Better life with steem || The Diary Game || 20th January, 2024 ||

in Incredible India7 months ago (edited)
IMG_20240121_005139.jpg

"শনিবারের সারাদিন"

Hello,

Everyone,

আশাকরছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।

বেশ কিছুদিন বাদে আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার সারাদিনের গল্প। শনিবার মানেই আমার কাছে দিনটা একটু স্পেশাল। কারণ পরের দিন অর্থাৎ রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

সুতরাং এই ঠান্ডার সময় ছুটির দিন মানেই সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার কোন তাড়া থাকে না। একটু বেলা পর্যন্ত কম্বলের ভিতরে আরাম করে শুয়ে থাকার সুযোগ পাওয়া যায় এই একটি দিনেই। তাই শনিবার রাতটা আমার জন্য অনেক বেশি আনন্দের। চলুন সারাদিন কিভাবে কাটালাম সেই গল্প এবার আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

1672344690977_010726.jpg

সকালবেলা

IMG_20240121_005013.jpg

"আমাদের ছাদের ফুলগাছ"

যেহেতু শুভর অফিস ছিল, তাই প্রতিদিনের মতন অ্যালার্মের সাথে সাথেই ঘুম ভাঙলো এবং আমি উঠে শীতের পোশাক পড়ে, ফ্রেশ হয়ে নিয়ে নিচে নামলাম।

সকাল থেকেই আজ হালকা হাওয়া বইছিল, যার কারণে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেশি অনুভূত হচ্ছিল। গতকাল যদিও শীতের তীব্রতা এতটা অনুভূত হয়নি, তবে আজ আবার সকাল থেকেই অনেক বেশি শীত করছিল। সূর্য মামার দেখা আজ সকাল থেকেই ছিল না, তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তিনি একটু উঁকি দিয়েছিলেন।

IMG_20240121_004625.jpg

"শুভর সকালের চা"

প্রতিদিনের ন্যায় সকলে উঠে আমি রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে চা করলাম। তারপর রান্না বসিয়ে দিলাম। মাঝে অবশ্য শুভকে ডেকে উপরে চা দিয়ে আসলাম। পিকলু গত দুদিন ধরে সকালবেলায় ওর বিছানা থেকে একদমই নামছে না, শরীরটা বেশ দুর্বল রয়েছে, এই জন্য সকালে ওকে আর ডিস্টার্ব করিনি।

ব্রেকফাস্ট শেষ করে শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর, আমি রুটি তৈরি করেছি। কারণ শ্বশুর-শাশুড়ি দুজনেই বেশ বেলাতে ঘুম থেকে ওঠেন। তারপর ফ্রেশ হয়ে ওনার দুজন একসাথে ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়েছিলেন। পিকলুকে সকালের ওষুধ খাওয়ানোর ছিল, সেগুলো খাইয়ে দিয়ে আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। বেশ কিছু পোস্ট ভেরিফাই করার পর, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডিসকর্ডে অ্যাডমিন ম্যামের সাথে কথা হলো।

IMG_20240121_004505.jpg

"আমার ব্রেকফাস্ট"

তারপর আমি একটা রুটি ও বেগুন ভাজা খেয়ে নিয়েছিলাম। কারণ ততক্ষণে ঘড়িতে সারে বারোটা বেজে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ বাদেই আবার লাঞ্চের টাইম হয়ে যাবে বলে, আমি আর বেশি কিছু খাইনি।

1672344690977_010726.jpg

দুপুরবেলা

শীতকালের বেলা কখন গড়িয়ে যায়, বোঝাই যায় না। কোনো রকমে ব্রেকফাস্ট সেরে আমি ঘরের কাজে হাত দিলাম। বেশ কিছু ভিজে জামা কাপড় ঘরে রাখা ছিল, সেগুলো যদিও বা ছাদে মেলেছিলাম তবে,রোদ্দুরের তাপ ছিল না,তবে হাওয়ায় যতটুকু শুকায় সেই জন্যই দিয়েছিলাম।

IMG_20240121_004444.jpg

"পিকলুর ওষুধ"

শাশুড়ি মা গরম জল বসিয়ে দিয়েছিলেন, তাই গরম জল হয়ে গেলে স্নান করে প্রথমে পুজো দিলাম। তারপর পিকলুকে ওর লাঞ্চ করিয়ে দিলাম। ও অল্প একটু খেলো, তারপর দুপুরের ওষুধগুলো দিয়ে দিলাম। অন্যদিকে শশুর মশাই স্নান করে গীতা পাঠ সেরে নিলেন।

ততক্ষণে শাশুড়ি মায়ের রান্না শেষ হয়ে গিয়েছিল, আমি সমস্ত খাবার টেবিলে নিয়ে এলাম। শাশুড়ি মা রান্নার ঘরের কাজ সেরে আসলে, আমরা একসাথে লাঞ্চ করতে বসলাম। প্রতিদিন লাঞ্চ করতে আমাদের বেশ বেলা হয়ে যাচ্ছে।

লাঞ্চ সেরে উঠে যথারীতি কমিউনিটির কাজ নিয়েই বসলাম। শাশুড়ি মা ছাদ থেকে জামা কাপড় গুলো নিয়ে এসেছিলেন, তাই আজ আর আমাকে ছাদে যেতে হয়নি। একটু বাদে আমার ননদ দুই ছেলেকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এলো।

1672344690977_010726.jpg

সন্ধ্যাবেলা

ননদের সাথে গল্প করতে করতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল। শাশুড়ি মা আজ সন্ধ্যা দিয়ে দিয়েছিলেন। কমিউনিটি বেশ কিছু কাজ আমার সেই মুহূর্তে করার ছিল, তাই আমি আলাদা রুমে গিয়ে নিজের কাজ শেষ করলাম। তারপর সকলের জন্য চা করলাম এবং চা খেতে খেতে গল্প করছিলাম।

আজ অ্যাডমিন ম্যাম বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেগুলো পালনের জন্য আমি সাড়ে সাতটার সময় নিজের রুমে চলে গেলাম। প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা আমি সেই দায়িত্ব পালন করার পর, পুনরায় রান্নাঘরে গেলাম।

1672344690977_010726.jpg

রাতের বেলা

IMG_20240121_004930.jpg

"আজ রাতের ডিনার-লুচি,ছোলার ডাল ও মিষ্টি"

রাতে ননদের এখানেই খাবে, তাই রাতে লুচি এবং ছোলার ডাল রান্না করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ বাদে আমার ননদের হাজব্যান্ড এলে, সকলে মিলে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পর, এক এক করে ডিনার করতে শুরু করলো। ইতিমধ্যে অবশ্য আমি পিকলুকে রুটি খাইয়ে দিয়ে ওর ওষুধও খাইয়ে দিয়েছিলাম।

ডিনার শেষ করার পরে ননদরা বাড়িতে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিলেন। বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা, তার মধ্যে সকালে গাড়িতে করে ফিরবে, তাই সকলেই মোটামুটি শীতের পোশাক পড়ে নিল এবং এক কিছুক্ষণ বাদে তারা রওনা হলে, আমি নিজের কাজগুলো গুছিয়ে এসে, তারপরেই পোস্ট লিখতে বসলাম।

এরপর ভেরিফিকেশন করে তারপর ঘুমাতে যাবো। আগামীকাল সকালে একটু বেলাতে ঘুম থেকে ওঠার ইচ্ছে রয়েছে। যদিও জানিনা নতুন দিনে ঈশ্বর আমার জন্য কি পরিকল্পনা করে রেখেছেন।

IMG_20240121_004425.jpg

"আমার পিকলুকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে এলাম"

যাইহোক এইভাবে আমার শনিবারের দিনটা কাটল। পিকলুর শরীর আগের থেকে এখন একটু ভালো, এটাই আমার একমাত্র স্বস্তি। ভালো থাকবেন সকলে, সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন।

Sort:  
 7 months ago 

দিদি, প্রথমেই বলবো লুচি, ডাল এর কথা। লুচি আর ডাল আমার অনেক বেশি প্রিয়। আমার মা মাঝে মধ্যেই আমাকে বানিয়ে দেয়।। আপনার পিকলুকে যত দেখি মনটা ভরে যায়।। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।

 7 months ago 

জেনে ভালো লাগলো আপনিও লুচি আর ডাল পছন্দ করেন। তবে আমার লুচির সাথে আলুর দম এবং ঘুগনি, যেটাকে আপনাদের ওখানে চটপটি বলে সেটা খেতে বেশি ভালো লাগে। পিকলুর জন্য শুভকামনা রাখবেন।ভালো থাকবেন।

Loading...

সূর্যমামা বেলা বাড়তে উঁকি দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু মনে হচ্ছে কিছুদিনের জন্য তিনি তার তেজ হারিয়েছেন। হয়তো বা তিনি তার তেজ জমাচ্ছেন গরমকালে আমাদের ঝলসে মারবেন বলে। আপনি কি সুন্দর লাঞ্চ করে উঠে কাজ করতে পারেন। আমার আবার লাঞ্চ করার পর এত ঘুম পেয়ে যায় যে সোজা বিছানায় চলে যাই।

 7 months ago 

এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে গরম কালে আমরা ঝলসে যাবো। এখন শীতে কাঁপছি, তখন গরমে ঘামবো। প্রকৃতিও আমাদের অবস্থা দেখে হাসছে। কারন, আমরা এতো অত্যাচার করি এখন ওর বদলা নেওয়ার সময়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 

আসলে শীতের সময়টা কখন যে পার হয়ে যায় বুঝতেও পারা যায় না। আপনার অবস্থাও ঠিক তাই হয়েছে। মাঝে মাঝে তো আমার মনে হয়। শীতের সকালে আমি কখন নাস্তা করেছি কিনা মনেই থাকে না।

দুপুরবেলা পিকলু বাবুকে ওষুধ খাইয়ে দিয়েছেন। এবং কমিউনিটির কিছু কাজ করেছেন। সন্ধ্যাবেলা আপনার ননদের এসেছে তার মাঝেও আপনাকে কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।

আমাদের সাথে গল্প করতে করতে আপনার লুচির কথা শেয়ার করেছিলেন। সত্যিই লুচি গুলো দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। তার সাথেই ছোলার ডাল হয় তাহলে তো খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। পিকলু বাবু খুব মজা করেই ঘুমাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 

শীতের সকালে বেশিরভাগ দিন ব্রেকফাস্ট হয় দুপুরে,আর দুপুরের লাঞ্চ করি বিকেলে,রাতের কথা আলাদা করে নাই বা বললাম। সময় যে কোথা দিয়ে পার হয়ে যায় সত্যি বোঝা যায় না। আর তার মধ্যে যদি বাড়িতে কেউ বেড়াতে আসে তাহলে তো হয়েই গেলো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 
  • গোলাপি আমার পছন্দের একটি কালার। আর আপনার সাদে ফুটেছে গোলাপি রঙের অসম্ভব সুন্দর কিছু ফুল। অসম্ভব ভালো লাগছে আমার
    ফুলগুলোকে দেখে। আজকের নাস্তায় ছিল আপনার চা বিস্কিট। অবশ্য খানিকক্ষণ পর বেগুন ভাজা দিয়ে রুটি খেয়ে নিয়েছেন। আপনি পূর্বের একটি পোস্টে উল্লেখ করেছিলেন পিকলুর শরীর স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নয়, ওকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়াচ্ছেন আজও তাই করলেন। রাতের খাবারটা তো সেই ছিল লুচি দেখলে ই আমার জিভে জল চলে আসে আর কি বলব। মোটামুটি ভালই কাটল আপনার দিনটি। যদিও পিকলু শরীরটা খুব একটা ভালো নয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনের কার্যক্রমের কিছু অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
 7 months ago 

পিকলু শরীরটা অনেকদিন ধরেই খারাপ। নিয়মিত ওকে ওষুধ খাওয়াচ্ছি। মাঝে দুবার ডক্টর দেখানো হলো, কিন্তু শরীরটা কিছুতেই সুস্থ হচ্ছে না। কি যে সমস্যা হচ্ছে ঠিক বুঝতে পারছি না। লুচি খেতে বোধহয় সকলেই ভালবাসে। আর শীতের মধ্যে গরম গরম লুচি খাওয়ার মজাই আলাদা। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 
  • হ্যাঁ দিদি অনেকদিন থেকেই কিন্তু পিকলু অসুস্থ। কিছুই খেতে চাচ্ছে না স্যালাইন জল খেয়ে কতটুকু ই আর হয়। সত্যি কথাই বলছেন আপনি লুচি পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দায়। ধন্যবাদ আপনাকে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 58793.48
ETH 2508.69
USDT 1.00
SBD 2.44