একটি স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু রেসিপি -"খিচুড়ি"
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি প্রত্যেকেই ভালো আছেন এবং আপনাদের দিনটি আজকে অনেক ভালো কেটেছে।
গত দুদিন ধরে মোটামুটি মেঘলা আকাশ। অল্প অল্প বৃষ্টিও হচ্ছে, তবে সেদিন রাতের মত নয়। আর এই বৃষ্টির দিনে বাঙালিদের প্রিয় একটি খাবার হলো "খিচুড়ি"। যেহেতু আজও মেঘলা আকাশ ছিল,তাই আজকে রাতে আমাদের বাড়িতে খিচুড়ি রান্না হয়েছে।
তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে আজকে এই খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটি শেয়ার করি। খিচুড়িতে যেহেতু ডাল ও বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করা হয়, সেহেতু এটি বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার। চলুন আপনাদের প্রথমে জানাই খিচুড়ি রান্না করতে আমি কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি, -
খিচুড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:- |
---|
উপকরন | পরিমান |
---|---|
আলু | ৪টি(টুকরো করে কাটা) |
কুমড়ো | ৬ টুকরো |
ফুলকপি | ১ টি ছোটো আকারের(টুকরো করে কাটা) |
টমেটো | ১ টি |
মটরশুঁটি | ⅓ কাপ |
কাঁচা লঙ্কা | ৬-৭ টি |
মুসুরির ডাল | হাফ কাপ |
মুগ ডাল | হাফ কাপ |
আতঁপ চাল | এক কাপ |
সরষের তেল | ৩-৪ চা চামচ |
আদা | ½ ইঞ্চি |
হলুদ | ২ চা চামচ |
লবন | আপনাদের স্বাদ অনুসারে |
চিনি | আপনাদের স্বাদ অনুসারে |
শুকনো লঙ্কা | ১ টি(ফোরণের জন্য) |
তেজপাতা | ১ টি (ফোরণের জন্য) |
পাঁচফোড়ন | ১½ চা চামচ (ফোরণের জন্য) |
গরম মশলা | ½ চা চামচ |
ঘি | ১ চা চামচ |
খিচুড়ি তৈরির পদ্ধতি:- |
---|
- প্রথমে আলু,কুমড়ো ও ফুলকপি গুলো টুকরো করে কেটে, ভালো করে ধুয়ে নিলাম।
- তার সাথে আতঁপচাল গুলোও ধুয়ে জল ঝড়িয়ে রাখলাম।
- এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে কড়াই বসিয়ে শুকনো কড়াইতে মুগ ডালগুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিলাম।
- অন্যদিকে একটা হাড়িতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে, তার মধ্যে মুসুরির ডাল এবং আলুগুলো দিয়ে সিদ্ধ হতে দিলাম। যেহেতু আলু সিদ্ধ হতে বেশি সময় লাগে, সেই কারণে ডালের সাথে আলু গুলো দিয়ে, তার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে, ঢাকা দিয়ে দিলাম।
- কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, আমি ভেজে রাখা মুগডাল গুলো ওই জলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
- একটু পরে যখন ডাল এবং আলু ফুটে উঠল,তখন তার মধ্যে আগের থেকে ধুয়ে রাখা আতঁপ চাল গুলো দিয়ে দিলাম। আতঁপ চাল সিদ্ধ হতে খুব বেশি সময় লাগে না। এই কারণে ডালটা যখন অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে আসবে, তখনই আতঁপ চাল দিয়ে দিতে হবে।
- এরপর এক এক করে আমি ওর মধ্যে কেটে রাখা কুমড়ো ও ফুলকপি দিয়ে দিলাম। তার পর কাঁচা লঙ্কা বাটা এবং হলুদ জলে গুলে দিয়ে দিলাম।
সবশেষে আমি টুকরো করে কেটে রাখা টমেটো এবং মটরশুঁটি দিলাম।কারণ এগুলো সিদ্ধ হতে সবথেকে কম সময় লাগে।
চাল এবং ডাল যখন ৮০ শতাংশ সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গ্যাসের ফ্লেম কমিয়ে দিলাম।
- এরপর আমি অল্প পরিমানে আদা গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিলাম। তার সাথে একটা শুকনো লঙ্কা দুটি তেজপাতা ও হাফ চা চামচের মতো পাঁচফোড়ন নিয়ে নিলাম।এই প্রত্যেকটি উপকরণ ফোরণের জন্য প্রয়োজন হবে।
- ফোড়নের জন্য আমি আরেকটি গ্যাস জ্বালিয়ে একটি কড়াই বসিয়ে নিলাম। তার মধ্যে পরিমাণ মতো সরষের তেল দিয়ে, প্রথমে শুকনো লঙ্কা এবং তেজপাতা ফোরণ দিলাম। তারপর এক এক করে পাঁচফোড়ন ও ঘষে নেয়া আদা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিলাম।
- এরপর ঐ কড়াই থেকে সবকিছু একসাথে হাঁড়ির মধ্যে ঢেলে দিলাম। এরপর সমস্ত উপকরণ ভালো করে নেড়ে একসাথে মিশিয়ে নিলাম।।
- সবশেষে সমস্ত কিছু সেদ্ধ হয়ে এলে, নামিয়ে নেওয়ার আগে আমি উপর থেকে সামান্য চিনি, গরম মশলা গুঁড়ো এবং এক চামচ ঘি দিয়ে দিলাম।
- এইভাবেই ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে তৈরি করলাম স্বাস্থ্যকর খিচুড়ি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি ভুনা খিচুড়ির থেকেও এই রকম খিচুড়ি খেতে বেশি পছন্দ করি। তবে শুভ আবার ভুনা খিচুড়ি বেশি পছন্দ করে। আপনারা কারা কোন খিচুড়ি খেতে বেশি পছন্দ করেন, কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।শুভরাত্রি।
বাহ বাহ ভালোই তো আপনি খিচুড়ি রান্না করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন আইটেম ব্যবহার করেছেন খিচুড়িতে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আমিও যেকোনো ধরনের খিচুড়ি পছন্দ করে থাকি কিন্তু এক সময় খিচুড়ি পছন্দ করতাম না। কিন্তু শহরে পড়াশোনা করতাম ম্যাচে থাকতাম তাই ম্যাচে সকালের খাবার হিসেবে খিচুড়ি রান্না করে দিত সেই থেকে খিচুড়ি খাওয়া শিখেছি। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর খিচুড়ি তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য। ভালো থাকবেন আপু
চারপাশে প্রচন্ড বৃষ্টি, বৃষ্টির মধ্যে আপনার পোস্ট ওপেন করলাম। চোখে পড়ে গেল আপনার তৈরি করা সুস্বাদু খিচুড়ি দিকে, দেখেই লোভ লেগে গেল খেতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল।
আসলে আমি যখনই সময় পাই একটু একটু রান্না করার চেষ্টা করি, কিন্তু আপনি তো দেখছি প্রফেশনাল একজন রাঁধুনী। যেটা আপনার পোস্ট পড়ে আমি বুঝতে পারলাম।
ইনশাল্লাহ যদি বেঁচে থাকি, একদিন চলে আসব আপনার বাসায়, আপনার হাতে সুস্বাদু খিচুড়ি খাওয়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাকে এত সুন্দর একটা স্বাস্থ্যকর খিচুড়ি রান্নার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।
দিদি খিচুড়ি টা দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে যে কতটা টেষ্টি হয়েছে ৷ আমার মনে হয় অনেক টেষ্টি হয়েছে ৷ খিচুড়ির কালার টাও সেই ৷ বিশেষ করে আপনি সব ধরনের উপকরন দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছিলেন এবং পরিমাপ মত দিয়েছিলেন তা আপনার পোস্টের মাধ্যমে বুঝলাম ৷ খেচুড়ি গরম গরম খেতে অনেক টেষ্টি ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷
মেঘলা আকাশ, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, আবহাওয়া টা একদম স্নিগ্ধ। এমন কিছু সময় আমাদের এই সময়গুলোতে অতিবাহিত হয়। আর এই সময় গুলোতে যদি, আপনার রান্নার মত কোন খিচুড়ি হয় তাহলে তো একদম খেয়ে তুফান করে ফেলা যায়। এই সময়গুলোতে খিচুড়ি অনেক সুস্বাদু লাগে, আবার আমাদের এদিকে মুড়ি মাখানো হয়। খুবই ভালো লাগে।
যাই হোক আপনার খিচুড়ি রেসিপি টা দেখলাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এটাই সবসময় কামনা করি।
খিচুড়ি আমার ভিষণ প্রিয় একটি খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খিচুড়ি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার আপনি আমাদের মাঝে ফুলকপি টমেটো মটরশুটি মিষ্টি লাউ সবধরনের সবজি দিয়ে অনেক সুন্দর খিচুড়ি রান্না করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপনার রান্না করা খিচুড়ি। ধাপে ধাপে আপনা খিচুড়ি রান্না আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, আপনার সহযোগিতায় আরো সুন্দর কিছু রান্না করতে পারবো আমরা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য শুভকামনা রইলো।