"মনের সাধ পূরন করতে,অসময়ে পিঠের স্বাদ উপভোগ করার গল্প"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন,সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আমাদের "মন" এমন একটা জিনিস,যার ওপরে আমাদের অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ থাকে না। দেখবেন যে জিনিসটা আমরা মনে করব না ভাবি, মন সেটাকেই বারবার মনে করায়।
ঠিক এই কারণেই এমন অনেক ঘটনা আমাদের মনে আনন্দ জাগায়, যেটা আদেও বাস্তবে ঘটবে কিনা আমরা জানি না। কিন্তু মনে মনে আমরা সেটা কল্পনা করে খুশি হই।
ঠিক উল্টো ভাবে আমাদের জীবনে এমন অনেক কথা থাকে যেগুলো ভেবে আমাদের কষ্ট হয়। যেগুলো বহুবার আমরা ভাববো না মনে করি, কিন্তু মন কখনো কখনো পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সেই খারাপ লাগার কথাগুলোই বারবার মনে করায়।
আজকে আমি আমার মনের তেমনি একটি ইচ্ছের বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। আমরা প্রত্যেকেই জানি পিঠে খাওয়ার সব থেকে উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল। যদিও আজকাল সারা বছরই বাজারে চালের গুঁড়া কিনতে পাওয়া যায়, কিন্তু শীতকালে যখন নতুন খেজুরের গুড়, নতুন চাল উঠতে শুরু করে, তখন পিঠে খাওয়ার আনন্দই আলাদা।
কিন্তু ওই যে বললাম মনের ওপরে আমাদের সব সময় নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তাই কখনো কখনো গরমকালেও পিঠে খাওয়ার ইচ্ছে হয়। যদিও আপনাদের হয় কিনা জানিনা কিন্তু আমার গত বেশ কয়েকদিন ধরেই মামীর হাতের তৈরি পিঠে খেতে ইচ্ছে করছিল।
আর ঠিক এই কারণেই মামি বাড়িতে গিয়ে পিঠে খেয়ে এলাম। আর আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই পিঠে তৈরীর রেসিপি শেয়ার করব। কারণ মামী যখন পিঠে তৈরি করছিল, তখন আমি মামীর পাশে বসে দুজনে মিলে গল্প করছিলাম। আর তার সাথে সাথে আমি ছবিগুলো তুলে রেখেছিলাম।
চলুন তাহলে শেয়ার করি, আমার মামি কিভাবে পিঠে তৈরি করেছে তার রেসিপি।
পিঠে তৈরীর উপকরণ |
---|
প্রথমে আপনাদেরকে জানাই পিঠে তৈরি করার উপকরণ গুলি যেহেতু আমি সাজের পিঠে খেতে চেয়েছিলাম। আর এই পিঠে তৈরি করতে খুববেশি উপকরণ লাগে না।
উপকরন | পরিমান |
---|---|
আঁতপ চালের গুঁড়া | ১ কেজি (আপনারা আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন) |
দুধ | ২ প্যাকেট (১ কেজি) |
চিনি | ১ কাপ |
গোটা এলাচ | ৫-৬ টি |
সাদা তেল | ১ চা চামচ |
লবণ | ½ চা চামচ |
উষ্ণ গরম জল | প্রয়োজন অনুসারে |
সাঁজ পিঠা তৈরীর পদ্ধতি |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
- প্রথমে মামি পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ো একটি পাত্রে নিয়ে, তার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং উষ্ণ গরম জল দিয়ে গুঁড়ো গুলোকে ভালো করে গুলে নিল। যাতে ব্যাটারের ভেতরে গুঁড়োর কোনো জমাট না থাকে। মামা এক কেজি গুঁড়ো কিনে এনেছিল কিন্তু সবটা মামি ব্যবহার করে নি। বেশ কিছুটা প্যাকেটের মধ্যে অবশিষ্ট ছিল।
![]() |
---|
- সুতরাং আপনারা আপনাদের পরিমাণ অনুযায়ী চালের গুঁড়ো ব্যবহার করবেন।আর চালের গুড়োর পরিমাণ অনুযায়ী তাতে লবণ ব্যবহার করবেন। মামী যে ব্যাটারটি তৈরি করেছিল সেটা খুব বেশি গাঢ় বা খুব বেশি পাতলা ছিল না। এরপর সেটিকে বেশ কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে দিল যাতে গুঁড়োগুলো সঠিকভাবে গুলে যায়।
![]() |
---|
![]() |
---|
- এর কিছুক্ষণ পরে মামি গ্যাস জ্বালিয়ে তাতে পিঠে তৈরি করার সাজ বসিয়ে দিল। যদিও পিঠে সব সময় উনুনে তৈরি করলে খেতে ভালো লাগে, কিন্তু যেহেতু মামীর কাছে কোনো উনুন নেই, তাই মামী বরাবর গ্যাসেই পিঠে তৈরি করে। এরপর অল্প একটু সাদা তেল নিয়ে সেটি সাঁজের মধ্যে ভালো করে লাগিয়ে দিল, যাতে পিঠে তৈরির ব্যাটারটি সাজের মধ্যে লেগে না যায় এবং পিঠে গুলো খুব সুন্দরভাবে উঠে আসে।
![]() |
---|
- এরপর একটা কাপের সাহায্যে গুঁড়োর ব্যাটারটা আরও একবার ভালো করে নাড়িয়ে নিয়ে, মামি ব্যাটারটা সাজের মধ্যে দিয়ে দিলো। আসলে চামচের সাহায্যে ব্যাটারটি দিতে হলে অনেকবার দিতে হতো,সেই কারণে মামী একটি বড় সাইজের কাপ ব্যবহার করল। যাতে করে একবারে ব্যাটারটি বেশি সংখ্যক সাজের মধ্যে দিতে পারে।
![]() |
---|
![]() |
---|
- এরপর সাজটিকে ঢাকা দিয়ে পিঠে গুলো কিছুক্ষণ হতে দিতে। তারপর ঢাকনা তুলে এক এক করে পিঠে তুলে নিতে হবে ঠিক যেমনটি আপনারা ছবিতে দেখতে পারছেন। আর তেল লাগিয়ে নেওয়ার কারনে পিঠে গুলো খুব সুন্দর ভাবে উঠে আসছিলো।
![]() |
---|
- পিঠাগুলো তৈরি করার সাথে সাথেই মামী আর একটা গ্যাসে পরিমাণ মতো দুধ নিয়ে সেটিকে জ্বাল দিচ্ছিল এবং দুধের মধ্যে মামি কয়েকটা এলাচ ও এক কাপ চিনি দিয়ে দিয়েছিলো, যাতে করে পিঠে থেকে খুব সুন্দর একটা গন্ধ আসে। দুধটা একদিকে জ্বাল হচ্ছিল আর মামি পিঠাগুলো তৈরি করে ওই গরম দুধের মধ্যে দিচ্ছিল।
![]() |
---|
- আসলে গরম দুধের মধ্যে দিলে পিঠে গুলোর মধ্যে দুধটা ভালোভাবে ঢুকে এবং পিঠাগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক এইরকমভাবে পর্যায়ক্রমে পিঠে তৈরি করে সবটাই দুধের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হলো। যদিও এই পিঠাগুলো সদ্য খাওয়ার থেকে কয়েক ঘন্টা দুধের মধ্যে ভেজার পরে খেতে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আমি লোভ সামলাতে না পেরে সদ্য পিঠেই খেয়েছিলাম।
![]() |
---|
আর বাকি পিঠেটা মামি ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল,যেটা পরে আরো ভালোভাবে উপভোগ করে খেয়েছিলাম। এই ছিল মামীর হাতের তৈরি পিঠের রেসিপি। যেটা খুবই সহজ এবং কম সময়ে তৈরি করা যায়।
যদি আপনাদের কাছে খেজুরের গুড় থাকে, তাহলে অবশ্যই দুধের মধ্যে খেজুরের গুড় দেবেন, তাহলে তার স্বাদ আরো সুন্দর লাগে।এই পিঠাটা আমি নিজে বেশ কয়েকবার তৈরি করার জন্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই পিঠেটা আমি একদমই ভালো তৈরি করতে পারি না।
আর সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, আমি গুঁড়াটাকে সঠিকভাবে পরিমাণমতো জল দিয়ে ব্যাটার তৈরি করতে পারি না। যেই কারণে আমার তৈরি করা পিঠেগুলো একদমই ফুলতে চায় না।
যাইহোক অবশেষে একটাই কথা বলব আমাদের মনে মাঝে মধ্যে এমন অনেক ইচ্ছে হয়, যেগুলো পূরণ করা সত্যিই আমাদের সাধ্যের বাইরে। তাই সেই জিনিসগুলো নিয়ে খারাপ লাগা মনের মধ্যে না রাখাই ভালো। কিন্তু যদি কোনো ছোট ছোট ইচ্ছে হয়ে থাকে, যেগুলো পূরণ করা অবশ্যই সম্ভব। তাহলে নিশ্চয়ই সেগুলোকে পূরণ করবেন, দেখবেন বেশ ভালো লাগে।
যাইহোক আজকের পোস্ট আমি এখানেই শেষ করছি। আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
খুবই সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং পিঠা সবার পছন্দ আমারও অনেক পছন্দ পিঠা অসাময়ে পিঠা খেতে বসলে আসলেই অনেক ভালো লাগে।
এত সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
আপনাদের ওখানে অসময় হলেও। আমাদের এখানে সঠিক সময়। কারণ আমরা নতুন ধানের চাউল দিয়ে। এই দুধ চিতই পিঠা তৈরি করে খাই।
আমরা আপনার মত করেই এই রেসিপিটা ফলো করে তৈরি করে থাকি। এই পিঠাটা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে পিঠা তৈরি রেসিপি টা আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পিঠাগুলো দেখে,,, লোভ লেগে গেল ইচ্ছে করছিল ওখানে গিয়ে খেয়ে আসি।
যাইহোক আজকে আমরা নতুন ধানের চাউলের ঘুড়ি করব।।। এবং সেগুলো দিয়ে আমরা আজকে এই পিঠা তৈরি করে খাব। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক সুস্থ রাখুক। ভালো থাকবেন।
Congratulations 🥳
যে দিদি আমাদের সকলের মনে অনেক ছোট বড় ইচ্ছা থাক। আমরা চাইলেও সেই ইচ্ছা গুলোকে সহজে পূরণ করতে পারি না। আপনার সাথে আমি একমত যে মনের ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো পূরণ করা দরকার।
আপনার পিঠে তৈরির রেসিপি টা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। বাসায় এটি আমি অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করব এবং তৈরি করতে বলব। ভালো থাকবেন সবসময় প্রিয় দিদি।
আমাদের দেশে এসব উপকরণে এবং একই নিয়মের যে পিঠাটি তৈরি করা হয় তাকে আমরা "দূধ চিতই" পিঠা বলে থাকি।
সুন্দর করে এমন একটি পিঠা রেসিপি আমাদের সামনে উপহার দেওয়ায় আমরা যে কেহ ইহা অনুসরণ করে তৈরি করতে পারব, ইনশাল্লাহ। রেসিপি শিক্ষানীয়া পোস্টটি ভাল ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকের পোস্টে বেস কিছু পিঠে বানানোর উপকরণ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন,,,,
আপনি পিঠে বানানোর জন্য গুরু আটা,,,দুধ,,, গুর এছারা ও বেস কিছু উপকরণ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। যে বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই আশা করি।
Amiga está receta se ve deliciosa y mucho más si es preparada con mucho cariño por su mamá. Gracias por compartir estás delicias con nosotros. Saludos y bendiciones.🤗