Better life with steem || The Diary Game || 12th January, 2024 ||
"আমার আজকের সারাদিনের গল্প" |
---|
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজকের দিনটি আমার ততটাও ভালো কাটেনি। প্রথমত আজ অনেক বেশি ঠান্ডা ছিলো, তাছাড়া কর্মব্যস্ততা ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে মোটামুটি কেটেছে আজকের দিনটি। সারাদিন আমি কি করলাম, কিভাবে দিনটি কাটলো, সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের সকলের আমার পোস্টটি পড়তে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি, -
গত দুদিন যাবৎ আবার শুভর ঠান্ডা লেগেছে। গত পরশুদিন অফিসে প্রচন্ড জ্বর এসেছিলো, ওষুধ খেয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেস্ট করে, সন্ধ্যার পরে বাড়ি ফিরেছে। গতকাল কাজের অনেক প্রেশার ছিল বলে, বাধ্য হয়ে ওকে অফিসে যেতে হয়েছিল।
তবে আজ আর অফিসে যাবে না, সে কথাটা গতকালই জানিয়ে এসেছিলো। সত্যি বলতে প্রতিদিন সকালে স্নান করার পর বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় ওই হাওয়াতেই অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে। আর দুদিন ধরে ঠান্ডাও পড়ছে অনেক।
"সকালবেলা" |
---|
"আমাদের গাছের ফুল" |
---|
যাইহোক যেহেতু জানতাম শুভ আজ অফিসে যাবে না, তাই সকাল বেলায় ওঠার তাড়াহুড়ো একদমই ছিল না। তারপর যেহেতু শ্বশুর-শাশুড়ি এখনো পর্যন্ত ফেরেননি, তার জন্য তাড়াটা আরো কম। তবুও কাজের মাসি আসবে এই কারণে ৮ টা নাগাদ উঠে আমি আমাদের কলপারের দিকের দরজা খুলে রাখলাম।
গেটের তালাটা অবশ্য তখনও খুলিনি। তারপর এসে আমি আবার শুয়ে পড়লাম। সেই সময় বাইরে যে পরিমাণ কুয়াশা ছিলো, তাতে ভোরবেলার দিকের কুয়াশা কতটা থাকতে পারে কিছুটা আন্দাজ পেলাম।
"পিকলুর সাথে শুভর দুষ্টুমির একটি মুহুর্ত" |
---|
তারপর আবার কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি। যখন ঘুম ভাঙলো তখন ঘড়িতে ৯.৫৬ বাজে। তাড়াহুড়ো করে উঠে আগে গরম জল করলাম। নিজে প্রতিদিনই খাই আজকে শুভকেও দিলাম। এরপর আদা ও গোলমরিচ দিয়ে দুজনের জন্য দু কাপ চা করলাম।
সকালে ব্রেকফাস্টে আর কিছু বানাইনি। চা খাওয়ার পর শুভ বলল আজ হরলিক্স ও কনফ্লেক্স খেয়ে নেবে, এইজন্য সেই সময় আমি বসে কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ সেরে নিলাম।
যেহেতু প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল, তাই কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু বসে থাকলে তো হবে না, এই ভেবে ঘরের কাজগুলো গোছানো শুরু করলাম। আজকে মাথায় শ্যাম্পু করতেই হতো, কয়েকদিন ধরে ভাবছি করবো, কিন্তু কিছুতেই করা হয়ে উঠছিল না।
"দুপুরবেলা" |
---|
"ছাদে রৌদ্রে বসে চুল শুকানোর মুহুর্তে তোলা ছবি" |
---|
আগামীকাল যেহেতু শনিবার তাই আজকেই করে নিলাম। দুপুরে রান্নার খুব বেশি চাপ ছিল না, এই কারণে আগে স্নান করে বেশ কিছুক্ষণ ছাদে রোদ্দুরে বসলাম। যাতে চুলটাও শুকিয়ে যায় এবং শীতও একটু কম লাগে।
এরপর নিচে এসে পূজো দিয়ে, তারপর রান্না শুরু করলাম। আজ শুধু বেগুন ভাজা, বাঁধাকপি এবং ধনেপাতা ভর্তা করেছি। কারণ শুভ ঠান্ডা লেগেছে, তাই ও ঝাল ঝাল করে ধনেপাতা বাটা খেতে চেয়েছিল। গতকালের ডিমের ঝোল রান্না করেছিলাম, সেটা ফ্রিজে ছিলো। তাই আজ আর আলাদা করে মাছ বা ডিম কিছু রান্না করিনি। দুপুর সেগুলো দিয়েই আমরা লাঞ্চ করে নিয়েছি।
"সন্ধ্যাবেলা" |
---|
"পিকলু তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন" |
---|
লাঞ্চের শেষে শুভ টিভিতে একটা সিনেমা দেখতে বসলে এবং আমি কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ সেরে নিলাম। আর পিকলু তখন আমাদের পায়ের কাছে শুয়ে ঘুমিয়ে নিলো বেশ কিছক্ষন। একটুবাদে সন্ধ্যা হলে, আমি সন্ধ্যা দিয়ে নিলাম।
"শার্ট আয়রন করার সময় তোলা ছবি" |
---|
জামা কাপড় আয়রন করতে আমার একটুও ভালো লাগে না।আর এই ভালো না লাগার কারণে, আজ করি কাল করি বলে আর করা হয়ে উঠছিল না। শেষ পর্যন্ত অনেকগুলো শার্ট জমে যাওয়ায় আজকে ফাইনালি আমাকে আয়রন করতেই হল। সব মিলিয়ে ১১ টা শার্ট আজ আয়রন করেছি, সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে কতটা সময় আমার এখানে ব্যয় হয়েছে।
"রাত্রিবেলা" |
---|
"আজকের ডিনার" |
---|
এরপর আমি জামাগুলো ভালোভাবে গুছিয়ে রেখে, গেলাম রুটি করতে। আজকে রাতে আর অন্য কোনো কিছু রান্না করিনি। বাঁধাকপি ও বেগুন ভাজা দিয়ে রাতে রুটি খাওয়া হয়ে গেছে এবং সাথে ছিল খেজুরের গুড়। পিকলু আজ রাতে কিছুই খেতে চাইছিলো না, এই জন্য ওকে আর জোর করিনি। আমরা দুজন ডিনার সেরে নিয়ে, সমস্ত কিছু গোছগাছ করে, তারপর পোস্ট লিখতে বসেছি। আর পিকলু ঘুমিয়ে পড়েছে।
আগামীকাল আমাকে একটু কল্যাণী যেতে হবে। যদিও শ্বশুর-শাশুড়ি সকালেই ফিরে আসবেন। আসলে ওনারা যে গাড়িতে ফিরবেন, সেই গাড়িতেই আমি আবার কল্যাণীতে যাবো।এইভাবে আমার আজকের দিনটা কাটলো।
সারাদিন বাদে এখন মনে হচ্ছে দিনটা কোথা দিয়ে কাটলো কিছুই বুঝলাম না। শুধু একটার পর একটা কাজ করে গেলাম। যাইহোক পোস্টটা এখানেই শেষ করছি। আপনারা সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভরাত্রি।
"সমাপ্ত" |
---|
আজকে সকালে আটটা নাগাদ মোবাইলে টাইম আপডেট করার পরে টেম্পারেচার দেখাচ্ছিল ১১ ডিগ্রি। জানি না, ঠিক দেখিয়েছে কিনা। এটা যদি সঠিক হয় তাহলে তো যথেষ্ট ঠান্ডা পড়েছে। আমারও অনেকগুলো শার্ট আর প্যান্ট জমে রয়েছে আয়রন করার জন্য। আজ কাল করে করা আর হয়ে উঠছে না।
আমি আর ভয়ে টেম্পারেচার দেখছি না, শুধু সহ্য করে যাচ্ছি। আয়রন করা কাজটি আমার এতোটাই অপছন্দ যে আমিও আপনার মতো আজ করি কাল করি, করে করে দিন পাড় করি। অবশেষে একদিন অনেক গুলো করতেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
ভীষণ ঠান্ডা পড়ছে বেশকিছু দিন যাবত। বিশেষ কাজ না থাকলে সকালে একটু দেরি করে ওঠাই ভালো।।
আসলে ঠিকই বলেছে শার্ট আয়রন করা আমার কাছে একটা বিরক্তিকর কাজ।। ফুলের ফটোগ্রাফিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।। ধন্যবাদ আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠান্ডার কথা আর বলবেন না। আপনাদের তো তবুও একটু বেলায় উঠলে চলে কিন্তু আমরা যারা গৃহিণী তাদের তো উঠতেই হয়। তাই মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে দেরীতে ওঠা হয় এই আর কি। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
এটা ঠিকই বলেছেন, আপনাদের তো দেরি তে উঠলে চলবে না।। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।।
আসলে যারা একটু দূরে অফিস করে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া, খুবই কষ্টকর একটা বিষয়। আর শীতের সময় বাইকে উঠলে এত পরিমাণে ঠান্ডা লাগে। যেটা হয়তোবা কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব না। গত পরশুদিন আমিও আমার ভাগিনার সাথে একটু চাটখিল গিয়েছিলাম। বাইকে করে আমার অবস্থা এখন একেবারেই খারাপ।
পিকলু বাবু আপনাদের সাথে ঘুমিয়ে পড়েছে আসলে এই বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এই প্রাণীগুলো যার কাছে অনেক বেশি মায়া পায় তার কাছেই থাকতে বেশি ভালোবাসে। চুল শুকানোর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি কথা বলতে আপনার ছবি দেখে আমি আপনাকে চিনতেই পারলাম না। এরপরে যখন ভালোভাবে দেখলাম তারপর বুঝতে পারলাম🧐। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
যাহ্ আপনি আমাকে চিনতেই পারেন নি? পিকলুর কথা আর বলবেন না। গত কয়েকদিন শরীর খারাপ বলে ও যেন একদম চুপচাপ হয়ে গেছে। এই কারণে আমারও মনটা ভালো লাগে না। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এতগুলো শার্ট যদি বাসায় ইস্ত্রী করেন তাহলে তো জানের দফারফা হয়ে যাবে!!! আমি বাসায় ইস্ত্রি করার ঝামেলা রাখি না। লন্ড্রি তে পাঠিয়ে দিই। শীতকালে যাও একটু করা যায়। গরম কালে তো ভীষণ গরম লাগে কাপড় ইস্ত্রি করতে
গেলে। বোঝাই গেল একে তো শীতে তার উপরে কাজে আপনার উপর বেশ হ্যাপা গেল। তবে গোসল করে রোদে চুল শুকানোর সময় আপনাকে বেশ সুন্দর লাগছিল। হয়তো এটি ছিল আপনার দিনের সেরা সময়। খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
বেশ করেন সব লন্ড্রিতে পাঠিয়ে দিয়ে, কিন্তু আমার সে উপায় নেই। গরমকালে আয়রন করলে মনে হয় যেন স্নান সেরে উঠলাম। ঘেমে এমন অবস্থা হয়। ধন্যবাদ আপনার আমাকে ভালো লেগেছে। রুবিনা দিদি তো আমাকে চিনতে পারেনি শুনে আমার তো মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আমি তো অবাক😲 হয়ে গেছি আপনি এগারোটা শার্ট আয়রন করেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে। আমি একবার আমার আব্বুর পাঞ্জাবি আয়রন করতে গিয়ে তার নতুন পাঞ্জাবিটা পড়ে ফেলেছি এই কারণে আয়রন ধরতে আমার খুব ভয় লাগে। আয়রন করা বড় একটা অভিজ্ঞতার ব্যাপার আমি যেটা মনে করি। গোসল করে ছাদে বসে চুল শুকানোর সময় আপনাকে ফটোগ্রাফি টা খুব সুন্দর
হয়েছে। থ্যাংক ইউ দিদি খুব ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের ডাইরি গেম পরে।
যদিও আয়রন করা কাজটি আমার পছন্দ নয়, তবুও আমি কখনোই কোনো জামা কাপড় এখনও পর্যন্ত পুড়িয়ে ফেলিনি। তবে আপনি একবার পুড়িয়ে ফেলেছিলেন বলেই ভয়টা আপনার মনে রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমর পোস্ট পড়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
দিদি আপনার ছাদের ফুলগুলো কিন্তু দেখতে সত্যি অসম্ভব সুন্দর ,,আর আমি আপনার মতই রোদে বসে চুল শুকায়,, এতে অনেক ভালো লাগে শীতের সময় বিশেষ করে,,
আজ সারাদিন মোটামুটি ভালই ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে আপনি আজ 11 টি শার্ট আয়রন করেছেন এটা অনেক কষ্টের একটি কাজ,,এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার,,
তবে রাতের ডিনারটা কিন্তু বেশ ভালোই ছিল রুটি দিয়ে বেগুন ভাজা খেতে অনেক বেশি ভালো,,
যাই হোক ভালো থাকবেন আপনার দিনটি শুভ হোক এই প্রার্থনা করছি
বেগুন ভর্তাও রুটির সাথে মন্দ লাগে না। আসলে শীতকালে রৌদ্র উপভোগ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। জেনে ভালো লাগলো আপনিও আমার মতো রৌদ্রে বসেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।ভালো থাকবেন।