"ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাঁঠালের বীজ বাটার রেসিপি"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি বেশ ভালো কেটেছে।
দেখতে দেখতে আম কাঁঠালের সিজন প্রায় শেষ হয়ে এলো। যদিও এখনও বাজারে শেষ বেলার কিছু আম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশির ভাগ জায়গাতেই আমের ফলন অনেকটাই কম। তবে কাঁঠালের ফলন কিন্তু অনেকটাই বেশি।
আমাদের বাড়ির গাছে এবার অনেক কাঁঠাল হয়েছিলো, তবে বেশিরভাগ কাঁঠাল এঁচোড় অবস্থায় খাওয়া হয়ে গিয়েছিলো। একেবারে ওপরের ডালের কয়েকটি কাঁঠাল রয়েছে যেগুলো পাকিয়ে খাওয়া হবে বলে বাবা রেখে দিয়েছিলো।
ও প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, আমার বাবা এবং জামাইবাবুর বেশ প্রিয় ফল এই কাঁঠাল। ছোটবেলায় আমি নিজেও খেতে পছন্দ করতাম, তবে কোয়া গুলো শক্ত হলেই আমি খেতাম, নরম কাঁঠাল আমার কখনোই পছন্দ না।
আপনারা জানেন মাঝে দিদির বাড়িতে ছিলাম, তাই বাবা বাড়ি থেকে দুটো কাঁঠাল নিয়ে এসেছিলো, যাতে একটা আমি বাড়িতে নিয়ে আসতে পারি। আর একটা ওখানে দিদির বাড়িতে থাকবে যেটা বাবা এবং দাদা মিলে খেতে পারবে।
আগে একবার ছোট্ট একটা কাঁঠাল নিয়ে এসেছিলো, সেটা দাদা আর বাবা খেয়েছিলো। কারন দিদি এবং বাচ্চারা এক কোয়াও কাঁঠাল মুখে দেয় না। যাইহোক সেই কাঁঠালের বীজগুলো দিদির বাড়িতেই একটা ঝুড়ির মধ্যে রাখা ছিলো।
তাই সেদিন দেখার পর হঠাৎ করে এই বীজ বাটা খেতে ইচ্ছা করলো। মা আসলে অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করতো। আমি মায়ের মত অত ভালো পারি না, কিন্তু মোটামুটি যেমন পারি তেমন ভাবে তৈরি করেছিলাম কাঁঠালের বীজ বাটা।
তখন প্রতিটি ধাপের ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে। হয়তো আপনারা অনেকেই বিভিন্নভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেন, তবে আমি খুব সহজে কিভাবে তৈরি করেছি এখন সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -
প্রথমেই বলি এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমি কি কি উপকরণ নিয়েছিলাম। খুবই সামান্য উপকরণেও এটা অনেক সুস্বাদু হয়।
|
---|
![]() |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
১. পাঁকা কাঠালের বীজ | ১০-১২ টি |
২. পেঁয়াজ | ১ টি(ছোটোসাইজের) |
৩. ভাজা শুকনো লঙ্কা | ২ টো |
৪. লবন | স্বাদ অনুয়ায়ী |
|
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
➡️প্রথমে কাঁঠালের বীজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে, মাঝখান দিয়ে দুই টুকরো করে, অল্প একটু লবণ দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। যাতে শিলনোড়ায় বাটলে সহজে মিশে যায়। এরপর সিদ্ধ করে রাখা কাঁঠালের বীজগুলো থেকে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
![]() |
---|
➡️এরপর পেঁয়াজটা কুঁচিয়ে নিতে হবে। আগে থেকে দুটো শুকনো লঙ্কা তেলের মধ্যে ভালো করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। বাটার ক্ষেত্রে সম্ভব হলে শিলনোড়াই ব্যবহার করবেন, তাহলে এটির স্বাদ অনেক বেশি হবে। যাদের কাছে শিলনোড়া নেই তারা চাইলে মিক্সার ব্যবহার করতে পারেন, তবে বাটার স্বাদ সব সময় শিলনোড়ায় বেশি হয়।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
➡️যাইহোক প্রথমে লবন ও লঙ্কাটা একটু বেটে নেওয়ার পর, সিদ্ধ করে জল ঝড়িয়ে রাখা কাঁঠালের বীজগুলো দিয়ে বেটে নিতে হবে এবং সব শেষে কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে সমস্ত উপকরণগুলি একসাথে মিহি করে বেটে নিতে হবে।
তারপর একটু খেয়ে দেখতে হবে যদি লবণ একটু কম মনে হয়, তাহলে অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে দিতে হবে। যারা চিনি খেতে পছন্দ করেন, তারা চাইলে অল্প একটু চিনিও দিতে পারেন।
তবে কাঁঠালের বীজ গুলোই একটু মিষ্টি প্রকৃতির হয়ে থাকে বলে, আমি এই রেসিপিটিতে চিনি ব্যবহার করি না। ব্যাস এইভাবে তৈরি হয়ে গেলো কাঁঠালের বীজ বাটা। এবার গরম গরম ভাতের সাথে এটি পরিবেশন করুন। আমার মনে হয় আপনাদের ভালো লাগবে। ব্যক্তিগতভাবে এটা খেতে আমি খুব পছন্দ করি।
যেদিন এটা বানিয়েছিলাম আমি আর দাদাই পুরোটা খেয়েছিলাম। কারণ বাবা ঝালের জন্য খেতে পারে নি। আর দিদির সেদিন নিরামিষ ছিলো। যেহেতু আমি পেঁয়াজ ব্যবহার করেছিলাম, তাই দিদিও খায়নি। যদিও একটু ঝালই হয়েছিল কিন্তু খেতে অসাধারণ ছিলো। খুব সহজ ও সুস্বাদু রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো, জানাতে ভুলবেন না।
|
---|
Helo @sampabiswas
I am surprised that everyone in your area eats ripe jackfruit with great relish. I also had a jackfruit tree at my home in my childhood, but I never ate ripe jackfruit. Only jackfruit vegetable is made in our homes. And the recipe of ripe jackfruit seeds that you have made looks different. I will request my daughter-in-law to make it at my home someday. Let me tell you that she is a You Tuber who has her own channel of cooking recipes. I will share the link with you on Discord.
with great respect.
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাঁঠালের বীজ বাটার পদ্ধতি যেভাবে শেয়ার করেছেন আসলেই অনেক সুন্দর হয়েছে। এ বছর আমাদের গাছেও অনেকগুলো কাঁঠাল ধরেছে। মাঝে মাঝে এরকম কাঁঠালের বীজের ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে।
তবে আপনার নিয়ম অনুযায়ী এভাবে একদিন কাঁঠালের ভিজতে ভর্তা বানিয়ে খাব।।
সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বীজ এভাবে বেটে খায় আমি কোনদিন শুনিনি। এই প্রথমবার দেখলাম কাঁঠালে বীজ বাটা। আমি এর আগে কাঁঠালের বীজ পোড়ানো খেয়েছি। কিন্তু আপনার রেসিপিটা খুব ভালো লাগলো। আমি অবশ্যই বাড়িতে তৈরি করে খাব। তবে আমি পাকা কাঁঠাল ভীষণ পছন্দ করি। আপনার রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Oh yes! We support ANY quality post and good comment
ANYWHERE and at ANYTIME
Curated by : @patjewell
আসলে আমি এর আগে কখনো শুনি নাই যে কাঁঠালের বীজ বাটা খাওয়া যায়, আজকের আপনার এই রেসিপি দেখে আমি জানতে পারলাম। যাইহোক আজকের নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে জানতে পেরে অনেক খুশি হলাম। এবং সেই সাথে সাথে আপনার এই রেসিপিটা অনেক সুন্দর ছিল এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
বাহ অনেক দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে আপনি তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো এবং খেতে অনেক মন চাইছে। বিশেষ করে আমি কাঁঠালের বীজ তরকারির সাথে রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু আজ আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে কাঁঠালের বীজ বাটা দেখে খেতে অনেক বেশি মন চাইছে। কারণ দেখতে অনেক সুস্বাদু মনে হয়েছে। এবং বিশেষ করে এটি আমার কাছে নতুন তার জন্য আরো বেশি খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হলো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি রেসিপি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি খুব মনোযোগ দিয়ে আপনার এই কাঁঠালের বীজ দিয়ে ভর্তা বানানোর প্রক্রিয়াটা পড়তেছিলাম এই ভেবে যে দেখি আপনি কিভাবে বানান। এই ভর্তাটা আমাদের বাড়িতে সবারই অনেক পছন্দের ।
আমার হাসবেন্ড কাঁঠাল নিয়ে ব্যাংকে যায় যাতে করে কাঁঠাল খাওয়ার পড়ে বীজগুলি নিয়ে আসতে পারে। আমি আর আমার ছেলেরা কেউ কাঁঠাল পছন্দ করি না ,কিন্তু ভর্তা পছন্দ করি।
যেটা শুরুতেই বলতেছিলাম সেটা হলো ,মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখলাম আপনি আর আমি একই ভাবে ভর্তাটা তৈরি করি।
ভালো থাকবেন সবসময়।
কাঁঠালের বীজ কিন্তু অনেক সুস্বাদু দিদি যেমনটা আপনিও বলেছেন। আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে আমার সকালের খাবারের কথা মনে পড়ছিল। কারণ আমার মা আজ সকালেই কাঁঠালের বীজ ভর্তা দিয়েছিল এবং কিছুটা আপনার পদ্ধতির মতো।
তবে কাঁঠালের বীজ অনেকটা চিংড়ি মাছের মতো যেটা সকল তরকারিতেই খাওয়া যায় এবং খুবই সুস্বাদু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।