Better life with steem || The Diary Game || 16th January, 2024 ||
"আমার গতকালের সারাদিনের কিছু মুহুর্ত"
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। সত্যি কথা বলতে, আমার দিন ভালো কাটছে এ কথা বলতে পারছি না, শুধুমাত্র এতো বেশি ঠান্ডার কারণে।
যাইহোক প্রকৃতির ওপরে আসলে আমাদের কারোর হাত নেই। তাই প্রকৃতির সাথে মানিয়ে চলাতেই নিজেদেরকে অভ্যস্ত করতে হবে। কষ্ট হলেও সেই চেষ্টা আমিও করে চলেছি। যাইহোক গত কালকের সারাটা দিন আমি কি করে কাটালাম, সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে শুরু করি।
"সকালবেলা"
গতকাল সকালে ঘুম ভেঙেছিল ভোর পাঁচটায়। না অ্যালার্মের শব্দ নয়, হঠাৎ করেই ঘুমটা ভেঙে গেলো। বোধহয় কিছু একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু এখন আর মনে করতে পারছি না যে কি স্বপ্ন দেখছিলাম। যখন ঘুম ভেঙেছিল তখন ঘড়িতে পাঁচটা বেজে তিন মিনিট। বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা এটা অনুভব করতে পারছিলাম। তাই আর সেই মুহূর্তে ওঠার সাহস করিনি।
প্রথমত ভেবেছিলাম বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা হবে,,আগের দিনের মতো। তারপর কোনোরকমে জানালার পাল্লা খুলে দেখলাম কুয়াশা নেই, তবে মৃদু মৃদু বাতাস বইছে ঠিকই। তারপর পাল্লা লাগিয়ে আবার চুপচাপ শুয়ে পড়লাম এবং সেই সময় বেশ কিছু পোস্ট আমি ভেরিফাই করেছিলাম, যেগুলো রাতে করা বাকি ছিলো।
এরপর যথাসময়ে অ্যালার্ম বাজলো। আমিও নিজের সাথে যুদ্ধ করে বিছানা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ তখন হোক বা ১০ মিনিট বাদে হোক, বিছানা তো ছাড়তেই হবে। তাই নিজেকে বুঝলাম, দেরি করে লাভ নেই উঠে পড়াই ঠিক হবে।
উঠে শীতের পোশাকগুলো পড়ে কোনো রকমে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম। নতুন করে আর জলের কথা নাই বা বললাম। কারণ আমার বিশ্বাস আমার মত সকলেই এই একই কষ্ট প্রতিদিন সকালে অনুভব করেন। বাথরুম থেকে এসে বুঝলাম শুধুমাত্র একটা সোয়েটারে শীত মানাবে না, তাই শুভর একটা হুডি গায়ে দিয়ে নিলাম, কারণ হাতের সামনে ওটাই পেয়েছি।
সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় মনে হচ্ছিল যেন আমি বরফের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, কারণ বাইরে তখন বেশ হওয়া বইছিল। যার কারণে শীতের তীব্রতা আরো বেশি অনুভব হচ্ছিলো। নিচে এসে দরজায় নক করতে শ্বশুরমশাই দরজা খুলে দিলেন, আমি তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে আবার দরজা লাগিয়ে দিলাম যাতে বাইরের হাওয়া না ঢোকে।
এরপর রান্নাবান্না শুরু করার প্রস্তুতি নিলাম। যেহেতু শশুর মশাই শাশুড়ি মা একটু দেরি করে রুটি খান, তাই ভাবলাম রুটিটা পরে করি, আগে অফিসের জন্য টিফিন তৈরি করে নিই। ভাত বসিয়ে দিয়ে শুভর জন্য চা করে, উপরে নিয়ে গেলাম।
ওকে চা দিয়ে, গরম জল দিয়ে, ডেকে আসলাম। জানালা আজকে আর খুলিনি, লাইট জ্বেলে রাখলাম। শুভ উঠে ফ্রেশ হতে গেলে আমি ততক্ষণে টিফিন গুছিয়ে ওর ব্রেকফাস্ট রেডি করলাম। প্রায় ১০.১০ নাগাদ ব্রেকফাস্ট সেরে ও অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলো, তারপর আমি সকালে পোস্ট লিখতে বসলাম।
"দুপুরবেলা"
ফ্রিজে বেশি মাছ না থাকার কারণে শাশুড়ি মা আজ একটু বাজারে গিয়েছিলেন মাছ জানার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনিও এসে পড়লেন তারপর তিনি মাছ কাটতে গেলেন এবং আমি ঘরের বাকি কাজ সেরে নিলাম।
আমার পুজো দেওয়া হয়ে গেলে, আমি শ্বশুর মশাইকে খেতে দিয়ে পিকলুকে লাঞ্চ করিয়ে দিলাম। তারপর আমি ও শাশুড়ি মা লাঞ্চ করে নিলাম। ছাদে বেশ কিছু জামাকাপড় মেলে রাখা ছিলো, সেগুলো ঘরে এনে রেখে আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। তখনই পিকলুর আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলাম ও নিশ্চিত বমি করছে।
আবার দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখছি ও যতটুকু ভাত খেয়েছিল সবটা বমি করে ফেলেছে। সেগুলো পরিষ্কার করে হাত মুখ ধুয়ে আবার জামা কাপড় চেঞ্জ করে নিলাম। শীতকালের এটাই সবথেকে বড় কষ্টের কাজ। কিন্তু শরীর খারাপ লাগলে ওর ই বা কি করার আছে।
"সন্ধ্যাবেলা"
যাইহোক এই সমস্ত করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে এলো। আমি সন্ধ্যাবেলায় পুজো দিয়ে কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ বাদে শুভকে ফোন করে পিকলু জন্য ওষুধ আনতে বললাম। এরপর ডিসকার্ডে একটু কথা বলার প্রয়োজন ছিল তাই সেটুকু সেরে নিলাম।
কিছুক্ষণ বাদে শুভ ফিরে এলো এবং পিকলুকে ওষুধ খাওয়ালাম দুজনে মিলে। আজ সন্ধ্যেবেলায় অন্য কিছু খাইনি। শুভকে এক কাপ কফি করে দিলাম। আর গতপরশুর পিঠে ছিল সেটাই গরম করে দিয়েছিলাম, ও সেটা খেয়েছে।
"রাত্রিবেলা"
আমার সন্ধেবেলায় কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না বলে আমি আর কিছু খাইনি। সাড়ে নটা নাগাদ আমি রুটি করতে গেলাম এবং রুটি করার পর পিকলুকে রুটি খাইয়ে আবার ৩-৪ রকমের ওষুধ খাইয়ে দিলাম। আমারও ঠান্ডায় আজ ভাত খেতে ইচ্ছা করছিল না, তাই আমিও দুটো রুটি খেয়ে নিলাম।
ডিনার শেষ করে সমস্ত কিছু গুছিয়ে রেখে তারপর আমি পোস্ট ভেরিফাই করতে বসলাম। ঠান্ডা এতো পরিমাণে লাগছিল যে, কম্বলের নীচে বসে নিয়েছিলাম। কিন্তু একটু বাদেই ঘুম পেয়ে গেলো। তাই শুয়ে পড়লাম। এইভাবেই আমি গতকালের দিনটি কাটায়েছিলাম।
আপনাদের দিনটি কেমন কেটেছিল জানাতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন। আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটুক আপনাদের এই প্রার্থনা রইলো।
দিদি শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠার মতো কঠিন কাজ দিদি মনে হয় আর একটিও নেই। রিতীমত যুদ্ধ করে ঘুম থেকে উঠতে হয়। আমি নিজেও উঠতে পারি না। ভাবি যে উঠি একটু পর। এই ভেবে কখন যে সময় পার হয়ে যায় টেরই পাই না।
যাইহোক আপনি শীতের সকালে কষ্ট করে উঠে যে সাংসারিক বিভিন্ন কাজ করেন সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দিদি।
কি আর করা যাবে ভাই, আমাদের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। ঠান্ডা হোক বা গরম আমাদের সাংসারিক কাজ থেকে ছুটি নেই। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
শীতের কথা আর কি বলবো প্রতিদিনই মনে হয় যুদ্ধ করেই চলছি, মনের সাথে ,শরীরের সাথে। আসলে কিছুই তো করার নেই । নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ গুলো না করে উপায় বা কি।ভোর ৫.৩ মিনিটে ঘুম ভাঙলো আপনার। তখন তো ঘুম থেকে উঠা খুবই কঠিন। সে সময় পোস্ট ভেরিফিকেশন করেছেন। অনেক কঠিন একটা কাজ সম্পন্ন করেছেন,এই শীতের মধ্যে। বাসার মাছ খুব একটা নেই তাই আপনার শাশুড়ি মা বাজার থেকে আনতে গিয়েছে। এই ফাঁকে আপনি বাসার যাবতীয় কাজগুলো
গুছিয়ে নিয়েছেন।
শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল পিকলুর শরীর টাও ভালো নেই। দুপুরে যা খাইয়েছেন সব বমি করে ফেলে দিয়েছে। মনে হয় ওর গ্যাস হয়েছে ,ঔষধ গুলো দেখলাম একেবারে ছোট বাচ্চাদের মতোই। আসলে প্রাণীর ও মানুষের ওষুধের মধ্যে খুব একটা ডিফারেন্স নেই বললেই চলে ।পরিমাণটা একটু কম বেশি হয়। শীতের জন্য আপনি রাতে বেশি কিছু খাননি,রুটি খেয়ে নিলেন। আমারও একই অবস্থা বেশিরভাগ সময় আমি রাতে খাই না, সন্ধ্যার নাস্তা দিয়ে চলে যায়। তো মোটামুটি ভালো কাটলো আপনার দিনটি খুব দুর্দান্ত ভাবে নয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনের কার্যক্রমের কিছু অংশ আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
হুম পিকলুর ওষুধ সবই বাচ্চাদের ওষুধ। শুধু ওর শ্যাম্পু আলাদা হয়। ওর শরীর খারাপটা আমার মন খারাপের কারন জানেন? কতদিন যাবৎ এমনটাই চলছে। মাঝে একটু ঠিক হয়েছিল। শীতের কথা আর কি বলবো বলুন। খুব বাজে অবস্থা। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠান্ডার সময় সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে একরকম যুদ্ধই করতে হয়। কেননা কম্বলের উষ্ণতা ছেড়ে ওঠার চিন্তাভাবনা কারোরই থাকে না। কিন্তু জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত সেই কাজগুলো করে যেতে হয়। আপনিও ঠিক তাই করেছেন দিনটা অনেক বেশিই ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেল।
পিকলু বাবু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। আসলে ঠান্ডার সময় তাই হয়তো বা ঠান্ডার কারণে সে বমি করে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনি তার খেয়াল রেখেছেন। ব্যস্ততার মাঝেও আপনি তাকে ঔষধ খাইয়েছেন। রাতের বেলা খাবার খেতে আমার নিজেরও ইচ্ছে করে না। আজকে প্রায় তিন দিন যাবত আমিও রাতের বেলা রুটি খেতে নিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
রুটি আমার বড্ড অপছন্দ, তবে ঠান্ডা এতো বেশি যে ঐ অপছন্দের জিনিসটাই খেলাম। ভাত খেলে যেন ঠান্ডা আরও বেশি লাগে। পিকলুকে বোধহয় ডাক্তার দেখাতেই হবে। ওষুধ খেয়ে কেমন থাকে তার উপরে নির্ভর করছে কি সিদ্ধান্ত নেবো। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শীতের দিনে আমার ভোর পাঁচটায় নিজের থেকে ঘুম খুব কমই ভেঙেছে। গত কয়েকদিন যাবত হাওয়ার জন্য শীত আরও বেশি করে অনুভব করছি। এই ঠান্ডায় আমার কফি খাওয়া বেড়ে গেছে। এখনো কফি খেতে খেতে আপনার পোস্টে কমেন্ট করছি। চিন্তা নেই, শীত আর বেশি দিন আপনাকে জ্বালাতন করবে না। আপনার পছন্দের ঋতু সামনেই আসছে।
বাবা... আর কতো ঠান্ডা প্রয়োজন বলুন তো? অনেক তো হলো। কফি বেশি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো না, তবে শীতকালে সকলেই চায়ের থেকে বেশি কফি খেতেই পছন্দ করে। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রকৃতি আসলেই তার নিজের মত করে সব কিছু চালায়, এতে কারোর ই কিছু করার নেই। এই ঠান্ডায় সবারই বিছানা ছাড়তে কষ্ট। তবে এই যে আপনার নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা এবং বিছানা ছাড়া এটা আমার ভী্ষণ ভালো লাগলো, যদিও জানিনা না নিজের উপর এই পদ্ধতি এপ্লাই করলে কতটা কাজে দিবে।
আপনার পিকলু কি সুন্দর রুটি খায়। অবশ্য আপনার বানানো রুটি অনেক সফট এটা এডমিন ম্যাম এর কল্যানে জানতে পেরেছি।
এই শীতে আপনার পিকলু ও আপনি ভালো থাকুন এই কামনা করি।
আর কি করবো বলুন এইরকম যুদ্ধ রোজ করতে হয় ভাই। আপনার ওপরে কতটা কাজ হবে জানিনা। তবে আমি তো রোজই এইভাবে উঠি। পিকলুর শরীর ভালো থাকলে ও রুটি খুব ভালো খায়, কিন্তু শরীর খারাপ থাকলে কিছুই খায় না। হ্যাঁ সকলে বলে রুটি আমি ভালো বানাই, তবে খেতে খুব একটা পছন্দ করি না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আনার সাথেও এমন হয় মাঝে মাঝে, কোনো একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙে,কিন্তু কি যে দেখলাম তা আর মনে করতে পারি না।আর তখন সারাদিন মাথায় এটাই ঘুরপাক খায়।
এই সময় সকালবেলা কাজ গুলো গুছিয়ে উঠতে সত্যিই অনেক কষ্ট হয়ে যায়।তবুও সেই কাজ গুলো করতেই হয় কোনো উপায় নেই।
পিকলুর আবারও শরীরটা খারাপ হয়েছে শুনে খারাপ লাগলো,আসলে এই শীতে ওদের অনেক কষ্ট হয়,এজন্যই হয়তে শরীর খারাপ করছে।আশা করছি অনেক দ্রুত ও সুস্থ হয়ে উঠবে।
ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করে আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন, কি যে স্বপ্ন দেখি, ঘুম ভাঙার পরেই আর মনে থাকে না কি স্বপ্ন দেখলাম। ভাবতে ভাবতেই দিন পার হয়। শীতের সকালে হোক বা রাতে জলে হাত দিয়ে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। শীতের জন্য নয়, পিকলুর খাবার হজমের সমস্যা হচ্ছে। ওষুধ চলছে দেখা যাক কেমন থাকে, নাহলে ডাক্তার দেখাবো আবার। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
@sampabiswas
আপনার পোস্ট পরে অনেক ভাল লাগলো। আসলে শীতের সময় মেয়েদের একটু বেশি কস্ট হয়ে যায়। আপনি সারাদিন অনেক কাজ করেছেন দিদি। ভাল থাকবেন।