Better life || The diary game || 04-04-2023 ||

Hello,

Everyone,

কেমন‌ আছেন আপনারা সকলে?
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

আজকে আমার দিনটি কেমন কাটলো সেটাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার এই পোস্টের মাধ্যমে। আসলে আমরা সবসময়ই আমাদের দিনটি খুব ভালো ভাবে কাটাতে চাই কিন্তু সেটা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা কখনো কখনো দিনটা এমন ভাবেও শুরু হয় যেমনটা আমরা কখনো ভাবি না।

আমার সকালবেলা:-

যাইহোক আনন্দের বিষয় এটি যে, আমার আজকের দিনটা অনেক ভালোভাবে কেটেছে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে বেশ কিছু জিনিসে কিন্তু সামঞ্জস্য থাকবেই, কারণ জীবনের গতিধারা আমাদের সকলেরই প্রায় একই রকম থাকে।

তবে হ্যাঁ কখনো কখনো তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন ঘটে এবং সেই দিনগুলোই আমাদের জীবনে বিশেষ দিন নামে পরিচিত হয়। সেটা ভালো অর্থে হোক অথবা খারাপ অর্থে হোক।

যাইহোক আজ মঙ্গলবার, গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকেই আবার ঘড়ির কাটার সঙ্গে ছুটতে শুরু করেছি। সকাল ৬:৪৫ মিনিটে মোবাইলে আলার্মের আওয়াজে ঘুম ভাঙলো, কিন্তু ঘুমের আমেজ তখনো পর্যন্ত কাটেনি, তাই কিছুক্ষণ এদিক ওদিক করে 7.10 নাগাদ ঘুম থেকে উঠলাম।

এখনকার জীবনযাত্রায় যেটা সবথেকে প্রয়োজনীয় কাজ অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে আগে একবার সব জায়গাতে চোখ বুলানোটা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই সকলের মতন আমিও সেই কাজটি প্রথমেই করলাম।

এরপর আরও একটি কাজ যেটা করতে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে সেটি করলাম। বিশ্বাস করুন দরজা খুলে যখন প্রথম পিকলুর মুখটা দেখি তখন ওকে আদর করাটা, সারাদিনের একটি কাজ,যেটা আমি খুব খুশি মনে করি এবং তার বিনিময়ে আমি অনেক অনেক ভালোবাসা পাই।

ওর সঙ্গে আমার সম্পর্কের এই গভীরতা বোধহয় প্রতিদিন সকালে এই ভালবাসার বিনিময় দিয়েই শুরু হয়েছে। যাইহোক,এরপর ফ্রেশ হয়ে সোজা রান্নাঘরে গিয়ে রান্না শুরু করলাম। শুভ ওঠার সময় হলে আমি ওর জন্য চা করে নিয়ে ওপরে এলাম। প্রতিদিনের মতো পিকলুও আমার সাথে সাথে উপরে এলো কারণ, শুভ যখন বিস্কুট খাবে তখন তাকেও বিস্কুট দিতে হবে। এটা তার রোজকার অভ্যাস।

যাইহোক শুভ এবং পিকলুকে চা বিস্কুট দিয়ে আমি নিজের মতো গিয়ে প্রথমে রান্নাটা শেষ করলাম,তারপর শুভর জন্য টিফিন গুছিয়ে নিলাম ,শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি আমাদের কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ করলাম এবং তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে ঘরের কিছু কাজ গুছিয়ে নিয়ে আমি পিকলুকে স্নান করাতে গেলাম।

আমার দুপুর বেলা:-

আসলে আগের সোমবার দিন ওকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল তাই, মাঝখানের একটা সপ্তাহ ওকে স্নান করানো যায়নি। তাই ভাবলাম আজকে ওকে ভালো করে স্নান করিয়ে দিই। স্নান করতে ও ভীষণ অপছন্দ করে, তাই জন্য আজ সারাদিন আমার ওপরে বেশি রেখেই ছিল।

এরপর আমি স্নান করে ঠাকুর পূজা দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর আবার কিছুক্ষণ কমিউনিটির কাজ করলাম,তারপর একটু বিশ্রাম করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আপনাদেরকে আগেই বলেছি আমাদের ছাদে বেশ কিছু গাছ রয়েছে,যেগুলোকে আমি প্রতিদিন জল দিই।

তাই আমি আর পিকলু দুজনে মিলে ছাদে গিয়ে গাছে জল দিলাম। যদিও আজকে পিকলু ছাদে যায়নি সে আমাদের সোফার উপরে বসে বিশ্রাম করছিল।আমি জল দিয়ে ফেরার সময় সে আবার আমার সাথে নীচে চলে এলো।

আমার সন্ধ্যা বেলা:-

এরপর সন্ধ্যা পূজো দিয়ে প্রতিদিনের মতো চা করলাম শশুর শাশুড়ির জন্য। তারপর আমি নিজে নিজের কাজ নিয়ে বসলাম। ইতিমধ্যে পিকলু গিয়ে আমার পাশে বসে পড়ল। এটা যদিও ওর প্রতিদিনকার নিয়ম। যতক্ষণ আমি আমার খাটে বসে কাজ করব ও ঠিক ঘুরে ফিরে আমার খাটে গিয়ে বসবে। কিছুক্ষণ বাদে যখন আমার হাজব্যান্ড অফিস থেকে ফিরলে,সে আমার খাট থেকে এক দৌড়ে সোজা গেটের সামনে চলে গেলো।

এরপর দুজনে একসাথে ঘরে এসে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করলো। সবাইকে টিফিন দিয়ে আমি আমার কাজ কিছুটা শেষ করে, রাতের জন্য রুটি তৈরি করবো। তারপর ডিনার করবো। আজ আমার রাতে কিছুই খেতে ইচ্ছা করছে না। তাই এখন ফ্রীজ থেকে একবাটি পায়েস বের করলাম। ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে বেশ ভালোই লাগবে। তাই এখন এটি খেয়ে রুটি করতে যাবো।

পিকলু এখন বিশ্রামের মুডে আছে। গরম যেভাবে পড়তে শুরু করেছে, তাই আজকাল তিনি মেঝেতে খুব আরামে শুয়ে থাকেন। এখন আমাদের ডাইনিং রুমে শুয়ে আছে, আমি ডাকদিতেই একবার ফিরে তাকালো, মুহুর্তটি আপনাদের জন্য ক্যামেরাবন্দি করলাম।

এভাবে আমার আজকের দিনটা কাটল। মোটামুটি এই ভাবেই কাটে আমার বেশিরভাগ দিন। আপনাদের সাথে কখনো আমার সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করা হয়নি। আপনাদের কেমন লাগলো আমার পোস্টটা পড়ে জানাতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।