be:-Incredible India contest by @sduttaskitchen|The things I follow to rejuvenate myself.
"Edited by canva" |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটিকে অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা সকলেই অবগত হয়েছেন।
যদিও আজ কনটেস্টের শেষ দিন। কিন্তু তবুও কনটেস্টের বিষয় আমার এতটাই ভালো লেগেছিল যে, আমি ভেবেছিলাম এই কনটেস্ট আমি অবশ্যই অংশগ্রহণ করব। কিন্তু বিভিন্ন কারণে, কাজের ব্যস্ততায় করা হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম অন্তত আজ অবশ্যই আমার নিজের অনুভূতিগুলো আমি আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব।
চলুন তাহলে অ্যাডমিন ম্যামের জিজ্ঞাস্য প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে আমি আমার অনুভূতি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করি, -
What do you follow to rejuvenate your mood? |
---|
প্রথম যে জিনিসটা আমাকে আমার মুড ভালো করতে হেল্প করে সেটি হচ্ছে নিজের পছন্দের গান শোনা। আমার বিশ্বাস এটি হয়তো আমাদের সকলের মন ভালো করে দেয়। আসলে এমন কিছু গান থাকে, যে গানগুলো আমাদের মনের, আমাদের জীবনের খুব কাছের হয়।
যে গানগুলো শুনলে মনে হয়, গানগুলি বোধহয় আমার অনুভূতি বা আমার জীবনের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা। তাই আমার মুড যতই খারাপ থাকুক না কেন, যখনই আমি আমার পছন্দের সেই গানগুলো শুনি, তখনই আমার মন ভালো হয়ে যায়।
আবার এমন অনেক গান রয়েছে, যে গানগুলো শুনলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু সেই মন খারাপের মধ্যেও কি অদ্ভুত একটা তৃপ্তি আছে আমি জানিনা। এটা সবার সাথে হয় কিনা জানিনা, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যখন আমার কোনো কারনে খুব কষ্ট হয়, তখন আমি আমার পছন্দের কষ্টের গানগুলো শুনি। আর নিজের মতন চুপচাপ শুয়ে কিছুক্ষণ কেঁদে নিই। তাতে করেই কিন্তু আমার মনের ভার অনেকটা হালকা হয়।
আরো একটা জিনিস আমার মুড পরিবর্তন করতে সাহায্য করে সেটি হচ্ছে, ফোনের গ্যালারির পুরনো দিনের ছবি দেখা। কারণ একমাত্র ছবির মাধ্যমেই আমরা আমাদের পুরনো দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারি। পুরোনো দিনের কাটানো অনেক ভালো মুহূর্ত, সেটি পরিবারের সঙ্গে হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে অথবা প্রিয় মানুষের সঙ্গে, সেই পুরনো ছবিগুলো দেখতে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব পছন্দ করি। আর সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমার মুড উজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
আমার মুড পরিবর্তন হওয়ার আরো একটি কারণ পিকলু।ওর সঙ্গে কাটানো সময়, ওর সাথে করা দুষ্টুমি, আমার খারাপ মুড ভালো করার জন্য যথেষ্ট।
Which things bother you the most and change your temper? |
---|
সত্যি কথা বলতে এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলি আমার মনে বিরক্তির সৃষ্টি করে। তবে সব থেকে যেটা বেশি বিরক্ত লাগে সেটা হলো, কিছু মানুষের ভালো মানুষ সাজার নিরলস প্রচেষ্টা।
বিষয়টাকে আমি একটু বিস্তারিত বলি, তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। দেখবেন আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা আমাদের পেছনে আমাদের নামে অনেক বেশি নিন্দা করে। অথচ সেই মানুষগুলোই আমাদের সামনে আমাদেরই এমন প্রশংসা করে, যেন তার জীবনে দেখা আমি সেরা মানুষ।
অথচ সেই মানুষগুলি এটা বুঝতেই পারেনা যে, তাদের স্বরূপ আমার কাছে প্রকাশিত। তাই তাদের অভিনয়টাও আমি বুঝতে পারি। আমার প্রতি এই বিশেষ কিছু ব্যক্তির, বিশেষ কিছু অভিব্যক্তি, আমার মনে বিরক্তির সৃষ্টি করে।
আরো বেশি রাগ হয় যখন সেই মানুষগুলির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমি তাদের স্বভাবটা তাদের সামনে প্রকাশ করে ফেলি এবং তখন তারা সেটিকে অস্বীকার করে। কারণ এমন কিছু মিথ্যে কথা থাকে, যেগুলো একবার বুঝে যাওয়ার পরে, হাজার মিথ্যে কথা দিয়েও সেগুলোকে সত্যি প্রমাণ করা সম্ভব হয় না।
অথচ এই সহজ কথাটাই কিছু মানুষের মাথায় কিছুতেই ঢোকে না। তাই তারা একটা মিথ্যেকে চাপা দিতে হাজারটা মিথ্যে কথা বলে এবং নিজেকে আমাদের চোখে আরও নিচে নামিয়ে নিয়ে আসে। আর এই স্বভাবগুলোই আমার মেজাজ পরিবর্তন করে, আমার মনে বিরক্তির জন্ম দেয়।
Have you ever helped others to change their mood (it could be children or elderly)? Share the story. |
---|
এই পয়েন্ট সম্পর্কে লিখতে গিয়ে আজ অনেকদিন বাদে হঠাৎ ঠাকুমার কথা মনে পড়লো। সত্যি কথা বলতে আমি অনেক সময় অনেককে তাদের মুড পরিবর্তন করতে হেল্প করেছি। কারণ দেখা যায় যখন আমার প্রিয় বান্ধবীর কোনো কারণে মন খারাপ থাকে, ও আমাকে ফোন করলে, আমি এমন কিছু টপিকে কথা বলি যে, তাতেই ওর মুখে হাসি ফোটে।
আবার অনেক সময় আমার দিদি বা বোন কোনো কারণে বিরক্ত হয়ে, সেই সম্পর্কে নালিশ করার জন্য আমাকে ফোন করে, আমি এমন কিছু কথা বলি, যে ওদের মুড পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে আজকে আমি আপনাদের সাথে যে গল্পটি শেয়ার করব, সেটি আমার ঠাকুমার মারা যাওয়ার কয়েক দিন পরের গল্প।
ঠাকুমা আসলে অনেক ছোটবেলা থেকে বিধবা জীবন যাপন করতেন। তারা একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল তার ছেলে অর্থাৎ আমার বাবা। এই ছেলেকে ঘিরেই তার পুরো জগত ছিলো। অথচ মৃত্যুকালীন সময়ে তিনি তার একমাত্র ছেলেকে দেখতে পাননি, কারণ আপনারা সকলেই জানেন সেই মুহূর্তে বাবা অসুস্থ ছিলেন।
ঠাকুমা মারা যাওয়ার পর আমরা পরিবারের সকলের মিলে একদিন সন্ধ্যায় অনেক গল্প করছিলাম। ঠিক সেই সময় ঠাকুরমার জন্য সকলের মনটা একটু বেশি খারাপ ছিল। সকলেরই ঠাকুমার প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে চোখের কোনে জল এসে পড়ছিল।
আমি নিজেও বুঝতে পারছিলাম যে আমিও বোধহয় কেঁদে ফেলব। ঠিক সেই সময় হঠাৎ করেই কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে নিয়ে আমি সবার মাঝখানে ঠাকুরমার সম্পর্কে কিছু হাসির কথা বললাম।
আসলে ঠাকুরমা যেহেতু পুরনো দিনের মানুষ, তাই বেশ কিছু শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা হতো। বারংবার ভুল ধরানোর পরেও সেই উচ্চারণ গুলো কখনো পরিবর্তন হয়নি। যেমন, - আমার ঠাকুমা বোঁদে কে (মিষ্টি) কখনোই বোঁদে বলতে পারতেন না। তিনি সব সময় উচ্চারণ করতেন বোন্দে।
যদি ঠাকুরমাকে কোলড্রিংস দেওয়া হতো, ঠাকুমা বলতেন আমি ঐসব নেশার জিনিস খাই না। কারণ তার ধারণা ছিল সকল কালো পানীয় নেশার জিনিস হয়। তার এই ভুল ধারণাও কখনো কাটানো সম্ভব হয়নি।
আমার ঠাকুমা আমাদের গ্রামের বাড়িতে খালি পায়ে হেঁটে বেড়াতেন। শীত হোক বা গ্রীষ্ম তাকে বকে বলেও জুতো পরানো সম্ভব হতো না। তাকে যখনই সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হতো তার একটাই উত্তর ছিল, -জুতো পড়লে তিনি বেশি হোঁচট খান, না পরলে তিনি ভালো থাকেন।
হঠাৎ করে এই সকল প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করায় সকলের চোখের জল, তাদের মুখের হাসিতে পরিণত হলো। ঠাকুরমার প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে যে মানুষগুলো মন খারাপ করে বসেছিল, তাদেরকেই ঠাকুমার প্রসঙ্গে কথা বলে হাসানোটা কিন্তু খুব একটা সহজ কাজ ছিলো না,যেটা আমি সেই সময় করতে পেরেছিলাম। তাই সেই গল্পটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
এই ছিল আমার আজকের উপস্থাপন। এই কনটেস্টের টপিক সম্পর্কে আমার অনুভূতি, যেগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের কেমন লাগলো সেই সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদের মতামত, কমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
কনটেস্টের নিয়মানুসারে শেষ করার আগে আমি আমার তিনজন বন্ধু @noelisdc @dexsyluz & @chant কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, আশা করছি তারাও এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজেদের অনুভূতি সম্পর্কে জানাবেন। ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
অনেক সুন্দর হবে আপনার প্রতিযোগিতা মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন।
আপনার প্রতিযোগিতামূলক পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম প্রিয় গান গজল বা গ্যালারি পুরনো ছবিগুলো এগুলো আসলেই আবেগময় একটি বিষয় এগুলো দেখলে আপনা আপনি মন ভালো হয়ে যায়।
আরেকটি বিষয় জানতে পারলাম আপনার মন খারাপ থাকলে পিকলুর সাথে সময় কাটাতে আপনার মন আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় আসলেই পোষা প্রাণী জিনিসটা এমনই।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের মাঝে ভাল থাকবেন।
আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন আপনার ভালো লাগার দিকগুলো।আসলেই পুরনো ছবিগুলো মন ভালো করে দেয়।আমার ফোন গ্যালারি থেকে ফটো এ্যালবামের ছবি দেখতে বেশি ভাল লাগে।আপনার ঠাকুরমা উচ্চারণজনিত কারণে বোন্দে বলে,আমাদের গ্রামাঞ্চলে তো এটাকে সবাই বোন্দেই বলে! বোদে বললে কেউ চিনবে না!! ধন্যবাদ দিদি।।
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি লিখেছেন আপনার মুড পরিবর্তন করার জন্য, আপনি নিজের পছন্দের গান শুনেন। এবং চুপচাপ কিছুক্ষণ কান্না করতে থাকেন। আসলে এই জিনিসটা মাঝেমধ্যে আমিও করি। কেননা নিজের মনের কষ্টগুলো যখন কারো কাছে বলে কোন রকম সান্তনা পাই না। তখন চুপচাপ আল্লাহর কাছে সেজদায় পড়ে কান্না করা শুরু করি। এরপর এমনিতেই আমার মন ভালো হয়ে যায়।
আপনার মুড পরিবর্তন করার আরেকটা বিষয় হচ্ছে পিকলু বাবু। আসলে ওকে দেখলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। ও যেভাবে আপনার সাথে মেলামেশা করে। আপনার মন ভালো না হয়ে হয়তো বা আপনি থাকতে পারেন না।
তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে আপনার আবারো আপনার ঠাকুমার কথা মনে পড়ে গেল। যে মানুষটা আপনাদেরকে ছেড়ে অনেক আগেই চলে গেছে। আসলেই পৃথিবী থেকে আমাদের প্রত্যেককেই চলে যেতে হবে। হয়তোবা কেউ আগে আর হয়তোবা কেউ পরে। কিন্তু আপনি অনেকবার চেষ্টা করেছেন আপনার ঠাকুমার মন পরিবর্তন করার জন্য।
খুব চমৎকারভাবে আপনি আপনার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন।আপনার প্রশ্নের উত্তর পড়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।