Better life with steem || The Diary Game || 12th July, 2024 ||
|
---|
Hello,
Everyone,
আরও একটা নতুন দিনের গল্প শেয়ার করতে চলে এলাম আপনাদের সাথে। আশা করছি সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
বেশ কিছুদিন বাদে ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টি পড়তে দেখে ভালো লাগলো মনটা। গত তিন চারদিন যাবৎ বেশ গরম পড়েছিলো ঠিক আগের মতনই। তবে গতকাল রাতে এতো পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যে, আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা হয়ে গেছে।
আজকের এই দিনটি কিভাবে কাটিয়েছি, সেই গল্পই শেয়ার করবো আজ আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে। আশা করছি পোস্টটি পড়তে আপনাদের ভালো লাগবে, চলুন তাহলে শুরু করি, -
"সকালবেলা"
|
---|
গতকাল কমিউনিটির কাজ শেষ করার পর যখন ঘুমাতে গেলাম, তখন ঘড়িতে দুটোর বেশি বাজে। সবেমাত্র ঘুম এসেছে, হঠাৎ করে প্রচন্ড বৃষ্টির আওয়াজে ঘুম ভেঙে তড়িঘড়ি ঘরে করে উঠে পড়লাম। কারণ দুই পাশে জানালা খোলা, বৃষ্টির জল বিছানা পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় উঠতেই হলো। জানালা বন্ধ করতে গিয়ে দেখতে পেলাম মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে।
এরপর শুয়ে পড়লেও ঘুম আসতে বেশ কিছুটা দেরি হলো।ততক্ষণ পর্যন্ত বাইরে মুষলধারায় বৃষ্টির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ বাদে ঠান্ডা লাগতে শুরু করেছিলো এবং এরপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারিনি।
|
---|
প্রতিদিনের মতো সকালে মোবাইলের অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলো। তখন অবশ্য বৃষ্টির আওয়াজ পাচ্ছিলাম না, কিন্তু দরজা খুলে দেখি তখনো টুপটাপ বৃষ্টি হচ্ছে, মুষলধারায় না হওয়ার কারণে, ঘরের ভিতরে শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।
দু তিন মিনিট জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখলাম ঠিকই, কিন্তু নিত্য দিনের কাজগুলো তখনো বাকি, তাই ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে রান্নাঘরে চলে গেলাম। আজ হঠাৎ করে সকালে গান শুনতে খুবই মন চাইছিলো। তাই পছন্দের বেশ কিছু গান চালিয়ে রান্নাঘরের কাজ শুরু করলাম।
চা বানিয়ে যথারীতি শুভকে ও শশুর মশাইকে দিয়ে দিলাম। তারপর ব্রেকফাস্ট ও শুভ দুপুরের টিফিন তৈরি করতে শুরু করলাম। সকালের আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল সারাদিন রৌদ্রের দেখা পাওয়া যাবে না। আর ঠিক তেমনি হয়েছিলো।
|
---|
অনেকদিন বাদে আজ ছোলার ডাল রান্না করেছিলাম ব্রেকফাস্টের জন্য। তার সাথে পরোটা করেছিলাম। অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুভকে ভাত আলু ভাজা, আর পটল চিংড়ি রান্না করে দিয়েছি।
ব্রেকফাস্ট করে শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর যথারীতি শাশুড়ি মা ও শ্বশুরমশাই ব্রেকফাস্ট করে নিয়েছেন। আমি কমিউনিটির কাজ করতে করতে সকালের ব্রেকফাস্ট শেষ করেছি। এরপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অ্যাডমিন ম্যামের সাথে কথা বলা শেষ করে, কমিউনিটির বাকি কাজ দেখলাম।
"দুপুরবেলা"
|
---|
কমিউনিটির কাজ করতে করতে ঘড়ির কাঁটা জানান দিলো দুপুর হয়ে এসেছে। যদিও বাইরের আবহাওয়া দেখে তা বোঝার উপায় ছিলো না। আজ পিকলুকে স্নান করানোর প্রয়োজন ছিল ঠিকই, কিন্তু আজ বৃষ্টির আবহাওয়ায় আর ওকে স্নান করাইনি।
|
---|
ঘরের বাকি কাজগুলো সেরে নিয়ে আমি স্নান করে নিয়েছিলাম। তারপর ঠাকুর পূজো দিয়ে কিছুক্ষণ কথা বললাম দিদির সাথে। গতকাল ও একবার ফোন করেছিল কিন্তু ফোনটা তুলতে পারিনি। যেহেতু রাতে ওরা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে, তাই আর কথা বলা হয়নি।
ওর সাথে কথা শেষ করার পর সকলে মিলে একসাথে দুপুরে লাঞ্চ শেষ করলাম। এরপর শুয়ে কিছুক্ষণ কমিউনিটির কাজ দেখলাম ও বিশ্রাম করলাম, তবে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, সেটা বুঝতেও পারিনি।
"সন্ধ্যাবেলা"
সন্ধ্যাবেলায় পিকলুর চেঁচামেচিতেই ঘুম ভাঙলো, বাইরে থেকে বিড়াল হেঁটে গেলেও সে চিৎকার করে। যাইহোক ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ঠাকুর পূজা দিয়ে, কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে শুভ বাড়িতে এলো। তখন অবশ্য বাইরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিলো।
|
---|
আসার সময় শুভ আজ ফুচকা নিয়ে এসেছিলো। অনেকদিন বাদে আজকে ফুচকা খেয়েছিলাম, বেশ ভালো লাগছিলো।ঠান্ডা ওয়েদারে টক জলের সাথে, ঝাল ঝাল ফুচকা খেতে দারুণ লাগলো। দেখতে ততক্ষণে হ্যাংআউটের সময় হয়ে এসেছিলো, তাই ফুচকা খাওয়া শেষ করে আমি তাড়াতাড়ি যুক্ত হই।
"রাত্রিবেলা"
হাসি আড্ডা আনন্দে হ্যাংআউট আজ জমে উঠেছিলো। হ্যাংআউটের মাঝেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা ইউজারদের সাথে শেয়ার করা প্রয়োজন ছিলো, আমরা সেগুলোও বললাম।এরপর বেশ কিছুটা সময় আমরা সকলে মিলে উপভোগ করলাম।
|
---|
সাপ্তাহিক হ্যাং আউট শেষ হলে, রাতে সকলের জন্য ডিনারের ব্যবস্থা করে নিলাম। আজকাল শ্বশুরমশাই রুটি খেতে একদমই পছন্দ করছেন না। তাই রাতের দিকে তিনি এখন ওটস্ খান। তাই পিকলুর জন্য আর আলাদা করে রুটি করি না। আমাদের সকলের সাথে ওকেও অল্প একটু ভাত দিয়ে দিলাম।
যাইহোক সকলে মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, তারপর বসলাম কমিউনিটির কাজ নিয়ে। পোস্ট লেখা শুরু করলাম। এরপর পোস্ট করে তারপর শুতে যাবো। এইভাবেই আজকের বর্ষা মুখর দিনটি কাটিয়েছি।
সারাদিন খুব ভালো আবহাওয়া ছিলো। আর আজ হঠাৎ করে গান শোনার খুব মুড হচ্ছিলো। সারা দিনে বিভিন্ন ধরনের অনেক গান শুনেছি। রাতেও ভাবছি হেডফোন দিয়ে প্রিয় কোনো গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়বো।
আপনাদের সাথে এরকম হয় কিনা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, এই প্রার্থনা করে আজকের লেখা শেষ করছি। শুভ রাত্রি।
গতকাল রাতেই লিখেছিলাম। তবে পোস্ট করা হয়নি।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভাল লাগল, ফুচকা খুব মজাদার খাবার, কমিউনিটির কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন, গতকাল আমি হ্যাংআউটে উপস্থিত ছিলাম, ভাল লেগেছে, প্রতি সপ্তাহে হ্যাংআউট করলে ভাল হয়। ধন্যবাদ সুন্দর করে গুছিয়ে পোস্ট করার জন্য।
বৃষ্টি পরা প্রকৃতিটা আমার কাছে অনেক ভালো
লাগে যখন বৃষ্টি পড়ে তখন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বৃষ্টি পরা উপভোগ করি। ফুচকা খাবারটা মেয়েদের প্রিয় খাবার। ধন্যবাদ জানাবো ম্যাম কে সাপ্তাহিক এত সুন্দর একটি হ্যাংআউট আমাদের খুব উপহার দেওয়ার জন্য। হ্যাংআউট ক্লাসটা আমার দেখা অনলাইনে ভালো একটি বিষয়। সংসার জীবনে কাজ করো কমিউনিটির কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন।দিদি এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
বাহ কি দারুন লাগছে ছাদে লাগানো বেলি ফুল গাছের ফুলগুলো মনে হচ্ছে একজোড়া ভালোবাসার পাখি গাছে ঝুলে রয়েছে। মুখোমুখি দুইটা ফুল সন্ধ্যার সময় এমন দৃশ্য চোখে পড়লে মনটা আসলেই ভালো হয়ে যায় যদি প্রকৃতপক্ষে তার মনের ভেতরে ভালোবাসা থাকে।
দাদা ভাই আজকে বাড়ি আসার সময় ফুচকা নিয়ে এসেছে অনেকদিন বাদে আপনি ফুচকা খাচ্ছেন তবে ফুচকার কথা শুনলে সবার কিন্তু জিভে জল চলে আসে। তাই দিদি একটু সাবধান পেট খারাপ হতে পারে।
যাইহোক আমি কিন্তু লোভ দেই নাই অন্য কেউ দিতে পারে সেই কথা বলছি। মজা করলাম আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।