Better life with steem || The Diary Game || 12th April, 2024 ||

in Incredible India5 months ago (edited)
IMG_20240412_011429.jpg

"আমার সারাদিনের কিছু মুহুর্ত"

Hello,

Everyone,

অনেকদিন বাদে আজ নিজের সারাদিনের কার্যাবলী সম্পর্কিত পোস্ট লিখতে বসলাম। আগামী পরশুদিন পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলা নতুন বছরের শুরু।

আর এই পয়লা বৈশাখ মানেই বাঙালির কাছে এক আনন্দের দিন। যেদিন নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে সকলেই। বাঙালি হয়ে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের আনন্দই আলাদা।

আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। তবে আমাদের জন্য এই আনন্দ আরও একটু বেশি, কারণ ওই দিন শুভর শুভ জন্মদিন। সুতরাং একদিনে আনন্দ করার দুটি কারণ রয়েছে আমাদের। আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আমার সারাদিনের কিছু অংশ শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু, -

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20240412_010848.jpg

সকলের রৌদ্রোজ্জ্বল উজ্জ্বল আবহাওয়া ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছাদের ছবি

গত দু-তিন দিন ঘুম থেকে উঠেই মেঘলা আকাশ দেখলেও, আজ কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। প্রতিদিনের মতো ৭.২০ মিনিটে ফোনের অ্যালার্ম বেজেছিল। তারপর একটু সময় নিয়ে ৭.৩০ নাগাদ বিছানা ছাড়লাম।

আসলে প্রতিদিন প্রায় রাত ৩ টা বেজে যাচ্ছে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে নিজের সাথে রোজ লড়াই করতে হচ্ছে। তবে কমিউনিটির কাজটাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আগামী ৬ সপ্তাহ অন্তত রুটিনটা এইরকম চলবে।

যাইহোক নিচে নেমে দেখলাম পিকলু বারান্দাতে শুয়ে আছে।যেদিনই বেশি গরম পড়ে, সেদিনে ভোর বেলাতে দরজা খুলে দিলে ও বারান্দাতে শুয়ে থাকে।

আজ নীল ষষ্ঠী ও আগামীকাল চৈত্র সংক্রান্তি, তাই আমাদের বাড়িতে আজ ও কাল দুদিন নিরামিষ রান্না হয়। এই কারণে গতকাল রাতে সমস্ত কিছু ধুয়ে রাখা হয়েছে। মসলার কৌটা থেকে শুরু করে রুটি ভাজার তাওয়া, খাবার ঢাকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ঝুড়ি, ডাইনিং টেবিলের সমস্ত ম্যাট থেকে শুরু করে টেবিল ক্লথ পর্যন্ত। এটা অবশ্য প্রতি বছরের কাজ। বছরের শেষের এই দুই দিন আমাদের বাড়িতে, এই রকমই নিষ্ঠা সহকারে নিরামিষ রান্না করা হয়।

যাইহোক যেহেতু আজ নিরামিষ হবে, তাই গতকাল রাতেই মটর ডাল ভিজিয়ে রেখেছিলাম। আজ বড়ার তরকারি রান্না করা হবে। তাই রান্নাঘরে ঢুকে খুব বেশি দেরি না করে, আমি ডালগুলো ভালো করে মিক্সিতে পিষে নিলাম। যেহেতু অনেকটা পরিমাণ ডাল, তাই তাই শীলে বেটে নিতে অনেকটা সময় যাবে ও কষ্ট হবে, এই কারণেই মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলাম। মিক্সির আওয়াজ পেয়ে শাশুড়ি মাও ঘুম থেকে উঠে গেলেন।

তাই আমি ভাত বসিয়ে দিয়ে, শুভ এবং শাশুড়ি মাকে চা করে দিলাম। শাশুড়ি মা বললেন যেহেতু গরম পড়েছে তাই দুপুরের রান্নাটাও তিনি একবারেই সেরে নেবেন। শুনে বেশ ভালোই লাগলো। আমি ওনাকে সবকিছু গুছিয়ে দিলাম এবং আজকে সকালে রান্নাটা তিনি করলেন।

ব্রেকফাস্টে আজ শুভ হরলিক্স ও কমপ্লেক্স খেয়ে অফিসে বেরিয়ে গিয়েছিল এবং ও বেরিয়ে যাওয়ার পর যথারীতি আমি আমার কমিউনিটের কাজ নিয়ে বসে পড়েছিলাম শশুর মশাই উঠলে আজ শাশুড়ি মায়ের ওনাকে ব্রেকফাস্ট দিয়েছিলেন আমি ব্রেকফাস্টে একটা রুটি খেয়েছিলাম বেগুন ভাজা দিয়েই

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

IMG_20240412_011300.jpg

"আজকের ঠাকুর পুজো"

আজকাল কমিউনিটির কাজ শেষ করতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়। আর সেই কাজগুলো শেষ করে, আমি ঘরের কাজে হাত দিই। বেশ তাড়াহুড়ো করে ঘরের কাজগুলো শেষ করে আমি স্নান করে পুজো দিয়ে নিলাম। আজ যেহেতু নীল ষষ্ঠী, তাই চেষ্টা করলাম একটু আগেই পুজো দেওয়ার।

IMG_20240412_011008.jpg

"আজকের লাঞ্চ"

যাইহোক সমস্ত কাজ গুছিয়ে নিয়ে আমি পিকলুকে লাঞ্চ দিয়ে দিলাম। অন্যদিকে শাশুড়ি মা ও শ্বশুরমশাই স্নান করে নিজেদের পুজোর কাজ সারলেন। আজ রান্না হয়েছিল বিভিন্ন সবজি দিয়ে লাউ শাক, মটর ডালের বড়ার তরকারি, সাথে ছিল বেগুন ভাজা ও আমের টক।

পিকলু নিরামিষ এর মধ্যে কেবলমাত্র শুক্তো খেতে পছন্দ করে, কিন্তু যেহেতু আজ শুক্তো রান্না হয়নি, তাই ওর খাওয়াটা খুব বেশি ভালো হয়নি।

1672344690977_010726.jpg

"বিকালবেলা"

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটু শুয়ে ছিলাম। যেহেতু বেশি রাতে জাগা হয়, তাই দুপুরে একটু বিশ্রাম খুবই জরুরী। কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি, অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ঘুমটা ভেঙে গিয়েছিলো।

কারণ আমার বোন ফোন করেছিল। ওর সাথে কথা বলে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলাম ঠিকই, কিন্তু আর ঘুম এলো না। কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে এলো, তাই আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

সন্ধ্যা পূজা শেষ করার পর, আমি চা বসাতে যাবো এমন সময় শশুর মশাইকে কেউ একজন ফোন করে জানালো, ব্যাংকের বইয়ের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক করা হচ্ছে, তাই তিনি রেডি হয়ে বেরোলেন। এরপর তিনি ফিরে এসে আমার শাশুড়ি মাকেও বললেন যাওয়ার জন্য। দুজনে মিলে একসাথে চলে গেলেন।

IMG_20240412_011134.jpg

শাক আলু খেতে ব্যস্ত দেখলো

কিছুক্ষণের মধ্যে শুভ অফিস থেকে ফিরলে ওকে শরবত দিয়ে, তারপর টিফিন দিয়ে দিলাম। পিকলু সামনে বসে ছিলো, আমি ওকে দুটো শাকআলু খেতে দিলাম। প্রসঙ্গত বলে রাখি, ফলের মধ্যে তরমুজ ও শাকআলু একমাত্র পিকলু পছন্দ।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

শশুর মশাই ও শাশুড়ি মা প্রায় ৯টা নাগাদ বাড়িতে এলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে কাজের জন্য গিয়েছিলেন,সেই কাজটি আজ আর হয়নি। শুধু শুধু এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দুজনেরই কষ্ট হয়েছে।

যাইহোক রাতে নিরামিষে কি খাওয়া হবে, কে কি খাবে এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা পর্ব চললো। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো আজ রাতে সেমাই রান্না করা হবে। যদিও সেমাই আমার প্রিয় নয়, আমি খাবো না। কিন্তু শুভ, শাশুড়ি মা ও শ্বশুর মশাই বেশ ভালো খায়।

IMG_20240412_011102.jpg

"আজকের ডিনার- শাশুড়ি মায়ের হাতে তৈরি সেমাই"

সেমাই যদিও শাশুড়ি মা ই তৈরি করেছেন, আমি শুধু রুটি তৈরি করেছি। পিকলুকে আজ রাতে রুটি দেইনি, কারণ ও ডিম, মাছ, মাংসের মধ্যে কোনো একটির গন্ধ ছাড়া রুটি এখন আর খায় না। এই কারণে ওকে চিড়ে-মুড়ি মেখে দিয়েছিলাম। এটা আবার ওর বেশ প্রিয় খাবার।

তারপর ১২ টা নাগাদ পোস্ট ভেরিফিকেশন করতে বসলাম। পোস্ট লেখা আগে বেশ কিছুটা এগিয়ে রেখেছিলাম, বাকিটা এখন শেষ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করে, বাকি আরো কিছু পোস্ট ভেরিফাই করার পর, ঘুমাতে যাবো।

আবার কাল সকাল বেলা থেকে একটি নতুন দিন শুরু হবে। আজকাল মোটামুটি এই রুটিনেই আমার দিন কাটছে। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।

Sort:  
Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 59698.94
ETH 2303.28
USDT 1.00
SBD 2.51