"কিছু কিছু ইচ্ছে পূরন হবে ভেবেই আমাদের মন অনেক খুশি হয়ে ওঠে "
বান্ধবীর বাড়িতে ফোঁটা জবাফুল |
---|
Hello,
Everyone,
সবাইকে জানাই শুভ সকাল।
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো ভাবে শুরু হয়েছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার একটি ইচ্ছে পূরণের গল্প শেয়ার করতে চলেছি।আপনাদের হয়তো মনে আছে অনেক দিন আগে আমি আপনাদের সাথে আমার বান্ধবীর সাথে কোথাও একটা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করার কথা শেয়ার করেছিলাম।
ফাইনালি আমাদের প্ল্যানটা বোধহয় করা সম্ভব হবে। কারণ, গতকাল আমি আমাদের বাড়িতে এসে বান্ধবীর সাথে কথা বলে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম এবং যেমনটা আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম যে, আমি আমার বাড়ি থেকে অযাওয়ারনুমতি না পেলে হয়তো এই ঘুরতে ইচ্ছাটা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
তবে আনন্দের বিষয় হলো, আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে বলার পর তারা আমাকে যেতে দিতে রাজি হয়েছে। আর আগেই জানিয়েছিলাম যে, শুভর আমার ঘুরতে যাওয়ার বিষয় নিয়ে কোনো রকম আপত্তি ছিল না। অবশ্য শুধু আজকে বললে ভুল হবে, বিয়ের পর থেকেই আমি যখনই কোথাও যেতে চেয়েছি, শুভ কখনোই ওর দিক থেকে কোনো রকম আপত্তি জানায়নি।
ও যেমন পছন্দ করে না ও কোথাও গেলে আমি ওকে বারণ করি, ঠিক তেমনি আমাকেও ও বারণ করে না। ও সব সময় বিশ্বাস করে, আমরা দুজন একসাথে ঝ্ত আমাদের প্রত্যেকেরই একটা আলাদা ভালোলাগা রয়েছে। ও যেমন ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে, ঘুরতে গিয়ে, আনন্দ পায়, ঠিক তেমনি ও আমাকেও আমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যেতে কখনো কোনো আপত্তি করেনি।
বিকালে নদীর পাড়ে তোলা ছবি |
---|
কারণ ও জানে বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোটা আমরা প্রায় প্রত্যেকেই পছন্দ করি। কিন্তু বিয়ের পরে মেয়েদের যেটা সবথেকে সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে, শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া। কিন্তু সৌভাগ্যবশত আমার সে দিক থেকে খুব বেশি সমস্যা হয়নি।
কিছু কিছু সময় তো এডজাস্টমেন্ট আমাদের সকলকেই করতে হয়। হয়তো বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে করা সকল প্ল্যানের সময়, আমার পক্ষে যুক্ত হওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে বেশিরভাগ সময় কিন্তু আমি সেই সুযোগটা পেয়েছি। তবে বাড়ির থেকে এতটা দূরে যাওয়ার অনুমতিও যে আমাকে দেবে, সেটা আমি সত্যিই আশা করিনি। আর আশা করিনি বলেই হয়তো এই অনুমতিটা পাওয়ার পরে এত বেশি আনন্দ হচ্ছে।
যাইহোক শেষমেষ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা সমুদ্রে যাবো। আমাদের কাছাকাছি সবথেকে ভালো সমুদ্র উপভোগ করতে হলে একটাই মাত্র অপশন আছে সেটি হচ্ছে দীঘা। আপনাদের অনেকের কাছে নামটা ভীষণ পরিচিত। পুরীর সমুদ্র আরো অনেক বেশি সুন্দর, কিন্তু পুরী অনেকটা বেশি দূরে হয়ে যায়।
যে কারণে আমরা এবার আমরা প্ল্যান করিনি।কাছাকাছি মধ্যে দীঘা একটা খুব সুন্দর জায়গা,যেখানে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবী বা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে একটা দুটো দিন খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। বহু বছরের অপেক্ষার পরে এরকম একটা ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে।
কতটা আনন্দ হচ্ছে তা প্রকাশ করতে পারবো না। আজকাল একটু বেলার দিকে প্রচন্ড রোদ্দুরের তাপ থাকে সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা খুব ভোরে এখান থেকে বেরিয়ে যাব, যাতে আমরা ওখানে সকাল দশটার মধ্যে পৌঁছে যাই।
যেতে মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় লাগবে। আমরা ভেবেছিলাম ট্রেনে করেই যাবো, কিন্তু সকলে মিলে আলোচনা করে আমরা বাসে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। টিকিট কাটার দায়িত্ব আমার বান্ধবীর দাদাকে দেওয়া হবে।বাস হাবরা থেকে ছাড়বে এবং সোজা দীঘাতেই যাবে। হাবরা থেকে বাস ছেড়ে আসলে আমাদের দত্তপুকুর হয়েই যায় সুতরাং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি উল্টে আর হাবড়ায় যাব না ওরা হাবরা থেকে এলে আমি দত্তপুকুর থেকেই উঠে যাবো।
আমরা তিনজন বান্ধবী এবং একজন বান্ধবীর দাদা মোট এই চারজন দীঘায় যাবো বলে ঠিক করেছি। আসলে এই প্রথমবার আমি আমার বান্ধবীদের সাথে এতটা দূরে ঘুরতে যাচ্ছি, আর যেহেতু আমরা তিনজনই প্রথম যাচ্ছি সেহেতু সাথে একজন অভিভাবক যাওয়া অবশ্যই দরকার।
বিষয়টা ভাবতেই এতো আনন্দ লাগছে যে, জানিনা যখন একসঙ্গে সেখানে গিয়ে রওনা করবো তখন ঠিক কতটা আনন্দ হবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস আমরা ঔ দুটো দিন খুব খুব আনন্দে কাটাবো এবং এই দুটো দিনের স্মৃতি আমরা আজীবন নিজেদের মনে রাখবো।
ইতিমধ্যে অনেক কিছু প্ল্যানিং শুরু হয়ে গেছে,আমরা অনেক কিছু প্ল্যান করছি, যদিও জানি না তার কতটুকু বাস্তবে রূপান্তরিত হবে। কিন্তু মনের মধ্যে এত আনন্দ হচ্ছে যে সেটা আলাদা করে আসলেই বোঝাতে পারছি না। আমার এই জার্নি কিভাবে শুরু হচ্ছে, আমি কতটা আনন্দ করছি,প্রত্যেকটা জিনিস আমি অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বাইরে অঝোড় ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে,আর ঘরে বসে আমরা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছি |
---|
আপনাদের পক্ষেও সম্ভব হয়, তাহলে বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করে এক দু দিনের জন্য বেরিয়ে আসবেন। কারণ সময় কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর আমরা নিজেরা ফুরিয়ে যাচ্ছি।
আর এই ভাবেই একটার পর একটা দিন কেটে যাবে এবং আমরাও মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবো। জীবন একটাই সুতরাং তাকে ভালভাবে বাঁচতে হবে। তাই আনন্দ করাটাও খুব জরুরী। আমাদের জীবনে দুঃখ না চাইতেই চলে আসে, কিন্তু আনন্দ অনেক সময় চাইলেও আমরা পাই না। আমি আশাকরছি ঘুরতে যাওয়ার এই দুইদিন আমি অনেক মজা করবো।
যাইহোক,বাড়িতে এসে অনেক খারাপ লাগা রয়েছে ভিতরে ভিতরে, কিন্তু আজ আপনাদের সাথে এই ভালোলাগাটুকু শেয়ার করলাম। আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আপনাদের দিনটি শুভ হোক।
একদমই ঠিক বলেছেন,,, কিছু কিছু ইচ্ছে পূরণ হবে ভেবেই,, আমরা খুশি হয়ে যাই! যেমনটা আপনার পোস্ট পড়ে,,, আমরা জানতে পারলাম।
তবে একটা জিনিস খুবই ভালো লাগলো! কারন আপনার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা! আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে আপনার ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা,,, সমর্থন করেছে।
দীঘা সম্পর্কে আমি আমাদের এডমিন মহোদয় দিদির পোস্টে পড়েছিলাম! দীঘা নাকি খুব সুন্দর একটা জায়গা! আপনারা সেখানেই ঘুরতে যাবেন! বন্ধু বান্ধব মিলে এবং আপনার বান্ধবীর দাদা মিলে,,, সেটা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।।
বাড়িতে এসেছেন! কিছু খারাপ লাগাতো অবশ্যই থাকবে! কারণ আগে বাড়িতে আসলে আপনার ঠাকু মা আপনাদের সাথে থাকতো! কিন্তু এখন উনি নেই! এই খারাপ লাগাটা তো আপনার মনে অবশ্যই আছে! তারপরেও আপনি আমাদের সাথে,,,, ভাল লাগাটাই শেয়ার করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনার ভালো লাগার মুহূর্তগুলো,, আমাদের সাথে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
আমাদের মানুষের জীবনে প্রত্যেকেরই কোন না কোন কিছু করার ইচ্ছা থাকে যখন সেই ইচ্ছাটা পূরণ হয় তখন আসলেই অনেকটাই ভালো লাগে এবং মনটা অনেকটাই খুশিতে ভরে যায় আজকে আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
সর্বপ্রথম আপনাকে অভিনন্দন জানাই এটার জন্য, যে ফাইনালি আপনি আপনার পরিবার থেকে পারমিশন পেয়ে গেলেন, ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
অনেক চিন্তায় ছিলেন তাই না? যে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া হবে কি হবে না। অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল, আপনার দীঘায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
আসলে আপনার শ্বশুর-শাশুড়িরাও তো মানুষ তাই না, তারাও বোঝে? কে কি চায় কার মনে কি ইচ্ছে আছে, অবশ্যই আপনার মনে ইচ্ছে ছিল আপনারা তিন বান্ধবী ও দাদাভাই মিলে ঘুরতে যাবেন, এবং সেটি তাদেরকে বলেছেন বলে তারা অতি সহজে আপনাকে যাওয়ার পারমিশন দিল।
বুঝতেই তো পাচ্ছি আপনারা অনেক আনন্দ করবেন দীঘায় গিয়ে, কি আর করার আমরা তো আর যাইতে পারবো না, তো আমাদের জন্য কিছু পাঠাইয়েন, আর কিছু নিয়ে আসেন।