রৌদ্রজ্জ্বল রবিবারে বাইরে বেড়োনোর গল্প
রৌদ্রজ্জ্বল রবিবারের সকালে প্ল্যাটফর্মের দাড়িয়ে তোলা ওভারব্রিজের ছবি |
---|
Hello,
Everyone,
সবাইকে রবিবারের শুভেচ্ছা জানাই।গত কয়েক দিনের মতো আজও বাইরে প্রচন্ড গরম। সকাল থেকেই রৌদ্রের তাপ অনুভূত হচ্ছে। গতকাল তাপপ্রবাহের সতর্কতা জানিয়ে ফোনে মেসেজও এসেছে।আগামী তিনদিন পর্যন্ত এই তাপ প্রবাহ চলবে বলেই জানানো হয়েছে।
দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেড়োনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে
কিন্তু তবুও কাজের কারনে মানুষকে বাড়ির বাইরে বেড়োতেই হচ্ছে।ঠিক যেভাবে আমাকেও বেড়োতে হলো আজ।এইরকম গরম বাড়ির বাইরে বেড়োনো নেহাৎ শাস্তি ছাড়া আর কিছুই না।
কিন্তু কাজটাই এমন যে যেতেই হবে। ঠাকুরমার ডেথ সার্টিফিকেট আমার কাছে রয়েছে। ঠাকুরমার সমস্ত কাগজপত্র গুলো আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েতে জমা দিতে হবে। বাবা গতকাল বাড়িতে গিয়েছে, আজকে আমি ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে সবকিছু জমা দেবো।
আসলে আগামীকাল থেকে যেহেতু আমাদের চ্যালেঞ্জ শুরু হওয়ার সময় হয়ে গেছে, তাই এরপর আর কোনো মতেই বাড়ি থেকে বেড়োনো সম্ভব না। আজকেই সব কাগজপত্র একজায়গায় করে রাখতে হবে, যাতে আগামীকাল ওগুলো জমা করা যায়।
সত্যিই বাবা মানুষ জন্মগ্রহণ করার পর জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করা, এরপর এক এক করে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড,আধার কার্ড সবকিছু তৈরি করা বেশ ঝক্কির কাজ বলেই জানতাম।
এখন দেখছি মানুষ মারা গেলেও এইসব কাগজপত্র জমা করা, ভোটের লিস্ট থেকে নাম কাটানো, রেশন কার্ড বাতিল করা এগুলো কম ঝক্কির কাজ নয়। যাইহোক এই সমস্ত কাজগুলো এখন করতে হবে। এই কারণে ঠাকুরমার সমস্ত কাগজপত্র এক জায়গায় করে,ডেথ সার্টিফিকেটের জেরক্স দিয়ে, এই সকল নিয়মগুলো পালন করতে হবে।
আমার বড় দিদি যদিও এইসব কাজ করে নিতে পারবে কিন্তু যেহেতু ডেট সার্টিফিকেট আমার কাছে ছিলো, তাই আজকে আমাকে যেতেই হতো।
আমার উল্টো দিকের প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকেছে |
---|
বাড়ির বাইরে বেরিয়ে সত্য কথা বলতে অনুভব করতে পারলাম,প্রতিদিন মানুষ কত কষ্ট করে কাজ করতে বাইরে বেড়োয়। যদিও ঘরের মধ্যেও গরম লাগে,কিন্তু গরমে বাড়ির বাইরে বেড়োনো তার থেকে অনেক বেশি কষ্টের।
আজকে যেহেতু রবিবার, ছুটির দিন। তাই ভেবেছি হয়তো লোকজন খুব বেশি বাইরে বের হবে না, কিন্তু প্ল্যাটফর্মে ঢুকে বুঝতে পারলাম রবিবারেও মানুষের ভিড় নেহাৎ কম থাকে না।
পেয়ারা ও জাম |
---|
ঠান্ডাজল বিক্রি করার জন্য দোকানকার বরফের মধ্যে রাখছিলেন |
---|
টিকিট কেটে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেনের অপেক্ষা করতে হলো। প্ল্যাটফর্মে আজকে জাম ও পেয়ারা বিক্রি হচ্ছিল,ভেবেছিলাম কিনব কিন্তু দুঃখের বিষয় জাম ও পেয়ারার ঝুড়ি দুটো রেখে জানিনা দোকানদার কোথায় গিয়েছিল। সেই কারণে আর কেনা হয়নি।
আখের রসের দোকান |
---|
গরমে আখের রস অনেক উপকারী। তাই সকাল থেকেই প্ল্যাটফর্মের আখের রসের দোকান খুলে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে ট্রেন এসে পড়ল,আমিও ট্রেনে উঠে পড়লাম। ট্রেনের মধ্যে বসেই বেশ কিছুটা লেখা এগিয়ে রেখেছিলাম। বাকি অংশ এখন লিখতে বসলাম। ট্রেন থেকে নেমে বাড়ি অব্দি পৌঁছাতে প্রচুর কষ্ট হলো। কারণ আমাদের এখানে যান বাহনের খুব বেশি সুবিধা নেই।
অটোতে বসলেও আপনাকে প্রায় কুড়ি থেকে তিরিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত অটোতে লোক না হবে, কিছুতেই ছাড়বে না। আর এই গরমে অটোতে বসে থাকার কষ্ট, যারা বসে থাকে তারাই বুঝতে পারবে।
তার উপর আজকে রবিবার বলে আরও গাড়ির সংখ্যা অনেকটাই কম ছিলো। এই কারণে গাড়ি অন্যান্য দিনের তুলনায় আরো কিছুটা দেরিতে ছাড়ছিল। বাড়িতে এসে পৌছালাম, দেখলাম বাবা বারান্দাতেই বসে ছিল।
গাছ থেকে পাকা আম পেরেছিল, তাই আমি আর বাবা দুজন মিলে আম ও মুড়ি খেলাম। সকালে বাবা কিছুই খায়নি, আমি আসবো শুনে সে আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল। তারপর কাগজপত্র গুলো রেডি করে আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে গেলাম। সেখানে তার কাছে সমস্ত কিছু জমা করলাম, তিনি সবকিছু দেখে আগামীকাল বাবাকে গিয়ে সেগুলো পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিয়ে আসতে বললেন।
রান্না করার কোনো ঝামেলা আজকে নেই। কারণ দিদি ওদের বাড়িতে খেতে বলেছে, আবার আমার মাসির মেয়ে অর্থাৎ আমার বোনও ওদের বাড়িতে নিয়ন্ত্রণ করেছে। যদিও আমি আর বাবা এখনো ঠিক করিনি কোথায় যাবো।
তবে যেখানেই যাই না কেনো সন্ধ্যা বেলায় আমাকে বাড়িতে ফিরতেই হবে। যাইহোক আজকে এই পর্যন্তই। এই গরমে খুব কষ্ট হলেও এই কাজগুলো করা প্রয়োজন ছিল বলে, বাধ্য হয়েই বাড়ি থেকে বেরোলাম।
আপনাদেরও যদি খুব দরকারি কোনো কাজ না থাকে, তাহলে দয়াকরে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। কারণ সত্যি আবহাওয়া প্রচন্ড উত্তপ্ত এবং এই আবহাওয়ায় বাড়ির বাইরে থাকা মানে নিজের জন্যই বিপদ ডেকে আনা।
গরম থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে জল খান। বাইরে বেড়োনোর সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন এবং বাইরে বেরোনোর সময় হালকা সুতির জামা কাপড় পড়বেন।ভালো থাকবেন।
¡Congratulations!
This post has been supported through the account Steemcurator06. for containing good quality content.
Amiga es verdad no es cómodo salir de la casa a la calle por el calor que es muy intenso y tomar jugo de caña es muy refrescante para un día caluroso. Saludos y bendiciones.🤗