"স্মৃতির পাতায় আসাম"- কিছু ছবির মাধ্যমে ফিরে দেখা
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে কিছু ফুলের ছবি উপস্থাপন করতে চলেছি। এর আগেও আমি আপনাদের সাথে আসামে ঘুরতে গিয়ে তোলা অনেক ফুলের ছবি শেয়ার করেছি, আজকেও আমি সেই সময়ে তোলা আরো কিছু ফুলের ছবি শেয়ার করব।
যদিও এই ফুলগুলির মধ্যে থেকে অনেক ফুল প্রায় সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু আমি যেহেতু এই ফুলগুলোর ছবি আসামে গিয়ে তুলেছিলাম, তাই আমি আসামের নাম উল্লেখ করলাম।
প্রথমে আমি আমার পছন্দের রং অর্থাৎ সাদা রঙের দুটি ফুলের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। প্রথমেই যে ফুলটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, এই ফুলটির নাম- স্পাইডার লিলি । এই ফুলটি যেহেতু ফুলটির সাদা রং এর সেহেতু ফুলটি আমার খুবই প্রিয়।
তার ওপরে ফুলটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়।একদম সরু সরু ছটি পাপড়ি বিশিষ্ট এই ফুলগুলি আমার ছোটবেলার স্মৃতির অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে।
আমার মনে পড়ে আমি যখন খুব ছোট ছিলাম এবং আমাদের বাড়িতে তখন একটি পুকুর ছিল এবং পুকুরের পাশে এই ফুলের কতগুলি গাছ ছিল। এই ফুলের গন্ধটা খুবই সুন্দর ছিল, এই কারণে প্রায় দিনই স্নান করার আগে আমি পুকুরের পাড়ে গিয়ে এই ফুলগুলো তুলে এনে ঘরে রাখতাম।
তবে এই ফুল গন্ধ সামনে থেকে ভীষণ উগ্র মনে হলেও দূর থেকে যখন হাওয়ার সাথে এই ফুলটির গন্ধ ভেসে আসে তখন সেটি খুবই ভালো লাগে। এই কারণে আমি ফুলটা তুলে আনলে মা আমাকে ভীষন বকতো। কারণ ঘরের মধ্যে রাখলে গন্ধটা বড্ড বেশি ছড়িয়ে যেত। কিন্তু যখন আমরা সন্ধ্যা বেলা উঠোনে বসে থাকতাম,তখন হাওয়ায় এই ফুলের গন্ধ ভেসে আসতো,ভীষন ভালো লাগতো। মায়ের কোলে বসে সেই মুহুর্ত গুলো কাটানোর স্মৃতি আজও যেন চোখের সামনে ভাসে।
এরপরের যে ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এটিও একটি সাদা রংয়ের ফুল। এটির আসল নাম আমার জানা নেই। আমরা সকলে এই ফুলটিকে মাইক ফুল বলি। কারণ এই ফুলটি দেখতে অনেকটা চোঙাকৃতির। আপনারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান বাজানোর সময় নিশ্চয়ই এগুলো দেখে থাকবেন এবং যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে এই ফুলটিও কিন্তু অনেকটা সেই রকমই দেখতে। এই কারণেই আমরা একে মাইক ফুল বলি।
পাশাপাশি এই গাছের ফলটিও দেখতে বেশ সুন্দর। আমরা যখন আসামের বাগানবাড়িতে ঘুরছিলাম তখন এই মাইক ফুলের গাছ দেখতে পেয়েছিলাম। যেটাতে ফলও হয়েছিল। এই কারণে আমি মাইক ফুলের পাশাপাশি,ওর ফলের ছবিও তুলেছিলাম।
এরপর আমি আপনাদের সাথে যে ছবিটি শেয়ার করব এটি একটি নাম না জানা ফুল। তবে এই ফুলের রংটিও কিন্তু আমার বেশ প্রিয়। হালকা বেগুনি রংয়ের ছোট্ট ছোট্ট ফুল যার মধ্যে সাদা রঙের একটা ছোঁয়া রয়েছে। যেটা ফুলটি সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
এই ফুলের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই গাছের পাতারও একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। হার্ট শেপের এই পাতাগুলির ধার গুলো খুব সুন্দর খাঁচ কাটা এবং পাতার রং কিছুটা সবুজ আবার কিছুটা লালচে ধরনের হয়ে থাকে। যদিও এই ফুলগুলো কিন্তু আমি আমাদের বাড়ির আশেপাশে এখনো পর্যন্ত দেখিনি।
এই ফুলগুলোকে আদেও ফুল বলা যায় কিনা আমার ঠিক জানা নেই। কারণ এইগুলোও দেখতে অনেকটা পাতারই মতন। শুধু পাতার রং এর থেকে এগুলোর রং একটু ভিন্ন। ওই বাগানবাড়িতে এই ফুল দুটো রঙের ছিল। একটি হালকা লাল/গোলাপী এবং আর একটি ছিল ঘিয়ে রঙের।
ফুলগুলি থোকা ধরনের হয়ে থাকে এবং সবুজ পাতার মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ভিন্ন রঙের এইরকম থোকা ফুল গুলো দেখতে দূর থেকে সত্যিই অন্যরকম লাগছিল। যদিও আমার সাধারনত সাদা রঙ বেশি পছন্দ, কিন্তু এই ফুলের ক্ষেত্রে কেন জানিনা সাদা গুলোর থেকেও, হালকা লাল/ গোলাপি ফুল গুলোই বেশি সুন্দর লাগছিল।
ফুল আসলে প্রকৃতির এমন একটা সৃষ্টি,যেটা দেখলে আমাদের মন সবসময় ভালো হয়ে যায়। কিছু কিছু ফুল এমন হয় যার সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে। এইরকম আরও বিভিন্ন ধরনের ফুলের ছবি আমি আসামে গিয়ে তুলেছিলাম। পরবর্তীতে আমি আমার পোস্টে আরো ফুলের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আপনাদের আমার পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো সেটা জানাতে ভুলবেন না। সকলে খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
আপনার সুন্দর সুন্দর আসামের ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক ভালো লাগছে,,, ফুল আমরা সবাই ভালোবাসি এবং ফুলের সৌন্দর্য আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে,,,
ফুল এর সৌন্দর্য আসলে কেউ লিখে শেষ করতে পারবে না,,,,দু'চোখ মিলে তৃপ্তি করে শুধু ফুলের সৌন্দর্য দেখতে মনে চায়,,,,
যাই হোক ফুলের মতন সুন্দর জীবন সবার হোক সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপনি আসামে গিয়েছেন। স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আপনি ওখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলেন তখন। আজকে আপনি সেই স্মৃতিগুলোকে,,, আবারও আমাদের সামনে হাজির করলেন। এবং আপনার ভালো লাগাটা,,, আবারও আমাদের কাছে তুলে ধরলেন।
আপনি প্রথমে, যে সাদা ফুলটা শেয়ার করেছেন। সেটাকে আমাদের এখানে রসুন ফুল বলে চেনে। কারণ এর গোড়ার মধ্যে,, রসুনের মত এক ধরনের ফল সৃষ্টি হয়। যেটা দেখতে পুরোটাই রসুন এর মত।
এরপরে দেখলাম,, আপনি আরো কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন! আসলে আপনি আসামের স্মৃতিটা হয়তোবা খুব ভালোভাবেই স্মরণ করছিলেন। তাই আপনি আবারো আমাদের সাথে। সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে,,, আসামের সেই চিত্র আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার স্মৃতির পাতা থেকে। এই ফটোগ্রাফি গুলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
যে দিদি আপনি ঠিক বলেছেন ফুল প্রকৃতির এমন একটা সৃষ্টি যেটা দেখলে আমাদের সকলেরই মন অনেক ভালো হয়ে যায়। আপনার পরবর্তী ফটোগ্রাফির জন্য অপেক্ষায় থাকবো।
সাজিয়ে দিলেন পোস্ট।
আসামে গিয়ে তুললেন ছবি,
দেখতে ছিল জোশ।।
চমক ছিল অতি।
অধিক ভালোবাসবে যারা
ফুলের প্রতি প্রীতি।।
লেখার উপহার।
যতই দেখি দেখার ইচ্ছা ,
হয় যে বারবার ।।
আমি আসামের এই দৃশ্যগুলো সম্পর্কে কিভাবে অনুভুতি প্রকাশ করবো বুঝতে পারছি না। তবে একটা কথা বলতে পারি যে আমার ও ইচ্ছা হচ্ছে এখানে ঘুরতে যেতে।
বেশ কিছু ফুলের ছবি দেখলাম আপনার লেখার মধ্যে, যেগুলো দেখা তো দূরের কথা আমি কখনো নামও শুনিনি আপনার লেখা পরিদর্শনের পূর্ব পর্যন্ত।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, এই অজানা ফুল দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।