Better life with steem || The Diary Game || 10th August, 2024 ||
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আপনাদের সকলের এমনটা হয় কিনা জানিনা, তবে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে রৌদ্র উজ্জ্বল আবহাওয়া দেখলে, অথবা যদি ঝমঝম করে বৃষ্টি হয় বেশ ভালো লাগে। যদিও দুটি ক্ষেত্রে অনুভূতি ভিন্ন হয়।
তবে মেঘলা আকাশ বরাবর আমার মন খারাপ করে। বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি দেখি আকাশে কালো মেঘ জমেছে, তাহলে যেন সারাটা দিনই সেই মন খারাপটা নিজের মধ্যে কাজ করে। আজ তেমনি একটা দিন ছিলো।
যাইহোক সে সব কথা শুরু করার আগে প্রথমেই জানতে চাই, কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি বেশ ভালো কেটেছে। আজ আমিও আপনাদের সাথে আমার সারাটা দিন কেমন কাটলো সে কথাই শেয়ার করতে চলেছি, এই পোস্টের মাধ্যমে।
"সকালবেলা"
রোজকার মতনই ফোনের অ্যালার্মে ঘুম ভাঙলো, জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখিয়ে আকাশে কালো মেঘ। দেখে মনে হচ্ছিল তক্ষুনি বৃষ্টি নামবে। বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে বাইরের মেঘলা আকাশ দেখলাম, আর আপন মনে কি ভাবলাম সত্যিই জানিনা। এরপর বিছানা থেকে নেমে জানলাটা বন্ধ করে দিলাম। কারণ জোড়ে বৃষ্টি এলে বিছানা ভিজে যায়।
শুভ তখনও ঘুমাচ্ছিলো। তাই অন্যদিকের জানালাগুলো বন্ধ করে দিলাম এবং ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলাম। বৃষ্টি আসলে গাছে ফুটে থাকা জবা ফুলগুলো নষ্ট হয়ে যায়, এই কারণে আগে গিয়ে গাছ থেকে ফুল গুলো তুলে আনলাম। তারপর রান্নাঘরে গিয়ে রান্নার কাজে হাত দিলাম।
শুভকে চা দিয়ে আসার পর শশুর মশাইয়ের ব্লাড টেস্ট করে দেখলাম, সুগার লেভেল কিছুটা কম আছে। তাই ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেই কারণে ওনাকে ছাতু গুলে দিলাম। আর ওনার চা ফ্লাক্সে রেখে দিলাম, যাতে ছাতু খাওয়ার পর উনি চা খেয়ে নিতে পারেন। আজকাল খিদে সহ্য করতে পারেন না একেবারেই।
সকলের ব্রেকফাস্টে শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য রুটি বানিয়েছিলাম। তবে আমি আর শুভ চিনির পরোটা খেয়েছিলাম। অনেকদিন বাদে আজ ইচ্ছে করছিল তাই বানিয়েছিলাম। মেঘলা আকাশ দেখে ভেবেছিলাম তৎক্ষণাৎ বৃষ্টি নামবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও বৃষ্টি শুরু হয়নি বরং অল্প অল্প রোদ্দুর উঠে গিয়েছিল।
শুভ বেরিয়ে যাওয়ার পর, যথারীতি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। বেশ কিছু কাজ দেখার পর আমিও ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট করতে অনেকটা লেট হয়ে যায়, রোজই ভাবি এই অভ্যাসটা পরিবর্তন করবো, কিন্তু কিছুতেই হয়ে ওঠে না।
"দুপুরবেলা"
ইতিমধ্যে দুপুর হয়ে এলো। পিকলুকে দুপুরে ৩০ মিনিট অন্তর দুটো ওষুধ খাওয়াতে হয়। তাই ঘড়ির দিকে খেয়াল করে, ঘরের কাজ করার পাশাপাশি সেই ওষুধগুলো খাওয়ালাম। অনেকদিন ধরেই ওর শরীরটা খুব বেশি ভালো নয়।
লাস্ট বার যখন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, তখন সবটাই ওনাকে খুলে বলেছিলাম। ওষুধ গুলো উনি দিয়েছিলেন। পাশাপাশি একথাও বলেছেন যে, বাড়িতে যদি কোনো মানুষ দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ থাকে, তাহলে তার এফেক্ট বাড়ির পোষ্যর উপরেও পড়ে। পিকলুর ক্ষেত্রেও নাকি তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যেহেতু আমার শ্বশুরমশাই প্রায় বছরখানেক যাবৎ অসুস্থ, তাই আগের মতন তিনি পিকলুর সাথে খেলাধুলা করতে পারেন না। এমনকি আগে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় তিনি নিয়মিত ভাবে পিকলুর পশম আঁচড়ে দিতেন, কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত তার অসুস্থতার কারণে সেটাও সম্ভব হয় না। আসলে বাড়ির পোষ্যগুলো ওদের অনুভূতি বলে বোঝাতে পারে না, কিন্তু মানুষের থেকে তাদের অনুভূতির কোনো অংশে কম নয়, বরং অনেকটাই বেশি।
যাইহোক সেই কাজগুলো সম্পন্ন করে স্নান সারলাম। তারপর পুজো দিয়ে, যথারীতি লাঞ্চ করে নিলাম। লাঞ্চ করতে করতে অ্যাডমিনের ম্যামের সাথে বেশ কিছু বিষয়ে কিছুক্ষণ কথা হলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটু শুয়েছিলাম।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যে কলিং বেলের আওয়াজে উঠে পড়লাম। আজ শনিবার, তাই শুভ একটু তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ফিরে এলো, তারপর ওকে একটা পেয়ারা কেটে দিলাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
সন্ধ্যা বেলা উঠে সন্ধ্যা পূজো দিলাম। শ্বশুর শাশুড়ি দুজনেই ঘুমাচ্ছিলেন, তাই আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ বাদে শুভ বেরিয়ে গেলো ওর বন্ধুদের সাথে। যাওয়ার আগে দোকান থেকে আমাকে চিপস কিনে দিয়ে গলো। অবশ্য চিপসটা খেতে আমারই ইচ্ছে করছিলো। যাইহোক এরপর আমি কমিউনিটির কাজ সম্পন্ন করলাম। তারপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডিসকর্ডে কথা বলার প্রয়োজন ছিলো, সেই কথাগুলোও সেরে নিলাম।
"রাত্রিবেলা"
এরপর কিছুক্ষণ ফোনে কথা হলো বাবার সাথে। আমাদের গ্রামের বাড়ির সম্পর্কিত কয়েকটি কথা বলার জন্য বাবা মূলত ফোন করেছিলো। সে সকল কথা সম্পন্ন করার পর শশুর মশাইয়ের ব্লাড চেক করে দেখলাম, রাতের বেলায় ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, তাই ইনসুলিন দিয়ে আমি রুটি করতে গেলাম।
কারণ ইনসুলিন দেওয়ার ৩০ মিনিট বাদে ওনাকে রাতের খাবার খেতে হয়। পিকলুকে রাতে অবশ্য ভাতই দিয়েছি। শুভ রাতে আর কিছু খায়নি, বন্ধুদের সাথে বাইরে খেয়ে এসেছে। আমাকে ফোন করেছিলো কিন্তু আমার কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না বলে, কিছু আনতে বারণ করে দিয়েছিলাম।
রাতে খবর দেখতে দেখতে আমি আর শাশুড়ি মা ডিনার শেষ করলাম। তারপর যথারীতি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। পোস্ট লেখা শেষ করে, পোস্ট করবো, তারপর কমিউনিটির কাজে একবার চোখ বুলিয়ে ঘুমাতে যাবো।
আজ বেশ শান্তির ঘুম হবে, কারণ কাল সকালে ওঠার কোনো তাড়া নেই। আগামীকাল সকলের খুব ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করলাম। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।