"বাসক পাতার ঔষধি গুণ"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আমার গত দুদিনের পোস্ট যারা পড়েছেন। তারা সকলেই জানেন আমার শরীরটা খুব বেশি ভালো নেই। ঠান্ডা লেগেছে তার সাথে হালকা কাশি রয়েছে। বর্তমানে কাশির জন্য বিভিন্ন সিরাপ পাওয়া যায় ঠিকই, তবে একটা সময় ছিল যখন কিন্তু এত বেশি কাশির ঔষধ পাওয়া যেত না।
আর সেই সময় কাশির ঔষধ হিসেবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা হতো। যে গুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতো না। আজকাল আমরা যে সকল কাশির সিরাপ গুলো খেয়ে থাকি, তার কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিন্তু অবশ্যই রয়েছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে পুরনো দিনে কাশির জন্য ব্যবহৃত একটি বিশেষ পাতা সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করব।আমার বিশ্বাস আপনারা প্রত্যেকেই তুলসী পাতার মতন বাসক পাতার নাম নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন।
শহর এলাকায় না হলেও যারা গ্রামের দিকে বসবাস করেন তাদের কাছে এটি একটি পরিচিত নাম। ছোটবেলায় যখন এই সর্দি কাশি হত তখনই ঠাকুরমা তুলসী পাতার সাথে এই বাসক পাতার রস মিলিয়ে আমাদেরকে খাওয়াতো। যাতে কাশি তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও এই পাতাটির স্বাদ তেতো হওয়ার কারণে ছোটবেলায় এটি খেতে একদমই পছন্দ করতাম না।
তবে বড় হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে শিখেছি, যে সকল জিনিস সুস্বাদু তা আমাদের শরীরের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক। কিন্তু যা আমাদের মুখে একদমই স্বাদ হীন সেগুলোই আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে উপকারী।
![]() |
---|
আগে গ্রামের দিকে প্রায় বাড়িতেই বাসক পাতা গাছ দেখা যেতো। তবে বর্তমানে সব বাড়িতে দেখা না গেলেও, বেশ কিছু বাড়িতে এখনো কিন্তু বাসক পাতা গাছ দেখা যায়। অনেকে আবার নিজের বাড়ির টবেও এই গাছ লাগিয়ে থাকেন, যাতে সময় অসময়ে সেই পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
এই গাছ খুব বেশি উচ্চতার হয় না। গাছের পাতাগুলি একটু লম্বা আকৃতির হয়। এই গাছে থোকা থোকা ফুল হয়। ফুলগুলি দেখতেও বেশ সুন্দর। ছোটবেলায় এই গাছের পাতাগুলো নিয়ে আমরা অনেক খেলাও করতাম।
শুধুমাত্র এই গাছের পাতা নয়, এই গাছের মূল, ফুল অন্যান্য অংশও কিন্তু বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ তৈরির কাজে লাগে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই গাছটি একটি সম্পূর্ণ ঔষধিগুনসম্পন্ন গাছ।
![]() |
---|
আসুন এবার আপনাদের সাথে শেয়ার করি বাসক পাতার ঔষধি গুণ, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
- প্রথমেই যেমনটা আপনাদের বললাম, কাশি কমাতে বাসক পাতা সব থেকে বেশি উপকারী। যাদের ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে, বহু দিন ধরে কাশির সমস্যায় ভুগছেন, তারা যদি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি বাসকপাতা ভালো করে ধুয়ে, বেটে নিয়ে তার রস খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু সহজেই উপকার পেতে পারেন। অনেকের কাছে এর স্বাদ বেশি তেতো লাগতে পারে, সেক্ষেত্রে যদি আপনারা চান তাহলে এর সাথে তুলসী পাতার রস, অথবা একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলেও কিন্তু বেশ উপকার পাওয়া যায়।
বাসকপাতা যক্ষা রোগ সারাতে সাহায্য করে। যে সকল মানুষ যক্ষা বা টিউবারকিউলসিস রোগে ভুগছেন, তারা যদি নিয়মিত বাসক পাতার রস সেবন করেন, তাহলে কিন্তু উপকার পেতে পারেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা রয়েছে। যার কারনে অনেক সময় মুখে ব্রণ দেখা যায়। কিন্তু বাসক পাতার রস আমাদের সেই সব সমস্যাও দূর করে থাকে।
- যদি নিয়মিত বাসক পাতার রস সেবন করা যায়, তাহলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম রয়েছে, তাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেকটা বাড়াতে সাহায্য করে।
- অনেক মেয়েদেরই ঋতুস্রাবের সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকের পেটে ব্যথা বা অতিরিক্ত রক্তপাত হয়ে থাকে। তবে নিয়মিত বাসক পাতা রস সেবন করলে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
- আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন চর্মরোগে ভোগেন। সেক্ষেত্রে কাঁচা হলুদের সাথে যদি বাসক পাতার রস মিশিয়ে গায়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর স্নান করা যায়, তাহলে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- খেলাধুলা করতে গেলে অনেক সময় মাংসপেশিতে টান ধরে এবং সেই ব্যথা নিবারণের জন্য আমরা চুন ও হলুদ একসাথে ব্যবহার করে থাকি। সেই সঙ্গে যদি একটু বাসক পাতার রস মিশিয়ে নিয়ে মালিশ করা যায়, তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়।
![]() |
---|
আমার মনে পড়ে আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি বাসক গাছ ছিল। বর্তমানে যদিও গাছটি নেই। তবে বেশ অনেকদিন আগে মাসির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মাসির বাড়িতে বাসক গাছ দেখেছিলাম। তখনকার তোলা ছবি গুলোই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
সত্যি কথা বলতে আপনার এই বাসক পাতার গুনাগুন পড়তে গিয়ে! আমার দাদির কথা মনে পড়ে গেল! আমার দাদী সবসময় আমাদের জন্য যখনই আমাদের সর্দি কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগতো! তখনই দাদি যেখান থেকে হোক! এই বাসক পাতা নিয়ে আমাদেরকে রস খাওয়ানোর চেষ্টা করত।
দাদি আমাদের মাঝে নেই,,, কিন্তু তার স্মৃতি গুলো এখনো মনে আছে! বাসক পাতার অনেক গুণাগুণ রয়েছে! যা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এত সুন্দর একটা তথ্যবহুল পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
এই কথা আমি বিশ্বাস করি যেই জিনিসের মধ্যে বেশি মিষ্টি রয়েছে বা বেশি খেতে ইচ্ছে করে যেই খাদ্য বস্তু গুলো, সেগুলো শরীরের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনে না বরঞ্চ যেই খাবার খেতে ইচ্ছে করে না ভালো লাগে না কিন্তু সেগুলোই শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। অনুরূপভাবে এই বাসক পাতা আপনি তুলে ধরেছেন যথেষ্ট উপকারী।
আমি আপনার এই লেখা থেকে একটি বিষয় জানতে পারলাম বা আমার কাজে লাগবে তাহলে চর্ম রোগের ক্ষেত্রে। কেননা আমার চর্ম রোগের চিকিৎসা নিচ্ছি এই কারণে আমি আপনার এই লেখা অনুযায়ী চর্ম রোগের জন্য এপ্লাই করব আশা করা যায় আল্লাহতালা সুস্থতা দান করবেন। এইতো গতকাল আমি ডক্টরের কাছ থেকে ঔষধ কিনে নিয়ে এসেছি এই চর্ম রোগের জন্য।
ধন্যবাদ জানাই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল লেখা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
বাসক পাতার অনেক গুনাগুন রয়েছে। তবে এই বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমার আগে কোন ধারনাই ছিল না। তবে আমার বিয়ের পরে এবং আমার মেয়ে হওয়ার পরে যখন আমার মেয়ের সর্দি-কাশি হত তখন আমার শাশুড়ি এই বাসক পাতা তুলে রস করে খেতে দিতেন। ফলে অনেক উপকারও পেতাম। তবে আপনার পোস্ট পড়ে এই বাসক পাতার আরো উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাসক পাতার ঔষধি গুণ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে উপস্থাপনা করছেন আমি আগে শুধু জানতাম মানুষের কাশি হলে বাসক পাতা রস করে মধু দিয়ে খেলে সেরে যাই। আজকে এর ঔষধি গুনাগুন আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য । ভালো থাকবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Amiga está planta medicinal se ve que es muy beneficioso para la salud, que te mejores de tu resfriado, a veces las medicinas naturales son muy buenas para aliviar eso síntomas. Aprendí mucho de tu publicación. Saludos y bendiciones.🤗