সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির দর্শনের কিছু মুহুর্ত
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশাকরি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা বেশ ভালো কেটেছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে ঘুরতে যাওয়ার কথা।
এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরটি অনেক পুরোনো একটি মন্দির। এই মন্দিরটি অনেক জাগ্ৰত। আমাদের বাড়ি থেকে মন্দিরে যেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে।
আমার বিয়ের পর থেকে আমার ননদের সাথে মাঝেমধ্যেই আমি এই মন্দিরে যাই। মন্দিরটি গ্রামের ভিতরে একদম নির্জন পরিবেশে অবস্থিত। লোকজনের ভিড় যে খুব বেশি হয় তা নয়। কিন্তু সারাদিন মোটামুটি লোকজন থাকে ঐ মন্দিরে।
ভাগ্যিস দক্ষিনেশ্বর মন্দিরের মতো ভীড় হয় না এখানে, অন্তত এখানে মন্দিরে বসে শান্তিতে মায়ের মূর্তি দেখা যায়, অঞ্জলি দেওয়া যায়, প্রার্থনা করা যায়।
আর এই মন্দিরের একটি বিশেষ নিয়ম সম্পর্কে আমি আপনাদের জানাতে চাই। আমি যদিও জানিনা অন্য কোনো মন্দিরে এই নিয়ম পালিত হয় কিনা।
এই মন্দিরে আপনার কোনো প্রিয় মানুষের জন্য প্রার্থনা করে, তার নামে প্রতিদিন নিত্য পুজোর সময় সংকল্প করাতে পারেন। কিন্তু তারজন্য আপনাকে প্রতিদিন মন্দিরে যেতে হবে না। আপনি সেই ব্যক্তির নাম ও গোত্র মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিয়ে, প্রনামীর টাকা দিয়ে আসতে পারেন।
প্রতিদিন পুজোর সময় ঠাকুর মশাই ঐ নামে সংকল্প দান করে দেবেন। এটি আপনি চাইলে একমাস ও তার বেশি সময়ের জন্যেও এটি করতে পারেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে আপনাদের বাবা মায়ের বা পরিবারের কারোর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, বাৎসরিক কাজ, অন্নপ্রাশন সবধরনের কাজ করাতে পারেন। আপনাকে শুধুমাত্র মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সব দায়িত্ব তাদের উপর দিয়ে দিতে হবে।
আমার ননদের কাছে এই মন্দির অন্য জায়গা বহন করে, কারন আমার ননদের বিয়ে এই মন্দিরেই হয়েছিল। আমার ননদের মুখেই গল্প শুনেছি, যখন ওরা দুজন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিয়ে করবে তখন, বাড়ি থেকে সোজা ঐ মন্দিরে গিয়েছিল। যদিও মন্দিরটি তখন এতো সুন্দর ছিলো না।
সময়ের সাথে সাথে এখন অনেক উন্নত হয়ে গেছে। এখন পাশেই আরও দুটি নতুন মন্দির নির্মিত হচ্ছে। ওখানে ছবি তোলা নিষিদ্ধ। তবুও আমরা মন্দিরের বাইরে কিছু ছবি তুলেছি।
বছরের অন্যান্য সময় যাওয়া হোক বা না হোক, বিবাহ বার্ষিকীতে ওরা এই মন্দিরে অবশ্যই পুজো দিতে যায়। এইবারও তার অন্যথা হয়নি। আমার যাওয়ার প্ল্যান ছিলো না, কিন্তু ননদের বাড়িতে যেতেই হতো।
তাই আমার ননদ গাড়ি নিয়ে আগে আমাদের বাড়ি থেকে আমাকে নিয়ে, তারপর মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে, ওখান থেকে সোজা ওনাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
সেই দিনের কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, আপনাদের কেমন লাগলো নিশ্চয়ই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
সিদ্ধেশ্বরী মন্দির সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে মন্দির সম্পর্কে এতো তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টটি এতো মন দিয়ে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
@sampabiswas তোমাদের সকলকে দেখে মনে হচ্ছে যে পূজো দিতে গিয়ে বেশ মজা করেছো।
আর মন্দিরটি খুব সুন্দর, ভালো লাগলো মন্দিরের ব্যপারে কিছু বিশেষ তথ্য জেনে।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন দিয়ে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।