কলেজের প্রথম ইফতার

আসসালামুঅলাইকুম আপনারা সবাই ভালো আছেন তার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ আছেন।আপনাদের রমজান মাস ভালোই কাটছে এই কামনা করি।আজকে ওই জিনিস এর টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে লিখতে চলেছি।তাহলে এবার লেখা শুরু করা যাক।

আমরা সবাই যারা এতদিন মিশন এ ছিলাম তারা সবাই জানি কি ভাবে ইফতার এর আয়োজন হয়।মিশন এ সবাই মুসলিম ছিল তাই কোনো সমস্যা হতো না।যারা কাজ করতো তারাই সব কিছু ঠিকঠাক করে প্যাকেট এ ভরে রাখতো ।আমরা শুধু নিয়ে চলে আসতাম এই টুকুই কাজ ছিল আমাদের।

কলেজ এ ওড়ম কোনো সুবিধা ছিল না।কারণ কলেজ এ সবাই একসঙ্গে থাকে। তাই আমাদের জন্য এটা চাপের বিষয় ছিল।কিভাবে সব কিছু হবে। মানে বলতে গেলে ইফতার এর আয়োজন কেমন করে করবো।আবার প্রথম বারের মত কলেজ এ ইফতার হতে চলেছে।তাই সবাই ভাবনা চিন্তা করলো কিভাবে করা যায়।

ইফতার এর মজলিশ

তখন আমাদের কিছু সিনিয়র দাদা ওরা বললো আমরা সবাই একসঙ্গে আয়োজন করবো। তোরা শুধু আমাদের সাহায্য করিস তাহলেই হবে।আমরা সবাই বললাম ঠিক আছে দাদা আমরা সবাই সাহায্য করবো।

এবার প্রথম দিন সবাই রোযাদার রোজা করে কাজ করা মুশকিল। তাই ভাগে ভাগে আমরা কাজ নিলাম। এই দিন তুই করবি ,ওই দিন ও করবে এই ভাবে হবে সব কিছু।বিকেল হয়ে এলো ইফতার এর বেশি টাইম নেই।আমরা কয়জন মিলে দাদাদের রুম এ গেলাম।

রুম এ যাওয়ার পর দেখলাম দাদারা কাজ শুরু করে দিয়েছে।আমরাও লেগে পড়লাম কাজ এ।সবাই একসঙ্গে কাজ করতে লাগলাম। দিয়ে থালা সাজানো হলো।সবাই গ্রুপ করে বসলো ইফতারের জন্য।

খাবার

ইফতারের থালা তে সব কিছুই ছিল।যেগুলো এমনি ইফতারের জন্য লাগে।সবাই যতটা পেরেছে ভালো করার চেষ্টা করেছে।কারণ এটা তো আর বাড়ি না যে আম্মু আব্বু সব কিছু ব্যাবস্থা করে দেবে।নিজের জিনিস এর ব্যাবস্থা এই ভাবেই করতে হবে বাইরে পড়াশোনা করলে।

তারপর এ আস্তে আস্তে আজান সোনা গেলো।তখন সবাই দুয়া পরে নিল। যে যেভাবে পারলো পড়লো কেউ আরবী তে তো কেউ আবার বাংলা তে। নিয়ত থাকা তাই মূল বিষয়।তারপর সবাই একসঙ্গে ইফতার করলাম ।খেজুর দিয়ে শুরু করলো সবাই।
<br

এই ভাবে আমরা শান্ত ভাবে আমাদের কলেজের এর প্রথম ইফতার করলাম।আমরা যেনো এই ভাবে বাকি রোজা গুলো করে নিতে পারি এই দুয়া করবেন।তাহলে আসা যাক।

..... ধন্যবাদ.......