"আইসক্রিম"- সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন,সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
দুদিন ধরে আকাশে মেঘের আনাগোনা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ক্ষণিকের ঝড়ো হাওয়ায় সমস্ত মেঘ কোথায় যেন উধাও হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির দেখা নেই। আর বৃষ্টি নেই বলেই গরম কিছুতেই কমছে না।
যাইহোক এইরকম গরম আবহাওয়ায় আইসক্রিম খেতে আমরা সকলেই খুব পছন্দ করি। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে চকলেট আইসক্রিম খেতেই বেশি পছন্দ করি। গতকালই আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম যে, পিকলুকে এই গরম কালে আমরা মাঝেমধ্যে আইসক্রিম দিয়ে থাকি। তবে অবশ্যই সেটা চকলেট আইসক্রিম নয়।
সেই রকমই আজকেও পিকলুর জন্য আইসক্রিম আনতে গিয়ে শুভ আমাদের আর সকলের জন্য আইসক্রিম নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় আমি আইসক্রিম খাইনি, আসলে যেকোনো পছন্দের জিনিস বেশ কিছুটা সময় নিয়ে বসে খেতেই আমার বেশি ভালো লাগে। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় যেহেতু কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ থাকে এবং তারপর সংসারেরও বেশ কিছু কাজ থাকে, তাই মজা নিয়ে বসে আইসক্রিম খাওয়াটা ঠিক হয়ে ওঠে না।
এই কারণে আমি ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম এবং রাতে ডিনার শেষ করে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে আমি এবং শুভ দুজনে একসঙ্গে বসে আইসক্রিম খেলাম এবং বেশ কিছুটা সময়ও কাটালাম। বলতে পারেন আজকে ধন্যবাদটা পিকলুর প্রাপ্য কারন, পিকলুর জন্য আইসক্রিম আনতে গিয়েই শুভ আমাদের জন্য আইসক্রিম নিয়ে এসেছে।
আমাদের সকলের মধ্যেই ভ্রান্ত কিছু ধারণা রয়েছে যে, আইসক্রিম খাওয়া সবসময়ই আমাদের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর। তবে এটা কিন্তু খুবই একটা ভুল ধারণা। কারণ, অতিরিক্ত কোনো জিনিসই আমাদের শরীরের জন্য যেমন ভালো নয়,তেমনি মাঝে মাঝে খাওয়াটা ক্ষতিকরও নয়।সেটা আইসক্রিমই হোক বা অন্য কিছু। যদি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খাওয়া হয়, তবে কিন্তু আইসক্রিম আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারী।
আইসক্রিম খাওয়ার উপকারিতা |
---|
আসুন প্রথমে এর বেশ কিছু উপকারি দিক আপনাদের সামনে তুলে ধরি, -
আপনারা সকলেই জানেন যে আইসক্রিম তৈরি করার জন্য প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় দুধ। যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম , ফসফরাস এবং ভিটামিন থাকে। যেগুলো আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়। পাশাপাশি আমাদের হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে, সুতরাং কখনো কখনো আইসক্রিম খাওয়া কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী।
আপনারা সকলে নিশ্চয়ই এটা মানবেন যে, আইসক্রিম খেলে আমাদের মনের মধ্যে একটা অনাবিল আনন্দের সৃষ্টি হয়। অন্ততপক্ষে যারা আমার মতন আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা অবশ্যই হয়ে থাকে। তবে আইসক্রিম খেলে আমাদের আমাদের ব্রেনের অলসতা দূর হয়, যে কারণেই আমরা কিন্তু আইসক্রিম খেলে নিজেদেরকে অনেকটা সতেজ মনে করি।
আইসক্রিম কিন্তু আমাদের দাঁত এবং হাড় মজবুত করে কারণ, আইসক্রিম যেহেতু দুধ দিয়ে তৈরি হয়, তাই তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। আর আপনারা সকলেই জানেন হাড়ের জন্য এবং দাঁতের জন্য ক্যালসিয়াম কতটা জরুরি। এই কারণে আপনাদের যাদের দাঁত তোলার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা অনেকেই জানেন যে, দাঁত তোলার পরে ডাক্তারেরা আমাদেরকে আইসক্রিম খাওয়ার কথা বলেন।
এছাড়াও যে সকল আইসক্রিম তৈরি করতে হাই ফ্যাট জাতীয় দুধ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো কিন্তু মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই জন্য যে সকল মহিলা গর্ভবতী থাকেন তাদেরকে কিন্তু আইসক্রিম খেতে খুব বেশি বারণ করা হয় না। এছাড়াও আইসক্রিম আমাদের মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
আইসক্রিম খাওয়ার অপকারিতা |
---|
প্রথমেই বলে রাখি অতিরিক্ত মাত্রায় যেকোনো জিনিস খাওয়াই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সেদিক থেকে হিসেব করলে আপনি যদি বেশি পরিমাণে আইসক্রিম খান, তাহলে আমাদের শরীরের কি কি ক্ষতি হতে পারে, সেই বিষয়ে এবার কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, -
- আইসক্রিম খেলে আমাদের শরীরের ওজন অনেক অনেক সময় বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ অনেক সময় আইসক্রিম তৈরি করতে যে দুধ ব্যবহার করা হয় সেগুলি, অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে আমাদের শরীরে ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যেগুলো কিন্তু আমাদের শরীরের মেদ বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও আইসক্রিমে চিনি ব্যবহার করা হয় এবং সেই চিনি আমাদের শরীরের উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেটের কারণে তার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
যেহেতু আইসক্রিম তৈরি করতে চিনি ব্যবহার করা হয়, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
এছাড়াও আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন যে সকল জিনিসগুলো ফ্রিজে হিমায়িত অবস্থায় রাখা হয়, সেগুলি হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং আপনারা জানেন যে আইসক্রিম রাখতে হলে সেটি অত্যন্ত ঠান্ডা স্থানে রাখতে হয়। যে কারণে এটি কিন্তু আমাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
এখন কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের জন্য বয়সের প্রয়োজন হয় না। তাই যদি আপনার বয়স কমও হয়, তবুও কিন্তু আপনাকে অতিরিক্ত আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া আমাদের যাদের সর্দি-কাশি সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য আইসক্রিম না খাওয়াই ভালো। কারণ এটি প্রচন্ড ঠান্ডা হওয়ার কারণে গলা ব্যথা, কাশি ইত্যাদি হতে পারে। এছাড়াও ফুসফুসের রোগবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই যদি খুব ইচ্ছে হয় তাহলে মাঝেমধ্যে একটা খেতে পারেন,কিন্তু নিয়মিত ভাবে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
আমাদের মধ্যে এরকম অনেকেই আছেন যাদের গরুর দুধ খুব বেশি হজম হয় না, সুতরাং তাদেরকে নিজেদেরকে আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে তাদের হজমে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাচ্চাদেরকে আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে, এই কারণে যদি আইসক্রিম অতিরিক্ত পরিমাণে খায়, তাহলে সর্দি কাশি বা গলা ব্যথার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
আমি যে খুব বেশি পরিমাণে আইসক্রিম খাই, এরকম নয়। তবে হ্যাঁ মাঝেমধ্যে এইরকম ভাবে নিরিবিলি বসে আইসক্রিম খেতে বেশ ভালই লাগে। আজকে সেই কিছু মুহূর্তই আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। পাশাপাশি আইসক্রিম খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা এবং অপকারিতাও তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্টের মাধ্যমে নিশ্চয়ই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
গতকালকে বাড়িতে আসার সময়! বড় ছেলে বারবার বলছিল! আম্মু প্রচন্ড গরম লাগছে! একটা ম্যাংগো বার আইসক্রিম নিয়ে নাও! আমার কাছেও বেশ গরম লাগছিল! তাই দেরি না করে এক লিটারের একটা,,, ম্যাংগো বার আইসক্রিম নিয়ে নিলাম।
কিন্তু ওই যে বলেছিলেন না আপনি! আইসক্রিম অতিরিক্ত খেলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়! আমি আইসক্রিম খাওয়ার ফলে! আমার গলাটা একদম বসে গেছে! কি বলছি কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
যাইহোক আপনি এবং দাদা মিলে বেশ খানিকটা সময় মজা করে আইসক্রিম খেয়েছেন! মজার কিছু মুহূর্ত পার করেছেন! এবং আইসক্রিম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে,,, আমাদেরকে কিছু তথ্য দিয়েছেন! যেগুলো আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন।
অসংখ্য ধন্যবাদ,,, জানা-অজানা কিছু তথ্য দিয়ে,, মূল্যবান পোস্ট আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য! আপনার জন্য শুভকামনা রইল,,, ভালো থাকবেন।