Better life with steem || The Diary Game || 19th March, 2024 ||
|
---|
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আমার দিনটি আজ সকাল থেকেই ভীষণ খারাপ কাটছে। কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সকাল থেকেই মাথা প্রচন্ড গরম হয়ে আছে। আজ চাইলেও কিছুতেই রাগ কমছে না।
আসলে দিনের শুরুটা খারাপ দিয়ে হলে, বোধ হয় সারাটা দিন এরকম ভাবেই কাটে। যাই হোক কেন দিনটা ভালো কাটেনি, কি জন্য মাথা গরম, সবটাই আজ পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। চলুন তাহলে শুরু করি, -
|
---|
আর পাঁচটা দিনের মতন সকাল বেলায় উঠে রুটিন মাফিক সমস্ত কাজ শেষ করলাম। সকালে নিচে নেমে শুনলাম শাশুড়ি মা আজ নাকি এক বেলার জন্য বাড়িতে আসবেন। কারণ সপ্তাহিক বাজার প্রায় শেষ, তাই উনি সকালে এসে বাজার করে, আবার বিকেলে ননদের বাড়িতে চলে যাবেন।
তাতে বুঝলাম দুপুর বেলায় উনি লাঞ্চ করবেন। তাই সেই অনুযায়ী সকলের জন্য রান্না সেরেছিলাম আজ। সবেমাত্র ব্রেকফাস্ট করে শুভ অফিসে বেরিয়েছে, তার মিনিট দশের মধ্যে শাশুড়ি মা বাজার হাতে বাড়িতে ঢুকলেন।
সকালে টিফিন না করেই ননদের বাড়ি থেকে রওনা করেছিলেন, যেহেতু বাজার করতে হবে। একথা শোনার পর ওনাকে আবার চা করে দিলাম, উনি রুটি দিয়ে খেলেন। শশুর মশাইয়ের ব্রেকফাস্ট আগেই হয়ে গিয়েছিলো।
সবেমাত্র কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসবো ঠিক করেছি, এরকম সময় শ্বশুর মশাইয়ের ফোনে ফোন এলো। কথোপকথন শুনে বুঝলাম বাড়িতে কোনো আত্মীয় আসতে চলেছে, সেই মুহূর্তেই আসলে মাথাটা গরম হয়ে গেলো। পিকলু এসে সেই মুহুর্তে এসে আমার খাটে ওঠার চেষ্টা করলো। ওকে তুলে দিয়ে আমি বাকি কাজ করলাম।
যে ব্যক্তিটি আসবে বলে আন্দাজ করছিলাম, তাকে ব্যক্তিগতভাবে আমার একদম পছন্দ নয়। তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে, তবে সেই সম্পর্কে আজ আর কিছু লিখছি না। বিষয়টি নিয়ে সেই সময়ই শাশুড়ি মায়ের সাথে রান্নাঘরে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হলো।
তখন থেকেই আসলে মুডটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক এরপর উনি মাছ কাটতে গেলেন, আর আমি ঘরের কাজ করে শেষ করলাম। তারপর আমি সবজি বাজার গুছিয়ে ফ্রীজে তুলে রাখলাম। আত্মীয় আসার কারণে আবার রান্না করতে হয়েছিলো, যেগুলো আমি নয় শাশুড়িমাই করেছিলেন।
|
---|
বেশ কিছুক্ষণ বাদে যথারীতি সেই আত্মীয় এলেন, যার সাথে শশুর মশাই সকালে ফোনে কথা বলছিলেন। খুব সত্যি কথা বলতে আগে ইচ্ছা না থাকলেও, অনেক সময় অনেক কিছু করতাম, কিন্তু আজ প্রথমবার সেটুকুও করলাম না। আমার মনে হয় প্রণাম সেই ব্যক্তিকে করা উচিত যার, প্রতি মন থেকে ভক্তি আসে। তবে এই ব্যক্তিটির প্রতি আমার বিন্দুমাত্র ভক্তি আসে না, তাই আজ সেটাও করিনি।
মিথ্যে বলবো না, মনের ভিতরে নিজের বিবেকের সাথে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিলো। একবার মনে হচ্ছিল করা উচিত, ঠিক সেই মুহূর্তেই আবার মনে হচ্ছিল লোক দেখানো কাজগুলো করার আসলেই কোনো মানে হয় না। তাই শেষ পর্যন্ত ঠাণ্ডা লড়াইয়ের ইতি টানলাম, প্রণাম না করার সিদ্ধান্ত নিয়েই।
আসলে সেই সময় কমিউনিটি সংক্রান্ত বেশ কিছু কথাবার্তা বলার জন্য আমি ডিসকর্ডে যোগ দিয়েছিলাম। আর কথাবার্তা শেষ করে, যখন ওনার সাথে কথা বলেছি, তার মাঝে বেশ কিছুটা সময় অতিক্রম হয়ে গিয়েছিলো।
যাইহোক এরপর শাশুড়ি মা মাছগুলো গুছিয়ে রেখে অল্প কিছু রান্না করলেন, আর আমি বেশ কয়েকটি জামা কাপড় ধুয়ে ছাদে মেলে দিয়ে স্নান করে নিলাম। তারপর যথারীতি আমি পিকলুকে লাঞ্চ করিয়ে দিলাম। সবশেষে শ্বশুরমশাই ও উনার পিসতুতো ভাই অর্থাৎ আমার কাকা শ্বশুরকে খেতে দিলাম।
ওনাদের খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর আমি এবং শাশুড়ি মা লাঞ্চ শেষ করলাম। তারপর আমি আমার রুমে দরজা দিয়ে কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসে পড়লাম। কমিউনিটির কাজের ক্ষেত্রেও আজ এমন অনেক বিষয় ঘটেছিলো, যে বিষয়গুলো নিয়েও আসলে আমার মাথাটা অনেক বেশি গরম ছিল।
|
---|
এই সমস্ত ব্যাপার গুলো ঘিরে সারাদিন বেশ মাথা খারাপ ছিল। যাই হোক ইতিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে শাশুড়ি মা তৈরি হয়ে নিলেন ননদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। প্রথমে কথা ছিল কাকাশ্বশুর আজ বিকালে চলে যাবেন, কিন্তু তখনো উনি ঘুমাচ্ছিলেন দেখে আমি মনে মনে এটা বুঝে গিয়েছিলাম, তিনি আজ আর যাচ্ছেন না।
যাইহোক শাশুড়ি মা বেরিয়ে গেলে, আমি বেশ কিছুক্ষণ ডিসকর্ডে কথা বললাম। এরপর শ্বশুর মশাই ও কাকা শ্বশুর ঘুম থেকে উঠলে আমি ওনাদেরকে চা করে দিলাম। চা খেয়ে দুজনে মিলে বাইরে একটু হাটতে গেলেন, আর ঠিক সেই মুহূর্তে শুভ অফিস থেকে বাড়ি ফিরলো।
সারাদিনের জমা রাগ গিয়ে পড়ল শুভর উপরে। যাই হোক শাক আলু কেটে রাখা ছিলো টেবিলের ওপরে। ও সেগুলো খেলো, আর তার সাথে একটা মিষ্টি।
|
---|
ও যথারীতি উপরে চলে এলে, আমি আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসে পড়লাম। রাগ যতই হোক না কেন কমিউনিটির কাজের ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না, সেটা ভেবে কিছুক্ষণ কাজ করে, আমি আবার রাতে ডিনার তৈরি করার জন্য উঠে পড়লাম।
রাতে সকলের জন্য রুটি করেছিলাম। আর তার সাথে আলুর তরকারি এবং ডিম ভাজা, আর মিষ্টি। এই সবকিছু দিয়ে সকলেই ডিনার কমপ্লিট করলো। এর মাঝে অবশ্য আমি পিকলুকেও ডিনার করিয়ে দিয়েছিলাম।তারপর সমস্ত কাজ গুছিয়ে আমি কিছুক্ষণ আগে এসে পোস্ট লিখতে বসলাম।
এই ভাবেই একটা বিরক্তিকর দিন কাটালাম। খুব সত্যি কথা বলতে, শরীরটাও খারাপ ছিলো, তার মধ্যে কত দিন ধরে টানা সমস্ত কাজ আমাকে একা করতে হচ্ছে এবং তার উপরে যদি একজন আত্মীয় আসে, তাহলে মাথা গরম হওয়াটা স্বাভাবিক। তাও যদি সেই ব্যক্তি নিজের অপছন্দের হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই।
যাইহোক এটাই জীবন। ভাললাগা মন্দলাগার পাশাপাশি বিরক্তিও জীবনের একটি অঙ্গ। তাই মাঝে মধ্যে এইরকম বিরক্তিকর কিছু কিছু দিন ও আমাদের কাটাতে হয়।
আপনাদের দিন কেমন কেটেছে, কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ভালো থাকবেন শুভ রাত্রি।
মাঝেমধ্যে আমাদের এরকম দিন, বা এরকম মানুষ ,এরকম পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়, তখন সারাদিন টা এই মুড অফ এবং মন খারাপ থাকে।।
তবে দিদি আমিও কিন্তুু, আপনার মত মাঝেমধ্যে সারা দিনের মন খারাপ অভিমান কষ্ট দুঃখ দিনশেষে রাতের বেলা কিন্তুু হাজবেন্ডের ঘাড়ের উপরেই চাপিয়ে দেই যদি পরেও বুঝতে পারি তবে এটা কেন জানি হয়ে যায়।।
প্রার্থনা করছি বাকি দিনগুলো খুব সুন্দর কাটুক ধন্যবাদ সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.