"আমার ছাদ বাগানের গল্প"
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আজকের দিনটা আপনাদের সকলের খুব ভালো কেটেছে।
বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের ছাদে লাগানো কয়েকটি ফুল গাছের কথা। অবশ্য এগুলো তেমন বিশেষ কোনো ফুলগাছ নয়, সাধারণত যেসব ফুলগাছ আপনারা আপনাদের আশেপাশে সব সময় দেখতে পান, আমি সেই সব ফুলগাছ নিয়েই কথা বলবো।
আমাদের বাড়িটি খুবই অল্প জায়গার মধ্যে। আর সেই কারনে বাড়ির কোনো পাশেই ততটা জায়গা নেই যেখানে ফুলগাছ লাগানো যেতে পারে।
অথচ আমার শশুর মশাই ও শাশুড়ি মায়ের গাছ লাগানোর খুব শখ। আর আমার বিয়ের পর থেকেই বোধহয় ওনাদের সাথে ওটা আমারও শখে পরিনত হয়েছে। তাই আমরা তিনজন মিলে আমাদের ছাদে মোটামুটি ছোটো একটা বাগান করে ফেলেছি।
আজকে সেই বাগানের কিছু ফুলের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এবং ঔ ফুলগাছ গুলো লাগানোর কিছু কিছু গল্পও বলবো।
প্রথমেই শেয়ার করছি একটা গোলাপ ফুলের ছবি। আমার বিয়ের পরে পরেই এই গাছটা আমার শশুর মশাই কিনে এনেছিলেন। কিন্তু গাছটা কয়েকদিন বাদেই একেবারে শুকিয়ে গিয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম গাছটা মারা গেছে। কিন্তু আমার শাশুড়ি মা শুকিয়ে যাওয়া ডালগুলো কেটে দিয়ে আবার গাছের গোড়ায় সার দিলেন। আশ্চর্যজনক ভাবে গাছটা থেকে কয়েকদিন বাদে আবার নতুন পাতা বেড়োলো। এটা সেই গাছের ফুল। গাছটা দুই/তিন বছর পরে মারা গিয়েছিল।
আমাদের বাগানে এই বেল ফুলটি আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুল। এই বেলফুল গাছটা আমাকে আমার ননদ দিয়েছে। ওনাদের বাড়ির সামনে দিয়ে একজন চারাগাছ বিক্রি করতে করতে যাচ্ছিলেন। তার কাছ থেকে কিনেছিল।
আমিই কথায় কথায় বলেছিলাম বেল ফুলের গন্ধ আমার ভীষন ভালো লাগে। সেটা তার মনে ছিল। যেদিন ওনার বড়ো ছেলেকে দিয়ে গাছটা পাঠিয়েছিলো, ভীষন খুশি হয়েছিলাম। ফুলটির বর্ন ও গন্ধ দুটোই আমার ভীষন প্রিয়।
জবা ফুল গাছটা আমার শাশুড়ি মার হাতে লাগানো। আমাদের পাশের একটা বাড়ির গাছ থেকে শাশুড়ি মা ডাল কেটে এনেছিলেন। বাড়িতে আমরা যেহেতু লক্ষ্মী পুজো করি। তাই লাল জবা ফুল লাগে। সব ফুল যদিও কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু নিজেদের গাছ থেকে ফুল তুলে পুজো দিতে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে।
এই ফুলটার নাম আমিও জানিনা। এটারও একটা ডাল আমার শাশুড়ি মা এনেছিলেন। ফুলটার রঙটা ভীষন ভালো লাগে আমার। সাদার মধ্যে বেগুনি রঙের ছিট ছিট দাগ।
এই ফুলটা সকলের ভীষন পরিচিত। অপরাজিতা। এটি নীল রঙেরও হয়। কিন্তু আমার সাদা রঙেরটাই বেশি ভালো লাগে। এই ফুলের বীজ আমার শশুর মশাই লক ডাউনের সময় ওনার একজন বন্ধুর বাড়ির থেকে এনেছিলেন। সেই বীজ বপন করে এই গাছটা হয়েছে আমাদের।
অপরাজিতা ফুলের মতো এটিও একটি পরিচিত ফুল। এর নাম নয়নতারা। এর একটা সাদা রঙের গাছ ও ছিলো আমাদের। কিন্তু বর্তমানে আর নেই। আমাদের এই গাছটায় প্রতিদিন অনেক ফুল ফোটে। সকালে গাছটা দেখতে খুব ভালো লাগে।
এই হলো আমাদের বাড়ির ছাদ বাগানের বিভিন্ন ফুলগাছ। আপনাদের কেমন লাগলো এগুলো দেখে নিশ্চয়ই জানাবেন। আমার বহু মন খারাপের বিকালের সাক্ষী এই ছাদ। এখানে গিয়ে আমি আর পিকলু অনেক সময় কাটাই।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনার গাছের ফুলগুলো সত্যি সুন্দর, আমার ছাদেও নানা রকমের গাছে আছে, এদের দেখলে মন ভরে যায়। ভালো লাগলো আপনাদের গাছের যত্ন নেবার কথা পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ @pulook । আপনার পোস্টেও অনেক সময় আপনার গাছের ছবি গুলো দেখেছি। ভালো থাকবেন।
যদিও সচক্ষে আমার ফুলগুলো দেখা কারণ আপনার বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ কারণে, তবুও ভালো লাগলো পুনরায় এদেরকে দেখে। যত্ন, ভালোবাসা আসলে সবাই বোঝে সেটা মানুষ হোক বা পশু, পাখি আর গাছপালা। তাই হয়তো গোলাপ গাছটি আবার পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল।
সত্যিই তাই অনেক সময় ভালোবাসার ভাষা আমারা মানুষেরা না বুঝলেও অবলা জীব ও গাছরা সবসময় বোঝে। ধন্যবাদ @sduttaskitchen আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
Regards
@sduttaskitchen(Moderator)
Incredible India
ধন্যবাদ @sduttaskitchen আপনার মূল্যায়নের জন্য।