"সম্মান অর্থের বিনিময়ে নয়, কৃতকর্মের দ্বারা অর্জন করতে হয়"
Hello,
Everyone,
আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
সপ্তাহ শুরুর দিনটা কম বেশি আমাদের প্রত্যেকেরই বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটে, আমার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হলো না। তার উপরে আজকে আবার আমাদের পিকলু বাবুর ভ্যাকসিনের ডেট ছিল।
তাই প্রতিদিনের কাজের পাশাপাশি আজকে আবার পিকলুকে নিয়েও বেরোতে হয়েছিল। যাইহোক দিনশেষে সব কাজ শেষ, তাই এখন আমি লিখতে বসলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলব এবং বিষয়টি সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
সম্মান শব্দটি ছোট হলেও এই শব্দের মানের গভীরতা কিন্তু অনেক গভীর। যার উপযুক্ত অর্থ অনেকেই জানেন না। সত্যি কথা বলতে, ভাগ্যিস সম্মান বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না, তা না হলে সমাজের অর্থশালী মানুষদের এক চেটিয়া অধিকার থাকতো এই সম্মানের উপরে।
সেখানে আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের, মা-বাবার তার সন্তানকে দেওয়া সমস্ত শিক্ষা মূল্যহীন হয়ে যেত। কারণ তাদের কখনোই অর্থের বিনিময়ে বাজার থেকে সম্মান কেনার মতো সামর্থ্য থাকত না।
সম্মান আসলে এমন একটি জিনিস যেটা আপনি কাউকে যেমন জোর করে করতে পারবেন না, তেমনি অন্য কাউকেও বাধ্য করাতে পারবেন না, আপনাকে সম্মান করার জন্য।
কারণ এটি এমন একটা অনুভূতি যেটা, এক একজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ভাবে প্রকাশ পায়। দেখবেন আমাদের জীবনে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে, যাদের সঙ্গে জীবনে কখনো দেখা না হলেও, মনে মনে কিন্তু তাদের প্রতি আমাদের একটা সম্মান কাজ করে।
উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমি নিজে মাদার টেরিজাকে ভীষণ সম্মান করি। তার সাথে আমার কোনদিনও সাক্ষাৎ হয়নি,কিন্তু তার যত গল্প আমি ছোটবেলা থেকে শুনেছি, সেই গল্পগুলি আমাকে তার প্রতি সম্মান দেখাতে বাধ্য করে। ঠিক আপনাদের জীবনেও এইরকম কোনো বিশেষ ব্যক্তি নিশ্চয়ই আছে, যাদেরকে আপনারা সম্মান করেন।
অনেকে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আমি আজকে হঠাৎ সম্মান নিয়ে কেন কথা বলছি? আসলে আজকে পিকলুকে ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে গিয়ে একটা অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হলাম। যেই কারণে আমার মনে আজকে এই বিষয়টি এলো।
পিকলুকে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে আরো অনেক কুকুর,বিড়াল,পাখি এদেরকে নিয়ে আসে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য বা অন্য কোন সমস্যার কারণে ডক্টর দেখানোর জন্য। আমরা যখন সেখানে পৌঁছালাম তখন চেম্বারের ভেতরে একজন মহিলা তার পোষ্য কুকুরকে নিয়ে দেখাচ্ছেন।
তার সাথে সেই টোটোওয়ালাটিও রয়েছে যে টোটো তে করে তিনি তার কুকুরকে নিয়ে ডক্টরের কাছে এসেছেন। কুকুর মূলত পরিচিত ব্যক্তির কাছে ছাড়া,খুব একটা শান্ত থাকে না। তাই সেই কুকুরটির অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হল, এই লোকটি তার যথেষ্ট পরিচিত। আমরা যখন ঢুকবো তখন তারা বেরিয়ে আসছে, হঠাৎ করেই কুকুরটি মহিলাদের গায়ে সামনের পা দুটি তুলে দিলো।
তৎক্ষণাৎ লোকটি কুকুরটিকে পিছনের দিকে টেনে নিলেন। মহিলাটি কোনো কিছু না ভেবেই পেছন দিকে ফিরে কুকুরটির পাশাপাশি লোকটির সাথেও যথেষ্ট খারাপ ভাবে কথা বললেন। আমি একটু অবাকই হলাম। যেহেতু কুকুরটি তার পোষা, তাই কুকুরটি তার সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী ভয়ের কারণেই হয়তো মহিলাদের দিকে নিজের হাত দুটি বাড়িয়ে দিতে চেয়েছে।
মহিলার কথা শুনে মনে হল তিনি কুকুরটির এবং লোকটির উপরে এই কারণেই বিরক্ত হয়েছেন,যেহেতু কুকুরটির পা দুটো তার জামায় লেগেছে, তিনি তাতে বিরক্ত প্রকাশ করছেন। কিছুক্ষণের জন্য অবাক হয়ে মহিলাকে দেখলাম এবং নিজের মনেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম, তিনি কেন কুকুর থেকে পোষেন?
কারণ কুকুর যে তিনি খুব ভালবাসেন, এমনটি আমার একটুও মনে হলো না। কারণ যে কুকুর ভালবাসবে তার কখনোই নিজের জামার প্রতি এত ভালবাসা হবে না। আমি যেহেতু পিকলুকে ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে যাই, আমি জানি ওই হসপিটালে ঢুকলে প্রত্যেকটি কুকুরের হৃদপন্দন বেড়ে যায়। কারণ তারাও আমাদের মত ভয় পায়।
পাশাপাশি এটা দেখেও খারাপ লাগলো যে, তিনি সেই লোকটির সাথেও খারাপ ভাবে কথা বললেন কারণ, লোকটি কুকুরটিকে পেছনদিক থেকে ধরে রাখেনি। সেখানে দাঁড়িয়েই আমার কোথাও একটা মনে হলো, লোকটি মহিলাটিকে মন থেকে সম্মান না করলেও, তাকে তার কাজটি করার জন্য মহিলার এই অসম্মানটাও মুখ বুজে মেনে নিতে হয়।
কুকুরটির বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা কারণ,কুকুরেরা কাউকে অসম্মান করার শিক্ষা কখনোই পায়নি।তাই ওই মহিলা যতই ওকে বকুল না কেন, ও কিন্তু ঘুরে ফিরে ওই মহিলার কাছেই যাবে। তবে হ্যাঁ লোকটির প্রতি মহিলার ব্যবহার আমাকে আজকে সত্যিই অবাক করল।
প্রথমত,,লোকটির তেমন কোনো দোষ করে নেই, যে কারণে ভদ্রমহিলা লোকটিকে এতগুলো কথা শোনালো, দ্বিতীয়ত একমাত্র নিজের কাজ টিকিয়ে রাখার জন্য হয়তো লোকটি মহিলার এইরকম ব্যবহার রোজ জিনিস সহ্য করে। এই বিষয়টি আমাকে সত্যি ভেতর থেকে নাড়া দিয়েছে।
আজকে আমার সত্যিই মনে হয়েছে যে, মহিলাটির হয়তো অর্থ থাকতে পারে, ভালো পোশাক থাকতে পারে, কিন্তু ওই রকম নিম্ন মধ্যবিত্ত একটা লোকের চোখে উনার কোন সম্মান নেই। কারণ উনি হয়তো অর্থ দিয়ে অনেক কিছু কিনতে পারেন কিন্তু ওই লোকটির চোখে নিজের জন্য কখনোই সম্মান কিনতে পারবেন না।
আমার সাথে হয়তো ওনার আর কখনো দেখা হবে না, হয়তো বা হবে, কিন্তু আমিও উনাকে যথেষ্ট অসম্মানের চোখেই দেখব। যদিও আমার সঙ্গে উনি তেমন কোন খারাপ ব্যবহার করেননি, কিন্তু অন্যের প্রতিও তার ব্যবহার তাকে সম্মান করাতে বাধ্য করতে পারে না।
যাইহোক আমার আজকের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, সেটা আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন।শুভরাত্রি।
Wow amiga este incidente tan pesado te dejo una gran reflexión, el respeto no se compra con dinero pienso que se gana y tambie es algo que debe inculcarse en la familia, pienso que el tener dinero no te da derecho a faltarle el respeto a nadie ni a menos preciar a las personas.
Muy buena reflexión en estos tiempos que estamos pasando. Gracias por compartirla con nosotros.
Saludos amiga😊
Your post has been supported by @yonaikerurso from team 2 of the Community Curation Program, at 30%. We invite you to continue sharing quality content on the platform, and continue to enjoy support, and also a likely spot in our weekly top 7.
Voting date:
27/03/2023
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন। সম্মান যদি বাজারে বিক্রি হত, তাহলে বড়লোকের একচেটিয়া অধিকার হয়ে যেত।
ওখানে মধ্যবিত্ত পরিবার কিংবা নিম্ন পরিবারের সন্তানদের কোন অধিকার থাকত না। কারণ তারা কখনোই টাকা দিয়ে সম্মান কিনতে পারতো না।
আর ওই মহিলাটা খুব বাজে একটা ব্যবহার করেছে, এমন ব্যবহারটা না করলেও পারতো। মানুষের সাথে এমন ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়। উনার কাছে টাকা আছে দামি দামি পোষাক আছে। কিন্তু সম্মানের খুব অভাব, কারণ কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়। উনার মনে হয় জানা নেই, নাকি টাকা পয়সার দাপটে সেটাও ভুলে গেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।
পরিশেষে একটা কথা বলব, অনেকদিন পর পিকলু বাবুকে দেখে বেশ ভালো লাগলো।