শাহী পানিপুরি খাওয়ার অভিজ্ঞতা
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই। নিশ্চয়ই সকলে আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি। আর ভালো আছি বলেই আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। তো বন্ধুরা চলুন আমার পোস্ট থেকে ঘুরে আসা যাক।
বন্ধুরা, আজ আমি আমাদের এখানে মেলায় আসা শাহী পানিপুরি খাওয়ার গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আর এই মেলাটি আমাদের এখানে ধরলা নদী নামের ব্রিজের পাশে অবস্থিত হয়েছে। যদিওবা আমি মেলা দেখার এখনো সময় করে উঠতে পারিনি।
আর এই দোকানটি ছিল মেলার বাইরে রাস্তার ধারে।দোকানটি মেলা উপলক্ষে এসেছে। আমি যে স্কুলে শিক্ষকতা করি, সেই স্কুলে যেতে হয় এই মেলার পাশ দিয়ে। তাই স্কুলে যেতে আসতে প্রায় প্রতিদিনই এই শাহী পানিপুরি দোকানটি দেখতে পেতাম।
আমার আরো দুজন কলিগ সহ আমি প্রতিদিন এই মেলার পাশ দিয়ে স্কুলে যাই আর পানিপুরি খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করি। কিন্তু সময় ও সুযোগের অভাবে কখনো খাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই আমরা তিনজনে মিলে চিন্তাভাবনা করেছিলাম দুই একদিনের মধ্যেই শাহী পানিপুরি খেতে যাব।
আর অবশেষে একদিন সুযোগ করে তিন কলিগ মিলে শাহী পানিপুরি খেতে চলে গেলাম, মেলার পাশে সেই রাস্তার ধারের দোকানে। পাঁচটি কলসে ভরে পাঁচ রকমের স্বাদে পানি রয়েছে পুড়ি দিয়ে খাওয়ার জন্য।
আমরা যখন এই পানিপুরির পাশ দিয়ে যাতায়াত করতাম তখন চিন্তা ভাবনা করেছিলাম শাহী পানিপুরি খেতে হয়তো ভালো লাগবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন পানিপুরি খেয়ে এতোটুকু স্বাদ পাইনি। বরং মনে হয়েছে কেন যে শাহী পানিপুরি খেতে আসলাম।
মনে মনে বড্ড আফসোস হচ্ছিল এই পানি শাহী পুরির স্বাদ নিয়ে। অথচ আমি রংপুর ও ঢাকায় গিয়ে এই শাহী পানি পুরি খেয়েছিলাম তার স্বাদ যেন আজও মুখে লেগে রয়েছে।
আমার কেন জানি বারবার মনে হচ্ছিল এই শাহী পানিপুরীর স্বাদ একেবারেই কম বলে দোকানটি একদম ফাঁকা। আমাদের মত যারা না জেনে এই স্বাদ হীন পানি পুরি খাবে শুধু তাদেরকেই ওই দোকানে দেখতে পাওয়া যাবে। আর যারা একবার খেয়েছে তারা আর কখনো ফিরেও তাকাবে না।
আমরা অনেকেই আছি বাইরের এরকম মুখরোচোক খাবারের প্রতি খুবই দুর্বল। যার কারণে কোন চিন্তাভাবনা না করেই বাইরের এরকম খাবার খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। কিন্তু কখনো এর স্বাস্থ্যসম্মত মান নিয়ে চিন্তা করি না।
আর এই অস্বাস্থ্য ও মানহীন খাবার খেয়ে আমরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরি। তবুও এরকম মুখরোচক খাবারের দোকানগুলো সব সময় কাস্টমারের ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকে।
যদিও আমি স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের চিন্তাভাবনা করি তবুও কেন জানি এরকম লোভনীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে পারিনা। আর তাইতো এরকম মুখরোচক খাবার আমাকে খুবই আকৃষ্ট করে।
তাই মাঝে মাঝেই বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবার খেয়ে থাকি। সেদিন যখন শাহি পানিপুরি খাচ্ছিলাম তখনো আমি খাবারের স্বাস্থ্যসম্মত মান আছে কিনা চিন্তা ভাবনা করেছিলাম। কিন্তু কি আর করার ওই যে বললাম, এরকম খাবার আমার খুবই পছন্দনীয়।
আমার মনে হয় শুধু আমি নই, আমার মত অনেকেই আছে যারা এরকম বাইরের মুখরোচক খাবারের প্রতি খুবই দুর্বল। যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম, এবার আমার বিদায় নেবার পালা। তাই দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই আমাদেরকে বুঝিয়ে গিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন।
আমাদের মুখরসের জন্য আমরা বাহিরে অনেক কিছুই খেয়ে থাকি সেটি আমাদের শরীরের জন্য একদমই ঠিক নয়।
পাশাপাশি আপনার মনের ইচ্ছাটাও পূরণ করে নিয়েছেন এবং শাহী পানি পুরীর ছবিগুলো অনেক সুন্দর ভাবে তুলেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লিখে উপস্থাপনা করেছেন।
আমার পোস্টে এসে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্য দিয়ে আমার পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
This post has been upvoted through Steemcurator09.
Team Newcomer- Curation Guidelines for February
Curated by - @heriadi
এই ধরনের মুখরোচক আবার আমরা সবাই পছন্দ করি। আপনি তো দেখছি পানিপুরি খেতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা। পানিপুরি স্বাদ ঠিকমতো পাননি যার কারণে আপনি বারবার চিন্তা করছিলেন, কেন এই পানিপুরি খেতে আসলাম।
আপনারা তিনজন কলেজ মিলে পানিপুরি খেতে গিয়েছেন। কিন্তু পানিপুরির স্বাদ তেমন একটা গ্রহণ করতে পারেননি। যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এবং তার সাথে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভালো থাকবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।