্চগুলো গুছিয়ে নিলাম। আজকাল যে পরিমাণে গরম পড়েছে, তাতে শুধুমাত্র টক ডাল ছাড়া আর কিছুই খেতে ভালো লাগে না। মা আজ অল্প করে আলু ভাজা করেছিলো। আমি আর শুভ টক ডালের সাথে আলু ভাজা দিয়েই প্রায় সবটা ভাত খেয়েছি।
"বিকালবেলা"
খাওয়া-দাওয়া শেষে যথারীতি শুভ সিনেমা দেখতে শুরু করলো। আর আমি শুয়ে একটু কমিউনিটির কাজ দেখছিলাম। শরীরটা এতটাই খারাপ লাগছিল যে, ফোন দেখতেও ভালো লাগছিল না। এজন্য ফোনটা চার্জে বসিয়ে বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। একটু বাদে আবার কাজ করতে শুরু করলাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
আজ অনেকদিন বাদে সন্ধ্যা পুজো আমার শাশুড়িমা দিয়েছে। কেন জানি না একদমই উঠতে ইচ্ছে করছিল না। শুভ ততক্ষণে সিনেমা দেখে ঘুমিয়ে পড়েছে, আমার আর তেমনভাবে ঘুম হয়নি। এপাশ-ওপাশ করেই সন্ধ্যা পার হয়ে গেলো।
তারপর আমি বসলাম বুমিং এর কাজ নিয়ে। সন্ধ্যা দিয়ে শাশুড়ি মা একটু পাশের বাড়িতে গিয়েছিল। একজন মামার চোখে ছানি অপারেশন হয়েছিল তাকে দেখতে, যার কথা আমি আগেও পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কিছুক্ষণ বাদে শ্বশুর মশাই ঘুম থেকে উঠলেন, তাই ওনাকে চা দিলাম এবং প্রয়োজনীয় কিছু কথা বললাম ডিসকর্ডে।
এরপর আমি আবার চুপচাপ কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। ভিতরে তেমন একটা অস্বস্তি কাজ করছে বুঝতে পারছি না। কোন কিছুই যেন ভালো লাগছে না। ঠিক কি করলে ভালো লাগবে, সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না। সবকিছু মিলিয়ে একটা বিরক্তিকর অনুভূতি।
"রাত্রিবেলা"
যাইহোক কিছুক্ষণ বাদে শুভ চুল কাটার জন্য সেলুনে গেলো। ও একটু রাত করেই যায়, কারণ সন্ধ্যার দিকে সেলুনে বেশ ভিড় থাকে। কিছুক্ষণ বাদে কলিংবেলের আওয়াজ শুনে গেটে গিয়ে দেখলাম, পিকলুকে পাশের বাড়ি থেকে নিতে এসেছে।
গতকাল যার বৌভাতে গিয়েছিলাম, সেই বাড়িতে পিকলুকে নিয়ে গেছে, নতুন বউ এর সাথে আলাপ করাতে। পিকলুও খুশি খুশি চলে গেলো। আমিও ঘরে এসে একটু শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ বাদে শাশুড়ি মা এলেন, আমাকে শুয়ে থাকতে দেখে তিনি বুঝতে পেরেছেন হয়তো শরীরটা খুব একটা ভালো নেই। তাই বললে না আজ রাতে আর রুটি করতে হবে না, শশুর মশাইকে ওটস দিয়ে দেবেন।
সত্যি শরীরটা এত খারাপ লাগছিল যে, আমি আর জোর করিনি। তিনি কিছুক্ষণ বাদে শশুর মশাই ওটস করে দিলেন। আমিও বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে নিজের পোস্ট লেখা কিছুটা এগিয়ে রাখলাম। এরপর উঠে গিয়ে ভাত গরম করলাম এবং শুভ আসার পর আমরা তিনজন মিলে ডিনার সেরে নিলাম। পিকলুকে রাতে চিড়ে আর মুড়ি দিয়েছিলাম, ওর জন্য আর আলাদা করে আজ রুটি করিনি।
এইভাবে কেটেছে আমার আজকের সারাটা দিন। কোথা দিয়ে দিনটি পার হলো বুঝতেও পারিনি। অথচ এখন পোস্ট লিখতে এসে মনে হচ্ছে, জীবন থেকে আরও একটা দিন শেষ হয়ে গেলো।
যাইহোক সবশেষে সকলের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলব, - বাইরে প্রচন্ড গরম সুতরাং খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে না বেরোনোর চেষ্টা করবেন। আর যদিও বেরোতে হয়, অবশ্যই সাথে ছাতা রাখবেন, যাতে সূর্যের তাপ সরাসরি শরীরে না লাগে।
সকলে সুস্থতা কামনা করে, আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে। শুভ রাত্রি।
বর্তমানে এত পরিমাণ গরমের তাপমাত্রা বেড়েছে যা বলার মত নয়। হঠাৎ করে এরকম আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাত অবধি সারাদিন বেশ ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করেছেন।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সংসার মানেই দায়িত্ব। আর দায়িত্ব মানেই ব্যস্ততা থাকবে। তাই এই ব্যস্ততা সারা বছরের সঙ্গী বলতে পারেন। সত্যিই আজকাল যে পরিমাণ গরম পড়ছে, তাতে শরীর খারাপ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রচন্ড গরমে বাচ্চারা ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। তাই তাদের দিকে বাড়রি নজর দেয়া দরকার।
এই গরমে সত্যি টক ও তেতো খেতে শুধু ভালো লাগে। ঝাল যতটুকু পারা যায় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
আপনার পিকলুকে দেখতে ভালোই লাগে, আর তার খাবার তালিকা দেখে আরো অবাক হই।
ধন্যবাদ সুন্দর দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদমই তাই টক আর তেতোই এই গরমের উপযুক্ত খাবার। তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে তেতো পছন্দ নয়, এই কারণে টকই ঠিক আছে। আর বলবেন না, পিকলুর যে কখন কি পছন্দ হয় তা নিয়ে আমরাই মাঝে মধ্যে অবাক হয়ে যাই। তবে ওর সবথেকে পছন্দ সেগুলোই, যেগুলো ওর খাওয়া বাড়ন আছে 😊। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
এখন সবারই ঠান্ডা জ্বর আক্রান্ত হচ্ছে এবং শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষটাও ঠান্ডা জ্বর আক্রান্ত হচ্ছে, আপনার পিলু কে গোসল করালে আরো সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি দিন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আমাদের বাড়িতে সকলের ঠান্ডা, জ্বর, কাশি শুরু হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলো। এই গরমে পিকলু অনেক কষ্ট পাচ্ছে, তাই আজকাল রোজ ওকে ভেজা তোয়ালে দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হচ্ছে। আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এত বিশ্রী রকমের গরম পরেছে যে এর কথা আর কি বলবো। বৃষ্টির কোন নাম গন্ধও নেই। এ মাসে নাকি আর হবেও না।সংবাদে এমনটাই দেখলাম।
এতে করে সবাই ঘরে ঘরে অসুস্থ হয়ে পরছে।আপনাদেরই মতো আমার ছোট ছেলে গলাব্যাথা আর কাশিতে ভুগছে, সাথে মাথা ব্যাথা ফ্রি।
এই গরমের মাঝে দাদা অফিসে না যাওয়ায় আপনাকে আর সকালে রান্না করতে হয়নি।যদিও ভাত প্রায় হয়ে এসেছিল বলে সেটা রান্না করতেই হয়েছিল আপনাকে।
পিকলু পাশের বাড়িতে বেড়াতেও যায় জেনে মজা পেলাম ।ওকে যদিও কখনো দেখি নাই তারপরও ওর সমন্ধে পড়ে পড়ে ওর পেতি আলাদা একটা ভালোবাসা জন্মে গেছে আমার।
ভালো থাকবেন সবসময়ই।